শিবির ঘরানার জন্যে সতর্কতা সংকেতঃ দৃঢ়তার সাথে ইসলামের নামে চরমপন্থাকে না বলুন। (চরমপন্থীরা আমাকে ফেবুতে আনফ্রেন্ড করুন।আপনাদেরকে আমি নাস্তিক থেকেও বেশী ঘৃনা করি)

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২৭ অক্টোবর, ২০১৩, ০১:৩০:৪৮ দুপুর

গনতন্ত্র বাদ দিয়ে দেশে বিদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্যে এই মূহুর্তে যুদ্ধ কোন ভাল সমাধান নয়।

ইসলামী শিক্ষিত মূর্খদের আলোচনা দেখলে দুঃখ লাগে। করুনা করতে ইচ্ছা করে। ইসলামী আবেগ দিয়ে বাস্তবতা বিবর্জিত চিন্তা ভাবনা করে বিভ্রান্ত করা কঠিন কিছু নয়। বিপক্ষের যুক্তিকে এড়িয়ে নিজের কথা হরদম বলেই যাওয়া একধরনে গন্ডমুর্খ বেয়াদবী। এদের সাথে টাইম দেয়াও বিরাট মূর্খতা। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রশিবির প্রোডাক্টকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। শহীদী এই কাফেলার জনশক্তি চিন্তার বিভ্রান্তি থেকে বাচার ক্ষেত্রে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে। এ ব্যাপারে শিবিরকে আরো সজাগ হতে হবে। ইসলামিক স্কলারদের সার্বক্ষনিক বাহাস, পরামর্শ, আলোচনা, সমালোচনা,চুলছেড়া বিশ্লেষন, নীতি-কর্মকৌশল ও দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে নেতা কর্মীদের উপর্যুপরী প্রশ্নবানের মুখোমুখি হওয়া,প্রমিনেন্ট আলেমদের সাথে সমীহ এর সাথে মত বিনিময়সহ বিরোধীশক্তি ও নীতি নির্ধারক দার্শনিকদের সমালোচনা ও বিতর্কের কঠিন ময়দানে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ঠিকে আছে। আমরা অবিচল ও লর্ক্ষ্যজনে স্থির । আমাদের কর্মকৌশল বাস্তবতার আলোকে। আমাদের সাথে আপনার বালখিল্যনীতি নিয়ে আপোষ না হলেও চলবে। আপনি আপনার কাজ করতে থাকেন। আপনাদের চরমপন্থার সাথে আমাদের কোন আপোষ হতে পারেনা।আর আমার কাছে কোন চরমপন্থীর খোজ মিললে আইন শৃংখলা বাহিনীকে খবর দিতে মূহর্তও দেরী করবনা কারন বিসমিল্লাহর সাথে আমাকে খুন করলে খুন জায়েজ হয়ে যাবেনা।

ইসলাম প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধের উসকানীদাতাদের কাছে সবিনয় প্রশ্ন:

আপনার কাছে কি পারমানবিক বোমা আছে? দুরপাল্লার আক্রমন প্রতিরোধে আপনি কি করতে পারবেন? আপনি কি ড্রোন হামলা করতে সক্ষম? আপনার কাছে কি শক্তিশালী রাডার ও স্যাটেলাইট ব্যবস্থা আছে যা দিয়ে পুরো পৃথিবীকে আপনি পর্যবেক্ষনে রাখতে পারবেন? আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির আপনি কি বুঝেন এর সম্পর্কে কি আপনার বিশদ কোন আইডিয়া আছে? আপনি যে আইপি থেকে যে মোবাইল থেকে ইন্টারনেট ইউজ করছেন তার স্থান ট্রেস করা যায় ও সংশ্লিষ্ট ডাটাবেজ থেকে পুরো হিস্ট্রি দেখা সম্ভব তাকি জানেন? আপনি পৃথিবীর ইকোনমি ও বিজনেস এর কতটুকু নিয়ন্ত্রন করেন? আপনি জনমনে সংস্কৃতি ও মিডিয়ার প্রভাব সম্পর্কে কিছু জানেন? আপনি যুদ্ধ করতে নামলে বিরোধী পক্ষ কি আপনাকে ছেড়ে দিবে?

সংক্ষেপে রাসুল সাঃ এর কর্মপদ্ধতি :

১.গোপন দাওয়াতী কাজ করেছেন।

২.প্রকাশ্য দাওয়াত দিয়েছেন।

৩. নিযার্তন ভোগ করেছেন

৪. হিজরত করেছেন।

৫. বহু জাতিকে নিয়ে মদীনা রাষ্ট গঠন করেছেন। (মদীনার সনদ বিস্তারিত পড়ুন)

৬.বিভিন্ন জায়গায় রাষ্টে দাওয়াত দিয়েছেন।

৭.আক্রমন প্রতিরোধ করেছেন।

[**** উপরের কাজগুলো না করে আপনি যুদ্ধ যুদ্ধ চিল্লান কেন?****]

৮. কেউ অন্যায় করলে আক্রমন করেছেন।

৯. ইসলাম গ্রহন না করলে আক্রমন করেছেন।

(সীরাত গ্রন্থ গুলো যতটুকু মনে আছে তার আলোকে)

১০. তৎকালীন সংস্কৃতি যুদ্ধকে গ্রহন করেছেন। (এখন বিশ্বজনমত যুদ্ধের বিপক্ষে)

১১.রাষ্ট যুদ্ধের নেতৃত্ব দেবে। (কোন ব্যাক্তি বা দল সিদ্ধান্ত নিয়ে কিভাবে সশস্ত্র যুদ্ধ পরিচালনা করবে যদি জনগনের সমর্থন না থাকে?)

শুধু বদর যুদ্ধকে পর্যালোচনা করুন।

এই যুদ্ধে

দুই পক্ষে মানুষ ছিল।

দুই পক্ষে ঘোড়া ছিল।

দুই পক্ষে তীর বল্লম ঢাল তলোয়ার ছিল।

হয়ত মুসলমানদের যুদ্ধাপোকরন কম ছিল। কিন্তু একই ক্ষমতা সম্পন্ন টেকনোলজি দুইপক্ষে ছিল। গ্লোবাল পরিস্থিতি বিবেচনা করলে মুসলমানদের কাছে বিরোধী পক্ষের কাছে আছে এমন কোন টেকনোলজি নেই। যাদের আছে তারা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিক যুদ্ধ করুক সমস্যা নেই। আপনার না থাকলে আপনি দাওয়াহ মুভমেন্ট পরিচালনা করুন।

আমরা বলি শর্তসাপেক্ষে গনতন্ত্র জায়েজ।

কিভাবে ? গনতন্ত্র নিয়ে দেখুন আমার লেখার লিংক গুলো।

১. ইসলাম বিষয়ে গবেষনায় আমি যে নীতি গুলো গুরুত্ব দিই।

http://www.bdtomorrow.com/blog/blogdetail/detail/1665/lokmanbinyousuf/24255#.Umy051OBLFw

২.ইংরেজী ডেমোক্রেসী (শাবিরহুম ফিল আমর বা পরামর্শ) শব্দে চুলকানী থাকলেও ফারসী শব্দ নামাজ,রোযা তে আছে আহ্লাদি ভাব!

http://www.bdtomorrow.com/blog/blogdetail/detail/1665/lokmanbinyousuf/27369#.Umy01VOBLFw

৩. আব্রাহাম লিংকনের গনতন্ত্র নয় আমরা ইসলামি শুরা সিস্টেম বা শুরাতন্ত্র বা ইসলামিক গনতন্ত্র মানি।

http://www.bdtomorrow.com/blog/blogdetail/detail/1665/lokmanbinyousuf/27691#.Umy0uVOBLFw

৪.আজীবন ক্ষমতা & Islam

http://www.bdtomorrow.com/blog/blogdetail/detail/1665/lokmanbinyousuf/27957#.Umy0sFOBLFw

গনতন্ত্র কোন দ্বীন নয় সরকার পরিবর্তনের সিস্টেম। গনতন্ত্রকে ইসলামের কাজে ইউজ করা পসিবল।

গনতন্ত্র বাদ দিয়ে আপনি কি করতে চান? চোরাগুপ্তা হামলা!!!

আগে দাওয়াত দেন মানুষকে। সংখ্যাপরিষ্ঠ মানুষকে পক্ষে আনুন। অধিক মানুষের সিদ্ধান্ত কুরআনের সাথে কন্ড্রাডিক্ট না করলে গ্রহন যোগ্য হবে। সাক্ষী(ভোটার) মানউন্নয়ন একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। ইসলামি আদালত সাক্ষীর সাক্ষ্যদেয়ার (ভোটারের ভোটাধিকার ) ক্ষমতা রহিত করতে পারে। প্রার্থীর যোগ্যতা গার্ডিয়ান কাউন্সিল ঠিক করে দেবে।

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ই খারাপ নয়। দেখার বিষয় হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কি কাজ হয় বা কি পড়ানো হয়। গনতন্ত্র শব্দে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে গনতন্ত্র আপনি কিভাবে চালাবেন। গনতন্ত্র শব্দের সাথে কি সিস্টেম জুড়ে দেবেন। সিস্টেম যদি কুরআন বিরোধী না হয় তবে সে সিস্টেমকে গ্রহন করতে কোন সমস্যা নেই।

এককথায় কোন কিছুকে কুফ্ফার বলে দেয়া মূর্খতা। ইসলাম কোরআন হাদীসের বাইরে ফতোয়া দেয়ার কোন সুযোগ নেই। নিজে ইসলাম বানাবেননা। বানানো ইসলাম বেদাত বলে বিবেচিত।

যুদ্ধের উসকানী দেয়া ইসলাম সম্মত নয়। এটা অকালে মুসলমানদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়ার হঠকারী কার্যক্রমের অংশ।ইসলামী যুবকদের কেউ কেউ ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কাফেরদের পরিচালিত কার্যক্রমের কৌশলের ফাদেঁ ইসলামী জোশে পা দিয়েছেন মাত্র।

ইসলামী শক্তিগুলোর সাথে বিএনপির সম্পর্কের ব্যপারে বলা যায় ভাল ও মুবাহ না থাকলে কম খারাপটি গ্রহন করা ইসলাম পরিপন্থী নয়।

সুতরাং দৃঢ়তার সাথে ইসলামের নামে চরমপন্থাকে না বলুন।

বিষয়: বিবিধ

১৪৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File