ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কবি রবীন্দ্রনাথের অবদান!

লিখেছেন লিখেছেন বিবেক ০৮ মে, ২০১৪, ০৫:৪৫:২৪ বিকাল

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আপাদমস্তক একজন সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পূর্ব বাংলার মুসলিম জনগোষ্টির প্রতি যেমনি ছিলেন হিংসূটে তেমনি ছিলেন মারমুখো! বঙ্গ বঙ্গের বিরোধীতা করতে গিয়ে, বঙ্গ ভঙ্গ বিরোধীরা ১৯০৫ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত শুধু পশ্চিমবঙ্গে ৫ হাজারের মত সফল জনসভা করে। এসব জনসভায় হিন্দু নেতারা সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়ে, জনগনকে স্থানীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত ও বিক্ষুব্ধ করে তুলেন। প্রত্যেকটি বড় বড় জনসভায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন; বক্তৃতা বিবৃতি দিয়েছেন। হিন্দু মৌলবাদীদের ক্ষোভকে আরো চাঙ্গা করতে, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আগুনের মাঝে পেট্রোল ঢালার কাজটি করেন। তিনি সমবেত জনতার জন্য কবিতা লিখেন, “উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ভয় নাই ওরে ভয় নাই, নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই”। তিনি এই কবিতা দাঙ্গা উম্মাদ মারমুখো মানুষগুলোর জন্য উৎসর্গ করেন। তারপর থেকে প্রতিটি সমাবেশ শুরুর প্রাক্ষালে এই কবিতা শুনিয়ে যুবকদের রক্তকে গরম করে দিতেন। যাতে তাদের মাথায় খুন ছড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় কলিকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ প্রান হারায়। যাদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ তথা প্রায় ৪৭ হাজার নিহত মানুষ ছিল মুসলমান। বড় পরিতাপের বিষয় ইতিহাস জ্ঞানে অজ্ঞ বাংলার মানুষ সেই কবিতাকে বাংলাদেশের শহীদ মিনারে, সামরিক বাহিনীর স্মৃতি ফলকে, অঙ্কন ও খোদাই করে কিংবা কাষ্ট ফলকে চির ভাস্কর করে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চরম বাধা দানকারীদের একজন ছিলেন। ঢাকাতে যাতে কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা হতে না পারে সেজন্য তিনি আমরন অনশন ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদানীন্তন ভিসি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ মদদে এই বিরোধীতায় তারা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। পশ্চিম বঙ্গের কোন হিন্দু শিক্ষিত নেতা বাকি ছিলেন না, যারা ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা করেননি। এই সমস্থ বুদ্ধিজীবি কল্পনাতেও সহ্য করতে পারতেন না, যে পূর্ব বঙ্গের মানুষ, যারা সংখ্যা গরিষ্টতায় মুসলিম, তারাও শিক্ষিত হবে! পূর্ব বঙ্গের মুসলিম যাতে কোন ভাবেই শিক্ষিত হতে না পারে, তা বন্ধে যত উপায়-অবলম্বন ছিল তার সবটাই তারা প্রয়োগ করেছিল। সেটা যত দৃষ্টিকটুই হোক, বাধা দিতে সামান্যতম কার্পন্য তারা করেনি। উদাহরন হিসেবে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ১৯২৪ সালে পাটনা হাইকোর্টের কাছে হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন; কেননা তিনি ব্যারীষ্টার সাইয়্যেদ হাসান ইমাম নামের এক অচ্ছুত মুসলীমের কাছে কংগ্রেস পার্টি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। মুসলিম শিক্ষিত হবে দূরের কথা তাদের অস্থিত্ব স্বীকার করাও তাদের কাছে কঠিন ছিল।

অসম্ভব মুসলিম ও পূর্ব বঙ্গ বিদ্ধেষী এসব বুদ্ধিজীবির আচরণের কারনে, দেশটি ধর্মীয় ভিত্তিতে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। মুসলমানেরা ধর্মীয় ভিত্তিতে ভাগ হয়ে যেতে কখনও আন্দোলন করেনি। হিন্দু বুদ্ধিজীবি এসব কট্টর, গোঁড়া আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত. ইসলাম বিদ্ধেষী ব্যক্তিবর্গ দ্বিজাতি তত্বের মাধ্যমে দেশ ভাগ হতে, সমুদয় মাল মসল্লা ও উপকরণ যুগিয়েছিল। আমাদের আফসোস! বর্তমানে আমাদের মধ্য থেকেই, মীর জাফর, ঘষেটি বেগমদের জম্ম হচ্ছে, তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য। ধিক্ তাদের অজ্ঞতার প্রতি।

বিষয়: বিবিধ

২৯২৪ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

219110
০৮ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫০
মাজহার১৩ লিখেছেন : উনি আসলে কোন বিশ্বের কবি, ভারত বিশ্ব না অন্য কোন?
০৮ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
166959
বিবেক লিখেছেন : তিনি ছিলেন বাঙ্গালীদের কবি, আর বাঙ্গালী মানে আপাদ মস্তক হিন্দু।
219112
০৮ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
বুঝিনা লিখেছেন : আমাদের আফসোস! বর্তমানে আমাদের মধ্য থেকেই, মীর জাফর, ঘষেটি বেগমদের জম্ম হচ্ছে, তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য। ধিক্ তাদের অজ্ঞতার প্রতি।
০৮ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
166960
বিবেক লিখেছেন : ধিক্ তাদের অজ্ঞতার প্রতি।
219113
০৮ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৭
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : তার লিখা জাতীয় অস্ন্গিত আমরা গাই। হায়রে দেশ যে ব্যাক্তি জাতীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা করতে বাধা দিয়েছে তার লিখা এখন জাতীয় সঙ্গীত Applause Applause Applause
০৮ মে ২০১৪ রাত ১০:৪৯
167024
বিবেক লিখেছেন : হায়রে দেশ যে ব্যাক্তি জাতীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা করতে বাধা দিয়েছে তার লিখা এখন জাতীয় সঙ্গী......এটাই সত্যি হয়েছে
219122
০৮ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩১
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : রবীন্দ্র আমার প্রাণ, রবীন্দ্র আমার গান।
১০ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৯
167550
বিবেক লিখেছেন : যখন আমি সাহিত্য পড়তে যাই, তখন রবীন্দ্র সাহিত্য ভালবাসি। সাহিত্যিক হিসেবে তিনে সেরা।

আবার,

যখন রবীন্দ্রকে একজন হিংসুটে, প্রজাদলীত ব্যক্তি হিসেবে পাই তখন তাকে অপছন্দ করি। তখন দেখি ব্যক্তি হিসেবে তার অবদান মোটেও সম্মানীত নয়।
219134
০৮ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৮
ছিঁচকে চোর লিখেছেন : আপনি বোধহয় মিথ্যা তথ্য দিলেন। তারা চেয়েছিল এই উপমহাদেশ এক ও অভিন্ন থাক। তাইতো তারা বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা করেছিল। কবিগুরুও বিরোধীতা করেছিল। তারা কখনো চাননি যে এই বাংলা ভাগ হোক।
১০ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫১
167552
বিবেক লিখেছেন : বাংলা ভাগ হলে তো তার জমিদারী ভাগ হয়ে যাবে। এটাই তো মুল সমস্যা! পরের কিস্তিতে ব্যাপারটি আমি পরিষ্কার করেছি। এক বাংলা থাকলে তিনি কলিকাতায় বসেই বাংলার জমিদারী ও খবরদারী দুটোই করতে পাবরেন। এই জন্য তিনি বঙ্গ ভঙ্গে ভুমিকা রেখেছেন।
219148
০৮ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৫
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : তিনি পেরেছেন আমাদের সন্তানদেরকে তার সংস্কৃতি লালনকারী বানাতে। অপর দিকে
আমাদের (মুসলিম) অধিকাংশ বুদ্ধিজীবি টাকায় বিক্রয় হয়,
আমাদের আলেম সমাজ বউ তালাকের ফতোয়া খুঁজতে রয়।
১০ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫১
167553
বিবেক লিখেছেন : সুন্দর বলেছেন
219159
০৮ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : দুর হ ছাগু...........।
১০ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫২
167554
বিবেক লিখেছেন : যুক্তি নাই বুঝি! ইসলামের বিরুদ্ধে লিখতে তো ত্রিশুল নিয়ে হামলে পড়েন, এখন সেই ত্রিশুল কই?
219162
০৮ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : হটাৎ করে বেনিয়া ইংরেজদের মুসলিম প্রীতির কারন কি? মা'র চেয়ে মাসির দরদ বেশি??
১০ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৩
167555
বিবেক লিখেছেন : হয় আমার কথার প্রতিবাদ করেন নয় আমার তথ্য মিথ্যা বলে চ্যালেঞ্জ করেন। কোনটাই না করে গালাগালি।

আসলে অন্তত এই ব্যাপারে আপনাদের গালাগালি করা ব্যতীত অন্য কোন অস্ত্র হাতে নাই। সত্যের মাপকাঠিতে যেহেতু

প্রমাণ যখন শেষ হয়ে যায় তখন মানুষ হাত তুলে কথা বলে,
যু্ক্তি যখন শেষ হয়ে যায় তখন মানুষ গালাগালি করে কথা বলে,

আপনাদের অবস্থান সেই পর্যায়ে বস্তুত আমি আপনাদের আচরণের সেই কথাটিই এখানে বুঝাতে চেয়েছি, যে সত্য উৎঘাটনে গেলে তখন পুরো জাতির চোখ খুলে যাবে, নিজেরা নিজেদের দোষ দিবে এই জন্য যে, কি মনে করে, কিসের ভুলে এতদিন কিছু দাদাদের পুজো করেছি।
219174
০৮ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
হতভাগা লিখেছেন : অথচ আজ এই ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে অনেক কালচারাল প্রোগ্রাম হয় ।

আত্মমর্যাদাবোধহীন জাতি কখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না ।
১০ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৩
167556
বিবেক লিখেছেন : তার কোন ন্যুনতম অবদান নাই। তারা বলেছেন, ঢাকায় তিন প্রাণীর বাস! কাক, কুকুর আর মুসলমান।
১০
219204
০৮ মে ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
আহমদ মুসা লিখেছেন : রবিন্দ্রনাথ একজন বিতর্কিত কবি। তার কার্যক্রম থেকে বুঝা যায় সে চরম মুসলিম বিদ্বেষী। অথচ আজ বাংলাদেশে রবিন্দ্রনাথকে পুজা করা শিখানো হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকথায়। এটা খুবই আফসোসের বিষয়।
১০ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
167557
বিবেক লিখেছেন : তিনি চরম সাম্প্রদায়িক কবি।
১১
219273
০৯ মে ২০১৪ রাত ১২:০৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : প্রয়াত ভারতিয় সাহিত্যির খুশবন্ত সিং রবিন্দ্রনাথ সম্পর্কে একবার বলেছিলেন যে রবিন্দ্রনাথ একজন বড় কবি কিন্তু বাঙ্গালি(বাঙ্গালি হিন্দু অর্থেই) তাকে গুরুদেব বানিয়ে যা করছে তাতে রবিন্দ্রনাথ সাহিত্যের দিগন্ত থেকে হারিয়ে যাবে। এই জন্য তাকে প্রচুর আক্রমন এর মুখোমুখি হতে হয়েছিল। বঙ্গভঙ্গ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উভয়এরই বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।
১০ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৬
167559
বিবেক লিখেছেন : পাচ শত বছর পরে ভারতীয় হিন্দুরা বলবে, কলি কালে রবীন্দ্রনাথ নামে একজন সাম্প্রদায়িক দেবতা ছিল। মানুষ তখন সাম্প্রদায়িক পূজা করবে।
১২
219297
০৯ মে ২০১৪ রাত ০১:৩৪
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১০ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৬
167560
বিবেক লিখেছেন : ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File