সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখীই কাল হল ব্যারিস্টার মীর আরমানের
লিখেছেন লিখেছেন নয়ন খান ১০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:২৭:১২ রাত
মীর আরমান আহমাদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পরিচিত মুখ। বোঝাই যায় সজীব, সতেজ, কর্মক্ষম এক যুবক। সারাক্ষণই তার কান খাড়া! দুনিয়ার খবর তার ফেসবুক, টুইটারে। মুসলিম উম্মাহর খবর!
বাবাকে মৃত্যুদন্ড দিবে এই জালিম সরকার কয়েকদিন পরেই, কিন্তু তার ওয়ালে ভাসে ফিলিস্তিনের মানচিত্র গুগল মুছে ফেলেছে তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠার, শর্মিলার ১৬ বছরের অনশন ভাঙার খবর, কিংবদন্তী হিজাবী মহিলার বাস্কেটবল খেলার খবর, Being a refugee is not a choice -র সাথে সহমর্মিতার খবর।
সেই ছেলেকে বাংলাদেশের গুপ্তবাহিনী আজ গভীর রাতে তুলে নিয়ে গেল। কোন ওয়ারেন্ট নাই, মামলাও নাই। সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি - তার এই হাল!
কারণ? বাবা যে মীর কাশেম আলী! যুদ্ধাপরাধের রায় কার্যকর বরবাদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত! সব রায় কার্যকরের আগেই জামাত নেতাদের ছেলেদের বিরুদ্ধে এমনি রিপোর্ট করেছে দলদাস মিডিয়া।
নিজের বাড়ী হল মানুষের সবচেয়ে নিরাপত্তার স্থান। যেখানেই থাকে না কেন মানুষ ছুটে আসে নিজের ঘরে শান্তির খোঁজে। সেই স্থানটিকে শয়তান শাসকেরা করেছে সবচেয়ে অনিরাপত্তার যায়গা। বাড়ীতে একজনও পুরুষ নেই, আরমানের বোন তাহেরার ফেসবুকে কি আকুতি! কি করব, কোথায় যাব? ভাইয়াকে সাদা পোশাকের একদল লোক তাদের ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে!
চিন্তা করুন কি ভয়ংকর অবস্থা! আপনার তরতাজা বাবাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসি দিচ্ছে, বড় ভাইকে সরকারী সন্ত্রাসী বাহিনী তুলে নিয়ে যাচ্ছে! আপনি কিছু বলতেও পারবেন না! শুধুই উপরের দিকে চাওয়া- এই হলো আজ বাংলাদেশে ইমানদার মানুষদের নিত্যদিনের চিত্র!
মীর আরমান মানারাত থেকে এ, ও লেভেল শেষ করে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে এলএলবি ডিগ্রী নেন এবং পরে বার এট ল নেন। এছাড়া ভূইয়া একাডেমীর শিক্ষকও ছিলেন।
বিষয়: বিবিধ
৫১১৩ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহু মুস্তায়ান!!!!
কিন্তু যত লম্বাই হোক দিন, এর শেষ আছেl
তখন কী হবে এ আওয়ামী নমরুদদের?
কোনো ওয়ারেন্ট বা লিখিত ডকুমেন্ট ছাড়া সাদা পোষাকের কয়েকজন মানুষ ঘর থেকে তুলে নিয়ে গেলো একজন আইনজীবিকে যিনি একজন ব্যারিষ্টার। দরজায় নক করা থেকে তুলে নেয়া পর্যন্ত সময়ও বেশ ছিল। বর্ণনা অনুযায়ী অন্তত ১৫ মিনিটের বেশী ছিল। এই সময়ের ভেতর কছু লোক জড়ো করা কি একেবারে অসম্ভব ছিল? পুলিশকে কি ফোন করা হয়েছিল? করা হলে তাদের রেস্পন্স কি ছিল? আর সাদা পোষাকের লোকদেরকে দেখার পর দরজা খুলে দেন কেনো একজন আইনজীবী? তারা যদি জোর করে দরজা ভেংগে তাকে তুলে নিতো তাহলেও এক্টা প্রমান থাকতো। এখনকার যুগে ছবি তুলে রাখা বা ভিডিও করাও কোনো বিষয় না। এসব করা হয়েছে কিনা তাও জানা যায়নি।
উপরের প্রশ্নগুলো কেউ কেউ উত্থাপন করছেন। জানা থাকলে কেউ জবাব দিন। প্রশ্নগুলো একেবারে ফেলনা না।
জাজাকাল্লাহ, যৌক্তিক জবাব দেবার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন