আজ ৭ই জানুয়ারী, ফেলানী হত্যা দিবসঃ এক নজরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত
লিখেছেন লিখেছেন নয়ন খান ০৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ১২:০৮:৪৭ রাত
কে রক্ষা করবে এই হতভাগা বাংলাদেশীদের যারা নিজ দেশেও পরবাসী?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেখানে বলে সীমান্তে গুলির ব্যাপারে আমরা ঐক্যমতে পৌঁছেছি, সরকার যেখানে প্রতিবাদ তো দূরের কথা 'ভারত', 'ভারত' পূজা করতে উন্মাদ, বিরোধী দল এক বছর পর মন্ত্রীসভা গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ত, সেখানে কে দেশের মানুষের কথা বলবে? বিএসএফ বিশেষ বিশেষ দিবসে হত্যা করছে বাংলাদেশীদের।
সীমান্তে বিএসএফ আগ্রাসন : বাংলাদেশী নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা ও গুম
বিশ্বের সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত; সরকারের ৪ বছরে নিহত ২৫০; ঈদের দিনেও খুন হচ্ছেন বাংলাদেশী
সীমান্তে বিএসএফের হত্যাযজ্ঞ বেড়েই চলেছে (ভিডিও)
নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল সোমবার ৭ জানুয়ারি ‘ফেলানী হত্যা দিবস’। ২০১১ সালের এই দিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে ১৪ বছরের কিশোরী ফেলানীকে।
শুধু হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি বিএসএফ। হত্যার পর সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার সাথে তারা ঝুঁলিয়ে রাখে ফেলানীর মরদেহ। আর এই কিশোরীর নিথর দুটি হাত মাটির দিকে এবং পা দুটো উপরের দিকে কাঁটাতারের সাথে ঝুঁলিয়ে রেখে চরম নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় বিএসএফ।
শুধু ফেলানী-ই নয়, প্রতিবছর এ রকম বহু বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হচ্ছেন। খুব নিকটে বললে ঠাকুরগাঁও আর চাঁপাইনবাবগঞ্জে চারজনকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। এছাড়া আজ রোববার ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে চারজনকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী।
আর এসব হত্যা আর ধরে নেয়ার ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছে সীমান্তের অধিবাসীরা। প্রতিনিয়ত স্বজন হারানোর বেদনায় তাদের বুক খালি হলেও এ নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। উল্টো সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মরক্ষার্থে সীমান্তে গুলি চালানোর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।
অথচ বারবার সীমান্তে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করেনি ভারত সরকার।
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, ভারতের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আগের বছরের তুলনায় ২০১২ সালে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনা বেড়েছে। প্রতিটি ঘটনাতেই নিরস্ত্র বাংলাদেশিরা নিহত হয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১২ সালে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন ৩৮ জন। ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩১ জন। আর ২০০৯ সালে বিএসএফের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ৯৮ জন এবং ২০১০ সালে এ সংখ্যা কমে ৭৮ জন হয়েছিল। কিন্তু ২০১১ সালে কিছুটা কমলেও ২০১২ সালে তা আবারো বেড়েছে।
রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম/একেএ/এমআই_ ২২২২ ঘ.
বিষয়: বিবিধ
১৩০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন