একের পর এক খুন! মারছে কারা জংগী না (গোপন) পুলিশ?
লিখেছেন লিখেছেন নয়ন খান ০৬ জুন, ২০১৬, ০৯:৩৯:৫৩ রাত
এতদিন জংগীরা টার্গেট করে শুধুমাত্র চিহ্নিত নামজাদা নাস্তিকদের, হালনাগাদ এদের সাথে সমকামীদেরকে হত্যা করে আসছিল। যেমন জুলহাজ, তন্ময়, অভিজিত, থাবা বাবা ইত্যাদি। ওদের নিশানা মিস হয়নি, বিচারও হয়নি। এবার ওরা মারের ধরন পাল্টালো। পরিবারের উপর আঘাত! পর্দানশীলা মহিলা মিতু, যিনি কিনা বাড়ীতে ডিশের সংযোগও নেননি বাচ্চারা ভাল বাংলা শিখবে না, মানুষ হবে না এই ভয়ে। সেই বাংলাদেশে তিনি এটা করতেন যে দেশে এখন কিনা পরকীয়ায় ভরা নাটক-সিনেমা বাবা-মা, ভাইবোন মিলে উপভোগ করে! প্রথমে চাপাতি দিয়ে কোপ, পরে গুলি! এই গুলিও নতুন সংযোজন।যে বন্দুক দিয়ে গুলি করা হয়েছে সেই বন্দুকও নাকি খোদ পুলিশই ব্যবহার করে থাকে!
পুলিশের ভাষ্য, এরা ইসলামী জংগী। মানে ইসলামী জংগীরা পর্দানশীলা মহিলা, নিষ্পাপ এক মহিলাকে হত্যা করেছে! আর পুলিশের এটা বলার অর্থও হল, রায় হয়ে গেছে, বিচার শেষ! আজ পর্যন্ত এরকম একটা হত্যারও মোটিভ উদ্ধার হলো না এবং হবেও না - এটা মোটামুটি আওয়ামী বিহীন বাংলার আম-জনতা নিশ্চিত।
তাহলে মারছে কারা? যাদেরকে পুলিশ ট্রেস করতে পারছে না, বা ট্রেস করছে না? কি করে সম্ভব একটা রাস্ট্র এই ধরনের হত্যার মোটিভ বের করে না? উল্টো জংগী বলে দায় সারে? অবৈধ প্রধানমন্ত্রী আ্যম্বাসডরদের অফিসে ডেকে বলে এটা বিএনপি-জামাতের কাজ! যেন সে বিরোধী দলীয় নেতা যার কাজ হল দোষারোপ করা!
পুলিশের ভেতর যে ভারতীয় এক ভয়ংকর প্যারালাল শক্তি আছে যেটা সাধারণ পুলিশও জানেনা, তারাই কি এর পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারী নয়?
দেখুন: গোপনে বাংলাদেশ পুলিশে ভারতীয়দের নিয়োগ
বাংলাদেশের কোন মানুষ, এমনকি কোন জংগী গোষ্ঠীও এরকম কাজ করতে পারেনা। তাদের বিবেক কোন এক হিজাবী মহিলাকে মারতে বাধা দিবে।
৫ই মে'র হাজার হাজার হেফাজত কর্মীর পুলিশের পোশাক পড়া খুনীরা যে বাংলায় কথা বলতে পারত না, সেটা তো সেদিনের উপস্থিতিরাই সাক্ষ্য দিয়েছে।
এই ভৌতিক শক্তির নাম কি? আইএস (ইসলামিক স্টেট) বা দায়িশ? বিশ্বের মুসলিম স্কলাররা একবাক্যে বলছে ওরা মুসলিম না। দায়িশের দ্বারা সবচেয়ে বেশী মুসলিমরাই নির্যাতিত। সেই দায়িশ ঢুকে পড়েছে আজ বাংলাদেশ পুলিশে, ভারতীয় পোষ্য হাসিনার ল' এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি সমূহে, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।ওদের বিচার হবে না। একের পর এক খুন হবে জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধিদের, চৌকষ কর্মকর্তাদের হোক তা পুলিশ, আর্মি, বিজিবি বা সিভিল প্রশাসনের!
স্বদেশ কেন্দ্রিক রাজনীতির উপাদানসমূহ নিধনের পর বাংলাদেশে এখন ভারতীয়করণের দ্বিতীয় পর্যায় অতিক্রম করছে।
এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে প্রমান করা হবে জংগীদের উর্বর ভূমি হল বাংলাদেশ, যার ইন্ধন দাতা হল বিএনপি, জামাত। আর এদের সমূলে উতপাটন করতে একমাত্র সেক্যুলার শক্তি আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই।
এরপরেই আসবে চুড়ান্ত পর্যায়, অফিসিয়ালি নিষিদ্ধকরন! আওয়ামী মানে ভারত বিরোধী সবকিছুকেই ধ্বংস করা হবে, ভারতের অফিসিয়ালী কলোনীতে পরিণত হবে বাংলাদেশ!
#বাংলাদেশ #সেইভবাংলাদেশ #Bangladesh #SaveBangladesh
বিষয়: বিবিধ
২৫৭৬৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://www.bd-desh.net/newsdetail/detail/34/219035
মন্তব্য করতে লগইন করুন