বিডিআর হত্যায় কেন মির্জা আজম ও নানক জড়িয়ে পড়েছিলেন? উইকিলিক্স এর ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর তথ্য!

লিখেছেন লিখেছেন বিবেক ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৫:১৮:৪৭ বিকাল



মীর্জা আজম:

যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এই হুইপটি পিলখানার ঘটনাকালে বিদ্রোহীদের সাথে সেল ফোনে কথা বলতে শুনা যাচ্ছিল। সে হত্যাকারীদের সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ দেয় কর্নেল গুলজারের চোখ তুলে ফেলতে এবং দেহ নষ্ট করে ফেলতে (এর অডিও রেকর্ড আছে), কেননা র‌্যাবের পরিচালক কর্নেল গুলজারের নেতৃত্বে জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানকে ধরা হয়েছিল ও পরে ফাঁসি দেয়া হয়। শায়খ রহমান ছিল মির্জা আজমের দুলাভাই। আজম এভাবেই দুলাভাই হত্যার বদলা নেয় গুলজারকে হত্যা করে, এমনকি তার লাশও জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও ২০০৪ সালে নানক-আজমের ব্যবস্থাপনায় শেরাটন হোটেলের সামনে গানপাউডার দিয়ে দোতলা বাসে আগুন লাগিয়ে ১১ বাসযাত্রী পুড়িয়ে মারার ঘটনা তদন্ত করে এই গুলজারই নানক-আজমকে সম্পৃক্ত করে। এর প্রতিশোধেই গুলজারে শরীর এমন ভাবে নষ্ট করা হয়, যেনো কেউ চিনতে না পারে। ১৫ দিন পরে ডিএনএ টেষ্ট করে চিহ্নিত করা হয় গুলজারের লাশ।

জাহাঙ্গীর কবির নানক:

এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী। উনি বিডিআরের ঘাতকদের নেতা ডিএডি তৌহিদের ক্লাশমেট। বিডিআর ট্রাজেডির আগে থেকেই তৌহিদ যোগাযোগ রাখত নানকের সঙ্গে। ঘটনার দিন ২০৪ মিনিট কথা বলে তৌহিদ-নানক। ২৫ তারিখ বিকালে পিলখানার বিদ্রোহীদের নিয়ে শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে মিটিং করিয়ে নিরাপদে ফেরত পাঠায় সে। ডিএডি তৌহিদকে বিডিআরের অস্থায়ী ডিজি ঘোষণা করে নানক। কর্নেল গুলজার হত্যায় মীর্জা আজমের সাথে নানক সরাসরি জড়িত। কেননা, র‌্যাবের পরিচালক গুলজারই তদন্ত করে উদঘাটন করে- শেরাটনের সামনে দোতলা বাস জ্বালিয়ে ১১ যাত্রী হত্যা করা হয় নানকের নির্দেশে। ২৫ তারিখে বেঁচে যাওয়া লে: কর্নেল মঞ্জুর এলাহী পালিয়ে ছিল ম্যানহোলে। তার স্বজনরা এসএমএস মারফত খবর পেয়ে নানকের সাহায্য চায়। উদ্ধার করার বদলে ঐ অফিসারটিকে খুঁজে বের করে হত্যা করায় নানক। এটা সেনানিবাসের সবাই জানে। সেনাবাহিনীর তদন্ত পর্ষদ এড়াতে তদন্তের সময় নানক হঠাৎ বুকের ব্যথার অযুহাতে চিকিৎসার কথা বলে অনেকদিন সরে থাকে সিঙ্গাপুরে। এ নিয়ে সেনা অফিসারদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ব্রিগেডিয়ার হাসান নাসিরকে চাকরীচ্যুত করে হাসিনা।

বিষয়: বিবিধ

২১৭৮ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

182640
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৬
আইল্যান্ড স্কাই লিখেছেন : এটা তো দিবালোকের মতো সত্য যে এই হত্যাকান্ড দিল্লীর দালাল রাজাকার স্বৈরাচারীদল আওয়ামীলীগ সরাসরি জড়িত এবং তারাই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
135033
বিবেক লিখেছেন : ধন্যবাদ
182641
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৮
আমি মুসাফির লিখেছেন : ফাসি চাই হাসিনার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
135035
বিবেক লিখেছেন : ধন্যবাদ
182642
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৯
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : সেনা হত্যার বিচার চাই ।

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৪
135036
বিবেক লিখেছেন : দেশপ্রেমিক সেনা হত্যার বিচার চাই, সে জন্য ভারতীয় এই দালাল সরকারের উৎখাত চাই।
182646
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৬
সিকদারর লিখেছেন :
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৪
135038
বিবেক লিখেছেন : ধন্যবাদ
182648
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৫২
আল্লাহর সন্তুষ্টি লিখেছেন :
২০০৪ সালে নানক-আজমের ব্যবস্থাপনায় শেরাটন হোটেলের সামনে গানপাউডার দিয়ে দোতলা বাসে আগুন লাগিয়ে ১১ বাসযাত্রী পুড়িয়ে মারার ঘটনা তদন্ত করে এই গুলজারই নানক-আজমকে সম্পৃক্ত করে। এর প্রতিশোধেই গুলজারে শরীর এমন ভাবে নষ্ট করা হয়, যেনো কেউ চিনতে না পারে। ১৫ দিন পরে ডিএনএ টেষ্ট করে চিহ্নিত করা হয় গুলজারের লাশ

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৫
135039
বিবেক লিখেছেন : সঠিক! বর্তমানের ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী বানাবার দায়িত্ব এই দুই জানোয়ারের উপর হাসিনা ন্যস্ত করেছিলেন। ছাত্রজীবনে এরা দুই জন আগাগোড়াই মানুষ হত্যার মহরত চালিয়েছে।
182666
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৬
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ১ , এই হত্যাকান্ডের বিচারের পদ্ধতি ও রায়ে শহীদ সেনা পরিবার কি সচ্ছ বলে মেনে নিয়েছে ?
২, এই হত্যাকান্ডের নেপথ্যে কি কারণ ছিল ?কারা জড়িত ছিল ?এবং তাদের কি কোনো সাজা হয়েছে বা হবে ?
৩ , এই হত্যাকান্ডের পেছনে কি বিদেশী রাষ্টের ইশারা রয়েছে ? বা বিদেশী কোনো রাষ্টের ইশারা রয়েছে কি না তার খুজ নেওয়া হয়েছে ?
৪ , সরকারের ভুমিকা কি ছিল ? প্রশাসনের সকল স্থরের ভুমিকা কি ছিল ?এসব তদন্ত করা হয়েছিল ?
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
135051
বিবেক লিখেছেন : এই হত্যাকাণ্ড ভারতের সহযোগীতায় শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করেছেন, উইকিলিক্সে এভাবেই এসেছে:

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘RAW’এর পরিকল্পনায় ও ব্যবস্থাপনায় ”পিলখানা হত্যাকান্ড” ঘটে। এর মূল লক্ষ ছিল- পাদুয়া ও রৌমারীর ঘটনার বদলা নেয়া এবং বিডিআর বাহিনী ধংস করে দেয়া। ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিডিআর-বিএসএফ যুদ্ধে ১৫০ জন বিএসএফ নিহত হয়। এর আগে পাদুয়ায় নিহত হয় ১৫ বিএসএফ। বিডিআর ডিজি মেজর জেনারেল এএলএম ফজলুর রহমানের নির্দেশে ঐ যুদ্ধে অংশ নেয় বিডিআর। ঐ ঘটনার পরে ভারতীয় ডিফেন্স মিনিষ্টার জসবন্ত সিং উত্তপ্ত লোকসভায় জানান, ”এ ঘটনার বদলা নেয়া হবে।” লক্ষ করুন, ১৯৭১ সালে যে সব শর্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত সামরিক সাহায্য দেয়, তার অন্যতম শর্ত ছিল “Frontier Guards will be disbanded” (CIA Report SC 7941/71). অর্থাৎ বাংলাদেশের কোনো বর্ডার গার্ড থাকবে না। কিন্তু স্বাধীনতার পরে নানা কারনে পাকিস্তান রাইফেলস বালাদেশ রাইফেলসে (বিডিআর) রূপ নেয়। বিডিআর বাহিনীটি ছিলো আধাসামরিক বাহিনী, যার মূল কমান্ড ও ট্রেনিং ছিলো সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের মত। অন্যদিকে ভারতের বিএসএফ ছিলো সিভিল বাহিনী, যাদের ট্রেনিং, জনবল সবই ছিলো নিম্নমানের। এসব কারনে বর্ডারে কোনো যু্দ্ধ হলে তাতে বিডিআর সামরিক পেশাদারিত্ব দিয়ে বিজয়ী হত।

পাদুয়া-রৌমারীর বদলা নেয়ার জন্য বিডিআর বাহিনী ধংস করার পরিকল্পনা করে ভারত। এ লক্ষে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী সময়টিকে বেছে নেয়া হয়- যখন হাসিনার নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহনের পর পর নাজুক সময়। অনেকেই মনে করেন, ভারতীয় পরিকল্পনায় নির্বাচন ছাড়া অপ্রত্যাশিত পদ্ধতিতে হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর নানা শর্তের মধ্যে একটি গোপন শর্ত থাকতে পারে “বিডিআর ধংস করা।” চুড়ান্ত রিস্ক থাকা স্বত্ত্বেও হাসিনাকে তা মেনে নিতে হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিডিআর সৈনিকদের দাবীদাওয়ার আড়ালে মুল প্লানটি বাস্তবায়নের জন্য মোট ৬০ কোটি রুপী বরাদ্দ করে ভারত। এর মধ্যে পিলখানায় ১৫ থেকে ১৭ কোটি টাকা বিলি হয়, যাতে প্রতিটি অফিসারের মাথার বদলে ৪ লক্ষ টাকা ইনাম নির্ধারন করা হয়। ১৯ ও ২১ ফেব্রুয়ারী ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বাছাই করা ১৫ জন শুটারকে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়, যারা পশ্চিম বঙ্গ সরকারের পাঠানো (প্রেমের নিদর্শন) ১ লক্ষ মিষ্টির সাথে বাংলাদেশে ঢুকে। একজন বেসামরিক দর্জি’র কাছ থেকে বিডিআর এর পোশাক বানিয়ে বিডিআর সপ্তাহ উপলক্ষে পিলখানায় উপস্থিত থাকে শুটাররা। তাদের দায়িত্ব ছিলো লাল টেপওয়ালা (কর্নেল ও তদুর্ধ) অফিসারদের হত্যা করা। তারা একটি বেডফোর্ড ট্রাক ব্যাবহার করে ৪ নং গেইট দিয়ে প্রবেশ করে ২৫ তারিখ সকালে। ঘটনার দিন সকাল ১১টায় বাংলাদেশের কোনো সংবাদ মাধ্যম জানার আগেই ভারতের “২৪ ঘন্টা” টিভিতে প্রচার করা হয় জেনারেল শাকিল সস্ত্রীক নিহত। অর্থাৎ মূল পরিকল্পনা অনুসারেই খবর প্রচার করে ভারতীয় গণমাধ্যম!

পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে বা আর্মির পদক্ষেপে শেখ হাসিনার জীবন বিপন্ন হলে তাকে নিরাপদে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতীয় ৩০ হাজার সৈন্য, ছত্রীবাহিনী ও যুদ্ধবিমান আসামের জোরহাট বিমানবন্দরে তৈরী রেখেছিলো ভারত। বিদ্রোহের দিন ভারতের বিমান বাহিনী IL-76 হেভি লিফ্‌ট এবং AN-32 মিডিয়াম লিফ্‌ট এয়ারক্রাফট নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পূর্ণ সহায়তা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলো। ঐসময় প্রণব মুখার্জীর উক্তি মিডিয়ায় আসে এভাবে, “এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে সব ধরণের সহায়তা দিতে ভারত প্রস্তুত। … আমি তাদের উদ্দেশ্যে কঠোর সতর্কবাণী পাঠাতে চাই, যারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে, তারা যদি এ কাজ অব্যাহত রাখে, ভারত হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না, প্রয়োজনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে।”
182740
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৫
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : দুনিয়াতে অনেক সত্যই উদঘাটন হয় না কিন্তু শেষ বিচারের দরবারে সব্বাইকে দাড়াতে হবে বিচারের জন্য।
182763
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:২৯
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
182823
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩২
আহমদ মুসা লিখেছেন : উল্লেখিত লোকগুলো খুবই খারাপ কাজ করেছে।
১০
182899
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৫৩
সজল আহমেদ লিখেছেন : আমরা তাদের ভুলবনা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File