ফেলে দেওয়া থুতু চেটে খেলেন খালেদা: হাসিনার এতটুকু ক্ষিপ্ত হবার ও চটে যাবার হেতু কি?
লিখেছেন লিখেছেন বিবেক ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:১৮:৪৯ দুপুর
এটা হল প্রধানমন্ত্রীর খেদোক্তি। এই কথার মাঝে তাঁর গোস্বা, তেজ, ক্ষিপ্ততা, বেদনা ও আশাহতের গন্ধ পাওয়া যায়। মূলত তিনি মনে প্রাণে আশা করেছিলেন এই নির্বাচনেও বিরোধী দল আসবে না।
জাতীয় নির্বাচন আর স্থানীয় নির্বাচন কোনদিন এক নয় এক হবার নয়। কোন পাগলকে যদি প্রধানমন্ত্রী আহবান করে বলেন, যে কোন দুইটির মাঝে একটি তুমি পছন্দ কর সেটিই তোমাকে দেওয়া হবে।
১। ৩০০ আসনের সংসদের সংসদ সদস্য, নাকি
২। ৪৮১ আসনের উপজেলা চেয়ারম্যান
পাগল অবশ্যই বলবে সংখ্যায় কম হলেও সংসদ সদস্যদের আসন চাই।
কেননা সংসদের ৩০০ আসন হাতে থাকলেই, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, প্রেসিডেন্ট হওয়া যাবে। সেনাপতি-বিচারপতির উপর মাতব্বরি করা যাবে। দেশে বিদেশের রাজা-বাদশা দের কাছাকাছি থাকা যাবে। জাতি সংঘে গিয়ে উপদেশ দেওয়া যাবে। অর্থ মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী সহ সকল মন্ত্রণালয়ের প্রভু হওয়া যাবে। স্পেশাল পাসপোর্ট ব্যবহার করা যাবে, স্পেশাল নিরাপত্তা নেওয় যাবে। দেশের সমুদয় অর্থ সম্পদের উপর হাত রাখা যাবে। দেশের সকল বাহিনী গুলোর দণ্ড মুণ্ডের কর্তা হওয়া যাবে। যাকে তাকে ধরে জেলে ঢুকানো যাবে আর ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে মানুষকে ক্ষমা করা যাবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান যদি ১০০০ জনও থাকে, তাহলে উপরের কোন একটি কাজও কি একক ভাবে করা সম্ভব? সুতরাং
দুটো নির্বাচন এক নয়,
দুটোর ফায়দাও এক নয়,
দুটোর ক্ষমতাও এক নয়,
দুটোর সম্মান এক নয়,
দুটোর বিশ্ব পরিচিতি এক নয়,
দুটোর মান এক নয়
দুটোর গ্রহণযোগ্যতা এক নয়।
প্রধানমন্ত্রীকে উপদেষ্টারা বুঝিয়ে ছিলেন, জামায়াত শেষ, বিএনপি চিড়ে-চ্যাপ্টা, হেফাজত খন্দকে লুকিয়েছে, জাতীয় পার্টি বশ মেনেছ, আওয়ামীলীগে আকাশে উড়ছে আর জনগণ আঙ্গুল চোষায় এবং চিন্তায় ব্যস্ত কি করা উচিত এই নিয়ে। সুতরাং দেশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাকী ক্ষমতা এখনই বাগে আনা উচিত।
তাই প্রধানমন্ত্রী ভেবেছিলেন লোভনীয় অথচ জরুরী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট অংশগ্রহণ করেনি সুতরাং উপজেলাতেও একই অজুহাতে অংশ গ্রহণ করবে না। প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রতীয়মান হল জনগণ শোধ নেওয়া শুরু করেছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী খেপেছেন-চটেছেন এ কারণে যদি অধিক সংখ্যক আসনে বিরোধী দল জিতে যায়, তাহলে যারা একই জায়গা থেকে বিনা নির্বাচনে জিতেছেন প্রার্থীর অভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে মন্ত্রী হয়েছেন তাদের ক্ষমতায় স্থলাভিষিক্ত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। অনির্বাচিত ব্যক্তি নির্বাচিত ব্যক্তিদের উপর ছড়ি ঘুরানো কোথায় সহজ হলেও সর্বত্র সহজ হবেনা। গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দেশবাসী ও দুনিয়া-বাসী খুঁচিয়ে, খেঁচিয়ে, ফুটিয়ে, হাঁসিয়ে তির্যক বাণ তাদের প্রতি ছুড়তে থাকবে। তারা এসব বে কায়দার প্রশ্নের উত্তর দিবেন নাকি দেশ চালাবেন। দেশ যেভাবেই চলুক অন্তত কোথাও গিয়ে বিনা প্রশ্নে ঘরে ফেরার সুযোগ আওয়ামীলীগ সরকারের আর থাকছে না! নিজেদের ভুলে গর্তে নিজেরাই পা ঢুকিয়ে দিল।
এই কারণে প্রধানমন্ত্রীর এত চটা, এত রাগ, এত গোস্বা। না পারছেন হজম করতে, না পারছে বমি করতে, না পারছে দলীয় মানুষদের জোড় করে বড়ি গেলাতে, না পারছে উপদেষ্টাদের বকাঝকা করতে, কেননা এই সময়ে আরেকটি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দাতা প্রধানমন্ত্রী নিজেই।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রধানমন্ত্রী খেপেছেন-চটেছেন এ কারণে যদি অধিক সংখ্যক আসনে বিরোধী দল জিতে যায়, তাহলে যারা একই জায়গা থেকে বিনা নির্বাচনে জিতেছেন প্রার্থীর অভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে মন্ত্রী হয়েছেন তাদের ক্ষমতায় স্থলাভিষিক্ত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই
মন্তব্য করতে লগইন করুন