ভূজপুরের অসহায় নির্যাতিত মানুষরা কি আপনার আর্থিক সহায়তা পেতে পারেনা?
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০২ মে, ২০১৩, ১১:৪২:১৬ সকাল
ভূজপুরের অসহায় নির্যাতিত মানুষরা কি আপনার আর্থিক সহায়তা পেতে পারেনা? পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তিটি ফেরারী। অনেকের স্ত্রী পুত্র কন্যা না খেয়ে আছে। গ্রেফতারকৃত ও ফেরারী অনেকের বাসায় আছে অসুস্থ মানুষ। অনেক বাড়ির সব পুরুষের নামে মামলা হয়েছে। শত শত মানুষ কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে।
ইনবক্সে মেসেজ আশা করছি।
https://www.facebook.com/lokmanbinyousuf
===================================
গ্রামবাসীর সাথে আলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ফটিকছড়িতে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৪০ এর বেশী। প্লিজ সমাজবিজ্ঞানীরা ..একটু ভাবুন...
লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:০১:১২ দুপুর
===================================
গত বৃহস্পতিবার ছিল ১১.০৪.২০১৩ তারিখ। দিনটিতে ছাত্রশিবির তাদের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে রিমান্ডে নির্যাতনের প্রতিবাদে হরতাল ডাকে শুরু হয় হরতাল পালন। সকাল ৯ টায় দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার হন। হরতালে ভিন্নমাত্রা আসে। দুপর ১টায় ছিল ফটিকছড়িতে হরতাল বিরোধী মিছিল। জোর যার মুল্লুক তার নীতি দিয়ে স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আলীগ ফটিকছড়ির সংসদীয় আসনটি জয়ী হয়ে আসছিল। ২০০৮ সালে ছবি সহ ভোটার তালিকায় দক্ষিন ফটিকছড়ির ভোটার কত আর ২০০১ এ দক্ষিন ফটিকছড়ির ভোটার সংখ্যা কত তা নিয়ে কমপারিজন করলে সত্য বের হয়ে আসবে। আর এলাকাবাসী তো প্রত্যক্ষ সাক্ষী। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মানুষ স্বাধীনতার পরে প্রথম মুক্তভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়ে ২০০৮ এ নির্বাচিত করে।
সেদিনের সে হরতাল বিরোধী মোটরসাইকেল মিছিল থেকে আল্লামা শফিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ন শ্লোগান দেয়া হতে থাকে। যা সারা ফটিকছড়ির কওমী ব্লকে ছড়িয়ে যায়। উত্তরফটিকছড়ির দিকে মিছিলটি আসতে থাকলে উত্তরফটিকছড়ির একমাত্র কওমী অধ্যুষিত ভূজপুর-কাজিরহাটবাসী আতংকিত হয়ে পড়ে। শুরুতেই উভয়পক্ষের মৃদু ইটপাটকেল ছুড়াছুড়ি তারপর তারপর গ্রাম আক্রমনের গুজব , তারপর কে বা কারা মাইকে ঘোষনা দেয় মুহতামীম হুজুরকে সন্ত্রাসী তৈয়ব (যিনি উত্তর চট্টগ্রামের টপমোস্ট ওয়ান্টেড টেরর)নিয়ে যাচ্ছে তখনই বাজারের লোকজন, মসজিদের মুসল্লি , মাদরাসার ছাত্র , পুরো ২/৩ গ্রামের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত মোটর শোভাযাত্রাকে আক্রমন করে সব মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দিয়ে আড়াই কিলোমিটার জুড়ে প্যান্ট পরিহিত যাকেই পেয়েছে তাকেই মেরেছে গ্রামবাসী। আওয়ামীলীগের দানবীর, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্জ্ব রফিকুল আনোয়ারকে গত ২০০৮ এর নির্বাচনের আগে ২০০৮ এর নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম রফিক সাহেবকে অস্ত্র দিয়ে তৎকালীন কেয়ারটেকার সরকারকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে প্রশাসনের মাধ্যমে গ্রেফতার করায় বা ধরিয়ে দেয় বলে জোর গুজব আছে। স্বাভাবিক ভাবেই সোনা রফিকের প্রতি কৃতজ্ঞ উত্তরফটিকছড়ি আলীগ প্রতিরোধ না করে কেহ কেহ সাবেক সন্ত্রাসী পেয়ারু বাহিনীকে প্রতিহত করতে গ্রামবাসীর সাথে লেগে যায়। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্মম ও ব্যতিক্রম এতবড় একটি ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হল।
যে প্রশ্নগুলো আমাকে ভাবাচ্ছে তা হল:
১. কেন হরতাল বিরোধী জঙ্গী মিছিল বের করা হল?
২.কেন জনপ্রিয় নেতা রফিকের মৃত্যুর পরে পেয়ারু সাহেব সাবেক রফিক ভক্তদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করছিলেন?
৩. কওমীদের থেকে ঘোষনাই ছিল তারা মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতার মেনের নিবেনা। তবুও কেন মিছিল বের করা হল?
৪.বাংলাদেশের সকল জায়গায় পুলিশ প্রটেকশনে আলীগের মিছিল চললেও এখানে কেন পর্যাপ্ত পুলিশ প্রটেকশন নেয়া হয়নি? তাইলে কি পেয়ারু সাহেব নিজের দলের লাশ ফেলে সামনের নির্বাচনে জেতার গ্রাউন্ড তৈরী করতে চেয়েছিলেন?
৫.তৈয়বের মত সন্ত্রাসী নিয়ে কেন পেয়ারু সাহেব উত্তর ফটিকছড়িতে গেলেন যেখানে তৈয়ববাহিনীর হাতে অসংখ্য যুবক খুন হয়েছে ,মাবোন ধর্ষিতা হয়েছেন , অনেকেই কিডন্যাপ হয়ে এখনো ফিরেননি, কত চাদাঁবাজি হয়েছে তা নাই বললাম। যে তৈয়ব বাহিনী উত্তরফটিকছড়ির জনপ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা নেতা টিপু ও ফটিকছড়ি থানা আলীগ সভাপতি জহুরুল হকের খুনী। সে উত্তর ফটিকছড়িবাসী কোনভাবেই পেয়ারুকে মেনে নেবেনা যদি সন্ত্রাসী তৈয়ব সহযোদ্ধা থাকে। আলীগের ধারাবাহিক জনবিরোধী কার্যক্রমের কারনে গনমানুষের ক্ষোভের বিস্ফোরন হয়েছে।
ক্ষোভের বিস্ফোরনোত্তর চলছে ধরপাকর। ইতিমধ্যে যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডিসির উপস্থিতিতে ও পুলিশ সহযোগিতায় রাত ১১টা পর্যন্ত মারামারি দমনে কাজ করেছেন তাকে ডিসি মহোদয় যাওয়ার সময় গ্রেফতার করে নিয়ে গেলেন হাটহাজারী থানায় যেখানে তার হাত পা নির্মমভাবে ভেঙ্গে দেয়া হয়। যিনি কাজিরহাট কওমী মাদরাসার মুহতামীমকে দিয়ে মাইকে ঘোষনা দেয়ান যে তিনি ভাল আছেন ও সুস্থ আছেন তার কিছু হয়নি। যা উত্তেজনা প্রশমন করে। তাকে করা হল মামলার একনম্বর আসামী। ফটিকছড়ি থানার জনপ্রিয় উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান মাওলানা নুরমোহাম্মদ আলকাদেরী থানা সদরে ঐদিন থানা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে পুরোদিন প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাকে করা হল ২নং আসামী আর সর্বজন শ্রদ্বেয় বৃদ্ধ জামায়াত নেতা ,শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান হিসেবে আলীগের বর্তমান আমলে রাষ্ট্রীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত মাওলানা হাবীব আহমদকে করা হয়েছে ৩নং আসামী যিনি শহরেই থাকেন অসুস্থ শরীর নিয়ে।
ঘটনা করল কারা আর মামলা দেয়া হয়েছে ফটিকছড়ির সকল গ্রামের জামাত নেতাদের বিরুদ্ধে। সকল গ্রাম আজ পুরুষ শুন্য। চলছে গ্রেফতার বানিজ্য।নিরীহ ৫০০ এর মত মানুষ গ্রেফতার করে টাকা লেনদেনের মাধ্যমে থানা থেকে ছাড়া হচ্ছে।
এভাবে ফটিকছড়ির সাধারন মানুষকে আরো খেপানো হচ্ছে সুকৌশলে। যা ভোটের রাজনীতিতে আরো প্রকটভাবে দেখা যাবে। জনগনকে ক্ষেপিয়ে কি সাধারন আলীগদেরকে নির্যাতন করার পরিবেশ তৈরী করছে আলীগের ভিতরে থাকা কেউ?
===============================
হায়রে ভূজপুর! তুই মহাপাতকী।
লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:০৮:৪১ বিকাল
===============================
১১ ই এপ্রিল ভূজপুরে ঘটে যায় স্মরনকালের মহাপ্রতিরোধ।প্রাইম মিনিস্টার , মাহবুবুল আলম হানিফ , সাদেক হোসেন খোকা, এমকে আনোয়ার সহ সবাই ফটিকছড়ি নিয়ে গালবাজীতে ব্যস্ত। অন্যদিকে..........
১.এক পরিবারের বড় ভাই ও ছোট ভাই সবাইকে পুলিশের দৌড়ানি খাইতে হচ্ছে।
২.কোন পরিবারের ছোট ভাই বিনা এজাহারে এরেস্ট আর বড় ভাই এজাহারের আসামী ও ফেরারী।
৩. কারো বাড়ির সব পুরুষ পলাতক।
৪. কারো ঘরে চাল ডাল রান্নার তৈজস নাই।কারন উপার্জনক্ষম ব্যক্তি পলাতক।
৫. কারো বাড়িতে অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখার কেউ নেই কারন সব পলাতক।
৬. কারো ছেলেকে ইন্ডিয়া নিতে হবে মেডিকেল ট্রিটমেন্টের জন্য কিন্তু বাপ পলাতক ।
৭.কারো আবার ছোট চাচা এরেস্ট আর বাপের অপারেশন বাট ছেলে পলাতক।
৮. সব ঘরে ঘরে কান্নার আওয়াজ। টিকসবাজী হচ্ছে বেশ। বিরোধীরা ধরিয়ে দিচ্ছে বিরোধীদের। বেশী করে গ্রেফতার করে বানিজ্য করে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। বিরোধী ব্যবসায়ী থেকে চাদাবাজী হচ্ছে দেদারছে। মুখ খুলছে না কেউ। আহাজারী আর আহাজারী।
৯. রিমান্ডে অনেকেই আহত।
১০.কেউ বা শূন্য হাতে ঘর ছাড়া খাবে কি কে জানে। ১১.অনেকেই দিন মজুর । আয় নাই লোক ব্যয় করবে কেমনে?
১২.গ্রেফতার এড়াতে অনেক আহতরা বিনা চিকিৎসায় ঘরছাড়া হয়ে ভূগছে।
১৩.সবাইয়ের মোবাইল বন্ধ। আইনী সহায়তার উদ্যোগ নেয়ার কেহ নেই। সবাই মামলা খেয়েছে। কে কাকে দেখবে! সবার বিপদ। ১০-নম্বর বিপদ সংকেত।
আর নেতারা থাকে গালবাজীতে। মানবতা বিপর্যস্ত।
===============================
ভূজপুরের গনুপিঠুনির ধ্বংসযজ্ঞ , লগি বৈঠার ২৮ শে অক্টোবরের গনহত্যা ও বিশ্বজিতের বায়েজিদ না হওয়া ...
http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1665/lokmanbinyousuf/11981#.UYH8aEpzaXU
===============================
ভূজপুরের মোটরসাইকেল মিছিলে ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব সাহেব কে কেন এটিএম পেয়ারুল ইসলাম সাথে নিলেন না?
লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১৬ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:২৫:৩২ সকাল
===============================
ফটিকছড়ি উপজেলার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব আফতাব আহমদকে কেন ১১.৪.১৩ তারিখ সন্ত্রাসী তৈয়ব ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে বের হওয়া ১৫০ টির মত এ.কে-৪৭ অস্ত্র সহ হরতাল বিরোধী মোটর সাইকেল শোভাযাত্রায় এটিএম পেয়ারুল ইসলাম সাথে নিলেন না এই প্রশ্ন এখন ফটিকছড়িবাসী সবার মুখে মুখে।
আফতাব চেয়ারম্যান সকল দলের কাছে সম্মানীয় ব্যক্তি ।তার বাড়ী ও ঘটনাস্থল থেকে অল্প দুরে মাত্র। এহেন একজন রত্ব আলীগে থাকতে তারে ঐদিনের মিছিলে নেয়া হলনা কেন? তাইলে এটিএম পেয়ার কি জানতেন হামলা হবে? তিনি কি কিছু লাশ চেয়েছিলেন যা দ্ধারা আগামী নির্বাচনের নিজে জিতার জন্য পাবলিক সিমপ্যাথী গ্রো করতে চেয়েছেন?
আলীগের ভিতরের খবর একমাত্র আলীগই জানার কথা। কি কারনে উত্তর ফটিকছড়ি আলীগের নেতা ১ নং ইউনিয়ন বাগানবাজার চেয়ারম্যান আলীগ নেতা রুস্তম আলী ও তার কোন কর্মী মোটর সাইকেল শোভাযাত্রায় ছিলেন না?
কি কারনে উত্তর ফটিকছড়ি আলীগের নেতা ২ নং ইউনিয়ন দাতঁমারার চেয়ারম্যান আলীগ নেতা জানে আলম ও তার কোন কর্মী মোটর সাইকেল শোভাযাত্রায় ছিলেন না?
কি কারনে উত্তর ফটিকছড়ি আলীগের নেতা ৩ নং ইউনিয়ন নারায়নহাটের চেয়ারম্যান আলীগ নেতা জাফর সিকদার ও ৩নং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলীগ নেতা ইব্রাহিম সাহেব ও তার কোন কর্মী মোটর সাইকেল শোভাযাত্রায় ছিলেন না?
তারা কি জানতেন হরতাল বিরোধী মিছিলে আক্রমনের মত কোন ঘটনা ঘটবে? উত্তর ফটিকছড়ির ৪ টা ইউনিয়নের ৩ জন চেয়ারম্যানই আলীগের। তাইলে কি উত্তর ফটিকছড়ি আলীগের সব বড় নেতার অনুপস্থিতিতে আলীগের কেউ এতবড় ঘটনা ঘটিয়েছে?
ধরে নেয়া যায় কি আলীগের রফিক গ্রুপ (এই গ্রুপ রফিক সাহেবের মেয়ে ও স্ত্রী চালায়) ও পেয়ারু গ্রুপের হিংসাত্বক কোন্দলের বলি হলেন আলীগের সন্ত্রাসী ও নেতাকর্মীরা?
==================================
ভূজপুরের গনপ্রতিরোধের ঘটনায় স্কুল মাদরাসার জনপ্রিয় শিক্ষকদের জড়িয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফটিকছড়ির শিক্ষা আজ সংকটাপন্ন..
লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২১ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৫৩:৪৬ দুপুর
==================================
আগামী নির্বাচনে বিএনপি নিশ্চিত ভাবে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনটিতে জয়ী হচ্ছে।কারন গনপ্রতিরোধের ঘটনায় স্কুল মাদরাসার জনপ্রিয় শিক্ষকদের জড়িয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।তাই ফটিকছড়ির শিক্ষা আজ হুমকির মুখে ।অভিভাবক এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুসঁছে।
ভূজপুর থানার গনপ্রতিরোধের ঘটনাস্থল হচ্ছে কাজিরহাট বাজার। যা ফটিকছড়ি থানার ৪নং ইউনিয়ন।
১. ৪নং ইউনিয়ন(ভূজপুর গনপ্রতিরোধ ঘটনাস্থল) হতে ২০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত গজারিয়া জেবুন্নেসা হাই স্কুল। যার প্রধান শিক্ষক হলেন মির্জা বখতিয়ার বকুল।বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি উত্তর ফটিকছড়ি শাখার সহসভাপতি। জনপ্রিয় এই শিক্ষক ঘটনার দিন স্কুলে উপস্থিত ছিলেন অথচ এই শিক্ষককে ভূজপুরের মামলার আসামী করা হয়েছে।
২.৪নং ইউনিয়ন(ভূজপুর গনপ্রতিরোধ ঘটনাস্থল) হতে ১৩কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত দাতঁমারা এ.বি.জেড সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়।আবু তৈয়ব মাস্টার হলেন দাতঁমারা এ.বি.জেড সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজীর শিক্ষক। দীর্ঘদিনের শিক্ষকতা জীবনে তাকে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে এলাকাবাসী পেয়েছেন। জনপ্রিয় এই শিক্ষক ঘটনার দিন স্কুলে উপস্থিত ছিলেন অথচ এই শিক্ষককে ভূজপুরের মামলার আসামী করা হয়েছে।
৩.৪নং ইউনিয়ন(ভূজপুর গনপ্রতিরোধ ঘটনাস্থল) হতে ১৩কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত দাতঁমারা এ.বি.জেড সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়।মাস্টার জসিম উদ্দিন হলেন দাতঁমারা এ.বি.জেড সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের গনিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক। দীর্ঘদিনের শিক্ষকতা জীবনে তাকে একজন পরোপকারী ব্যক্তি হিসেবে এলাকাবাসী পেয়েছেন। জনপ্রিয় এই শিক্ষক ঘটনার দিন স্কুলে উপস্থিত ছিলেন অথচ এই শিক্ষককে ভূজপুরের মামলার আসামী করা হয়েছে।
৪. ৪নং ইউনিয়ন(ভূজপুর গনপ্রতিরোধ ঘটনাস্থল) হতে ১১কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত শান্তিরহাট মিশকাতুন্নবী দাখিল মাদরাসা।মাওলানা জহিরুল হক হলেন শান্তিরহাট মিশকাতুন্নবী দাখিল মাদরাসার সম্মানিত প্রিন্সিপ্যাল। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ , প্রখ্যাত আলেম জনপ্রিয় এই শিক্ষক ঘটনার দিন মাদরাসায় উপস্থিত ছিলেন অথচ এই শিক্ষককে ভূজপুরের মামলার আসামী করা হয়েছে।
৫. ৪নং ইউনিয়ন(ভূজপুর গনপ্রতিরোধ ঘটনাস্থল) হতে ১৫কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত নাজিরহাট আলীয়া মাদরাসা।মাওলানা আবুল কালাম আযাদ হলেন নাজিরহাট আলীয়া মাদরাসার সম্মানিত সিনিয়র শিক্ষক। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ , প্রখ্যাত আলেম জনপ্রিয় এই শিক্ষক ঘটনার দিন মাদরাসায় উপস্থিত ছিলেন অথচ এই শিক্ষককে ভূজপুরের মামলার আসামী করা হয়েছে।
৬. ৪নং ইউনিয়ন(ভূজপুর গনপ্রতিরোধ ঘটনাস্থল) হতে ১৬ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত নাজিরহাট হাই স্কুল। যার প্রধান শিক্ষক হলেন মাস্টার আবদুস সাত্তার ।বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতা। জনপ্রিয় এই শিক্ষক ঘটনার দিন স্কুলে উপস্থিত ছিলেন অথচ এই শিক্ষককে ভূজপুরের মামলার আসামী করা হয়েছে।
৭.পাশ্বর্বতী থানা হাটহাজারীর একটি স্কুলের শিক্ষক হাফেজুর রহমান মাস্টার ।ভাড়া বাসা নিয়ে হাটহাজারী থাকেন। কাজিরহাটে বাড়ি হওয়ার অপরাধে তাকে মামলার আসামী করা হয়েছে।ঘটনার দিন তিনি স্কুলে উপস্থিত ছিলেন।
৯. ৪নং ইউনিয়ন(ভূজপুর গনপ্রতিরোধ ঘটনাস্থল) হতে ৩ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ভুজপুর মডেল হাই স্কুল। যার শিক্ষক হলেন মাস্টার দিদারুল আলম । জনপ্রিয় এই শিক্ষক ঘটনার দিন স্কুলে উপস্থিত ছিলেন অথচ এই শিক্ষককে ভূজপুরের মামলার আসামী করা হয়েছে।
১০.৪নং ইউনিয়ন(ভূজপুর গনপ্রতিরোধ ঘটনাস্থল) হতে ১৮ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত বালুটিলা হাই স্কুল। যার শিক্ষক হলেন মাস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ । জনপ্রিয় এই শিক্ষক ঘটনার দিন স্কুলে উপস্থিত ছিলেন অথচ এই শিক্ষককে ভূজপুরের মামলার আসামী করা হয়েছেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
১১. ৪নং ইউনিয়ন(ভূজপুর গনপ্রতিরোধ ঘটনাস্থল) হতে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত দাতঁমারা মঈনুল উলুম দাখিল মাদরাসা।মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম হলেন দাতঁমারা মঈনুল উলুম দাখিল মাদরাসার সম্মানিত ইংরেজীর শিক্ষক। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাদরাসা শিক্ষক সমিতির নেতা জনপ্রিয় এই শিক্ষক ঘটনার দিন মাদরাসায় উপস্থিত ছিলেন অথচ এই শিক্ষককে ভূজপুরের মামলার আসামী করা হয়েছে।
১২. দাতমারা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম কে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ ঘটনার দিন ফজর ,জুহর(ঘটনা চলাকাল) ,আসর ,মাগরিব ,ইশার নামাজে ইমামতি করেছেন ।
১৩. জাহাঙ্গীর আলম । বিএনপি নেতা ।শান্তিরহাট বাজারের এক অরাজনৈতিক ব্যবসায়ীকে পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়াতে ঘটনার পরদিন থানায় ছুটে যান। থানা অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১৪.ফটিকছড়ি থানার অছি , টিএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যান সহ থানা অফিসের ভিতরে সরকারী মিটিং এ ব্যস্ত থাকা জননেতা নুর মোহাম্মদ আলকাদেরীকে মামলার আসামী করা হয়েছে।
১৫.ঘটনা থেকে ১৩ কিমি উত্তরে ঘটনার সময় দাতঁমারা বাজারে ব্যবসাতে ব্যস্ত শাহাবুদ্দিন ও নিজাম সওদাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা থেকে ১৩ কিমি উত্তরে ঘটনার সময় দাতঁমারা বাজারে ব্যবসাতে ব্যস্ত সমাজসেবক জিয়াউল হককে মামলার আসামী করা হয়েছে।
১৬. ৩৫ বছরের শিক্ষকতা জীবন শেষ করে অবসর নিয়েছেন মাওলানা হাবীব আহমদ যিনি অসুস্থ শরীর নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে বাসা ভাড়া করে থাকেন সেই সম্মানীয় শিক্ষক মাওলানা হাবীব আহমদকে মামলার আসামী করা হয়েছে।
গ্রামে পাড়ায় মহল্লায় পুলিশ বিজিবি রেব দিয়ে মানুষের ঘুম হারাম করে দেয়া হয়েছে। নির্বিচারে গ্রেফতার করে থানায় এনে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়ে কোটি টাকার বানিজ্য শেষ করা হয়েছে।নাম না জানা অনেককে মিথ্যা মামলার আসামী করে আলীগ আগামী নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত করার পর্যায়ে চলে গিয়েছে। ৩৫ মামলার আসামী , উত্তর চট্টগ্রামের টপটেরর সন্ত্রাসী তৈয়ব সকল সন্ত্রাসী সহ প্রতিরোধের শিকার হয়েছেন মাত্র। গ্রামবাসীর প্রতিরোধের পর এহেন মিথ্যা মামলা অগ্রহনযোগ্য। আলীগের সোনা রফিক গ্রুপের ইন্ধনে ঘটনা ঘটেছে অথচ যারা দোষ করেছে তাদের না ধরে নিরপরাধ ব্যক্তিকে থানায় এনে বানিজ্য আর গ্রেফতার করা হচ্ছে।
মনে রাখবেন শেখের বেটি !আল্লাহ মজলুমের পক্ষে ।
====================================
আসুন একটু মানবিক হই এবং সামান্য হলেও ভূজপুরবাসীকে সহায়তা করি।
বিষয়: বিবিধ
১৭৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন