শেখ হাসিনার জেদের রাজনীতি! কয়েক দিনের মধ্যেই জামায়াত নেতা কামরুজ্জমান খুন হতে যাচ্ছেন!
লিখেছেন লিখেছেন বিবেক ০১ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:০৩:৫৪ বিকাল
সরকারের পরিকল্পনা ছিল জামায়াত নেতা কামরুজ্জমানকে আগামী ডিসেম্বরে হত্যা করা হবে। ভাদ্র মাসে যেভাবে বছরে একবার কুকুরের যৌন গিট লাগে, তেমনি ফ্রেব্রুয়ারী, মার্চ ও ডিসেম্বর মাসে বছরে তিনবার আওয়ামীলীগের দেশপ্রেমের যৌন গিট লাগে। অকস্মাৎ গোলাম আজমের মৃত্যু ও তৎ-পরবর্তি ঘটনায় আওয়ামী নেতা শেখ হাসিনার মেজাজে তেজ এসে যায়। এরই ফলশ্রুতিতে জামায়াত নেতা কামরুজ্জমান অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে ফাঁসিতে লটকে শহীদ হতে যাচ্ছেন। অতি অলৌকিক কিছু না ঘটলে এই ঘটনা যে ঘটবে তার নিশ্চয়তা প্রায় ৯০ ভাগ।
একটু পর্যালোচনা দেখুন:
১. গোলাম আজমের জানাজায় ব্যাপক লোক সমাগম সরকারকে বড় ভাবনায় ফেলে দিয়েছে। সরকারের ধারনা ছিল গোলাম আজমের বিরুদ্ধে যেভাবে অবিরত খারাপ প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে, তার প্রভাবে খুব নগণ্য সংখ্যক মানুষ হয়ত জানাযায় উপস্থিত হতে পারে। তাছাড়া সরকার তার ক্ষমতা ব্যবহার করে জানাজায় অংশগ্রহণ কারী ব্যক্তিদের ও টেনশনে রাখতে সচেষ্ট ছিলেন।
২. ৭১ টিভিকে দেখা গিয়েছে জানাজার লাশের সরাসরি লাইভ দেখাতে! অনেকের কাছে এটা আশ্চর্য মনে হলেও সেখানে ছিল তাদের ঘৃণ্য চক্রান্ত। তারা চাচ্ছিল লাশের উপর কেউ না কেউ কিছু অঘটন ঘটাক। তাদের মানুষ প্রস্তুত ছিল সুবিধার অভাবে কাজে লাগাতে পারেনি। টিভিতে লাইভ দেখিয়ে তারা, মূলত তাদের ওঁৎ-পেতে থাকা কর্মীদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছিলেন লাশটি এখন শহরের কোথায় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন! এই পদ্ধতি কোন কাজে আসেনি বরং তাদের লাইভটি প্রচারে প্রসার হয়েছে। যদি একটি জুতো তারা মারতে পারত তাহলে পুরো শহরে মিষ্টির দোকানে মিষ্টি থাকত না।
৩. সরকার ইচ্ছে করলে হট্টগোল বাধিয়ে গোলাম আজমের জানাজা বন্ধ করতে পারতেন। বহু ধরনের ফ্যাসিবাদী পন্থা তাদের জানা ছিল এবং এটা করার জন্য তাদের প্রস্তুতিও ছিল। গোলাম আজমের জানাজার দিনে সরকারের অবস্থা বড় বেকায়দা অবস্থায় থাকায় সেটা তারা করতে পারেনি! অনেকেই ব্যাপারটি লক্ষ্য করেনি যে, যে সময় দেশে গোলাম আজমের জানাজার প্রস্তুতি চলছিল, ঠিক সেই সময়ে শেখ হাসিনা আরব আমিরাতের প্রধানের কাছে দেশের ভাগ্য ফিরাতে, নিজের দুই হাত মেলে ধরেছিলেন। একই সময় দুই জাতীয় ঘটনায় সরকার বিব্রত হয়ে পড়তে পারে বলে, দেশে গোলযোগের রিস্ক নেয় নাই। সে সময় এই ব্যাপারে তাকে কেউ প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারতেন না। তাই সহ্য করতে কষ্ট হলেও জানাজায় ব্যাপক লোক সমাগমে বাধা দেই নাই।
৪. হাসিনার আমিরাত সফর পরিপূর্ণ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। আবুধাবী প্রধানের সাথে দেখা করে রাত্রের ভোজ সভায় তিনি দলীয় ও চিহ্নিত মেহমান দের সভার পুরো বক্তৃতায়, তিনি আমিরাত সম্পর্কে একটি লাইনও বলেন নি। বরং সৌদি সরকার তাঁকে কিভাবে ইজ্জত দিয়েছে সেটাই বলেছেন। আমিরাতের কোন বাংলাদেশীকে সুখ-দুঃখের কথা বলতে দেননি। অনেক জোরাজুরিতে একজন আওয়ামী নেতা কাম মাস্তানকে সুযোগ দিয়েছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ও তার কন্যার প্রশংসা করতে করতে সময়ই পুরো সময় খেয়ে ফেলেছিলেন।
৫. শেখ হাসিনার দুবাই সফর আরো দুর্বিসহ ছিল। একজন সাধারণ মানের সরকারী মহিলা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে গ্রহণ করতে। দুবাইয়ের শাসকের কাছে প্রধানমন্ত্রী মূলত কোন কথাই তুলতে পারেনি। ইতিপূর্বে পাকিস্তান ও মিশরের শাসক বৃন্দ দুবাই এসে তাদেরকে ভাই-বন্ধু ঢেকে ভিসার জট খুলেছিলেন। কপাল খারাপ, শেখ হাসিনা শেখ রশিদ আল মাখতুম কে ভাই বন্ধু কোনটাই বলার গৌরব অর্জন করতে পারেন নাই। কেননা ভাই যদি হই তাহলে ভোট কিভাবে রাশিয়া পায়, আর বন্ধু যদি হই ভারত কিভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের কাজ পায়। শেখ হাসিনার বামপন্থি পলিসি আমিরাতের শেখদের অনুরোধ করার হিম্মত পর্যন্ত হারিয়েছিলেন।
হয়ত বলবেন এত কথার সাথে কামরুজ্জমানের মৃত্যুর কারণ কি???!!! হ্যাঁ আছে, এই দুবাই সফরের ব্যর্থতাই হল জামায়াতের বিচার এগিয়ে আসার অন্যতম কারণ!
৬. আমিরাত সফরের ব্যর্থতা শেখ হাসিনাকে ভয়ানক দ্বিধায় ফেলেছিল ফলে তিনি যথেষ্ট উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত ছিলেন। পত্র পত্রিকা গুলো শেখ হাসিনাকে খুঁচিয়ে প্রতিবেদন দিতে থাকল। সরকারের মানুষেরাই টক শো গুলোকে তিতা শো'তে পরিণত করল। এতে প্রধানমন্ত্রী বিষিয়ে উঠেছিলেন। তার উপরে জামায়াত নেতা গোলাম আজমের স্মরণ কালের বৃহত্তম জানাজা এবং সামান্য সময়ের ঘোষণায় জামায়াতের ব্যাপক উপস্থিতি, হাসিনাকে স্তম্ভিত ও আশাহত করে। তিনি ভেবেছিলেন সরকারী জুলুমে জামায়াত অনেকটাই ধরাশায়ী। নামাজে জানাজার উপস্থিতি তাকে আরো হিংস্র ও উত্তেজিত করতে টনিকের মত কাজ করে।
৭. তিনি আমিরাতের ব্যর্থতা কথাকে আড়াল করতে, সাংবাদিকদের কলমের লেখাকে অন্য রাস্তায় প্রবাহিত করতে ও জামায়াতে আরো শায়েস্তা করতে হঠাৎ করে মাওলানা নিজামীর রায়কে সামনে নিয়ে আসে। এটা প্রধান মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত ছিল এমনকি রায়টা কি হবে তাও তিনি তল্পিবাহক আওয়ামী নেতা বিচারপতি এনায়েতকে বুঝিয়ে দেন। রায় কি হয়েছে দেশবাসী সবাই জানে।
৮. সরকার জানত জামায়াত আগের মতই দুই দিনের হরতাল দিবে! সরকার আরো জানত যে, জামায়াত হরতাল দিলেও আগের মত ব্যাপকতা ছড়াতে পারবে না। তবে সরকার ভাবতে পারেনি যে, জামায়াত তিন দিন হরতাল দিবে এবং সেটা ভিন্ন ধরনের হবে! একটা দিন সপ্তাহের শেষে আর বাকী দুটো দিন পরবর্তী সপ্তাহের শুরুতে হবে! দৃশ্যত এতে পরীক্ষার রুটিনে চাপ পড়বে। তারপরও সরকার ভেবেছিল বৃহস্পতি বারে যদি হরতাল সুবিধের না হয়, তাহলে রবিবারের পরীক্ষা নিতে সমস্যা হবেনা। তাই ক্লিন-টাকলা শিক্ষা মন্ত্রী শুক্রবার পর্যন্ত পরীক্ষা পিছানোর কোন ঘোষণা দেয়নি।
৯. বৃহস্পতিবারের হরতালের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। পিকেটার না থাকলেও হরতাল যথাযথ পালিত হয়েছে। ঢাকা পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাজ করেছিল পুর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে। সাধারণ মানুষ বুঝতে শিখেছে, শিবির-জামায়াতকে রাস্তায় দেখলে পুলিশ গুলি করবে। আর সে গুলি জামায়াত শিবিরের বুঝে না বিধে রাস্তায় চলাচল রক্ত পথিকের বুকেও ঢুকে যেতে পারে! আর হরতালের দিন সরকারী ব্যক্তি সহ যে কোন ব্যক্তিই পুলিশের গুলিতে লুটিয়ে পড়ুক না কেন, সে শিবির হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে হরতাল পালিত হয়েছে দারুণ ভাবে। আতঙ্কগ্রস্ত শিক্ষামন্ত্রী হরতালের এই ধরনের উল্টো চিত্র দেখে পরীক্ষা পিছানোর অগ্রিম ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছে।!
১০. এই ঘটনা শেখ হাসিনার জন্য মেনে নেওয়া কষ্টকর ছিল। জামায়াত যথেষ্ট বেড়ে গেছে তাই তাকে সম্ভাব্য আরো চরম শিক্ষা দিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরের মত গোঁ ধরেছেন তবে এইবারে একটু বেশী মাত্রায় ধরেছেন। তিনিও জেদের মাথায় জামায়াত কে শিক্ষা দিতে রোব বারে মীর কাশেম আলীর বিচারের রায় ঘোষণা করার জন্য আদালতের তল্পিবাহক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
বর্তমানের সরকারের অবস্থা এমনিতেই নাজুক তার উপর যদি ঘন ঘন হরতাল চলতে থাকে তাহলে অবস্থা আরো সাড়ে সর্বনাশ হবে। দুর্বল ও দিক হারা বিএনপির মরা কর্মীদের মনেও লম্বা হরতালে প্রাণ ফিরে আসতে পারে। এটা নিয়েও সরকার উদ্বিগ্ন। কিন্তু সরকার যেমন বুনো ওলের মত কাজ করছে, জামায়াতও তেমনি বাঘা তেঁতুলের মত আচরণ করছে। সরকার ভেবেছিল এক সপ্তাহের মাথায় তিন জন নেতার মরণ গতি দেখে জামায়াত-শিবির হয় একটু ক্ষান্ত হবে। কিন্তু বিধি বাম, জামায়াত থেকে অগ্রিম ঘোষণা দেওয়া হল যদি রোববারে কাশেম আলী দণ্ড হয় তাহলে বুধ-বৃহস্পতি বারও হরতালের আওতায় থাকবে। মঙ্গলবার এমনিতেই মোহররমের বন্ধ, তাহলে ফল দাড়ায় ১০ দিনের অবিরাম বন্ধের মুখে পড়বে সকল প্রতিষ্ঠান। এমনিতেই সকল কার্যক্রমে স্থবিরতা তার উপর লম্বা গোলযোগে সমস্যা দেখা দিবে। তাছাড়া বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্যত্র। সকল হরতালে মফস্বলে প্রভাব পড়েনা অনেকে জানেও না। কিন্তু বারবার জুনিয়র স্কুল-মাদ্রাসার পরীক্ষার ব্যাঘাতের ফলে পুরো দেশের মানুষ জানতে পারবে দেশে ব্যাপক হরতাল চলছে। অনেক অজানা মানুষ আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইবে কেন হরতাল, আর কেনই বা সরকার পরীক্ষা পিছচ্ছে।
১১. একে-তো উ-লেলা বুড়ি তার উপরে ঢোলের বাড়ি। প্রধান মন্ত্রীর উপর ঘটেছে এমন দশা। তিনি নির্যাতন, ভয়, ভীতিকে যতই বাড়িয়ে দিচ্ছেন, ততই নতুন নতুন এজেন্ডায় নিজে নিজে জড়িয়ে যাচ্ছেন। জামায়াত বিশ্বাস করে হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে। তিনি মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা কেউ বাচাতে পারব না, আর বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিলে মারতে পারব না। তাই আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও প্রতিরোধ করতে হবে। ফলে এই ধরনের বেয়াড়া দলকে শায়েস্তা করতে শেখ হাসিনার কাছে আর কোন অস্ত্র এই মুহূর্তে বাকি নাই। জামায়াত যদি বুধ ও বৃহস্পতিবারেও হরতাল অব্যাহত রাখার গোঁ ধরে, যার ধারনা ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, তাহলে সরকার বুধবারের পরে তবে যে কোন এক দিন কামরুজ্জমানের মামলার রায় ঘোষণা করে মৃত্যু দণ্ড কার্যকর করতে পারে। এই পর্যন্ত এটাই শেখ হাসিনার চূড়ান্ত 'গোঁ'। আর বামপন্থিরা-তো তিন পায়ে লাফাচ্ছে, হাসিনার সিদ্ধান্ত তারা ইতিমধ্যে জেনে গেছে সুতরাং তারা হাসিনার সিদ্ধান্ত যাতে undo (আন-ডু) হয়ে না যায়, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ ও সতর্ক।
১২. আওয়ামী আইনজীবীরা একটি কথা অগ্রিম ভাবে বারবার বলেছেন, সেটা হল এই বার আপিলের পরে কোন রিভিউ আবেদন হবেনা। তারা এটা উচ্চ আদালতকে ডিকটেট করছেন আর দলীয় কর্মীদের শিখাচ্ছেন যে, এই ধরনের একটি ঘটনা আসতে যাচ্ছ, তখন যাতে এই বাক্য নিয়ে এক সাথে শৃগালের মত চিল্লাতে পারে। কেননা রিভিউ আবেদনের গ্যাঁড়া কলে পড়ে কাদের মোল্লার ফাঁসি সরকারের ইচ্ছামত সময়ে হতে পারেনি, একদিন পরে করতে বাধ্য হয়েছিল। এতে করে কাদের মোল্লার বানীই সত্য প্রমাণিত হয়েছিল।
এই খবরটি হাওয়া থেকে পাওয়া............. বিশ্বাস করা না করা আপনাদের মর্জির উপর নির্ভর করছে। তবে হুশিয়ার হতে কোন সমস্যা তো নাই। আবারো বলছি যদি অতি অলৌকিক কিছু না ঘটে এবং শেখ হাসিনার মতিভ্রম না ঘটে, তাহলে কামরুজ্জমানকে ফাঁসির দরিতে মরে শাহাদাত বরণ করতে হচ্ছে এটা প্রায় নব্বই নিশ্চিত। শেষ ভাল যার সব ভাল তার। গোলাম আজমের বিরুদ্ধে অর্ধ শতাব্দি ধরে শুরু অপপ্রচারই চলেছে, বাংলাদেশের অনেকে গোলাম মুর্শিদ, গোলাম মাওলা, গোলাম রব্বী নামগুলো রাখলেও, কেউ ভয়ে গোলাম আজম নামটি কারো সন্তানের জন্য রাখত না কিন্তু মৃত্যুকালে তিনি অনুসারীদের কাছে কিংবদন্তীতুল্য সম্মান ও মর্যাদা পেয়ে সফল হয়েছেন। পক্ষান্তরে পুরো জীবন ভর শেখ মুজিবুর রহমান আলোচিত হয়েও শেষ সময়ে দুর্ভাগ্য, নিন্দা আর অসহায়ত্ব তাকে গ্রাস করেছিল। মৃত্যুর পরে একজন কর্মীও এমন ছিলনা যে, শেখ মুজিবের কবরের পাশে দাড়িয়ে চিৎকার করে বলবে, হে নেতা তোমার স্মরণে আমার নিজের নাম রেখেছি শেখ মুজিবুর রহমান। এই নেতার অন্তিম সময়টা ছিল পৃথিবীর সকল কালের সকল এতিমের চেয়েও নিদারুণ ও পরিতাপের!
বিষয়: বিবিধ
৭৪৪৭ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেই সময়ে শেখ হাসিনা আরব আমিরাতের প্রধানের কাছে দেশের ভাগ্য ফিরাতে, নিজের দুই হাত মেলে ধরেছিলেন।" আপনি কি মনে করেন, হাসিনা এতটা দেশ প্রেমিক হয়েগেছে যে দেশের জন্য হাত পাতবে অন্যের কাছে!!!! এব্যাপারে ছোট-খাট একটা Study আমি করেছি এবং ব্লগ এ তা সাবমিট ও করেছি। হাসুদি দুবাইতে গিয়েছিলেন, হাত পেতেছিলেন, নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, দেশে নয়।তিনি সেখানে দুবায়ের প্রধান মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেছেন, কিন্তূ বাংলাদেশের বন্ধ থাকা শ্রমবাজার নিয়ে কোন কথাই বলেল নি।হু বলেছেন, উনার সরকার সেক্যুলারিজম প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
এটা কেন বলেছেন আমার বোধগম্য নয়। কি ভয়পেল নাকি বুঝলাম না। হঠাৎ এই ভয়ের কি কারন? ধন্যাবাদ
For your kind information. Please read this news.
From Gulf News
“Since assuming power in 2009, my government initiated a ‘zero tolerance” stand’ against religious extremists and terrorists in the country and vowed to eliminate them totally. In last five and half years, we have achieved significant success in this regard,” she said.
Extremism has reduced considerably and liberal forces are dominating Bangladeshi society according to her. “Our army, police and paramilitary forces have done very well in containing extremism,” the Prime Minister said. She claimed Bangladesh is now almost free of terrorism.
About her rival political party Jamaet-e-Islami, which is accused of holding an extremist religious ideology in the subcontinent, Hasina said the party has not been able to secure a mentionable political space in the subcontinent in the last sixty years or so. “I do not think they will ever be able to set their feet strongly here and become a security threat at all.
তাহলে আর নিজামী,মীর কাশেমের মামলায় আপিল কইরেন না,
দেখি আপনার কেমন "মার বেটা"
রিভিউ করতে গিয়ে যে বিচারপতিরা নিজেদের অন্যায় গুলো দেখতে পায়নি, নিজেদের হাস্যপদ বিচারের দুর্বলতা গুলো ইচ্ছাকৃত দেখেনি, সেটা দলীল হয়ে থাকল।
সাধারনত বিচারের পরে যখন মৃত্যুদন্ড কার্যকর হবে, তখন সেই বিচারের বিস্তারিত বিবরণ নিয়ে আদালতের তত্ত্বাবধানে একটি বই প্রিন্ট হবে। সে বইটি আদালতের আর্কাইভে থাকবে উৎসাহীরা কিনে নিতে পারবে। সেই বইতে সমুদয় তথ্য গুলো থেকে যাবে, পরবর্তী প্রজন্ম দেখতে পারবে অর্থ, খ্যাতি ও ক্ষমতার লোভে এ সব বিচারপতি আইনের চেয়ারে বসে কি জঘন্য ঘৃণ্য কাজ করতে পেরেছিল। তখন তারা অবিরত নিজেরা গালি শুনতে থাকবে তাদের পিতা মাতাকেও গালি শুনাবে, তারা জিবীত থাকলে শাটের কলার ধরে হেনস্তা করা যাবে, এমনকি তাদেরও বিচারও হতে পারে। সে জন্য বিচার মোকাবেলা করাটা অতীব জরুরী, যা জামায়াত করে যাচ্ছে।
বিচারের মোকাবেলা হয়েছে বলেই সেখানে ভন্ডামী লুকিয়ে আছে সেটা বের হল এবং সাথে সাথে এস,কে,সিনহা ও শামশুদ্দীন চৌধুরী সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পাওয়া গেল, ফলে আপনিও মন্তব্য করেছেন। যদি তাদের মোকাবেলা করা না হত তাহলে জগৎবাসী ধরে নিত আসলেই মানুষ গুলো অপরাধী ছিল, তাই তাদের পক্ষে লড়বার মতো কোন উকিল এগিয়ে আসেনি। অনেক ধন্যবাদ।
পর্যায়ক্রমে একাত্তরের অপরাধীদের সবাই এই শাস্তি পাওয়া উচিত।
ধন্যবাদ।।
মন্তব্য করতে লগইন করুন