বাংলাদেশে রাজাকারদের চেতনার কবর রচিত হোক।

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১২ অক্টোবর, ২০১৩, ০১:৪৮:৩৫ দুপুর

রাজাকার,রেজাকার চেতনা কি? সহজ হিসাব অখন্ড পাকিস্তানের পক্ষের স্বেচ্ছাসেবী। এখনো বাংলাদেশ হওয়াটা ভূল বলা বড় রকমের বাড়াবাড়ি। এই রকম বলা একটা রাজাকারীয় চেতনা। পাকিস্তানের দালালদের চেতনা। আমি এই চেতনার ধারক বাহক নই। আমি ইসলামের ধারক বাহক হতে চাই । রাজাকারের চেতনার ধারক বাহক নই। কিছু ইসলামপন্থীর পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধকে এখনো ইসলামের বিপক্ষে দাড় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা একটা বড় রকমের আহাম্মকী কাজ। এদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিল পাকিস্তানের অন্যায়ের বিপক্ষে । এটা ইসলামের স্পিরিটের সাথে হয়। কিন্তু অনেক কুচক্রি সমাজতন্ত্র কায়েমের লোভে , ভারতের সুবিধার জন্যে, পাকিস্তানকে দুর্বল করার জন্যে, অথবা নিজেদের কায়েমী স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল বা চেয়েছিল। সমাজতন্ত্র কায়েমের ইচ্ছা মনের মধ্যে রেখে জনগন কর্তৃক যুদ্ধ করিয়ে নিয়ে তারপর বলা হচ্ছে সমাজতন্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আসলে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা অন্যায়ের বিরুধীতা করা। এটা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক নয় বরং ইসলামের স্পিরিট। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ইসলাম। এখন যদি গন্ডমুর্খ রাজাকারের নাতিরা বলে ১৯৭১ এর সেপারেশন ভূল ছিল তাহলে প্রতিবাদ না করে পারা যায়না। এই পাকিস্তানীরা ১৯৫২ এ মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। ১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ১৯৫৮ সালে মার্শাল ল' জারি করে আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করেছিল। পূর্বপাকিস্তানের প্রতি আঞ্চলিক বৈষম্য ইতিহাসের অবিতর্কিত অধ্যায়। স্ট্যাটিসটিকেল ডাটা তাই বলে। এদেশের ভূখন্ডের মানুষের প্রতি বৈষম্যের পর বাঙ্গালীরা পাকিস্তানীদের দেখলেই যে মারেনি তা অনেক বেশী। সেখানে ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র এর কথা বলে দেশ ভাগকে নাজায়েজ প্রমানের চেষ্টা দুঃখজনক। পাকিস্তানীদের অন্যায় আগরতলা হতে প্ররোচিত করেছিল। বাংলাদেশ হয়েছে। এটা মানা আপনার জন্যে বাধ্যতামূলক। না মানলে আপনার উপর রাষ্টীয় শক্তি ব্যবহার করা হবে।

আমি এখন বিশ্বাস করি এদেশের সেপারেশনে অনেকের এলার্জি আজও বিদ্যামান। তারা চায় তাদের দলের নামটা রেখে দিবে তারপর আস্তে আস্তে তরুন সমাজের মাথা ধোলাই করবে তারপর অখন্ড পাকিস্তানের সমর্থনকে জায়েজ করবে। এটা তাদের মনের ভিতরে পোষে রাখা ভয়ানক জিদ! বাংলাদেশী প্রজন্ম এই জিদের বিপরীতে। সম্ভবত

রাজাকার, আলবদর,আশশামসের পুত্র বা নাতিরা ২০৭১ সালে বলবে বাংলাদেশ হওয়াটা একটা বিরাট ভূল ছিল। ১০০ বছরের যুদ্বে আমরা ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকে ভূল প্রমানিত করলাম। যারা মুক্তিযুদ্বে মারা গেছে তারা সব দালাল ও দুষ্কৃতকারী। পেয়ারা পাকিস্তানের সাথে না থাকাটা একটা বিরাট ভূল। সম্ভত এদেরকে পাকিস্তানের কুত্তার বাচ্চারা দুধ খাওয়ায়। আমি ইসলামের কথা ১০০ বার শুনতে রাজী আছি। ইসলামের কাজ করতে রাজী আছি । কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন করাটা ভূল ছিল এটা শুনতে একবারও ইচ্ছুক নই। শুধুমাত্র এক রংয়ের লুঙ্গী পড়ার কারনে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আমার মায়ের নানা ও মামাকে হত্যা করেছে। অসংখ্য বাড়ি ঘর ও শস্যক্ষেত্রে আগুন লাগিয়েছে। স্থানীয় অনেকেই একাজ করতে সহযোগিতা করেছে। প্রত্যক্ষ দর্শীরা আমাকে বলেছে। ওরা মেয়েদের রেফ করেছে। এটা প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাকে বলেছে।গর্ত খুড়ে সেখানে লুকাত গ্রামের মেয়েরা। শর্মিলা বসু আপনার এত প্রিয় হয় কেমনে ? রবীন্দ্রনাথ নাম শুনলে তো আপনার মাথা ব্যাথা হয়। ডেড রেকনিং থেকে আমি অনেক কিছুকেই নিব। বিশেষ করে পাকিস্তানীদের বক্তব্য এতে আছে। সব পক্ষের মতামত জেনে কথা বললে কথার অথেনটিকেশান থাকে। তাই বলে শর্মিলাবসু যদি বলে বসে বাংলাদেশ হওয়াটা ঠিক হয়নাই তখন আমি চিৎকার করে বলব কুত্তীর বাচ্চা ! বাংলাদেশ হযেছে ১০০% ভাল হয়েছে।

কথা একটাই পাকিস্তানের পক্ষে এদেশে থাইকা বলবানা। ভিসা একটা নিয়া পাকিস্তানে চইলা যাও। সেপারেশন অবৈধ এবং ভূল বলা এইটাই হল রাজাকারীয় চেতনা । ইসলামের পক্ষে বলা রাজাকারীয় চেতনা না। আমার মায়ের গর্ভে আমি যেভাবে ছিলাম ঠিক তেমনি মুক্তিযুদ্ধের গর্ভে ছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে কিভাবে ভারতীয় আধিপত্য মুক্ত রাখা যায় ভাবা যেতে পারে। বাংলাদেশকে কিভাবে ইসলামী প্রজাতন্ত্র করা যায় ভাবা যেতে পারে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে এদেশের মানুস মেজরিটি পাওয়ার পর আলীগকে ক্ষমতা না দেয়াকে অন্যায় না বলা , পাকিস্তানী কর্তৃক ১৯৭১ ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে এদেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর মেশিনগান আর ট্যাংক তুলে দেয়ার পরও যারা পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছিল তাদের সিদ্ধান্তকে আগেই বিকলাঙ্গ বলেছি । কিন্তু আজ যদি কেউ সে সিদ্ধান্তকে জায়েজ করার জন্যে ইসলামকে বাদ রেখে সেটাকে মূল এজেন্ডা বানাতে চায় সেটার বিরোধিতা করা এদেশের তরুন হিসেবে আমার বাধ্যতামূলক নৈতিক দায়িত্ব। আমি আগেই বলেছি আমার ইসলামের প্রতি ভালবাসা আছে। পাকিস্তানের প্রতি কোন ভালবাসা নাই।

কুরআনের কথা বল । হাদীসের কথা বল। স্বাধীন দেশে বইসা এদেশকে কিভাবে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ মুক্ত রাখা যায় তা ভাব। কিভাবে দেশের উন্নতি করা যায় তা ভাব। কিভাবে ইসলামী স্টেট বানাতে হবে তার উপায় বের কর ও কাজ কর। কিন্তু ভূলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভূল ও সেপারেশন ভূল , মুক্তিযুদ্ধ ভূল, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ভূল এই সব ফাজলামী কথা বলবানা।

বেশী করে ইসলামের কথা বল। মিডিয়া কর। সেই মিডিয়াতে দলের দৃষ্টিভঙ্গীর বিপক্ষেও বলার অধিকার রাখিও। ভূলেও তোমার মুক্তিযুদ্ধের বিরুধিতা জায়েজ করার অপকর্ম করিওনা। আমি এই দেশের প্রজন্ম। ভূলেও এই দেশের বিরুধিতা করবানা। ইসলামের স্বার্থে তুমি জন্ম বিরোধী হওয়া স্বত্ত্বেও কাজ করি। আগে যা ছিলা তা ভূলে গেছি। আবার নতুন করে কুটচাল মাইরা বাংলাদেশকে নাজায়েজ করার ধান্ধা ছাড়। মেজাজ খারাপ হলে গালে ঘুসি মেরে দিব।

মুক্তিযুদ্ধকে ভূল বলবা লাইত্থাইয়া গালের চটি চ্যাপ্টা করে দিব। (ভাল কোন ভাষা পাইনি । দুঃখিত। )

বিষয়: বিবিধ

১৪৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File