বামের কথায় কান দিয়া তিনি গেলেন অধঃপতনে! কণ্যা যাবেন কোন হানে??
লিখেছেন লিখেছেন বিবেক ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৪:৩৩:০৫ বিকাল
বাম! নিশ্চয়ই বাম দেখেছেন। আহ, হা এই বাম, জান্ডু বাম কিংবা টাইগার বাম নহে। এই বাম আরো মারাত্মক বাম আর সেই বাম হল, ইনু-মেনদের বাম। এই বামের কথায় একবার যে কান দিয়েছে, নির্ঘাত সে জাহান্নামে গেছে। আমাদের জাতীর বাবা, যিনি আজিবন গনতনেন্ত্রর জন্য হাঙ্গামা করেছেন। জনগনের অধিকার ফিরিয়ে দেবার জন্য তিনি ছাত্রজীবনে পরীক্ষা দিতে পারেন নি। তিনি পাকিদের হাতি বন্ধি থেকেছেন (নিন্দুকেরা বলে স্বেচ্ছা নির্বাসন)! দেশে জেল খেটেছেন। সেই তিনি ১৯৭৩ সালে জীবনে একবার ‘বাম’ দের পরামর্শ (কু-পরামর্শ) নিয়েছিলেন। বাম নেতা মনি সিংয়ের পরামর্শে মাত্র চার ঘন্টার ব্যবধানে বাংলাদেশের সকল দলকে (সন্ত্রাসীনির্ভর আওয়ামীলীগ সহ) ঝেঁটিয়ে বিদায় করে, বাংলাদেশের একমাত্র রাজা হিসেবে গদিনশীন হয়েছিলেন!
কু-বুদ্ধির মহারাজ বাম নেতা মনি সিংয়ের এক কান কথায় জাতির বাবা পুরো জীবনের গনতান্ত্রিক রাজনীতিকে বিসর্জন দিয়ে বাকশাল কায়েম করার কারনে, জাতির বাবা সকল সন্তানদের কাছে অবিস্বস্থ বাবা হিসেবে চিহ্নিত হন। বাবার এই ধরনের বাম ভীমরতির কারণে, পরবর্তীতে জাতি তাহাদেরকে ২১ বছর ধরে ক্ষমতার ধারে কাছেও ভিড়তে দেয়নি।
জাতির বাবার কন্যা ‘জগত ভগ্নি’ তাহার পিতার নৃশংস মৃত্যুর কাহিনী বলেও যখন জনগনের ভোট পাচ্ছিলেন না। ২১ বছর পরে তিনি মাথায় হিজাব, হাতে তসবিহ, সাথে জায়নামাজ, মুখে সুবহানাল্লাহ বলে মানুষের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইলেন। তিনি নিজের এবং পিতার শাসনকালের অন্যায় অত্যাচারের জন্য তওবা করেন এবং জাতির কাছে ক্ষমা চান। তাঁকে যাতে এইবার ভোট দিয়ে একবার হলেও পরীক্ষা করেন। সে লক্ষ্যে দেশের সকল পীর, বুজুর্গ, গাউস, কুতুব, দরগাহের খাদেমের বারবার কাছে ধর্ণা দেন। তিনি দলবল সহ টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমায় আলীশান সামিয়ানা টানিয়ে দেড় ঘন্টা লম্বা মোনাজাতে শরীক হয়ে একটি হজ্বের সমান এবাদত হাসিল করিয়ে বুঝিয়ে দেন তিনি, ইমানদার হইয়া গেছেন! অবশেষে ইমানদার, মুমীন, মুসলমানের ভোটে তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসীন হলেন।
তিনি ক্ষমতায় এসে ইসলামের জন্য অনেক ভূমিকা রাখেন। মাদ্রাসা গুলো নিয়ন্ত্রনে আনার সিদ্ধান্ত নেন। মসজিদ গুলোতে দলীয় নেতাদের মতোয়াল্লী হিসেবে আওয়ামী মতোয়াল্লী লীগ গঠন করেন। তিনি মুসলিম জাতির কাছে বিরাট একটি জিনিষ প্রমাণ করেন যে, ‘মসজিদের ভিতরে হিন্দু পুলিশেরা জুতা নিয়ে ঢুকে নামাজীদের পিটাইলেও আল্লাহর গজব পড়ে না’। এই ঘটনায় তাহার সাহস ও হিম্মত বহু গুনে বাড়িয়া যায়। তিনি বুঝিতে পারেন আল্লাহ অনেক ধর্য্যশীল! অন্তত মসজিদে ঢুকে মুসল্লী পিটালেও আল্লাহর ধর্য্যের সীমা ছড়িয়ে যায় না।
২০০৮ সালে তিনি আর আগের ঘটনার জন্য ক্ষমা চাননি। তিনি দেখেছেন! স্বাধীনতা ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার জন্য পাকিস্থান থেকে যে ভুখন্ড কেড়ে নিয়েছিলেন। সে দেশে এখন শুধু ফকির আর ফকিন্নীরাই রাজত্ব করে। অবশেষে তারা এমন মানুষে পরিনত হয়েছে, যারা ভাতের অভাবে মানুষ হত্যা করে এবং সিগারেটের অভাবে রাস্তায় ভিক্ষা করে! ৮০শতাংশ মানুষই দিনে আনে দিনে খায়। তিনি বলে বসলেন ‘১০ টাকায় এক কেজি চাউল দেওয়া হবে’। মানুষ ১০ টাকার চাউল খেতে তার পিছনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কানে শ্রীরামের দুল, হাতে শ্রী কৃষ্ণের চুড়ি, মাথায় সীতাদেবীর মত লম্বা চুল ওয়ালা আধা নর আধা নারী মার্কা ছেলেদের বলা হল, ইন্টারনেট ফ্রি করা হবে, পুরো দেশটাই ডিজিটালের নাচন কুর্দনে টালমাটাল হবে। প্রতি ঘরের একজনকে (আওয়ামী মাস্তানদের) চাকুরী দেওয়া হবে। আহা হা আর লাগে কি! চাউল, চাকুরী, ডিজিটাল খুশী! এই তিনটি মাগনা পাওয়ার মতই। দলে দলে ফকির, গরীব, মিসকিন জাতির ভগ্নিকে এমন ভোট দিল পুরো পৃথিবীর ইতিহাস তাতে ফেল মারল।
মানুষের ভালবাসার মজবুত ঠেলায় ভোট পড়ল কোথাও ভোট পড়ল ৭০%, কোথাও ৮০% কোথাও ৯৭% কোথাও গিয়ে তা ঠেকেছে ১০৫%! এই আচানক ভয়ানক ভোট সুনামীর ফল নিয়ে সংবাদিকেরা নির্বাচন করিশনার শামশুল হুদাকে পাকড়াও করলে তিনি কপালের চুল চুলকিয়ে বললেন, ‘এটা কিভাবে হল আমিও বুঝতে পারছিনা’! ৬০% ভোট আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে যদি কখনও কাষ্ট হত, তাহলে পৃথিবীবাসী আমেরিকার প্রেসিডেন্টের খুশীর উলঙ্গ নাচ উপভোগ করতে পেত। তবে বাংলাদেশের ১০৫% ভোটের ডিজিটাল তেলেশমাতি দেখে পুরো জাতি ভোঁতা বাশের মোথা গুঁতা খাইয়া বেহুশ হয়ে পড়ল। জগত ভগিনী এই ভোটের সয়লাবে ক্ষমতায় বসিয়া ২০২১ সালের চেয়ারের রং কেমন হইবে তাহাই ভাবিতে রহিলেন। মাঝখানে যে, ২০১৪ সাল বলে একটি কথা আছে সেটার কথা বেমালুম ভুলিয়া গেলেন। তিনি ২০১৪ সাল পার করার জন্য দেশের সংবিধানকে আকড়াইয়া ধরিয়াছেন, তিনি ভোটের মত মারাত্মক বিপদসংকুল জায়গায় দ্বিতীয়বার যাইতে চাহেন না। যে জাতি ১০৫% ভোট মারতে পারে তাহারা যে আগামী নির্বাচনে ২১০% ভোট মারবে না এতটুকু আস্তা জাতির উপর রাখতে পারছেন না। ফলে তিনি খরকুটোর মত শেষ আশ্রয় হিসেবে তাহার স্বর্গবাসী পিতার বাকশালের দিকে নজর দিয়াছেন কেননা কু-বুদ্ধির ভারে ন্যূজ টাকলা মাথার চান্দি গরম বামে’রা পরামর্শের ফাটা ঝুড়ি নিয়া এখন জাতির ভগ্নির চারিদিকে ঘুরঘুর করিতেছে..........
বিষয়: বিবিধ
১৬০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন