"দ্বীনের কাজ করতে গিয়ে দিলের কাজ হয়ে যেতে পারে" এটা প্রান্তিক চিন্তা বা দৃষ্টিভঙ্গী কিনা ভাবতে হবে।

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৭ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:১৩:৪১ সকাল

মেয়েদের অঙ্গনে চেপে যাওয়ার স্বভাব আছে। মেয়েদেরকে ইসলামের রুলসের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করেনা এমন নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে হবে। আজ তারা কামিনের টাকা পাচ্ছেনা , মীরাসী সম্পত্তি পাচ্ছেনা। এই গুলা নিয়ে কথা বলা পুরুষ স্বার্থের বিপরীত। কর্মসংস্থানহীন নারী আত্বপ্রত্যয়ী থাকেনা। স্বার্থপরের মত নিজ পরিবার নিয়ে বসে থেকে অনেক কোয়ালিটি সম্পন্ন মেয়েদের কাছে যে যোগ্যতা আছে তা জাতির জন্যে না দেয়া আল্লাহ প্রদত্ত আমানতের খিয়ানাত। নিরাপদ কর্মসংস্থানের জন্যে দাবী করা যেতে পারে। ছোট সন্তানওয়ালা মেয়েদের কর্মঘন্টা কমানোর দাবী করা যেতে পারে। অফিসে ছোট শিশুদের রাখার জন্যে জায়গা দেয়ার দাবী করা যেতে পারে। একজন মেয়েকে কামিনের টাকা দিয়ে কি স্বাধীন ভাবে কিছু করতে দেয়া হয়? পিতা কি তার সম্পত্তি জীবদ্দশায় নারীকে দেয়?

কর্মহীন নারীর স্বামীর চাকরী চলে গেলে নারী কি করবে? স্বামী দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থ হলে নারী কি করবে?

স্বামী তালাক দিলে নারী কি করবে?

স্বামীর ব্যবহার ও ভরন পোষন অবহেলার মত হলে নারী কি করবে?

স্বামী হঠাৎ মারা গেলে নারী কি করবে ?

অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী নারী শশুরবাড়িতে ও ব্যক্তিগত জীবনে যে মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হয় তা অপমানজনক। ইসলাম এই অপমান অবস্থা কাটাতে নিরুৎসাহিত করে বলে আমার জানা নাই।

মেয়েদের মোরাল মোটিভেশানে ব্যাপকভাবে পুরুষ সহযোগিতা দরকার। একটি সমাজের দুটি পা। ১. নারী ২. পুরুষ। কোন পা কে খাট রেখে সমাজ এগিয়ে যাবেনা। ইসলামী নারী তৈরী না হলে ইসলামী পরিবার গঠন হবেনা। সাধারন মেয়েদের খপ্পরে ইসলামী ছেলেরাও ইসলাম প্র্যাকটিস থেকে পিছিয়ে যাবে। সাধারন নারীদের ছেলে সন্তান কেমন হবে সে কথা বাদই দিলাম।মনে রাখতে হবে ছেলে সন্তানের উপর পিতার প্রভাব খুবই ক্ষীণ।

জাতির অর্ধেক নারী। এই নারীদের কাছে না টেনে ইসলামী সমাজ গঠনের চিন্তা দিবা স্বপ্ন।

"দ্বীনের কাজ করতে গিয়ে দিলের কাজ হয়ে যেতে পারে" এটা প্রান্তিক চিন্তা বা দৃষ্টিভঙ্গী কিনা ভাবতে হবে। ইসলামের ভিতরে থেকে কিভাবে ইসলামী নারী আন্দোলন বেগবান করা যায় তারও উপায় খুজে বের করতে হবে।

সাধারন নারীদের ইসলামী রাজনৈতিক দলের দিকে আহবান একটি জনবিচ্ছিন্ন চিন্তা। অজনপ্রিয় চিন্তা। নারীনেত্রীদের গম্ভীর ও ক্রিটিকেল করে ফেলাও বিজ্ঞান সম্মত নয়। গম্ভীর নারীরা স্বামীকে হ্যাপী করতে পারে বলে আমার কাছে তথ্য নেই। ক্রিটিকেল মেয়েরা সংসারকে হ্যাপী করতে পারে বলেও আমার জানা নাই। ইসলামী নারী আন্দোলন বেগবান করার জন্যে নিকাবকে ফরজ করার দৃষ্টিভঙ্গী নেয়ার চেয়ে ফরজ হিজাবকে প্রমোট করতে হবে বেশী করে। হাঁ বোধক মোটিভেশন করতে হবে। মেয়েদের বকাঝকা করা চেয়ে আদুরে মোটিভেশান বেশী দরকার।

সবচেয়ে বেশী দরকার আধুনিক নারীদের সাইকোলজি নিয়ে স্টাডি করা। তাদের চিন্তা ও আবেগ নিয়ে অধ্যয়ন করা। তাদের চাওয়া পাওয়া ইসলামের সাথে কন্ট্রাডিক্ট না করলে ইসলামী নারী আন্দোলনের সাথে এডপ্ট করে নেয়া। ইসলামী নারী আন্দোলনের জন্যে প্রফেশনাল লোকও খুজতে হবে। প্রয়োজনে ম্যারেজ মিডিয়া করতে হবে। তাদের কর্মসংস্থানকে উৎসাহিত করতে হবে। স্বাবলম্বী নারী ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছল পরিবারের মেয়েদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত করতে হবে। ব্যাপক ভিত্তিক সাবলীল ও উদার দৃষ্টিভঙ্গী (যা ইসলামের সাথে কন্ট্রডিক্ট করেনা ) নিয়ে বাস্তব সম্মত পরিকল্পনা নিয়ে , হাঁর না মানা উদ্যোগ ও কার্যক্রম নিতে পারলে আমাদের বোনেরা ইসলামী আন্দোলনের বিজয়ের জন্যে হয়ে যেতে পারেন উজ্জীবনী একমাত্র পাথেয় ও অপ্রতিদ্বন্ধী শক্তি।

বিষয়: বিবিধ

১৫৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File