আপনার ইউনিয়ন থানার আওয়ামী কারাগারে বন্দী ভাইদের খোজ নিন ও তাদেরকে আপনার ঈদের আনন্দের ভাগ দিন প্লিজ...

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ৩১ জুলাই, ২০১৩, ১১:৪৭:৪৫ সকাল

প্রিয়

সুহৃদ

আসসালামু আলাইকুম।

আজ একটি মানবিক বিষয়ে বলছি।

আপনারা জানেন আওয়ামী কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে হাজার হাজার ভাই আহত পঙ্গু হয়ে বন্দী। নির্দিষ্ট সময় পর পর দেখা করার সুযোগ মেলে। একটি ছোট রুমে ৬০/৭০ জন থাকতে হয়। রুম সংশ্লিষ্ট বাথরুম পরিষ্কার করা হয়না বললেই চলে। অনেক বাথরুমের দরজা ভাঙ্গা। গোসল বলতে দুর থেকে কিছু পানি নিক্ষেপ করে শরীর আধা ভেজা করে দেয়া। চুল কাটা সেইভ মানে পুরনো কেচি আর ব্লেড এর ব্যবহার। খাওয়া মানে চোখে পানি চলে আসা। অনেক ভাই হাসি মুখে উপোস থাকেন খেতে পারেননা বলে। প্রথম প্রথম শিবির হলে কারো সাথে কথা বলতে দেয়া হয়না। জেলের ভিতরে আছে গোয়েন্দা নজরদারী। তোষক হচ্ছে ১০ বছরের ব্যবহার করা পুরনো । গায়ে লাগলে গা জলসে যাওয়ার মত অবস্থা। বিচি বা চর্ম রোগ হওয়ার ১০০% সম্ভাবনা। থাকার জায়গা পাওয়া যায় ১২ ইঞ্চি থেকে ১৮ ইঞ্চি। গরম হলে ঘামে একাকার। সিগারেট আর ঘামের গন্ধ তো আছেই।

তা ছাড়া ফাইল গননা, ভাতের জন্যে লাইন ধরা সহ নানান অপমানজনক বিষয় তো আছেই। জেলে যাওয়ার প্রথম দিকে আদায় করা হয় প্রতিজন থেকে ২/৩ হাজার টাকা যা জেল প্রশাসন পায়। অনেক কথায় বলা হয়না। আপনারা শুধু ঈমানী তোজেদীপ্ত হাসিটাই দেখেন...

প্রিয় ভাইয়েরা

যে ভাইয়েরা আজ কারাগারে , যে ভাইটি হেসে খেলে নিজ মা বাবা ভাই বোন গ্রামবাসী আত্বীয়স্বজনের সাথে ঈদ করার কথা ছিল তার সে নির্মল আনন্দটুকু কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী হায়েনারা। কারাগারের প্রত্যেকটি দিন যেন ৬ মাস। কবর আর কারাগারের সাথে মিল খুজে পাওয়া যায়। কবরে যেভাবে আমলে সালেহ (সৎ কর্ম) যায় ঠিক তেমনি জেল খানায়ও বাইরে থাকা মানবিক ভাইদের সহযোগিতা যায়।

আপনি

জেল খানার ভাইটিকে দেখতে যেতে পারেন,

জেল খানায় বন্দী ভাইটির ফ্যামিলির সাথে কিছুক্ষন সময় কাটাতে পারেন ।

জেলখানার ভাইটির ও তার ফ্যামিলির টাকা পয়সার প্রোবলেম আছে কিনা খোজ নিতে পারেন।

বন্দী ভাইদের মামলার বর্তমান অবস্থা বা মামলা চালানোর জন্যে ফান্ডে টাকা আছে কিনা খবর নিতে পারেন।


আসুন না ..আপনার চারপাশ থেকে ১০ টি মানুষ থেকে ১০০ টাকা করে তুলে হলেও জেলখানায় বন্দী ভাইদের মুক্ত করার লক্ষ্যে যে ফান্ডটি গঠিত হয়েছে তাতে দান করি। আপনার সামান্য দান একটি ভাইকে মুক্ত করতে পারে , একটি ফ্যামিলির মুখে হাসি ফুটাতে পারে, একটি এলাকার প্রিয় সংগঠককে মুক্ত করতে পারে। ভাইয়ের চোখে বোনের চোখে এনে দিতে পারে আনন্দাশ্রু।

আসুননা... আমার আপনার ঈদের খুশির সামান্য ভাগ বন্দী ভাইদের জন্যে বিলিয়ে দিই।

আল্লাহ হাফেজ।

আপনারই ভাই

যে কারাগারে বন্দী ছিল অনেক দিন।

বিষয়: বিবিধ

১১৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File