দিগন্ত টিভি শাহাদাত বরন না করে গাজী হোক এই কামনা করি
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০১ জুলাই, ২০১৩, ০৫:৫২:২৯ বিকাল
দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি ,আমারদেশকে কোমায় রেখেছে আলীগ। কিন্তু মনে হয় দিগন্তটিভি শহীদ ই হইল। একটি ইসলামিক ঘরানার টিভি শাহাদাত হইল আর আমরা চেয়ে আছি নিষ্পলক নেত্রে। কিন্তু চিন্তার দৃষ্টিটা চলে গেল অন্য সীমানায়।
দিগন্ত টিভি বন্ধ হইল।
ধরেন আগামীবার আমোলীগ ক্ষমতায় আইসা প্রথম মাসে জামায়াতে ইসলামীরে নিষিদ্ধ করল।
তারপর সরকারের ২ বছর পুর্তি উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিল।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সরকারী প্রশাসক বসায়া দিল।
কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করে দিল।
এখন জামাত ঘরানার লোকদের উত্তর কি হতে পারে?
আমোলীগ মানুষনা
আমোলীগ কুত্তা , ইসলাম বিরোধী,অমুসলিম।হেনতেন!
এখন আমার প্রশ্ন হল:
১. জামায়াত বিএনপি মিইল্লা মিডিয়া কি আরো করতে পারতনা?
২.জামায়াত কি পারেনা ৬ টা বিভাগে জামাত প্রভাবভূক্ত অঞ্চল জামাতে ইসলামীর সাথে রেখে বাকী অঞ্চলে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটাতে। এতে বিরোধীদের এককেন্দ্রীক প্রপাগান্ডা থেকে ইসলামী শক্তি রক্ষা পেত। একসাথে অনেক পার্টির বিরোধিতা করলে মাঠ পেতনা।
৩. জামাত ঘরানার অনেকগুলো ইসলামী ব্যাংক করা কি যেতনা?
সমস্যা হল জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সিস্টার কনসার্নরা ইউনি সিস্টেমে বিশ্বাসী। যখন তাদের ইউনি সিস্টেমের দিকে সব বিরোধীরা একসাথে বন্দুক তাক করে তখন তাদের আর কিছু করার থাকেনা আমতা আমতা করা ছাড়া।
আমার মত হল
১.একই ইডিওলজির অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান করে অপজিশানকে বিভ্রান্ত করতে হবে।
২.তাই এক দিগন্ত নয় ১০ টি দিগন্তের মত চ্যানেল চাই। তখন দেখবেন একটি ২ টি বন্দ করলেও সবটাতে হাত দেয়ার সাহস পাবেনা বিরোধিরা।
৩.বিভাগ ভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটানো। এতে "একই নিশানায় অপপ্রচারের বন্দুকটি তাক করে রাখার " বিরোধী কৌশল বিকল হয়ে যাবে।
৪. অনেক গুলো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান করে অর্থনৈতিক জোট করা। মনে রাখতে হবে ইসলামী ব্যাংক নোবেল পাবেনা। বিশ্বের ১০০০ ব্যাংক এর মধ্যে স্থান করা সাময়িক চাকচিক্য দীর্ঘমেয়াদী বিজয় নয়।
৫. প্রচুর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা সহজ হবেনা।
৬.মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করা (সেকুলারিজম নয়) মানে অন্যায়ের বিপক্ষে অবস্থান।
৭. বিরোধিদের সাথে বেশি করে মিশা।
৮. সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিরোধিদের জ্ঞান কাজে লাগানো আমল নয়।
দিগন্ত টিভি শাহাদাত বরন না করে গাজী হোক এই কামনা করি।
খবর পেলাম>>>(Mohammad Ahsanul Haque Arif) ফেবু থেকে।
বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় দু’মাস পেরিয়ে গেলেও চ্যানেল দু’টির ব্যাপারে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত জানা যাচ্ছে না। এতে করে দিগন্ত টেলিভিশন পড়েছে সবচেয়ে বেশি সমস্যায়। বিশাল বিনিয়োগে গড়ে ওঠা এই চ্যানেলটির শেয়ার হোল্ডাররা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। তারা তাদের লগ্নীকৃত অর্থ ফেরত চেয়ে দেন দরবার শুরু করেছেন। নতুন করে কোনো বিনিয়োগেও আগ্রহী হচ্ছেন না। সবকিছু মিলিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ভরসা না পেয়ে চ্যানেলটি লে-অফ (সাময়িক বন্ধের)-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
জুন শেষে জুলাই মাস শুরু হলেও দিগন্ত কর্মীরা এখনও মে মাসের পুরো বেতন পাননি। জুনের মাঝামাঝি প্রত্যেককে ১২ হাজার করে টাকা দেয়া হলেও বেতনের বাকি টাকার অপেক্ষায় আছেন তারা। পাশাপাশি জুনের বেতনও এখন বকেয়া পড়ে গেছে।
সম্প্রচার সংক্রান্ত অনুমতির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় দিগন্ত টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ চ্যানেলটির সব কর্মকান্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার এক সভার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা কর্মীদের জানিয়ে দিতে যাচ্ছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, রমজান মাসকে সামনে রেখে কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তে চরম অনিশ্চয়তায় পড়বেন এর কর্মীরা। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করা গেলে রমজান এবং ঈদে পরিবার পরিজনসহ তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন