লাগাতার সর্বাত্বক হরতাল অসহযোগের জন্যে প্রস্তুতি নিতে হবে।আপনার এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যাক্তি পেলেই জিজ্ঞাসাবাদ করুন।

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১১ নভেম্বর, ২০১৩, ১২:০৪:১০ দুপুর

কথা হয়ত আর বেশিদিন বলতে পারবনা। গর্দানের উপর ঝুলছে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর কালো আইন আইসিটি আইন। কন্ঠরোধের চেষ্টার এমন নজীর বাকশাল দিয়েই তুলনা করা যায়। অঘোইষত বাকশাল চলছে। আর একে দীর্ঘস্থায়ী করে ইসলামের নিশানা মুছে ফেলার এক আত্বঘাতি ভয়ংকর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বাম ও তার দোসররা। তাই

লাগাতার সর্বাত্বক হরতাল অসহযোগের জন্যে প্রস্তুতি নিতে হবে। অফিস আদালতের কর্তাব্যক্তিদের স্পষ্ট করে বলে দিতে হবে হরতালে অফিস বন্ধ রাখার জন্যে। নাইলে ফিউচারের দায় দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে। বিরোধী দল ছায়া সরকার। গনতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দলেরকর্মসুচীকে সম্মান করা বাধ্যতামূলক। মাঠের আলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে না জড়ানোর জন্যে অনুরোধ করতে হবে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে নির্দোষ আলীগদেরকে নিশানা বানানো থেকে বিরত থাকার বিনীত অনুরোধ করছি। সকল বন্দরগুলোকে ডেডলক করে দিতে হবে। সীমান্ত পাহারা দিতে হবে যাতে কোন ঘৃন্যঅপরাধী দেশ ছাড়তে না পারে। আপনার এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যাক্তি পেলেই জিজ্ঞাসাবাদ করুন। বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের হত্যার জন্যে কলকাতা থেকে ভারতীয় সৈন্য সিভিলে দেশে প্রবেশ করেছে । মিছিলে গুলি করে গনহত্যা, শুনা সাক্ষীর ভিত্তিতে সাজানো বিচার, সাক্ষী গুম করে বিদেশে চালান, একলাখ হাজার কোটি টাকা লোপাট, দেশের সেনাবাহিনী ধ্বংসসহ শতাব্দীর ঘৃন্য সব কাজ এই সরকার করে ফেলেছে। এই সরকারের সকল কর্তাব্যাক্তি ফাসিঁর যোগ্য। এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে নইলে শহীদ হওয়ার জন্যে তৈরী হতে হবে। "হয় হাসিনা যাবে নয় শহীদ হব" এমন দৃঢ় চেতা শপথই এই দেশ জনতা ইসলামকে নিরাপদ করতে পারে । নিরাপদ করবে আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মকে। আল্লাহু আকবার

---------------------------

গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে দেশ।

----------------------------

আওয়ামীরা যতই হার্ডলাইনে যাবে ততই দেশে সিরিয়ার মত পরিস্থিতি তৈরী হবে। লাখ লাখ অগুনতি হত্যা ও গ্রেফতারের পরিকল্পনা করেছে আওয়ামীলীগ।৭১ এর চেতনার পেনিস খাড়া হয়ে গেছে। তবে আশার কথা হল পেনিসে বার্ধক্যের ছায়া পড়েছে। ভারত আবার অধিক মাত্রায় সক্রিয়। তবে ভারতের নিষ্প্রয়োজনীয় বন্ধুত্বের কথা জাতির পুচকে পোলারাও জানে। বাম আলীগরা আবার ঐক্যবদ্ধ।তবে তাদেরকে দেশের ইসলাম প্রিয় দেশপ্রেমিক জনতারা চিনেছে আগের চেয়ে অনেক বেশী। আওয়ামীরা হয়ত ক্ষমতা ছাড়বে নয়ত পুরো দেশ তাদের জন্যে হয়ে উঠবে একটা অনিরাপদ বাড়ি। ইসলাম প্রিয় বিরোধীদলের বডি ল্যাংগুয়েজ দেখে মনে হচ্ছে কোন নিশানা ব্যর্থ হবার নয়। এরা আলেম ওলামাদের তেতুল তেতুল বলে হুক্কাহুয়া করে অপমান করতে চায়। কিন্তু ইনু গংদের মাংশ খুবলে খাওয়ার জন্যে জনতা চাতক পাখির মত তাকিয়ে আছে। কুরআনের নন্দিত সৈনিক নির্দোষ আল্লামা সাঈদীদের কন্ঠরোধ করে যারা কুরআনকে স্তব্ধ করতে চায় আল্লাহ তাদের বংশকে স্তব্ধ করে দেবে।তাদেরকে শুকর কুকুরের জিন্দেগী দান করবে। মুসলমানের দেশে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজতন্ত্র চলবেনা , চলতে দেয়া হবেনা

-------------------------------------------

বিএনপি বিরোধী রাজনীতির ফিল্ড থেকে সরে যাওয়া মানে ইসলামপন্থীদের ঘোরতর বিপদ।

--------------------------------------------

আজ থেকে দুই বছর আগে তরিকত ফেডারেশনের এক (অ) গুরুত্বপূর্ন নেতা ফটিকছড়ির এক এমপি নমিনেশন প্রার্থীরে বলছে আপনি নমিনেশন পাবেন না।কারন এবার একদলীয় নির্বাচন হবে। আর সে নির্বাচনে আমি নমিনেশন পাব। যেই ইলেকশান করুক বা ভোট পাক আমিই এমপি হইব। জামায়াতকে পুরোপুরি শেষ করে তারপর বিএনপিকে দুর্বল করে বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচনের বাইরে রেখে ক্ষমতায় গিয়ে ইসলাম বিরোধী বাকশাল কায়েমের জন্যে বাশার আল আসাদ, মুয়াম্মার গাদ্দাফী,হুগো শাভেজদের অনুকরন করা হইবে।

কর্মী সংকটে দুর্বল বিএনপি ঠিকবেনা জানা কথা। তাই বাকশাল কায়েমের মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখে

খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হতে পারে।

যে যেখানে আছেন বিএনপিকে বাচান। দেশপ্রেমিক জনতার উচিত বিএনপিকে বাচানো।বিএনপি বিরোধী রাজনীতির ফিল্ড থেকে সরে যাওয়া মানে ইসলামপন্থীদের ঘোরতর বিপদ।

---------------------------------------------

হরতাল নির্দেশিকা

---------------------------------------------

যে যেখানে আছেন প্রকাশ্য না পারলে গোপন সংগ্রাম কমিটি করুন।গ্রেফতার এড়িয়ে চলুন। নিজ এলাকার পরিবহন মালিকদের মোবাইল নম্বর কালেক্ট করুন। মার্কেট ব্যবসায়ী নেতাদের মোবাইল নম্বর কালেক্ট করে কল করে হরতাল পালনে অনুরোধ করুন। বিভিন্ন অফিস আদালত এর পরিচালকদের মোবাইল ও ঠিকানা সংগ্রহ করে পিকেটিংয়ে আওয়ামীদের র্কতৃক নির্বিচারে গুলি বর্ষনের কথা বলে অফিস আদালত বন্ধ রাখতে অনুরোধ করুন। পিকেটিংয়ে সিংগেল ম্যান থিউরী এপ্লাই করুন। হরতালের দিন বের করা রাস্তায় গাড়ী গুলোর নাম্বার সংগ্রহ করে রাখুন। মোবাইল ফোনে একশানে যাওয়া পুলিশের ছবি তুলে রাখুন।ফটো সাংবাদিকদের কাজে লাগাতে হবে। সারাদেশের আওয়ামী মাঠ নেতাদের সংঘর্ষে না জড়াতে অনুরোধ করুন। বলুন বামআলীগের কেন্দ্রীয় ইসলাম বিরোধী নেতাদের সাথে আমাদের মুল দ্বন্ধ। মাঠের আলীগদের সাথে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে বুঝিয়ে দিন কেয়ারটেকারের প্রয়োজনীয়তার কথা। আল্লাহ ও জনতা আমাদের পক্ষে। ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের অনিবার্য।

বিষয়: বিবিধ

১১৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য