কসাই কাদেরের ফাঁসি চাই , কাদের মোল্লার মুক্তি চাই ...

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:৩১:১৫ রাত

কসাই কাদেরের দোষ তো তুমি মোল্লা কাদেরের উপর দিতে পারনা। যে মোল্লা কাদের ৭২-৭৩-৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর পাশে উদয়ন স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তখন তো কোন লীগ ও বামপন্থী বলেনি যে কাদের মোল্লা যুদ্ধ অপরাধী ! তার নামে ১৯৭৩ সালের কলাবোরেটস (দালাল আইন) আইনে বা আইসিটি (যুদ্ধপরাধ) আইনে কোন মামলা কেন শেখ মুজিবের সরকার করেনি? তখন কি স্বাধীনতার দুই বছর পরে কাদের মোল্লা যুদ্ধাপরাধী সেটা আওয়ামীলীগ ও বামপন্থীরা ভূলে গিয়েছিল ? আজ স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে মনে পড়ল কাদের মোল্লা যুদ্ধাপরাধী! হায়রে আওয়ামীলীগ!!!! কাদের মোল্লার ব্যাপারে অভিযোগ সে কবি মেহেরুন্নেসাকে হত্যা করেছে। কবির স্বজনরা এসে ট্রাইবুনালের কাঠগড়ায় তো বলল কবিকে বিহারীরা হত্যা করেছে। কাদের মোল্লার নাম তারা কখনো শুনেনি। তবে কেন কাদের মোল্লাকে অভিযুক্ত করা ? সাক্ষীদের কে তো কাদের মোল্লার আইনজীবী জিজ্ঞাসা করেছিল আপনি কি কাদের মোল্লাকে খুন করতে দেখেছেন? তারা উত্তর করল কাদের মোল্লা যে খুনী তারা তা "ক" থেকে শুনেছে । ক উত্তর করল খ থেকে শুনেছে ।

গ উত্তর করল ঘ থেকে শুনেছে

ঘ উত্তর করল ঙ থেকে শুনেছে

ঙ উত্তর করল চ থেকে শুনেছে

চ উত্তর করল ছ থেকে শুনেছে

ছ উত্তর করল জ থেকে শুনেছে

লাস্ট কোন খুনের প্রত্যক্ষর্দশীকে পাওয়া যাচ্ছেনা। যাই নি। খুন করলে তো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যেত। ৩৭৪ খুনের কোন প্রত্যক্ষদর্শী না পাওয়া কি স্বাভাবিক? প্রত্যক্ষদর্শী নাই তাইলে কিসের ভিত্তিতে আপনি কাদের মোল্লাকে খুনী বলছেন ? শুনার ভিত্তিতে ? এখন আমি যদি আপনার বিরুদ্ধে মামলা করি খুন করেছেন এটা শুনে আপনার কেমন লাগবে? আওয়ামী মিডিয়া দিয়ে আপনি কারো বদনাম করে কলংকিত করতে পারেন তাই বলে সে অপরাধী না । অপরাধী বানানোর জন্য প্রমান লাগে, সঠিক রায়ের জন্য প্রমান লাগে।আওয়ামী সাজানো রায়ের জন্য প্রমান লাগেনা।

আওয়ামী সরকার এর তৈরী কালো আইন দিয়ে, আওয়ামী বিচারক নিয়োগ দিয়ে, আওয়ামী তদন্ত কমিটি ও প্রসিকিউশন দিয়ে ,আওয়ামী মিডিয়ায় এক পক্ষের কথা বা সংবাদ ছেপে, গোলাপবাগে সেইপহোমে সাক্ষীকে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ট্রেইনিং দিয়ে ,অভিযুক্তদের পক্ষের সাক্ষী সরকারী বাহিনী দিয়ে গুম করে আর কি করতে চান! ?????? কেউ কি বলতে পারবে কাদের মোল্লাকে যুদ্ধকালীন সময়ে ঢাকায় দেখেছিল??? যেই ব্যাক্তি যুদ্ধকালীন সময়ে ঢাকায় ছিলনা সে মিরপুরের হত্যা কান্ডে অংশ নিয়েছিল কেমনে?

এদেশের সাথে যুদ্ধ হয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর । সেই বাহিনীর নেতা ইয়াহিয়া খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো , রাও ফরমান আলী , টিক্কা খানদের সহ যে ১৯৫ জন যুদ্ধ অপরাধীকে শেখ মুজিব বাংলাদেশ পাকিস্তান ভারতের পররাষ্টমন্ত্রী ড. কামাল - আজিজ - শরন সিংহ এর চুক্তি মোতাবেক ত্রিদেশীয় মধ্যস্থতায় ছেড়ে দিয়েছিল তাদের ফাসি চাই।

১৯৭৩ সালে দালাল আইনে তো কোন জামাত নেতার নামে মামলা হয়নি।

১৯৭৩ সালে দালাল আইনে ৩৭ হাজার গ্রেফতার হওয়ার পর যে সাড়ে সাতশ জনের অভিযোগ প্রমানিত হয়েছিল তাদের সাজা চাই।

ভাই ১৯৭১ এ এতবড় যুদ্ধ হল অথচ শুধু জামাতের নেতারা (( ১.নিজামী , ২.মুজাহিদ , ৩.সাঈদী ,৪.কাদের মোল্লা , ৫.কামরুজ্জামান ,৬. আজহার , ৭.মীর কাশেম আলী ৮. সোবহান ৯. গোলাম আজম)) এই ৯ জন যে দিকে ছিল শুধু কি সেই থানা তে অপরাধ হয়েছিল ? বাংলাদেশের বাকী ৫০০ থানাতে কি কিছুই হয়নি?

বুঝায় যায় যুদ্ধাপরাধী নয় আওয়ামীলীগ ও বামরা শুধু জামায়াতে ইসলামীর বিচার চায়।

বামপন্থী শেখ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমদের কথায় যা স্পষ্ট।

বর্তমান স্বরাষ্টমন্ত্রী সহ যুদ্ধকালীন সময়ে পূর্বপাকিস্তানের সকল ডিসির বিচার চাই যাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে রাজাকার বাহিনী হয়েছিল।

সাজেদা চৌধুরী সহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী ব্যানারে নির্বাচিত হয়ে যারা পাকিস্তান সরকারের আনুগত্য করেছিল তাদের বিচার চাই।

শেখ হাসিনার বেয়াই ও আত্বীয় রাজাকার নুরু মিয়া ও ইনজিনিয়ার মোশারফের বিচার চাই।

আলীগের সাবেক মন্ত্রী রাজাকার নুরুল ইসলামের বিচার চাই।

বিষয়: বিবিধ

১১২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File