ইংরেজী ডেমোক্রেসী (শাবিরহুম ফিল আমর বা পরামর্শ) শব্দে চুলকানী থাকলেও ফারসী শব্দ নামাজ,রোযা তে আছে আহ্লাদি ভাব!

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১২:২৯:৩৩ দুপুর

"ওয়া শাবিরহুম ফিল আমরি" পরামর্শ শব্দের বৃহৎ টার্মিনোলজি হিসেবে গনতন্ত্র শব্দটি ইউজ করলে যদি গায়ে চুলকানি আসে তাহলে ফারসী শব্দ নামাজ ও রোযা কেন ব্যবহার করা হবে? কোরআনে তো নামাজ ও রোযা শব্দের উল্লেখ নেই। গনতন্ত্রের প্রবক্তা তো বলে নাই যে এটার সিস্টেমকে মডিফাই করে আমি ইসলামাইজ করতে পারবনা। পার্লামেন্টে পরামর্শ করেই যুদ্ধের(জিহাদ, কিতাল) সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বা নেয়ার সুযোগ আছে। যারে তারে তো যুদ্ধের ডাক দেয়ার অনুমতি দেয়া যায়না!!!। পশ্চিমা সব কিছুতে চুলকানি ব্যামো হইলে পশ্চিমা দেশের মুসলমান নিয়ে কি আপনার চুলকানী আছে? ঐ ইংরেজী ভাষাটা কিন্তু পশ্চিমা মুসলমানদেরও ভাষা। হিন্দীটা কিন্তু ভারতীয় মুসলমানেরও ভাষা। তোমার পূর্বসুরী অনেক খবিস বাংলাটারে হিন্দুয়ানী ভাষা কইত। তোমাদের কাছে সব কিছুরে ইসলামের প্রতিপক্ষ বানাতে পারলে একটু সুখ সুখ লাগে। সবাইরে অমুসলিম ফতোয়া দিতে পারলেও একটু সুখ সুখ লাগে। সব হারাম হ্যায় হারাম হ্যায় কোরাস দিতে পারলেও সুখ সুখ লাগে। কুরআন যারে স্পষ্ট হারাম করে নাই তারে তুমি হারাম কও কোন সাহসে! ? "হাযা বায়ানুল লিন্নাছ" কুরআন স্পষ্ট ও সহজ। "শাহরুর রামজানাল্লাজি উনজিলা ফিহিল কুরআন । হুদাল্লিন্নাছি ওয়া বাইয়িনাতিম মিনাল হুদা ওয়াল ফুরকান" এখানে কুরআনের গুন বা কুরআনকে সংজ্ঞায়িত করে বলা হয়েছে ফুরকান যার অর্থ হল সত্য মিথ্যার পার্থক্য কারী। তুমি মিয়া ভাই কুরআনই পুরা পড়নাই আর এসেছে ফতোয়াবাজি করতে। তুমি একটা দারুন ইসলাম প্রেমিক বটে!!! কাফির ইমরুল কায়েসের আরবী কবিতা পড়াবা আর পড়বা কিন্তু রবীন্দ্রনাথের " অন্তর মম বিকশিত কর সুন্দর কর হে " পড়লে তোমার এলার্জি লাগে। পরামর্শকে গনতন্ত্র বললে তোমার এলার্জি লাগে কারন ডেমোক্রেসী তো পশ্চিমাদের। কিন্তু টিভি ফ্রিজ কম্পিউটার মোবাইল টেবিল শব্দ ব্যবহার করছ দেদারসে! তোমার মস্তিস্ক আজীবই বটে। তুমি যুদ্ধ শব্দ ইউজ না করে কিতাল কিতাল কর ... যাওনা আরবে গিয়া নাগরিকত্ব নাও। বাংলাতে তোমার এত এলার্জি! তোমার মনমানসিকতারে আল্লাহর অনুমতি থাকলে লাইথ্থাইয়া দিতাম। ও...হাঁ... ফারসী শব্দ খোদা তেও তোমার দেখি আপত্তি নাই। আছে শুধু "শাবিরহুম" মানে পরামর্শকে বৃহৎ অর্থে ডেমোক্রেসী মনে করলে। আরে ভাই আমেরিকার টেবিল আর আমার বাংলাদেশী টেবিল এক নয়। কুরআনে আছে কিনা এর থেকেও বড় বিষয় হচ্ছে কুরআন বিরোধী কিনা! সুরা বাকারর শানে নুযুল পড়বা। বনী ইসরাইলের চরিত্রই ছিল সব প্যাচাইয়া প্যাচাইয়া কঠিন করা। তোমার উপর ভর করা সব কিছুরে কঠিন বানানোর মনমানসিকতার মত বনী ইসরাইলীয় রোগ সরানোর ওষুধ খাইয়া সুস্থ হও ..দেখবা সব তোমার হাতের মুঠোতে। এক্কেবারে ফিউর এন্ড ফকফকা ঝকঝকা

খিলাফাতী ভাইয়েরা দেশ চালাতে যাবেন আর ভাসা ভাসা কথা বলবেন তা হবেনা। খিলাফাত নিয়ে করা Mass people er প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে দিতে হবে।(কমেন্টে ডিবেট হবে আশা রাখছি)

খিলাফতীদের কাছে প্রশ্ন:

১ সাজিদিয়া খিলাফাত লোকমানীয়রা না মানলে শরীয়াহর হুকুম কি?

২. লোকমান সাজিদিয় খিলাফাত মেনে নিলেও সাজিদীয় খিলাফাত চীফ মরনের সময় করিম ভাইরে বাইয়াত দেবার সময় খিলাফাত প্রধান হতে ইচ্ছুক জব্বার আর রহিম না মানলে তার কি শাস্তি হবে একারডিং টু কোরআন?

৩. খিলাফাত চীফ হিসেবে করিমের বাইয়াতকে রহিম আর জব্বার দলীয় আনুগত্য কইয়া সাজীদিয় এন্ড করিমিয় খিলাফাত এর বিপক্ষে কিতাল শুরু করলে তাদের ব্যাপারে শরীয়াহর হুকুম কি?

৪. ৫ বছরের অধিক কাউরে ক্ষমতায় থাকতে দেয়া অবৈধ বলিয়া রহিম আর জব্বারের সাথে সাজিদিয় এন্ড করিমিয় খিলাফাতের বিপক্ষে লোকমানীয়রা সাজিদিয় এন্ড করিমিয় বংশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে যোগ দিলে শরীয়াহ কি হুকুম দিবে?

৫. আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চাওয়ার খিলাফাতী ধারনা(মুজিবীয় বাকশালের মত) কে একদলীয় ক্ষমতা লোভী মনে করিয়া মোসতাকীয় খিলাফাত উদ্ভাবন হতে পারে কিনা?

৬. খিলাফাতের চীফ পরিবর্তন মৃত্যু , অপমৃত্যু বা খিলাফাত চীফের ইচ্ছাধীন কিনা?

৭. সৌদি আরব বা অন্য কোন মুসলিম রাষ্ট খিলাফাতের মধ্যে ঢুকতে না চাইলে এককেন্দ্রীক খিলাফাত কেমনে প্রতিষ্ঠিত হইবে?

৮. খিলাফাতের চীফ নামাজ পড়ে , ফাসিক হইলেও কুফুরী করে নাই এই আস্থা ও বিশ্বাসে জনগনকে নিপীড়ন বা ভাল সেবা দিতে না পারা সত্ত্বেও সমর্থন বৈধ কিনা?

৯. আচ্ছা বুঝিলাম সাজিদ , লোকমান , করিম , রহিম , জব্বার সব এক হইয়া একক খিলাফাত প্রতিষ্ঠা কইরা বাংলাদেশের হিন্দু ও খ্রিষ্টানের বিপক্ষে ইসলামী জোশ নিয়া কতল শুরু করে দিলে ভারত তার দেশের মুসলমান আর আমেরিকা তার দেশের মুসলমানকে কতল করা শুরু করে দিলে সেটা ইসলামী খিলাফাত সমর্থন করবে কিনা?

১০. "জনগন ক্ষমতা প্রধান পরিবর্তনের মাধ্যম" মনে করিলে এবং সংবিধানের মূলনীতিতে কোরআনকে আইনের উৎস ধরিয়া নিয়া জনগনকে ভোটের অধিকার দিলে কি সমস্যা বলে কুরআন মনে করে?

১১. জনগন তাদের চীফ নির্বাচিত করাটা কিভাবে ইসলামের বিরোধী হয় যেখানে হাদীস বলছে " ইজা খরাজা ছালাছাতা ফি সাফারিন ফাল ইয়ুআম্মারু আহাদুন"।

১২. "ওয়া সাবিরহুম ফিল আমর " পরামর্শের ব্যাপারে সুরা ইমরানের এই আয়াতকে ভোটাধিকার হিসেবে নিলে সমস্যা কোথায়? ব্যালট পেপার বিলি করে পরামর্শ বা ভোট নিলে ইসলাম বাধা দেয় কিনা!

১৩. মানুষকে মুসলমান হতে হয় ঈমান এনে। রাষ্ট জড় পদার্থ বা কনসেপ্ট। রাষ্ট ইসলামী বা মুসলমান হতে পারে কিনা!

১৪. পার্লামেন্ট সকাল ১০টায় অফিসে আসার জন্যে আইন বানাতে পারে কিনা ? ১০ টায় অফিসে আসার জন্যে কোরআনে নাই কিন্তু!

১৫. কারো কারো প্রশ্ন হচ্ছে //মিথ্যুক, জুয়াড়ী, দাগাবাজ, নেশাখোড়, যেনা খোড়, সূদ খোড়, গাঁজাখোর, চোর, ডাকাত, ফাসেক্ব পুরুষ ও নারীর সাক্ষ্য(ভোট ) কিভাবে হিকমাহ্ হয়?//

এবং

//শরীয়তের দৃষ্টিতে সর্ব বিষয়ে যারা নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি তারাই সাক্ষ্য (ভোট) দেওয়ার অধিকার রাখে আল্লাহর বাণী :

" وَأَشْهِدُوا ذَوَيْ عَدْلٍ مِّنكُمْ وَأَقِيمُوا الشَّهَادَةَ لِلَّهِ }الطلاق

তোমাদের মধ্য থেকে দুইজন নির্ভরযোগ্য লোককে সাক্ষী রাখবে, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য দিবে সূরা আত ত্বালাক্ব, আয়াত : ২//

এখানে মিথ্যুক, জুয়াড়ী, দাগাবাজ, নেশাখোড়, যেনা খোড়, সূদ খোড়, গাঁজাখোর, চোর, ডাকাত, ফাসেক্ব পুরুষ ও নারীর সাক্ষ্য(ভোট ) শাস্তি স্বরুপ জেলখানায় থাকার কথা। ভোটের সময় তার কাম কি?

এই আয়াতটি বিয়ের সাক্ষ্য নিয়ে। কোন কোন সাক্ষীর আয়াত বিচার ফায়সালা নিয়ে। এখানে নেতা বানানোর ক্ষেত্রে ভোটাধিকার দেয়ার ক্ষেত্রে শরীয়াত কি বলে। ?

আর মিথ্যুক, জুয়াড়ী, দাগাবাজ, নেশাখোড়, যেনা খোড়, সূদ খোড়, গাঁজাখোর, চোর, ডাকাত, ফাসেক্ব পুরুষ ও নারীকে ভাল বানানোর জন্যে দাওয়াত বা মোরাল মোটিভেশন কে করবে? সব লোক কি একদিনে অটোমেটিক ভাবে ভাল পাবে কোন নেতা না নেতা নির্বাচিত হয়ে নাগরিকদের ভাল করার উদ্যেগ বা কার্যক্রম গ্রহন করবে?

বৃহৎ অর্থে চিন্তা করলেও শক্তিশালী মুসলিম জাতিসংঘও এক ধরনের

খিলাফাত যদি পারপাস সার্ভ হয়।

বিষয়: বিবিধ

১৬১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File