শাহবাগ আন্দোলনের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:৩১:১৬ রাত
হে শাহবাগবাসী ,সাহস থাকলে সব দলের রাজাকারদের বিচার চাও । যুদ্ধ চলাকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সব ডিসি টিএনওদের বিচার চাও যাদের সহায়তা নিয়ে রাজাকার আলবদর আশশামছ গঠিত হয়েছিল। তাহলে নিরপেক্ষ বলব।
জয়বাংলার পাশাপাশি বাংলাদেশ জিন্দাবাদও বলতো দেখি পার কিনা? জাতির বেয়াই রাজাকার এই মূহুর্তে বাংলা ছাড় বলতো দেখি পার কিনা!
শাহবাগের movement এর নেতৃত্ব কাদের হাতে?
শাহবাগের movement এর নেতৃত্বে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী ৮ম সেমিস্টারের লাকী , নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দিন, রংপুর মেডিকেলের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি স্বাচিপ নেতা ইমরান।
খাবার সরবরাহে কারা ?
Awamileague leader ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এর উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে খাবার সরবরাহের জন্য যাকে হাসিনা মেম আব্বা বোলান।সিকদার মেডিকেলের ম্যানেজমেন্ট সহায়তা করছে খাবার সরবরাহে। ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা নাজমুলের ছবি ইতিমধ্যে পত্রিকায় এসেছে খাবার সরবরাহের সময়।
এত গ্রুপ কোথা হতে এল ?
১.কমিউনিস্ট ছাত্র সংগঠনগুলোরে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শিপ্টিং মিছিল ও গ্রুপিং করার জন্য ।
২. বাম ও চরম সেকুলার সমর্থিত সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো প্রত্যেকে গ্রুপ দিয়েছে শাহবাগে।
৩.আওয়ামীলীগ নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান গুলোর এমপ্লয়ীদের অফিস অর্ডার করা হয়েছে শাহবাগে যাওয়ার জন্য। ৪.ছাত্রলীগের ঢাবি , জবি , ইডেন কলেজকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে গ্রুপিং ও মিছিলের জন্য।
৫.ভারতপন্থী অসংখ্য কালচারাল সংগঠন তো আছেই নাচগানে মাতিয়ে রাখার জন্য।
৬.সচলায়তন , আমার ব্লগ, মুক্তমনা ব্লগ , নাগরিক ব্লগ , ক্যাডেট কলেজ ব্লগ গুলো দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে কিছু ব্লগার ম্যানেজ করেছে।
৭. ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোকে বাধ্য করা হচ্ছে শাহবাগ আসার জন্য।
৮. একুশের বই মেলা থেকে সাধারন মানুষ বের হয় টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড় দিয়ে । যাদেরকে উৎসাহী দর্শক থাকতে দেখা গেছে।
গেরুয়া বসন পড়লে কোন হিন্দু যেমন বৌদ্ধ হবেনা ঠিক তেমনি নিরপেক্ষতার মোড়ক দিলে আন্দোলন নিরপেক্ষ হয়না ।
বাম নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া একযোগে ঝাপিয়ে পড়েছে প্রচারের জন্য । টিভিতে চেহারা অনেকেই দেখাতে চায়।
এসে দেখ কি হচ্ছে রাতে। ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১০০ জেনার ক্লাব আছে ঢাকায়। রাতের জন্য কাদের ভাড়া করা হয়েছে!!!
আজ থেকে ২০ বছর পরে আমাদের নিজেদের অন্দরমহলে যখন দেখব অপছন্দনীয় কোন পুরুষ বা যুবকের হাত এভেইলেবল তখন বুঝবে সবাই কি ঘটে গেছে। সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠার দাবারগুটি আজ শাহবাগ। ১-০-১ খেলা দরকার। পুলিশ থাকবেনা শাহবাগের আন্দোলন এক ঘন্টায় হাওয়া হয়ে যাবে।
আজ হিজবুত তাহরীর কাল জামায়াতে ইসলাম , পরশু কওমী মাদরাসা বিভিন্ন মোড়কে ধর্মরে লাথ্থি মাইরা জমঘরে পাঠাইয়া যখন নারী নীতির নামে কুরআন পরিবর্তন হবে , সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা তুলে দেয়া হয় তখন আমাদের অন্তর আত্বা কষ্ট পায় । হয়ত অনুভব করি হয়ত কেহ কখনো করি না।
আলীগ বাম জামাত বিএনপি করেনা এমন কোন তরুন নেতৃত্ব দিক শাহবাগে একমাসের জন্য হান্ডি পাতিল নিয়ে হাজির হয়ে যাব। কোন নাস্তিক বাম রাম লম্পট গুন্ডাদের নেতৃত্বে আন্দোলনে যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। যারা হলমার্ক ,কালো বিড়াল , পদ্মা সেতু কেলেংকারী , শেয়ার বাজার কেলেংকারীর জনক আর যাদের মনে ফেলানীদের জন্য কোন মায়া নেই তাদের নেতৃত্বে কিসের শাহবাগ আন্দোলন? তোফায়েল বক্তব্য রাখতে পারেনা বরং ইনু মেনন লেলিন কথা বলার সুযোগ পায় । বাংলার জনগন বুঝে নিয়েছে "ডাল মে কুচ কালা হ্যায় "
এই দেশে সেকুলারদের পরাজয় অবশ্যাম্ভাবী । হয়ত একটু সময় লাগবে এই যা!
সাথীরা ভয় পেয়োনা। ওদের আর এখন তরুন তোফায়েল নেই। আর আমাদের আছে আল্লাহর রাহমাতে অসংখ্য ইসলামী তোফায়েল ।
বিষয়: বিবিধ
৮২৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন