মুখোশ-১: বাংলা ভাষায় নাস্তিকতার উত্থান: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ই হচ্ছে এদেশে নাস্তিকতার সুতিকাগার
লিখেছেন লিখেছেন নয়ন খান ০২ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:৩২:৪৫ রাত
প্রধানমন্ত্রীর পি এস মাহবুব উল হক শাকিলের সাথে রাজধানীর সব মসজিদকে পাবলিক টয়লেট বানানোর দাবীদার আসিফ মহিউদ্দীন
হাসিনার সহকারী সচিব (মিডিয়া) হল এই চরিত্রহীন নাস্তিক মাহবুব উল হক শাকিল । নিউইয়র্কে হসিনার সফরসংগী হয়ে হোটেলে অপর এক মহিলা সফরসংগীর উপর হামলে পড়েছিল। মহিলার চিতকারে হোটেলের কর্মচারীরা এসে শাকিলকে ধরে ফেলে। হাসিনার হস্তক্ষেপে পরে সে ছাড়া পায়।
মহানবীর বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের সনাক্ত এবং শাস্তির ব্যবস্থা করতে কিংবা হেফাজতকে ঠান্ডা করতে সরকার যে কমিটি গঠন করেছে তার সভাপতিই হল এই শাকিল। সে হল নবীজীর শানে চরম কটুক্তিকারী, নাস্তিক সভাপতি আসিফের দোস্ত। আপনারাই বলুন ঐ শাকিল তার দোস্তদের কি সনাক্ত করবে? মানে কিনা শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দেওয়া!
আসিফ হচ্ছে চরিত্রহীন নাস্তিক প্লাটুনের একজন সক্রিয় সদস্য। বাংলাদেশের প্রথম শিশুপর্নোগ্রাফীর সে ফাউন্ডার এডমিন।
আসিফকে যখন দেশদ্রোহী কর্মকান্ডের জন্য পুলিশ গ্রেফতার করে তখন রাতভর তাকে পুলিশ থেকে ছড়ানো এবং তাকে যেন মারপিট করা না হয় সে জন্য ব্যস্ত ছিলো জাফর ইকবাল এবং সুলতানা কামালের মত মিডিয়া নাস্তিকেরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আব্দুল মালেকের খুনী তোফায়েল আহমেদ কর্তৃক ঘোষিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম 'শহীদ' থাবা বাবার অংকিত চিত্র এখনো আমার কালেকশনে আছে। সেটি দিলাম না। আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) কে নিয়ে ব্যংগ করে রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)এর নোংরা চিত্র অংকন করেছিল ওই জাহান্নামী। তার কুতসিত লেখার সাইটকে এখনো সরকার বন্ধ করেনি।
ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলা ভাষায় শুধু নয় বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে কুৎসিত সাইট 'ধর্মোকারী ডট কম এখনো সচল।
হালের নাস্তিক জাফর ইকবালের জুনিয়র বন্ধু আসিফ মহিউদ্দীন, প্রধানমন্ত্রী হাসিনার টেক সাপোর্ট ও সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তথ্য সরবরাহকারী অমি রহমান পিয়াল ওরফে ঝুমু খান, শাহরিয়ার কবিরের ভাবশিষ্য সানিউর ওরফে নাস্তিক নবী, ইমরান এইচ সরকারের বন্ধু নিতাই ভট্টাচার্য ওরফে আরিফুর রহমান এ লাইনে কিন্তু প্রথম না। এদের শুরু অনেক আগ থেকেই। বে-নামে, কু-নামে এরা ইসলামের বিরুদ্ধে এমন কোন অশ্লীল মন্তব্য নাই, যা করে নাই।
অমি রহমান পিয়াল হল আবার আওয়ামি লীগের মুখপাত্র ও চরম ইসলাম বিদ্বেষী নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪’র সিনিয়র কর্মকর্তা। “নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে” নামক ইসলামের বিরুদ্ধে নোংরা ভাষায় লিখিত ৭৪ পৃষ্ঠার দীর্ঘ প্রবন্ধের লেখক। আমার দৃঢ বিশ্বাস কোন মুসলমান যাঁর দীলে তিল পরিমাণ ঈমান আছে সে ৭৪ পাতা দূরে থাক এক পাতাও পড়তে পারবে না। আমার কাছে এখনো সংরক্ষিত আছে। কল্পনাও করতে পারবেন না এই পাপিষ্ঠ এটা লিখল কিভাবে। এর শিকড় যে একেবারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত বিস্তৃত।
এমন একটা সময় ছিল যখন নামকরা অনেক কবি, সাহিত্যিক নিজের নামটাকে লুকিয়ে সুন্দর এবং ছোট্ট ছদ্মনাম ধারণ করে লিখতেন। এখনো অনেকে লেখেন। ঊদ্দেশ্য যদি মহৎ হয় তাতে তো দোষের নেই।
কিন্তু সমস্যা তখনই দেখা দেয় যখন কেউ পুরুষ হয়েও মহিলার নাম ধারণ করে অথবা হিন্দু হয়েও মুসলিম সেজে বিশ্রী ভাষায় বিভিন্ন ইন্টারনেট গ্রুপে এক বিলিয়নেরও বেশী মানুষের -ধর্মীয় বিশ্বাস এবং নিজ দেশের বিরুদ্ধে বিরামহীনভাবে কীবোর্ড চালিয়ে যায়।
নিজের বিশ্বাস যাই হোক না কেন (তাতে কারো যায় আসে ও না), কারও বিশ্বাসে আঘাত করাও যে জঘন্যতম অপরাধ তা তারা উদ্দেশ্যমুলক ভাবে না জানার ভান করে। অথচ এই ব্যধিগ্রস্ত লোকেরা উপলব্ধি করে না যে তারাও দুনিয়ার বুকে দাংগা, হাংগামা সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে কম ভূমিকা রাখছেন না।
এদের উদ্দেশ্যও হয়তো হবে মানুষজনেরা তাদের নিয়েই ব্যস্ত থাকুক। আমরা তাই বিস্তারিতভাবে সেদিকে আলোচনায় যাব না, শুধু পাঠকদেরকে মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির এই হীন অপতৎপরতা সম্পর্কে সচেতন করতে যেটুকু তুলে না ধরলেই নয়, সেটুকু নিয়েই আলোকপাত করব ইনশাআল্লাহ।
নিজেকে লুকোনোর যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, কম্পিউটার কিংবা ইন্টারনেটের এই যুগে আসল নামটা এক সময় নিজের ব্যক্তিগত সমস্ত গোপন খবরাদি নিয়ে বের হয়ে আসতে পারে। তখন একটি মিথ্যেকে প্রতিষ্ঠিত করতে শত শঠতা, মিথ্যে ও ভণিতার আশ্রয় নিতে হয়।
বিভিন্ন ই-গ্রুপে বছর ২০০৩ সালের দিকে ‘রুদ্র মুহম্মদ’ নামে ইসলামকে তুলোধুনো করে নিয়মিত লিখত। পরে তার কম্পিউটারে কৃত এক্রোবেট পিডিএফ ফাইলের প্রপার্টিজ এবং আইপি এড্রেস তালাশ করে দেখা গেল ‘রুদ্র মুহম্মদ’ নামের মুখোশধারী হলেন স্বঘোষিত নাস্তিক সিংগাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তণ ছাত্র অভিজিত রায়। অভিজিত মুক্তমনা ও ভিন্নমত নামের চরম ফ্যাসিস্ট দুটি ওয়েবসাইট ও ইয়াহুগ্রুপের কর্ণধার। সাথে রেখেছেন গুটি কতেক মুখোশধারী ‘কুদ্দুস খান’, ‘মেহুল কামদার’, ও ‘বিপ্লব পাল’ কে। তসলিমা নাসরিনের কবিতা “..............পাখি হয়ে ফিরব একদিন” ছেপে ও তার গুণকীর্তনের মধ্য দিয়ে ২০০৭ সালে মুক্তমনার নিবেদন ‘মুক্তান্বেষা’ র প্রথম বর্ষ , প্রথম সংখ্যা বের হয় ঢাকার ৬/৭ সেগুন বাগিচা ও বি/৬ ডোমিনো এল্ডোরাডো থেকে। যোগাযোগের জন্য নাম দেয়া হয়েছে সাইফুর রহমান তপনের
“..............পাখি হয়ে ফিরব একদিন”
চলবে...
বিষয়: বিবিধ
৩৫১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন