আমার বিশ্বাস তাত্বিকরা বিপ্লবের বারুদে আগুন লাগাতে পারে।
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৫:০০:২২ বিকাল
ধরুন " ইসলামী আন্দোলন " একটা কোম্পানী। এর অনেক ডিস্ট্রিবিউটর আছে।ডিলার আছে। মার্কেটিং এর লোক আছে।হোল সেলার আছে। বেস্ট সেলার আছে। ভক্ত সমাজ আছে। অনেক এমপ্লয়ী আছে । বেনিফিসিয়ারী এমপ্লয়ীদের পরিবার আছে। ডাইরেক্টর আছে। শেয়ার হোল্ডার আছে। এমডি ডিএমডি, ম্যানেজমেন্ট কমিটি , এক্সিকিউটিভ কমিটি আছে। ভাইরে..... আমি শুধু ড্রব্যাক নিয়ে কাজ করতে চাই। কোয়ালিটি টেস্ট গ্রুপে কাজ করতে চাই। কেউ আছে কিনা জানিনা... থাকলেও নিজেই নিজের কাধেঁ এই দায়িত্ব তুলে নিয়েছি ছাত্র রাজনীতি থেকে অবসরের পর থেকেই। তেল পানি পাম্পিং দেয়ার অনেক লোক আছে।জ্বী হুজুর জ্বী হুজুর করার লোকও আছে । প্রান দেয়ারও লোক আছে। বেনিফিসিয়ারী হওয়ার লোভও অনেকের আছে। আমি রিক্ত থাকতে চাই। আপনাদের অবজ্ঞার শিকার হলেও আপনাদেরকে নিঃস্বার্থ ভালবেসে আপনাদের সিস্টেমের লিমিটেশন ও ওভারকাম প্রসেস নিয়ে কাজ করতে চাই। বিশ্বাস করুন আমার নিয়তে কোন ত্রুটি নেই। ব্যস্ততার কারনে যখন যেটা মাথায় আসে দ্রুত লিখে ফেলি। মহান প্রভূ সাক্ষী ..আমার উপস্থাপনায় হয়ত গ্যাফ আছে কিন্তু ভালবাসায় কোন কৃত্রিমতা নেই খাদ নেই।
আমার লেখালেখির জীবনে কয়েকলাখ বাকা মন্তব্য শুনেছি। আমি অটল ও দৃঢ়। আমি কনফিডেন্ট এনাফ। আমি একবিন্দুও নড়বনা। সিস্টেম ড্রব্রাক নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমি যে কোন ক্ষতি হজম করতে ইচ্ছুক ও মানসিক ভাবে তৈরী। আমি মনে করি ব্যাক্তির দোষ খুবই নেগলেজিবল এবং আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন কিন্তু সিস্টেমের দুর্বলতা জাতিকে বিপথগামী করে পিছিয়ে দেয়। আমার ১২ বছরের শপথবদ্ধ জীবনে আমি অনেক সিস্টেমকে অসাঢ় দেখেছি। দেখেছি কাজ করছেনা। তাই এই সিস্টেমের দুর্বলতা নিয়ে কাজ করতে আল্লাহ আমাকে মানসিক ভাবে সহায়তা করেছেন। দেখুন এখানে আমার ব্যক্তিগত বিনিফিট নেই। ওয়েলিং করে লেখা সহজ। নিরাবেগভাবে সঠিক ভূলটি ধরা অনেক কঠিন । অনেকেই বলেন সমালোচনা সহজ। নিজের আবেগকে একপাশে রেখে নিজের আদর্শ বাস্তবায়নের প্রসেসের ভূল ধরা অনেক কঠিন।
রবীন্দ্রনাথ কইছিলেন "নিন্দুকেরী বাসী আমি সবার চেয়ে ভাল -যুগ জনমের বন্ধু আমার আধাঁর ঘরের আলো"। আর আমরা জানি "আল মুসলিমু মিরইয়াতুল মুসলিমিন" । মুসলমানরা পরস্পরের আয়না স্বরুপ। ইসলামের স্বর্নযুগ ছিল। এই স্বর্ন যুগ এখন ইমিটিশন যুগে অবস্থান করছে। আমাদের আবার গোল্ড যুগ তৈরী করতে হবে। বর্তমান ইসলামী দর্শন,রাজনীতি, আন্দোলনের গতিধারা , বিচার বিভাগ , সংস্কৃতি , শিক্ষা অনেক কিছু নিয়ে কাজ করার আছে।শিশু ইসলামী আন্দোলন নিয়ে কেহ ভাল করে ভাবেনি। নারী ও অমুসলিম অঙ্গনে কাজ করার বিশাল ক্ষেত্র পড়ে আছে।
মনে রাখতে হবে কারো ঠিক করা সিস্টেমে বকবক করার মধ্যে দিয়ে পুরুষত্ব , মনুষত্ব , ব্যক্তিত্ব , সৃজনশীলতার ছোয়া নেই। উদ্ভাবনী শক্তি নেই। বিশ্লেষনী কোন ব্যাপর নেই। আপনারে বাহাসে বাহাসে ডায়াগোনোসিস করতে চাই। আশ্চয্যের বিষয় হচ্ছে আমার কথা শুনার কোন নির্ভর যোগ্য প্লাটফরম নেই, শুনার মানুষও নেই। আমাকে পরিপূর্ন ভাবে চ্যালেঞ্জ করার মানুষও নেই । আহত করার বিব্রত করার লোক আছে। এড়িয়ে যাওয়ার লোক আছে। সুযোগে মাইনকার চিপায় পাইলে গলা ধাক্কা দেয়ার লোকও আছে।
আমার কুটনামী বুহতান গীবত করে ব্যক্তিত্ব ফ্যাকাশে করে দিয়ে রাজনৈতিক কুটচালের শিকার করে দেয়ারও লোক আছে। হয়ত আমি জানিনা আমার গর্দানে কি ঝূলছে। আমার লক্ষ্য অবিচল অদ্ভূত স্থির। সামনে দৃষ্টি নিবদ্ধ। আযরাইল এসে গেলে যাকনা। মৃত্যই যখন নির্দিষ্ট বলে ঈমান এনেছি সেখানে ভয় কলিজা থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছি।
আমি তাড়াতাড়ি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার ভয় করি। তাই যখন যেটা ইসলামী সংগঠন নিয়ে মাথায় আসে লিখে ফেলি। আজকেই আমার পরামর্শ গৃহিত হবে আশা করিনা। তবে দৃঢ় বিশ্বাস উপসর্গ বাড়ার সাথে সাথে সিস্টেম নিয়ে সবাই চিন্তা করতে বাধ্য হবে। তবে দুই চারজন সুহৃদকে বুঝাতে পারলে মনের ব্যাথা হালকা হয়। দুই চারজন সমস্যা গুলো বুঝার লোক পেলে আনন্দিত হই। আশা দেখি উনি দায়িত্বশীল হলে বা প্রভাবশালী জায়গায় গেলে পরিবর্তন আসবে। বিশ্বাস করুন আদর্শের সফটওয়ার ইনস্টল হয়ে যাওয়ার পর অনেক কিছুই দেখা যায়না।দলান্ধতা ভাল নয়। কমিউনিজমের তাত্ত্বিকরা ড্রব্যাক বলার লোকদের দমিয়েছেন কোটি লোক কে হত্যা করে। ইসলাম এটা পারবেনা। ইসলামী সংগঠনের অনেক তাত্ত্বিকও ড্রব্যক দেখেনা। আমি হয়ত বড় বেশি দুর্ভাগা ... আপনাদের আবেগকে আহত করি। বিশ্বাস করুন শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে। ড্রব্যাক নিয়ে কাজ না করলে সিস্টেমের আপগ্রেডেশনের জন্যে কাজ না করলে , লিমিটেশন নিয়ে কাজ না করলে , একটা কাজকে বিকল্প কত উপায়ে কত ভাল উপায়ে কত কম সময়ে কত কম লোক দিয়ে করতে পারি তা না জানলে বিপ্লব তার কাংখিত গতিপথ খুজে পাবেনা। ব্যস্ত লোকেরা রাজনীতি হয়ত ভাল করে করতে পারে কিন্তু জাতিকে গাইড করতে পারেনা। ইসলামী আন্দোলনের তাত্ত্বিক সুহৃদদের সার্চিং করে কাজে লাগানো হোক । জাতি মুক্তির অন্বেষায় চাতক পাখি। আমার বিশ্বাস তাত্বিকরা বিপ্লবের বারুদে আগুন লাগাতে পারবে। যে আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে পৃথিবীর সকল তাগুতী শক্তি।
বিষয়: বিবিধ
১৮৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন