বিবাহিত নারীর উচ্চশিক্ষা ও নারী কর্মসংস্থান নিয়ে কিছু ইসলামপন্থীদের আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতেই হল।

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০২ জুলাই, ২০১৩, ০৭:১৪:২৫ সন্ধ্যা

http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/4411/proshantoatta/20696#.UdLJrNhzaXU

উপরের লিংকের পোস্টের উত্তর দিচ্ছি।

তর্ক করার জন্যে অনেক সময়ের দরকার হয়। আফসুস আমার অনেক ব্যস্ত লাইফ। তবুও উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।

প্রথমে ২ টি কথা।

১. আপনার যদি মাইন্ড সেট হয়ে থাকে যে "ইউ আর ওকে " তাহলে তর্ক করে কোন সিদ্ধান্তে যেতে পারবনা।

২.আপনার লেখনীতে আমাদের যুক্তিগুলোর ও পয়েন্টগুলোর উত্তর আসেনি। প্রশ্নকারীর উত্তর না দিয়ে বা যুক্তি খন্ডন না করে আমার মত লোকমানদের কাছে গ্রহনীয় হতে পারবেন কিন্তু আমাদের সামনে অসংখ্য সাধারন নারী, ইসলাম বিরোধী ও নারী বাদীরা আছে। আমাদের লক্ষ্য হবে সাধারন নারীদেরকে ইসলাম বিরোধী ও নারী বাদীদের খপ্পর হতে রক্ষা করা। মাথা গরম করে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা হবেনা। আমাদের কট্টরতা বিরোধীদের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে।

--------------------------------------------------------

97139

০২ জুলাই ২০১৩ বিকাল ০৫:৪৯

//আমিও চাকরি করি তুমিও চাকরি কর,আমার ভাত আমি রান্না করে খেয়েছি এবার তোমার ভাত তুমি রান্না করে খাও!

বওয়ের কথায় যুক্তি আছে!!!!

ফলাফল : শেষমেশ সংসারটাই আর টিকল না!//


এখানে স্বামী স্ত্রীকে হেল্প করতে পারে। রাসুল সাঃ এর জীবনে স্ত্রীকে গৃহস্থালী কাজে সহযোগিতা করার উদাহরন আছে।

আর এখানে চাকরীর দোষনা দোষ হল মানসিকতার। মানসিকতা বদলানোর জন্যে মোটিভেশন চালানো যেতে পারে। চাকরী না করেও রান্না করবেনা এমন বায়না ধরতে পারে স্ত্রী। বলতে পারে আমাকে কি দাসী বান্দি পেয়েছ যে বুয়ার কাজ করাবা! আর রান্না করা কি ইসলাম নারীদের অবলিগেটরী করেছে? এটা সমঝোতার বিষয়। একে অপরকে বুঝার বিষয়। বেকার গৃহিনীদের সংসার ভাঙ্গারও উদাহরন আছে।বেকার থেকে পরকীয়ায় ওতোপ্রোত জড়ানোর সুযোগ আছে। চাকরীজীবী মহিলাদের মানসিকতা পরিবর্তনের জন্যে সমাজ মোটিভেশন চালাতে পারে বা সামাজিক চাপ সৃষ্টির প্রক্রিয়া তৈরী করতে পারে। শুনেন যতদিন মেয়েদেরকে শশুরবাড়িতে আসার সিস্টেম সমাজ রেখেছে ততদিন ছেলেরা কিছুটা প্রায়োরিটি তো পাবে ,...ভয় পান কেন?

---------------------------------------------------

//কিন্তু স্বামী সচ্ছল হলে চাকরী করার দরকারটা কি!একজন স্বাবলম্বী মায়ের জন্য কোনটা ভাল।চাকরি করা নাকি সন্তান প্রতিপালন করে একটি আদর্শ সন্তান জাতিকে উপহার দেওয়া।আমি ছোট বেলা থেকেই খুব দুষ্ট ছিলাম।অন্তত আমার ব্যাপারে আমি জানি আমার মা যদি আমাকে চোখে চোখে না রেখে চাকরি করতেন তবে আমি সমাজের বখাটেদের একজন হতাম। //

স্বচ্ছল অস্বচ্ছল সবাইকে কাজ করতে হবে ।দেশের জন্যে সবার মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। কারো মেধাকে আনপ্রোডাক্টিভ রাখার সুযোগ নেই। সবাইকে কাজ করে বিশ্বসভ্যতায় নিজেদের ও দেশের অবস্থান তৈরী করার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে হবে। দেশের একজন মানুষও বেকার থাকা ক্যাম্য নয়। সেটা নারী পুরুষ সবার জন্যে। কর্মসংস্থান যদি কম থাকে সেটা স্বচ্ছল পরিবারের চাকরীজীবীদের চাকরীর জন্যে নয়। সেটা সরকারের দোষ বা ঘাটতি । তারা নতুন কর্মসংস্থান তৈরী করতে পারেনি। দেশকে শিল্পায়নে অগ্রসর ককরাতে পারেনি। সরকারের দোষকে ইসলামের সীমাবব্ধতা হিসেবে নিয়ে আসা সুন্দর হবেনা। একটা হল সমাজ বা দেশের ক্ষনিকের ম্যানেজমেন্ট আরেকটা শ্বাশ্বত ইসলাম। ইসলামের হুকুম বা নির্দেশনা অবস্থার আলোকে পরিবর্তিত হয়। ইসলামী ও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত নারী অবস্থার আলোকে সিদ্ধান্ত নিবে পিএইচডি করবে না সন্তান একটু বড় হয়ে গেলে পিএইচডির কাজ শুরু করবে।

কোথাও বললেননা "সন্তান বড় হয়ে গেলে নারীরা বাসার মধ্যে বসে বসে কোন আলুটা কাটবে?????"

----------------------------------------------------

//এসব কথা বললে এক শ্রেণীর লোক বলবে তাহলে কি নারীদের ক্যারিয়ার বলতে কিছু নেই?আরে ব্যাটা!চাকরী মানে তো পরের গোলামী করা।পরের গোলামী করাটাকে কি ক্যারিয়ার বলে?//

চাকরী করাকে দেশ সেবা হিসেবে নিতে হবে। যেখানেই চাকরী করুন না কেন বা ব্যবসা বানিজ্য করুননা কেন দেশের জিডিপিতে আপনার অবদান যোগ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। এক্ষেত্রে আপনাকে বলা যেতে পারে কোন চাকরী স্থলে যদি মানুষের প্রভূত্ব থাকে তবে সেটাকে কমানোর এবং ইলিমিনেট করার আন্দোলন করতে হবে। কর্মস্থলের পরিবেশ সুষম করার আন্দোলন করতে হবে।

পুরুষ চাকরী কররে গোলামী হয় না আর ঐ পুরুষের বউ চাকরী করলে গোলামী হয়ে যায়। ???? আহা বেশ ভাল যুক্তি!!!

ইল্লিগেল যৌনতা তৈরী না হওয়ার পরিবেশ থাকলে আর পর্দা লংঘন না হলে ইসলাম নারী কর্মসংস্থানকে নিরুৎসাহিত করেনা।

স্বামী মারাগেলে , সংসার ভেঙ্গে গেলে , ছেলে সন্তান কোন কারনে মা'কে না দেখলে , হঠাৎ করে স্বামীর চাকরী চলে গেলে তখন বউ কি করবে বললেন না তো? ইনসিকিউরড জীবন নিয়ে ইসলাম কি বলে? হযরত খাদিজার ব্যবসা বানিজ্য নিয়েও তো কিছু বললেন না?


স্ত্রীর যখন দান খয়রাত করতে ইচ্ছা করবে তখন বলতে হবে স্বামী বেচারা টাকা দেন! ইসলামী কিছু ভাইয়েরা সুখে আছেন। কিন্তু সারা বাংলাদেশে স্বামী স্ত্রীকে খাওয়াচ্ছে এই অজুহাতে তরকারীতে কেন লবন হয়নাই এই কারনে স্ত্রীরা শারীরিক নির্যাতরে শিকার হয়েছেন হচ্ছেন। একজনের সুখের পরিবার দিয়ে সারা দেশ বিবেচিত হবেনা। নারীকে স্বাবলম্বী করা না গেলে পুরুষদের সুবিধা। ভরনপোষন দেয়ার অজুহাতে ইচ্ছামত চরকির মত করে ঘুরানো যায় , উঠবস করানো যায়। এটা পুরুষমানসিকতার সুবিধাবাদী রুপ। আমার মধ্যেও এই রুপ আছে।আমারও ভাল লাগবে স্ত্রী আমার পুতুল হলে। কিন্তু ব্যাক্তিত্ব সম্পন নারী স্বত্তা তৈরী করতে হলে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি দরকার।নারী নির্যাতন কমাতে হলে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি দরকার। সমাজের জিডিপিতে , সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহন করা দরকার।

------------------------------------------------

97147

০২ জুলাই ২০১৩ সন্ধ্যা ০৬:০৯

//আপনি হয়ত বলবেন চাকরিজীবী মায়েরা কি ‘আদর্শ গৃহিণী’ হতে পারেনা? উত্তর একটাই, না পারেনা!দিনের মধ্যে ৮-১০ ঘণ্টা চাকরিতে সময় দিয়ে আপনি বড়জোর পার্টটাইম গৃহিণী হতে পারেন কিন্তু ‘আদর্শ গৃহিণী’ নয়! আমাদের মায়েরা দিনরাত ছায়ার মত থেকেও সন্তান মানুষ করতে হিমশিম খাচ্ছে আর আপনারা পরিবারকে মাত্র ৪-৫ ঘণ্টা সময় দিয়ে আদর্শ গৃহিণী হবেন!! //

আমার পোস্টের প্রথমে আপনার জন্যে উত্তর ছিল। জ্যামিতি ,বীজগনিতের সুত্র ,ত্রিকোনমিতির সুত্র, অক্ষাংশ ,দ্রাঘিমাংশ সবাই শিখে কিন্তু কয়জন তা বাস্তবক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারে? এই শিখানোটা একটা প্রক্রিয়া । এখান থেকে কেহ কেহ কোন একসময় বিজ্ঞানী হয়ে গড়ে উঠে। সেই বিজ্ঞানীর হাত ধরে সমাজ সভ্যতা এগিয়ে যায়।

কোন কোন নারী চাকরী না করলে সমাজের কিছু যায় আসেনা। সব নারীকে দিয়ে সংসারের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গীর সব কাজ করিয়ে নিতে হবে এমন কথাও নেই। কোন কোন যোগ্যতা সম্পন্ন নারী তার রান্নার কাজটা, স্বামী ছেলে সন্তানের কাপড় চোপড় ধোয়ার কাজটা অন্যেকে দিয়ে করিয়ে বিশাল পথহারা নারী জাতির জন্যে কাজ করতে পারে। দেশের জন্যে সেবা দিতে পারে। নিযার্তিত মানুষকে আইনী সেবা দিতে পারে , অসুস্থ মানুষের ট্রিটমেন্ট দিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারে। রান্নার কাজ, স্বামী ছেলে সন্তানের কাপড় চোপড় ধোয়ার কাজ আর শাশুড়ীর চুলবাধার কাজ , শশুড়কে ঘোমটা দিয়ে গরম চায়ের ধুমায়িত কাপ দেয়ার কাজটা সবনারীকে করতেই হবে এমন কোন ব্যাপার ইসলামে নেই। কিছু কাজ অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে হাইকোয়ালিফাইড নারীদের বৃহত্তর ময়দানের জন্যে সময় বাচানো গেলে দেশ এবং জাতি এগিয়ে যাবে। প্রচলিত ধারনার বাইরে গিয়ে কিছু দক্ষ নারী নেতৃত্বের উত্থান ঘটেনি বিধায় আজ ইসলামের রাজনৈতিক বিজয়ের প্রতি নারীরা অনীহায় বা বিমূখ।

৮/১০ ঘন্টা কাজ করেও বডিটা দিয়ে অনেক কিছু করানো যায় যদি বডি ফিটনেস বাড়ানো যায়। নারী কর্মসংস্থান বিরোধী অবস্থান না নিয়ে এভাবে আমরা বলতে পারি>>

১. নারীর সংসারিক কাজকে সহজ করতে হবে এবং পুরুষ সহযোগিতার মনোভাব বাড়াতে হবে।

২. অবস্থার আলোকে শিক্ষিত নারী কর্মজীবী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিবে।

৩.সব নারীকে দিয়ে সংসারের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গীর কাজ করিয়ে নিতে হবে এমন কোন কথা নেই। যেমন মহিলা ডাক্তার, মহিলা আইনজীবী, মহিলা পিএচডি গবেষক।

৪. কিছু মহিলাকে স্বামী সংসার ইত্যাদি সুন্দর পরিভাষার আত্বকেন্দ্রীকতা থেকে বের হয়ে এসে জাতির নেতৃত্বের হাল ধরতে হবে।

----------------------------------------------

97149

০২ জুলাই ২০১৩ সন্ধ্যা ০৬:১৩

//পাশ্চাত্যের গুরু আমেরিকাতে প্রতি বছর প্রায় ৩৫০০০ মানুষ আত্মহত্যা করে।//

যখন মানুষের মহান প্রভূর উপর নির্ভরতা থাকেনা তখন দুনিয়ার প্রতি বিতৃঞ্চ হয়ে উঠে আত্বহত্যা করে। সুখী মানুষও খেই হারিয়ে ফেলে। ইসলাম বলে সুখী মানুষকে "ফাছাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াসতাগফির"। মুনাজাতে রবের কাছে চোখের পানি ফেললে অনেক কষ্ট লাগব হয়। বিপদে ও সুখে রবের উপর নির্ভরতা নিজেকে হালকা করে।

-----------------------------------------------

97153

০২ জুলাই ২০১৩ সন্ধ্যা ০৬:২১

//কিন্তু এই পারিবারিক ব্যাবস্থাই এখন হুমকির সম্মুখীন!একটা সময় যৌথ পরিবারের সংখ্যা ছিল চোখে পরার মত।আর এখন যৌথ পরিবার নেই বললেই চলে।মা-বাবা,ভাই-বোন চাচা-চাচী,চাচাত ভাই-বোনদের সমন্বয়ে গঠিত পড়িবারগুলি ছিল শান্তি ও সান্ত্বনার আশ্রয়স্থল।দিন যতই যাচ্ছে সবাই কেমন জানি স্বার্থপর টাইপের হয়ে যাচ্ছে!ছেলে-মেয়ে মানুষ করার দোহায় দিয়ে যৌথ পরিবারগুলি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে!আমরা এখন চাকরী নিয়ে ব্যাস্ত!আমাদের টাকা দরকার!অনেক টাকা!অন্যের গুলামি (চাকরী) করে আমরা এখন ক্যারিয়ার গড়তে ব্যাস্ত!আমাদের সাথে কেও দেখা করতে হলে এপয়েনমেণ্ট দিয়ে আসতে হয়!এমনও অনেক আপুকে দেখেছি বিয়ে সন্তান প্রতিপালন তাদের কাছে অসহনীয় ফালতু কাজ বলেই মনে হয়! //



আপনার এই কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। এর জন্যে চাকরী বা উচ্চ শিক্ষা সমস্যা নয়। সমাজবিদরা মোটিভেশন চালিয়ে স্বামী স্ত্রী একে অপরের প্রতি আরো শ্রদ্ধাশীল করাতে পারে বা পরিবারগুলো যাতে স্ট্রং থাকে তার চেষ্টা চালাতে হবে। স্বামী স্ত্রী পরস্পরকে ভালবাসা দিয়ে ও পরস্পরের দায়িত্বপালন করে সংসারের গাথুনি মজবুত করতে পারে।

যৌথ পরিবার বেশি ভাঙ্গছে মুরব্বীদের থেকে দুরে থেকে নিজের জীবন উপভোগ করার জন্যে। নবদম্পতিদের বুঝাতে হবে তোমাদের বুড়া বয়সে তোমাদের জীবনে এমন হতে পারে। তোমাদের সন্তানেরা এমন করতে পারে তোমাদের সাথে । আর কর্মজীবী নারী শাশুড়ীদের সাথে থেকে তাদের সন্তান বড় করতে পারে। সন্তানের অসুখ বিসুখ আর বিভিন্ন বিষয়ে মুরব্বীদের পরামর্শ নিতে পারে।বিয়ে যে পরিতৃপ্তির বিষয় এটা বুঝাতে হবে। সন্তানের ভালবাসা ও মায়াবী মুখ যে অন্তর প্রশান্তিদায়ক তা গোচরে আনতে হবে।

----------------------------------------------------

//চারদিকে তাকিয়ে দেখুন সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রাখছে কারা!আপনাদের সন্তানেরা নাকি ঐ ব্যাকডেটেড,অশিক্ষিত,মূর্খ আর গেঁয়ো মায়ের সন্তানেরা?ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে কারা!আপনাদের সন্তানেরা নাকি ঐ ব্যাকডেটেড,অশিক্ষিত,মূর্খ আর গেঁয়ো মায়ের সন্তানেরা? //



মাইকেল এইচহার্টের "দি হান্ড্রেটস " পড়েছেন? সমাজ সংস্কারকরাই সুশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত। তারা অনেক মহান। জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভাল। সমাজ সংস্কারকরা কালে ভাদ্রে জন্মায়। এরা আল্লাহর স্পেশাল সৃষ্টি। এরা ব্যাতিক্রম। ব্যতিক্রম উদাহরন হতে পারেনা।

------------------------------------------------------

//ব্যাকডেটেড,মূর্খ ,অশিক্ষিত আর গেঁয়ো মায়েদের গল্প //



এই শব্দগুলো আক্ষরিকভাবে নিলে অবশ্যই সমস্যা আছে। এমন মা'দের সন্তানদের কোন না কোন সমস্যা থাকবে।

কিন্তু ব্যাকডেটেড মানে যদি অভিজ্ঞতায় ভরপুর প্রবীন হয়?

মূর্খ মানে যদি রাসুল সঃ এর মত সুশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত হয়?

গেয়ো মানে যদি গ্রামের নৈতিকতায় উজ্জীবিত মা হয় তবে সে মা ও তার সন্তানেরা অবশ্যই ভাল হবে।

===========================

http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/4411/proshantoatta/20705#.UdLLw9hzaXU

এই লিংকের পোস্টের উত্তর দিচ্ছি।

--------------------------------------------

০২ জুলাই ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

60619

স্বপ্নতরী লিখেছেন : হাদিসগুলোর যে অর্থ আপনি বুঝেছেন সেটা বুঝার জন্য ঠিক আছে। কিন্তু বাস্তবত হচ্ছে সেই সময় মুসলমানরা চরম আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন এবং তাদের মধ্যে অনেকে এমন ছিলেন যাদের ঘর ছিলো না, কাজ কর্ম ছিল না। সেই সময় উপরোক্ত হাদিস গুলো তাদের জন্য সান্তনার ছিল। কিন্তু পরবর্তি ইতিহাস আমরা সবাই কম বেশি জানি। যাকাত নেওয়ার মতো লোকের অভাব পড়ে গেল। দামি দামি পন্যের ব্যবসায় বড় বড় সাহাবীর া পর্যন্ত খ্যাতি পেয়ে গেলেন। দুর দুরান্তে বান্যিজিক কাফেলা যাওয়া আসা শুরু করলো। উপরোন্ত এই উপমহাদেশে ইসলামের আগমনও কিন্ত ব্যসিকলি মুসলিম বনিক আর মুহাজির দের কারনে। তারা কি সবাই বেটার লাইফের জন্য চেষ্টা করেন নি। আপনি কি বলতে চান যে, তারা হুজুরের শিক্ষা ভুলে গিয়ে সাহাবারা খেলাফত কালিন সময়ে ধন সম্পদের মালিক হয়ে গেল। বরং বেটার লাইফের বৈধ হাতছানিকে এড়িয়ে যাওয়াও খারাপ। আল্লাহ নিজেও মুমিনদের কে উৎসাহ দিয়েছেন যে, দুনিয়ার প্রাপ্য অংশটুকো ভুলে না যেতে।

অভাব অনটন নবীর (স) ঘরে প্রায়ই লেগে থাকতো। এটা এমন এক সময় ছিল যখন ইসলাম মাত্র অংকুরিত হচ্ছে রাষ্ট্রব্যাবস্থায়। ধীরে ধীরে মুসলমানদের অবস্থার স¤পূর্ণ পবিবর্তন এসে যায় এবং এই কারনে অনেক ফতোয়ায় পরিবতর্নও আনা হয়।

উদাহারন হিসেবে ধরুন যে, সাহাবায়ে কেরামের এক অংশ মনে করতেন যে, গোশল ফরজ হওয়ার জন্য বির্যপাত জুররী ছিল। যোনীতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নয়।

অন্য সাহাবারা প্রতিবাদ করে বলেন যে, এটা এমন এক সময়ের হুকুম ছিল যখন আমাদের অনেকে পড়নে কাপর থাকতো না। কারো কারে বিবিরা রাতের বেলা কাপর পেতেন না। কিন্ত আল্লাহর ইচ্চায় আমাদের অবস্থার এক স¤পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে গেছে., অতএব সেই ফতোয়া এখন কার্যকর হতে পারে না। এ থেকে বুঝা গেল যে দুনিয়ায় অসচ্ছল থাকা বা তার মর্যদা সম্পর্কে যত হাদিস আসছে সেগুলো ঠিক সেই সময়ের জন্য প্রযোজ্য হবে যখন মুসলমানরা স্বাভাবিক ভাবেই অভাবগ্রস্ত হবে। বা তাদের কাছে ধন সম্পদ অর্জন করার কোন সুযোগ না থাকবে। অন্যথায় ধন সম্পদ উপার্জনের কোন বৈধ সুযোগ কে হাতছাড়া করার চেষ্টা করা উচিত নয়। সাহাবারা এ জাতিয় কাজকে সমর্থন করতেন না। মুসলিমরা সকল দিক থেকে উন্নত হবে এটাই কামনা ছিল তাদের। আশা করছি কিছুটা ব্যাখ্যা দিতে পারছি। ভুল হলে আল্লাহ ক্ষমা করুন।

রিপোর্ট করুন | মুছে ফেলুন

---------------------------------------------

০২ জুলাই ২০১৩ দুপুর ১২:২১

60626

লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : দুটি প্রশ্নঃ

ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার যে কথা বলা হয় তাইলে কি সেখানে দারিদ্র্যতা আর দারিদ্র্যতা থাকবে?

হযরত উমর রাঃ এর সময়ে যে যাকাত গ্রহন করার মত কোন গরীব পাওয়া যায়নি তার কারন কি?

দেখুন>>>

ইসলাম দারিদ্র্যতা দুরীভূত করার জন্যে এসেছে। দারিদ্র্যতার সাথে ইসলামের শত্রুতা ও সংঘাত রয়েছে। আপনার হাদীস গুলো বেটার লাইফ পাওয়ার চেষ্টাকে নিরুৎসাহিত করেনা বরং আপনি হাদীসগুলোর মমার্থ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেই মনে হয়।


---------------------------------

//তাহলে খলীফা উমার কেন সাদাসিধা জীবন যাপন করতেন তার পরবর্তী খলিফারা কেন সাধাসিধা জীবন যাপন করতেন?//

এটা শাসকের জন্যে আদর্শ। সাধারন মানুষের জন্যে নয়।

"ফাই'জা কুজিয়াতিস সালাতি ফানতাসিরু ফিল আরদ্"

এই আয়াতের ইনডিকেশান কি?

"আল্লাহ সে জাতির ভাগ্য ততক্ষন পর্যন্ত পরিবর্তন করেনা যতক্ষননা তারা চেষ্টা করে"

এটার মানে কি জানেন তো?

আর আপনার কথা মত সবাই গরীব হওয়ার জন্যে প্রতিযোগিতা করলে সমাজ রাষ্ট্র পরিবার কিছুই থাকতনা।

ইসলামে বৃদ্ধাবস্থার জন্যে সঞ্চয়ের কথাও আছে।


------------------------------

অর্থনৈতিক বেটার লাইফ অর্জন করতে হবে। তবে সেটা মূখ্য বিষয় হবেনা মূখ্য বিষয় হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। তবে আপনি ফরজ পালনের পর জীবিকার তালাশ করবেনা উপোস ঘরে বসে থাকবেন ইসলাম এভাবে বলেনা।

ইসলামকে খন্ডিত উপস্থাপন জাতির বিপদ বাড়াবে।

নারীকে কর্মহীন রেখে পুরুষ মুখাপেক্ষী করে সিস্টেমে ফেলে অসহায় করে বাধ্য করে ভালবাসা আদায়ের চেয়ে স্বাবলম্বী মেয়ের মন উজার করা স্বেচ্ছায় ভালবাসা অনেক উপভোগ্য।

বিষয়: বিবিধ

২২২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File