হে আল্লাহ, তুমি আমাদেরকে মাফ করো। শান্তি দাও। মজলুমদেরকে নিরাপদ করো।

লিখেছেন লিখেছেন মাহমুদ ০৩ মার্চ, ২০১৩, ০৮:৫৯:৩৩ সকাল

অনেক দুরে থেকেও সারাক্ষণ মন পড়ে থাকে বাংলাদেশে, যদিও বিশ্বের আরও অনেক জায়গায় কিছু মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট-কান্না শোনার কেউ নেই। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন যতটুকু যা বুঝতে পারছি তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। জনগণ এখন বেপরোয়া, কারও কোন কমান্ড শুনছে বলে মনে হয় না। দেশের মিডিয়া তৎপর দোষারোপ করার কাজে। প্রকৃত খবর তারা সরবরাহ করছে না। কেউ কেউ সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়ার চেষ্টা করছে। পত্রিকাগুলোর খবর পড়ে তার মারপ্যাঁচ বুঝে ধরে নিতে হচ্ছে কে সত্য আর তার কতটুকু সত্য। খুবই কঠিন একটা কাজ।

বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও প্রকৃতপক্ষে ইসলাম জানে এমন লোক এদেশে এখনও কমই। ইসলাম জানা-বুঝার অন্যতম মাপকাঠি হচ্ছে শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন। এ জাতি এখনও অনেক পিছিয়ে। দুই-তিন বছর ধরে বিচারের নামে হত্যার আয়োজন চলছে তবুও আলেম সমাজের দেখা পাওয়া গেল না। আর বিশ্বনবীর বিরুদ্ধে কথা বলার আবেগ দিয়ে তাঁরা ঠিকই জেগে উঠলেন। মাওলানা সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে- এই কথা বলে ঠিকই একশ্রেণী এ জাতির সাথে তামাশায় লিপ্ত হলো। যারা মনে করছেন 'ইসলামি' বিপ্লবের সময় হয়েছে তারা খুবই বোকার স্বর্গে বাস করছেন। জাতি এঁদেরকে এখনই আস্থায় নিয়ে আসলে শীঘ্রই আশাহত হবে। পথ অনেক বাকী।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার জাত আবার চিনিয়েছে। এদেশের নাস্তিক সম্প্রদায় সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক মানুষগুলোর একটি। ৯৬ এ এই সরকার মোটামুটি ভাল চালালেও এবার পড়েছে মহা সঙ্কটে। জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে তরুণপ্রজন্মের একটা অংশকে যেভাবে মোটিভেইট করা হয়েছে যে এখন নির্যাতন আর ভয়ভীতি দেখিয়ে দলটিকে নিশ্চিহ্ন করা ছাড়া সেখান থেকে বের হওয়ার আর কোন উপায় নেই। তবে সেটাও কতটুকু কাজে আসবে দেখার বিষয়।

চলমান সঙ্কটে জামায়াতের লাভ শুধু একটা জায়গায়। তারা আলোচনার কেন্দ্রে থাকায় নিজেদেরকে সব মহলে পরিচিত করার সুযোগ পাচ্ছে। এইসব নেতৃবৃন্দ নির্দোষ- এরকম প্রতিদিন দৈনিক সংগ্রামের পাতায় তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখেও কাজের কাজ কিছুই হতো না। একশ্রেণীর মিডিয়ার অসততা তুলে ধরারও সুযোগ তৈরি হয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে মিডিয়াগুলো অচিরেই হারিয়ে যাবে। তবে ক্ষতির দিকটি হচ্ছে, এ আন্দোলনের সময় যেখানে যা ঘটছে তার সব দায় এদেরকেই বহন করতে হবে এবং হচ্ছে। আর দলটির অবস্থান আদর্শিক দিক থেকে নড়বড়ে হলে আরও অনেকগুলো ক্ষতির সম্ভাবনা আছে।

সরকারের উদ্দেশ্য যে ভালো না, সেটা দিনের আলোর মতই পরিস্কার। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতার পরে এত বড় ধ্বংসযজ্ঞ আর হয়েছে বলে আমার জানা নেই। বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে পুলিশ সরাসরি গুলি করছে কেনো? ভয় দেখানোর জন্য? তাহলে সেটা যে সফল হয়নি তা তো এখন স্পষ্ট। যদি বিক্ষোভ দমন নিয়ন্ত্রণের বাইরেই হয়ে থাকবে তবে সেনাবাহিনী নামাচ্ছে না কেন? নাকি তাকে পুলিশ বাহিনীর মত ব্যবহার করা যাবে না সেজন্য?

আরও কিছুদিন যাবত কেবল মানুষই মরবে, আমি কোন আশার আলোই দেখছি না।

বিষয়: বিবিধ

১১৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File