তাসলিমা নাসরিনদের যদি দোয়া করি, তাহলে বদ দোয়া কাকে করব?
লিখেছেন লিখেছেন বিবেক ১৩ মে, ২০১৪, ০২:১৬:২৪ দুপুর
ব্লগে একটি পোষ্ট দেখেছিলাম তাসলিমা নাসরিনের জন্য দোয়া করা যাবে কিনা মর্মে। বহু পাঠক ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য করেছন। আসলে এই ব্যাপারটি ইসলাম ও ইমানের মৌল ও ভৌত অবকাটামোর সাথে সম্পৃক্ত। আমি উত্তর লিখতে গিয়েই দেখি একটি পোষ্টের মত আকার হয়ে দাড়িয়েছে। তাই আলাদা করে পোষ্ট দিলাম।
সবার জন্য দোয়া করাটা যদি ইসলামের নিয়ম হবে, তাহলে আল্লাহর রাসুল কুনুতে নাজেলাতে কিছু মানুষের জন্য বদ দোয়া করেছেন, সেটার কি ব্যখা হবে? তাহলে কি রাসুল (সাঃ) কাউকে বদদোয়া করে ভুল করেছন!
যারা জেনে বুঝে, স্বজ্ঞানে দ্বীনের বিরোধিতা করে,
যারা দ্বীন বুঝার পরেও আল্লাহকে গালাগালি করে করে,
যারা কফুরী করে আবার সেটা নিয়ে অহংকার করে,
যারা আল্লাহর রাসুলকে সজ্ঞানে অপমানিত করে,
তাদের জন্য দোয়া করা যায় না।
যারা সত্য অনুসন্ধান করে তবে না বুঝে দ্বীনের বিরোধিতা করে,
যারা কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা এটার দোলাচলে থেকে দ্বীনের বিরোধিতা করে,
যারা নিজের চিন্তাকে সত্য মনে করে রাসুলের চিন্তাকে ভ্রান্ত মনে করে দ্বীনের বিরোধিতা করে,
যারা আল্লাহ একজন আছে তবে নিজের অনুসৃত পন্থাই সঠিক মনে করে সেটার উপর গো ধরে পক্ষান্তরে সঠিক ইসলাম পন্থিদের বিরোধিতা করে,
এমন ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করা যায়। দোয়া যদি সকলের জন্য করা যাবে, তাহলে শয়তানের জন্য দোয়া করাটা সবার আগে জরুরী। কেননা সে সঠিক পথে আসলে তো মানবজাতির সবাই সঠিক পথ প্রাপ্ত হবে।
তাসলীমা নাসরিনের জন্য দোয়া করা যাবেনা,
কেননা সে জেনে, বুঝে, পড়ে, দেখে;
আল্লাহকে গালি দেয়,
রাসুলকে সমালোচনা করে,
কোরআন কে তাচ্ছিল্য করে,
মুসলমানদের নারীদের হেয় করে।
কু-মতলবে ইসলামের বিরোধিতা করে,
আবু জেহেল, আবু লাহাব, ওতবা, শায়বা, মুগীরা
কোনদিন কখনও কোরআনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে নাই।
ব্যক্তি স্বার্থে রাসুলকে হেয় করে নাই
এমন কি শর্ত সাপেক্ষে মুহাম্মাদ (সাঃ) কে রাসুল বলে মানতে রাজি ছিল!
তাদের সমস্যা ছিল,
তারা জাগতিক সুবিধা প্রাপ্তিতে হতাশ ছিল,
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে থাকত,
বিষয় সম্পদ অর্জনে বাধা প্রাপ্ত হবার চিন্তায় ছিল,
নতুন দ্বীন প্রতিষ্ঠা পেলে পুরানো দ্বীন চলে যাবে,
ফলে তাদের গুরুত্বও চলে যাবে।
গরীব ও দাশ শ্রেণী সমাজে সমান মর্যাদা প্রাপ্ত হবে, ইত্যাদি.....
আবু জেহেল, আবু লাহাবেরা
কোরআনকে শ্রেষ্ঠ বলত,
আল্লাহকে আল্লাহ বলে ডাকত,
ইব্রাহীমকে (আঃ) পিতা মনে করত,
হজ্ব করাকে আল্লাহর কাজ মনে করত,
হাজিদের পানি খাওয়ানোকে সম্মানের কাজ মনে করত,
হাজিদের নিরাপত্তা দেওয়াটাকে দায়িত্ব মনে করত,
এসব নিয়ে এরা ভয়ে থাকত বলেই ইসলামের বিরোধিতা করেছিল।
তাসলিমা নাসরিন সহ মগজ পঁচা নাস্তিকদের ইসলাম বিরোধিতার ধরন ও আবু জেহেলদের বিরোধিতার প্রকার ও ধরন ভিন্ন ছিল। তারপরও আল্লাহর রাসুল এসব ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করেন নি, তাহলে তাসলিমার জন্য কিভাবে দোয়া করা যাবে?
বিষয়: বিবিধ
২৪২২ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি বিনীতভাবে বলছি : এই জামায়াতী এবং ওহাবী ও যৌন জিহাদি ইসলামের দুষমন ।
আমি আর বিশেষ কিছু বলতে চাচ্ছি না ।
ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন ।
যেমন :
১। জামায়াতী : যারা বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামী-কে অন্ধভাবে সমর্থন করে তাদেরকে জামায়াতী বলা হয় ।
২। ওহাবী : যারা সৌদি আরবের সন্ত্রাসী মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাবের কথিত ইসলামী দর্শন দ্বিধাহীন চিত্ত্বে গ্রহণ করে তাদের ওহাবী বলা হয় ।
৩। যৌন জিহাদী : যারা জিহাদুন নিকাহ বা ওহাবী সন্ত্রাসীদের যৌনতা উপভোগ করতে সাহায্য করার জন্য মেয়েদের বিশেষ ধরনের বিয়ে করার উৎসাহ দেয় এবং এসব মেয়েদের সাথে যৌনতা করে , তাদের যৌন জিহাদী বলা হয় । যেমন : http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4038/drazad/27462
তবে, যৌন জিহাদীদের সাথে জামায়াতি, ওহাবীর কি সম্পর্ক বুঝলাম না।
ভবিষ্যতে পীর, বুজুর্গ, মোর্শেদ, কাদেরিয়া, চিশতীয়া, নকশবন্দিয়া এসবও আক্রমনের লক্ষ্যে পরিণত হবার সম্ভাবনা আছে কিনা?
আপনি যতার্থই বলেছেন..."কিয়ামতের আগে দাজ্জাল ও কাজ্জাব বের হবে । তারা কিন্তু অনেক জ্ঞানী হবেন" ঠিক আপনার মতো।
হাদীস অস্বিকার করার লিংক
করুন। বেটা একটা মোনাফেক।
আপনি হয়তো জানেন, রাসুল সা. ইন্তেকালের ১০০ বছরের পর হাদিস সংগ্রহ করা একটা উদাহরণ দিচ্ছি : আবু হুরায়রাহ (রা) বর্ণিত যে, রাসুল (সা) বলেছেন "যদি তোমাদের কারো পানীয়ের মধ্যে ঘরের কোন মাছি পড়ে, সে যেন পুরো মাছিটাকেই পানীয়ের মধ্যে চুবিয়ে নেয় । কারণ মাছির এক পাখায় আছে রোগ, আর অন্য পাখায় আছে সে রোগের ঔষধ । (বুখারী শরীফ, ইংরেজী অনুবাদ, ২য় খন্ড ৪২৩ নং হাদিস, ৪র্থ খন্ড , ৬১৯,,, বুখারী শরীফ, আধুনিক প্রকাশনীর বাংলা অনুবাদ, ১ম খন্ড, হাদিস ১২১৫ , ৩য় খন্ড, ৩১৫৬)"
এই হাদিস কি সত্য হতে পারে ? !!!
বুখারী শরীফে ৭৩৯৭ টি হাদিস রয়েছে । এসব হাদিসের মধ্যে অনেক হাদিসই একাধিক বার রয়েছে । ইমাম বুখারী (রহ.) তার মুখস্হ করা ৩ লাখ হাদিস এবং সংগ্রহ করা আরো ৩ লাখ হাদিস হতে এসব হাদিস বুখারী শরীফে স্হান দেন । একজন মুসলিম ভালভাবে বিশ্লেষণ করলে সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন, এই বিপুল পরিমান হাদিস হতে ৬০০০০০-৭৩৯৭=৫৯২৬০৩ টি হাদিস সহিহ মনে করেননি । বুখারী শরীফের ভুমিকায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রাসুল সা. -এর হাদিস ১ লক্ষের বেশী নয় । হাকিম আব্দুল্লাহ নিশাপুরীর মতে সহিহ হাদিস ১০ হাজারেরও কম । এতথ্য হতে সহজেই অনুমেয় যে, কি পরিমান মিথ্যা হাদিস তৈরী করা হয়েছে ।
শুরু হয় । এই সুযোগে গুরুত্বপূর্ণ হাদিস ভুলে যাওয়া এবং তথ্য বিকৃতির সুযোগ অনেক ছিল । বিশেষ করে উমাইয়া বংশের অনেক অত্যাচারী শাসকগণ মিথ্যা হাদিস বানিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য ঐসকল মিথ্যা হাদিস ব্যবহার করেছে । অনেক ক্ষেত্রে ঐসকল মিথ্যা হাদিস দিয়ে কুরআনের আয়াত পর্যন্ত অকার্যকর করা হয়েছে । যেমন :
হুযায়ফা ইবনে ইয়ামন রা. বর্ণনা করেন যে, রাসুল সা. বলেছেন, "আমার পরে এমনও শাসক আসবে যারা আমার প্রদর্শিত পথে তোমাদের পরিচালিত করবে না ও আমার সুন্নাহও অনুসরণ করবে না । তাদের কেউ কেউ মানুষের দেহে শয়তানের হৃদয় ধারণ করবে । আমি বল্লাম "ঐ সময় আমরা কি করবো?" বাসুল সা. বল্লেন," ঐসব শাসকের কথা তোমরা শুনবে ও তাদের অনুগত্য করবে । তারা যদি তোমাদের আঘাত করে এবং তোমাদের ধন সম্পত্তিও নিয়ে যায়, তবুও তোমরা তাদের অনুসরণ ও আনুগত্য করবে ।" (বুখারী শরীফ, আধুনিক প্রকাশনী ৩য় খন্ড, ৩৩৩৬, ৩৩৩৭, মুসলিম শরীফ, ইংরেজী অনুবাদ ৫৫২৪)
এখন চিন্তা করে দেখুন, আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবী, রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) অত্যাচারী শাসকদের অনুসরণ ও আনুগত্য করার আদেশ দিয়েছেন তা উম্মতকে ? এর চেয়ে বড় অপবাদ আর কি হতে পারে ? অত্যাচারী শাসককে অনুসরণ ও আনুগত্য করলে কার বিরোদ্ধে জিহাদ করা ফরজ করা হয়েছে ? কোন বিবেকবান মুসলিম এহাদিসকে সত্য হাদিস বলে মেনে নিতে পারে না ।
ভাই । একটু পড়াশোনা করুন । রাসুল(স.) এর সাহাবী হযরত ওমর ( রা ) ইসলামবিরোধী ও ইহুদিদের ক্ষেত্রে কি নীতি অবলম্বন করেছিলেন তা একটু পড়ুন ।
খন্ডিতভাবে কিছু তথ্য দিয়ে সিদ্ধান্তে পৌছা যায় না । হাদিসে স্পস্ট বলা আছে, সাহাবীদের নিয়ম-নীতিও গ্রহণ করতে হবে ।
আপাতত এতটুকু বল্লাম ।
আপনাকে শুধু এতটুকু বলছি :
l إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ إِلَّا مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ وَمَنْ يَكْفُرْ بِآَيَاتِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ l فَإِنْ حَاجُّوكَ فَقُلْ أَسْلَمْتُ وَجْهِيَ لِلَّهِ وَمَنِ اتَّبَعَنِ وَقُلْ لِلَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَالْأُمِّيِّينَ أَأَسْلَمْتُمْ فَإِنْ أَسْلَمُوا فَقَدِ اهْتَدَوْا وَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا عَلَيْكَ الْبَلَاغُ وَاللَّهُ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ l إِنَّ الَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِآَيَاتِ اللَّهِ وَيَقْتُلُونَ النَّبِيِّينَ بِغَيْرِ حَقٍّ وَيَقْتُلُونَ الَّذِينَ يَأْمُرُونَ بِالْقِسْطِ مِنَ النَّاسِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ l أُولَئِكَ الَّذِينَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآَخِرَةِ وَمَا لَهُمْ مِنْ نَاصِرِينَ
আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, নিশ্চয়ই তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, ফেরেশতাগণ এবং জ্ঞানীগণও; আল্লাহ ন্যায়নীতিতে প্রতিষ্ঠিত, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
*নিঃসন্দেহে ইসলামই আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন। যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তারা তো পরস্পর বিদ্বেষবশত তাদের নিকট জ্ঞান আসার পরই মতানৈক্য ঘটিয়েছিল। আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকার করলে আল্লাহ তো হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত তৎপর।
* যদি তারা তোমার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়, তবে তুমি বল ‘আমি আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করেছি এবং আমার অনুসারীগণও’। আর যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে তাদেরকে ও নিরক্ষরদেরকে বল, ‘তোমরাও কি আত্মসমর্পণ করেছ’? যদি তারা আত্মসমর্পণ করে তবে নিশ্চয়ই তারা পথ পেয়েছে, আর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কর্তব্য তো শুধু প্রচার করা, আল্লাহ বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা।
* যারা আল্লাহর আয়াত অস্বীকার করে, অন্যায়রূপে নবীদেরকে হত্যা করে এবং মানুষের মধ্যে যারা ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দেয় তাদেরকে হত্যা করে, তুমি তাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও।
* এসব লোকদের কার্যাবলী দুনিয়া ও আখেরাতে নিষ্ফল হবে এবং তাদের কোনো সাহায্যকারী নেই।-আলে ইমরান ৩ : ১৮-২২
সেই সন্তান পিতার উপর আক্রমনকারী ছিলনা, পিতাকে হেনস্তাকারীও ছিলনা। তাই পিতা হিসেবে ছেলেটির প্রতি মায়া ছিল, তবে এই সন্তান আল্লাহর ব্যাপারে বড় অপরিনামদর্শী ছিল, আর এটাই ছিল তার অপরাধ।
আমাদের সমস্যা হলো, আমরা দাজ্জাল ও কাজ্জাব-র দলের লোকদের সনাক্ত করতে পারি না । কারণ আমরা সব সময় ভুলে যাই : বিবেক হলো মানুষের সবচেয়ে বড় আদালত । যেটা সুরা মুলকের ১০ নং আয়াতই বলা আছে :
وَقالوا لَو كُنّا نَسمَعُ أَو نَعقِلُ ما كُنّا فى أَصحٰبِ السَّعيرِ
[10] তারা আরও বলবেঃ যদি আমরা শুনতাম অথবা বুদ্ধি খাটাতাম, তবে আমরা জাহান্নামবাসীদের মধ্যে থাকতাম না।
দুয়া করার জন্য করা যাবে আর কার জন্য করা যাবে না - এসব তথ্য রাস্তার ফুটপাতে বিক্রি হওয়া চিকন বইগুলোর মধ্যেও থাকে । কিন্তু সমস্যা হলো যুগে যুগে স্বার্থানেষী মহল নিজেদের স্বার্থে নতুন তথ্য সমাজে সরবরাহ করে থাকেন ।
যেমন : মুতা বিয়ে জায়েজ । সৌদি আরবের রাজতান্ত্রিক শাসন ইসলামী ব্যবস্হা । রাজতন্ত্র জায়েজ ।
আমার আর কিছু বলার নেই ।
তবে এতটুকু বলছি : যদি ১৯৯৩ - ১৯৯৪ সালের দিকে আপনার লেখাটা প্রকাশ হতো, তাহলে আমার জন্য সুবিধা হতো । কারণ তখন কম জানতাম । তাই তখন তাসলিমা নাসরিনের ফাসির দাবিতে ঢাকার রাজপথ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিইবের হয়ে কাপিয়েছিলাম । দিনের পর দিন অতন্দ্র প্রহরীর মতো অপেক্ষা ছিলাম : কবে বাংলাদেশ ইসলামী প্রজাতন্ত্র হবে । ইসলামবিরোধীদের বিচার হবে ।
কিন্তু এখন তো দেখছি, রাজতন্ত্র জায়েজ । নাস্তিকদের বিচার না চেয়ে তাদের জন্য দুয়া করতে হবে ।
মেয়েদের সম্মান মর্যাদা দিতে হবে । কিন্তু এখন জানলাম : মেয়েদের মুতা বিয়ের নামে তাদের যৌন জিহাদ করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে ।
হায় রে আলেম সমাজ !!!!!
আপনি যতার্থই বলেছেন..."কিয়ামতের আগে দাজ্জাল ও কাজ্জাব বের হবে । তারা কিন্তু অনেক জ্ঞানী হবেন" ঠিক আপনার মতো।
হাদীস অস্বিকার করার লিংক
আপনি হয়তো জানেন, রাসুল সা. ইন্তেকালের ১০০ বছরের পর হাদিস সংগ্রহ করা একটা উদাহরণ দিচ্ছি : আবু হুরায়রাহ (রা) বর্ণিত যে, রাসুল (সা) বলেছেন "যদি তোমাদের কারো পানীয়ের মধ্যে ঘরের কোন মাছি পড়ে, সে যেন পুরো মাছিটাকেই পানীয়ের মধ্যে চুবিয়ে নেয় । কারণ মাছির এক পাখায় আছে রোগ, আর অন্য পাখায় আছে সে রোগের ঔষধ । (বুখারী শরীফ, ইংরেজী অনুবাদ, ২য় খন্ড ৪২৩ নং হাদিস, ৪র্থ খন্ড , ৬১৯,,, বুখারী শরীফ, আধুনিক প্রকাশনীর বাংলা অনুবাদ, ১ম খন্ড, হাদিস ১২১৫ , ৩য় খন্ড, ৩১৫৬)"
এই হাদিস কি সত্য হতে পারে ? !!!
বুখারী শরীফে ৭৩৯৭ টি হাদিস রয়েছে । এসব হাদিসের মধ্যে অনেক হাদিসই একাধিক বার রয়েছে । ইমাম বুখারী (রহ.) তার মুখস্হ করা ৩ লাখ হাদিস এবং সংগ্রহ করা আরো ৩ লাখ হাদিস হতে এসব হাদিস বুখারী শরীফে স্হান দেন । একজন মুসলিম ভালভাবে বিশ্লেষণ করলে সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন, এই বিপুল পরিমান হাদিস হতে ৬০০০০০-৭৩৯৭=৫৯২৬০৩ টি হাদিস সহিহ মনে করেননি । বুখারী শরীফের ভুমিকায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রাসুল সা. -এর হাদিস ১ লক্ষের বেশী নয় । হাকিম আব্দুল্লাহ নিশাপুরীর মতে সহিহ হাদিস ১০ হাজারেরও কম । এতথ্য হতে সহজেই অনুমেয় যে, কি পরিমান মিথ্যা হাদিস তৈরী করা হয়েছে ।
শুরু হয় । এই সুযোগে গুরুত্বপূর্ণ হাদিস ভুলে যাওয়া এবং তথ্য বিকৃতির সুযোগ অনেক ছিল । বিশেষ করে উমাইয়া বংশের অনেক অত্যাচারী শাসকগণ মিথ্যা হাদিস বানিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য ঐসকল মিথ্যা হাদিস ব্যবহার করেছে । অনেক ক্ষেত্রে ঐসকল মিথ্যা হাদিস দিয়ে কুরআনের আয়াত পর্যন্ত অকার্যকর করা হয়েছে । যেমন :
হুযায়ফা ইবনে ইয়ামন রা. বর্ণনা করেন যে, রাসুল সা. বলেছেন, "আমার পরে এমনও শাসক আসবে যারা আমার প্রদর্শিত পথে তোমাদের পরিচালিত করবে না ও আমার সুন্নাহও অনুসরণ করবে না । তাদের কেউ কেউ মানুষের দেহে শয়তানের হৃদয় ধারণ করবে । আমি বল্লাম "ঐ সময় আমরা কি করবো?" বাসুল সা. বল্লেন," ঐসব শাসকের কথা তোমরা শুনবে ও তাদের অনুগত্য করবে । তারা যদি তোমাদের আঘাত করে এবং তোমাদের ধন সম্পত্তিও নিয়ে যায়, তবুও তোমরা তাদের অনুসরণ ও আনুগত্য করবে ।" (বুখারী শরীফ, আধুনিক প্রকাশনী ৩য় খন্ড, ৩৩৩৬, ৩৩৩৭, মুসলিম শরীফ, ইংরেজী অনুবাদ ৫৫২৪)
এখন চিন্তা করে দেখুন, আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবী, রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) অত্যাচারী শাসকদের অনুসরণ ও আনুগত্য করার আদেশ দিয়েছেন তা উম্মতকে ? এর চেয়ে বড় অপবাদ আর কি হতে পারে ? অত্যাচারী শাসককে অনুসরণ ও আনুগত্য করলে কার বিরোদ্ধে জিহাদ করা ফরজ করা হয়েছে ? কোন বিবেকবান মুসলিম এহাদিসকে সত্য হাদিস বলে মেনে নিতে পারে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন