শহীদ জিয়ার বিএনপিকে সবারই সম্মান করা উচিত। যেখানে যে দল শক্তিশালী সেখানে সে দলকে আন্দোলনের নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে হবে।

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২৩ অক্টোবর, ২০১৩, ০১:১৭:৫৪ দুপুর

বিএনপিকে ঠিটকারী মেরে লাভ কি! আওয়ামীলীগের নমরুদীয় বাকশালী মানসিকতার বিপক্ষে প্রথম জয়ী হয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই থেকে বাংলাদেশে এন্টি আওয়ামীলীগ শক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছে শ্রদ্ধাভাজন জিয়াউর রহমানের বিএনপি। ধার্মিকতাকে বুকে ধারন করে এই দলটি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তির মোকাবেলা করে যাচ্ছে ৩৫ বছর ধরে। দেশকে একদলীয় বাকশাল থেকে বহুদলীয় গনতন্ত্রের দেশে রুপান্তরিত করেছে বিএনপি। ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে "সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস " মূলনীতি সংবিধানে এনেছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে শহীদ জিয়ার সহধর্মিনী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করতে গিয়ে অপারেশন ক্লিন হার্ট শুরু করেন।২০০১ নির্বাচনের পরপর আওয়ামী নাৎসী কুত্তাবাহিনী ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যায়। এই সুযোগে পুলিশ প্রশাসনে ঘাপটি মারা আওয়ামীরা বিএনপির সাহসী নেতাকর্মীদের হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপোষহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র বুঝে উঠতে পারেননি। যখন বুঝে উঠেছেন তখন পানি অনেকদুর গড়িয়ে গেছে। পুলিশ রেবের ক্রসফায়ারে অনেক বিএনপি নেতাকর্মী শাহাদাত বরন করেছেন, পঙ্গুত্ব বরন করেছেন। মিথ্যা হত্যা মামলা সহ অনেক মামলায় কারাগারে অনেকেই বছরের পর বছর বন্দী। জিয়াপরিবার সহ অনেক বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী পরিবারের উপর নির্যাতনে সাংগঠনিকভাবে অমজবুত দিশেহারা বিএনপি তার ত্যাগী নেতাকর্মীদের এখনো ভালভাবে তত্ত্বাবধান ও মুল্যয়ন করতে পারেনি। আওয়ামী নমরুদীয় বাকশালী শাসনে যখন জাতি দিশেহারা তখন

১.বিএনপিকে কোন ঠিটকারী নয় সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মানসিকতায় দেখা উচিত। শহীদ জিয়ার ত্যাগী বিএনপিকে সবারই সম্মান করা উচিত

২. যেখানে যে দল শক্তিশালী সেখানে সে দলকে আন্দোলনের নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে হবে।

৩.বিএনপির নেতাকর্মী সহ জনগনকে রাজপথে নিয়ে আসতে হবে। ৪.আওয়ামী পশুদের রুখতে হবে। ঢাকাকে পুরোদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।

৫.মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। ৬.রাজপথে আন্দোলন করতে না দিলে গলিতে গলিতে গ্রামে গঞ্জে , হাটবাজারে থানায় থানায় শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

৭. প্রানহানী যাতে না ঘটে লক্ষ রাখতে হবে।

৮. প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভুমিকা নেয়ার জন্যে বাধ্য করতে হবে। প্রতি থানার ইনচার্জকে মোবাইলে বা যেকোনভাবে নিরপেক্ষ হওয়ার জন্যে অনুরোধ করতে হবে না শুনলে বাধ্য করতে হবে।

৯. বেয়াড়া আওয়ামী অফিসারদের তালিকা করতে হবে ও কড়ামার্কিংয়ে রাখতে হবে। স্থায়ী ঠিকানারও খোজ নিতে হবে।

১০. আলীগের মাঠ নেতাকর্মীদের বলতে হবে বুঝাতে তাদের সাথে আমাদের কোন সংঘাত নয়। আলীগের উপর ভর করা নাস্তিক বামরা আমাদের মূল টার্গেট। তাদেরকে সংঘাত থেকে দুরে রাখতে হবে। তারা যাতে রাজপথে না আসে সে ব্যবস্থা করতে হবে ও তাদের বুঝাতে হবে। আলীগের কেন্দ্রীয় অপকর্মের জন্যে মাঠের আলীগ নেতাকর্মীদের টার্গেট করা যাবেনা।

১১. আওয়ামী মিডিয়ার বিপক্ষে মাঠে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে। যেখানে দালালী সেখানে প্রতিরোধ।

১২. মামলা ও জেলখানার বন্দী তত্ত্বাবধানের জন্যে আলাদা এলাকা ভিত্তিক কমিটি করতে হবে। মিনিমাম তিনমাস বাইরে থাকার জন্যে প্রয়োজনীয় অর্থ সাথে রাখতে হবে।

১৩. এক এলাকার নেতাকর্মী প্রয়োজনে অন্য এলাকায় গিয়ে আন্দোলনে শরীক হতে হবে। এতে পুলিশকে বা আলীগকে চোখে ধুলো দেয়া যাবে।

১৪. যেখানেই আলীগ নেতা সেখানেই প্রতিরোধ করতে হবে।

১৫. সর্বোপরি আওয়ামীদের উপর আয়োমী পলিসি এপ্লাই করতে হবে।

মনে রাখতে হবে সামান্য ভূল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারে। আমাদের অনৈক্যর কারনে একদলীয় শাসনের দীর্ঘ যাতাকলে পড়তে পারে বাংলাদেশ। আমাদের নিষ্ক্রিয়তায় স্বাধীন স্বকীয়তা হারাতে পারে বাংলাদেশ। এই লড়াই বাংলাদেশকে ভূটান সিকিমের মত হওয়া থেকে রক্ষা করার লড়াই। এই লড়াই আওয়ামী বাম রাম নাস্তিকদের বিরুদ্ধে লড়াই।

নারায়ে তাকবীর- আল্লাহু আকবার

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

র্কাটেসীঃ https://www.facebook.com/Enlighten.Blogger

বিষয়: বিবিধ

১০৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File