পুরুষের চোখের সৌন্দর্য্যক্ষুধা ।
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১০ নভেম্বর, ২০১৩, ০২:০১:৪৫ দুপুর
পুরুষের চোখের সৌন্দর্য্যক্ষুধা প্রগতির নাম করে বাড়িয়েছ তুমি বেশুমার। তুমি যে সৌন্দর্য্যের নেশায় মাতাল করেছ যুবকের দুচোখ তার দায় দায়িত্ব বুঝ কি! দেশের কালো মেয়েরা্ কি জন্ম অপরাধী? কালো বা কালোর মত জন্ম নেয়াটা কি অপরাধ? তুমি আজ অনুভুতি জাগিয়েছ পুরুষের মনে সৌন্দয্যের অনেক দাম! তাই জেনেটিক্যলী যারা কালো মেয়ে তাদের আজ বেদম বিষন্নতা! যদি এমন হত ব্যক্তিত্ব ও নৈতিকতাকে তুমি প্রমোট করেছ তাইলে পুরুষ সৌন্দর্য্য না দেখে ঐসব দেখে প্রিয়তমা খুজত। সেটআপ গেটাপকে প্রায়োরিটি দিয়ে হয়ত তুমি প্রসাধনী, অলংকার আর দামী কাপড়ের ব্যবসা করেছ বেশ! কিন্তু মানবতা বিকল হয়েছে গুমড়ে কেদেঁ কেদেঁ। জ্ঞানঅর্জনকে যদি তুমি অনন্য সৌন্দর্য্য বলে মার্কেটিং করতে তাইলে পুরুষ খুজত জ্ঞানী জীবন সঙ্গীকে। অথচ কালো হয়ে জন্মটাই যখন অপরাধ বানালে তখন তো আর কিছু করার রইলনা। বিষন্নতা বিমর্ষতা ইনষ্টল করে আমাদের ললনাদের জীবন করে তুলেছ নির্মম অসহায় তিক্ততায় ভরপুর। আর বেচে থাকাই যেন তাদের শ্বাপদসঙ্কুল । প্রতিটি অনুরননে হিমশীতল ব্যদনার নীলকাটাঁ অনুভব তাদের। কারন জন্মগত কালো হওয়া রোগ সারানো যায়না। তাইলে কি আর করা !!!!! বিষন্নতা বিমর্ষতা ধুকে ধুকে কামড়ে মারুক মানবতাকে।
যদি বলতে ব্যক্তিত্ব ও নৈতিকতার কথা তবুও চেষ্টা করা যেত। জ্ঞানঅর্জনকে সৌন্দর্য্য বললেও প্রানপনে চেষ্টা করা যেত। কোমল ও প্রীতিপূর্ন ব্যবহারের কথা বললেও প্রতিটা উচ্চারনে তারা হয়ত সতর্ক হত তোমার মত গড়ে উঠতে কিন্তু চামড়ার ফর্সা ভাবটার এমন মার্কেটিং করলে প্রতিটা শহর আর গ্রামের অসংখ্য পরিবারের আহাজারি ভারী করে তুললে! এ কেমন আধুনিক অসভ্যতা তোমার? তুমি প্রগতিবাদী, তুমি নারীবাদী, তুমি সেকুলার তবে কেন তুমি নীরব ? মানবতাকে যখন শকুনীরা ধারালো নখে রক্তাক্ত করছে তবুও তোমার দৃশ্যমান প্রলাপ নেই। রুপে হয়ত চোখ জুড়াতে পারে কিন্তু গুনে তো মন জুড়ায়! সুন্দর সাপ গুলো যখন মানুষকে দংশন করে তখন মানুষ ঠিকই বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু গুনী কালো বিড়ালও যখন পাশে থাকে তখন দেখবে সে মায়ার আলো ছড়াবে। মায়ার রিনি ঝিনিতে ভরবে দুপাশের স্বজন। তোষামোদী পেলে অহংকারী হয়ে উঠে মানুষ। সুন্দরীরাও তেমন। মনের অজান্তে অহংকার বাসা বাধেঁ। শয়তান ক্রমাগত লেগে থাকতে পারে তাদের পিছু। অনেক দুষ্টু পুরুষের ঢিলে রক্তাক্তও হতে পারে চরিত্র। ব্যতিক্রম যে নেই তা বলছিনা কিন্তু। ইসলামে আরব অনারবে যেমন ভেদাভেদ নাই ঠিক তেমনি সাদা কালোতেও নেই কোন পার্থক্য। কালো মানুষের অবমূল্যয়ন করে আল্লাহর সৃষ্টি ও মানবতার অবমূল্যয়ন করার উত্তাল ঢেউয়ের প্রতিরোধে শীশার প্রাচীর তৈরী করতে হবে। মনে রাখতে হবে স্রষ্টার হুকুম মানাই সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য ও বড় যোগ্যতা।
বিষয়: বিবিধ
১১৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন