বাড়ছে ভারতীয় বিনিয়োগ: অভিন্ন মুদ্রা চালুতে ঢাকার প্রস্তাব: রাবিশ মন্ত্রী সমাচার
লিখেছেন লিখেছেন নয়ন খান ২৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০১:১১:৪১ রাত
ইতোপূর্বে না হলেও গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব খাতেই ভারতীয় বিনিয়োগের আধিপত্য দেখা যাচ্ছে। ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র স্থাপনে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনটিপিসির সঙ্গে এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে। গ্যাস অনুসন্ধানে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে আসছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেড (ওভিএল) ও অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। আগামী আগস্টে সাগরের দুটি ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানের চুক্তি হতে যাচ্ছে। টেলিকম খাতে বিনিয়োগ বাস্তবায়ন করেছে ভারতী এয়ারটেল। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ওয়ারিদের শতভাগ শেয়ার কিনে নিয়েছে। প্রসাধন খাতে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ করেছে মেরিকো। যানবাহন তৈরিতে নতুন বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে টাটা। বিনিয়োগ নিবন্ধন করেছে টায়ার নির্মাতা সিয়াট। জানা যাচ্ছে, গার্মেন্ট খাতে বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে ভারতীয় কোম্পানির। দেশীয় গার্মেন্ট কেনার আগ্রহও রয়েছে ভারতীয়
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। গেল কয়েক বছরে গার্মেন্ট খাতে ভারতের বিনিয়োগ কত, তা জানা যায় না। বিনিয়োগ বোর্ড থেকে স্থানীয় প্রশাসন কেউ এসব তথ্য সংগ্রহ করে না।
বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে ভারতীয় গণমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে ওভিএলের প্রধান নির্বাহী দিনেশ কে সারাফ বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে এখানে বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে সার উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে ওভিএলের। দক্ষিণ এশিয়ায় বৈদেশিক বিনিয়োগপ্রবাহ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩-১২ এক দশকে এ অঞ্চলে বিনিয়োগপ্রবাহ বাড়িয়ে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে ভারত। এ সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের মোট বিনিয়োগের ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশই এসেছে বাংলাদেশে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে ভারতকেই দেখছে সংস্থাটি।
বৃহত্তর ভারতের অন্যতম বিনিয়োগ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত পেতে যাচ্ছে
বাংলাদেশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী
সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আদি গোদরেজ এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগের যথেষ্ট উপযুক্ত স্থান। ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সব খাতেই বিনিয়োগ করতে চায়। আর এ জন্য সরকারের কাছে পণ্য পরিবহনে ট্রানজিট সুবিধা ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ী শিল্পী গোষ্ঠী। অন্যদিকে দেশের ব্যবসায়ী মহল ও সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের এমন বিনিয়োগের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তারা। তারা বলছেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগের পরিমাণ খুবই কম। বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে নতুনভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে বাংলাদেশ। উল্লেখ অবৈধ পথে বিনিয়োগের কোনো হিসাব পাওয়া যায় না।
বিনিয়োগ বোর্ডের তথ্য মতে, বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আইন ও নীতিমালা শিথিল থাকলেও স্বাধীনতার পর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভারতীয় মালিকানাধীন ৬২টি প্রতিষ্ঠান মাত্র ২১ কোটি ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ মালিকানায় ১৬৮টি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ হয়েছে ৩৮ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ভারতের ২৩০টি প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ মাত্র ৫৯ কোটি ডলার। বিনিয়োগ বোর্ডের সাম্প্রতিক তথ্যানুযায়ী, একক ও যৌথ মালিকানায় ভারতীয় প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২৬টি কৃষিভিত্তিক শিল্পে, খাদ্য শিল্পে ছয়টি, টেক্সটাইল শিল্পে ৩৫টি, প্রিন্টিং, পাবলিশিং ও প্যাকেজিংয়ে সাতটি, ট্যানারি ও রবারে তিনটি, রাসায়নিক খাতে ৫৪টি, গ্লাস ও সিরামিকসে চারটি, প্রকৌশল খাতে ৩৬টি এবং সেবা খাতে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ এসেছে।
সূত্র আরও জানায়, একক ও যৌথ মালিকানায় ভারতীয় উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে সব মিলিয়ে যে ২৩০টি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে সেবা খাতে। এর মধ্যে এ্যাপোলো হাসপাতাল ও টেলিকম খাতে এয়ারটেলের বিনিয়োগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেবা খাতে এ দুটিই ভারতের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। কিন্তু শিল্প খাতে উল্লেখ করার মতো বড় ধরনের কোন বিনিয়োগ না থাকায় এবার এ খাতে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে তিন দিনের আনুষ্ঠানিক সফরে এসে ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আদি গোদরেজ বলেছিলেন, আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো অবকাঠামোগত দিক থেকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানকে কাজে লাগানো। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে ভারতের অন্যান্য অংশের মধ্যে মালামাল পরিবহন উন্নত করা যায় কিনা, বাংলাদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতসহ ভারতের অন্যান্য অংশে রফতানি উৎসাহিত করা যায় কিনা এ বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, তেল ও গ্যাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, নানা ধরনের ভোগ্যপণ্য, কৃষি ইতাদি খাতকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। এসব খাতেক প্রাথমিক অবস্থায় ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায় ব্যবসায়ীরা। সফরে আসা একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশের টেকসই এসএমই খাতের বিকাশে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব করেন তারা। ভারতীয় উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি, আইসিটি, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের উন্নয়নসহ সম্ভাবনাময় শিল্পখাতে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে তাদের। এদিকে দুই মাস আগে আবাসন খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে ভারতের আরেক বড় শিল্পীগোষ্ঠী সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার বাংলাদেশে আসে। স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণে ভারতীয় এ কোম্পানি আবাসন খাতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করতে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করে। এরই মধ্যে ভারতের এ গ্রুপটির বাংলাদেশ সাহারা মাতৃভূমি নামে কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে নানা কারণে তাদের ফ্লাট নির্মাণ প্রকল্প স্থগিত রয়েছে।
বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ ক্রমে বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক
অস্থিরতায় এ হার কিছুটা কমে এসেছে। গেল কয়েক বছরে বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ কয়েকটি দেশ। ২০১২ সালেই দেশের মোট জিডিপিতে বিনিয়োগের অবদান ছিল ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে বিনিয়োগের এ হার হতে হবে ৩৮ শতাংশ। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্টরাও বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী ভারতকেই বাংলাদেশের মূল ভরসা মনে করছেন। তবে এর সঙ্গে একমত হতে পারছে না বিনিয়োগ বোর্ড। তাদের দাবি, এক্ষেত্রে মূল বাধা ছিল দেশটির বৈদেশিক বিনিয়োগের নীতিমালা। বিনিয়োগ বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ৪১ বছরে বাংলাদেশের মোট বিদেশী বিনিয়োগে ভারতের অবদান মাত্র ৩ শতাংশ। অবস্থানগত দিক দিয়ে এক্ষেত্রে ভারত রয়েছে ১২তম স্থানে। প্রথম অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য। পরের অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডস।
বাংলাদেশ-ভারত সরাসরি চলবে পণ্য পরিবহন জাহাজ : বাংলাদেশকে পরিবহন সড়ক হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছে ভারত। ইতোমধ্যে ভারতের ত্রিপুরায় খাদ্যশস্য পরিবহনে বাংলাদেশ অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস)। আইএএনএস- কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার খাদ্যমন্ত্রী ভানুলাল সাহা। পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর দিয়ে প্রবেশ করে আশুগঞ্জ হয়ে ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব মিজোরাম, মণিপুর ও ত্রিপুরা রাজ্যে যাবে। প্রথমবারের এই চালানে চাল, গম ও চিনি নেয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১১ সালের মে মাসে ত্রিপুরায় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাপাতি নেয়া হয় বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে পালটানায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় ওই যন্ত্রাংশের চালান বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রিপুরা নেয়া হয়।
পণ্য পরিবহন সহজ করতে শিগগিরই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সরাসরি উপকূলীয় জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও স্থলপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে চাপ কমানোর অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পণ্যবাহী জাহাজ ব্যবসায়ীরা জানান, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজে পণ্য পরিবহন করা হলে সময় ও ব্যয় দুটিই কমবে। চুক্তির খসড়া অনুযায়ী, ভারতের তিনটি বন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া হবে। এই বন্দরগুলো হলো পশ্চিবঙ্গের হলদিয়া, ওডিশার পারাদ্বীপ ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তম। আর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে মালামাল পরিবহন করা হবে। সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ না থাকায় এখন ভারতের কোনো বন্দর থেকে বাংলাদেশে পণ্য আনতে হলে তা প্রথম শ্রীলঙ্কার কলম্বো, মালয়েশিয়ার পেনাং অথবা সিঙ্গাপুর যায়। সেখান থেকে আবার বাংলাদেশে আসে। একই পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য যায়। একটি চালান আসতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২১ দিন। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হলে শ্চিমবঙ্গের হলদিয়া ও পারাদ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম কিংবা মংলা বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আসতে সময় লাগবে মাত্র ১৬ ঘণ্টা। আর বিশাখাপত্তম থেকে আসতে সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন দিন। এতে করে পণ্য পরিবহন ভারতের ব্যয় অনেকাংশেই
হ্রাস পাবে। বর্তমানে ভারতের মূল ভূখন্ডের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি
পণ্য রপ্তানি এবং সেখান থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানির বড় অংশই
পশ্চিমবঙ্গ-সংলগ্ন স্থলবন্দরগুলো দিয়ে সম্পন্ন হয়। তাতে ভারতের পরিবহন
ব্যয় বেশি হয়। জানা গেছে, ভারতের চেন্নাই বা অন্য কোনো বন্দর থেকে জাহাজে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বা মংলায় পণ্য আনতে হলে যেহেতু সিঙ্গাপুর বা শ্রীলঙ্কা হয়ে আসতে হয়, সেহেতু প্রতি টন পণ্য আমদানিতে গড়ে প্রায় এক হাজার ২০০ ডলার ব্যয় হয়। নতুন ব্যবস্থায় সরাসরি জাহাজ চালানো গেলে এ ব্যয় অন্তত এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসবে। অর্থাৎ ব্যয় হবে প্রায় ৪০০ ডলার।
তবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল-সংক্রান্ত চুক্তির খসড়ায়
আন্তর্জাতিক মানদন্ড- কিছুটা শিথিল করার কথা বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক
মানদন্ডে উত্তীর্ণ জাহাজের পরিবর্তে কিছুটা ছোট আকারের জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান নৌ-প্রটোকলের আওতায় যে মানদন্ডে জাহাজ চলাচল করে, সে ধরণের জাহাজে পণ্য পরিবহনের সুযোগ দেওয়া হবে। ২০১১-১২ অর্থবছরে ভারত প্রায় ৪৭০ কোটি ডলারের পণ্য বাংলাদেশে রফতানি করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি হয়েছে ৪৯ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য।
ভারতীয় এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সড়কপথে প্রতি একক দূরত্ব অতিক্রম করতে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল খরচ হয়, তার মাত্র ১৫ শতাংশ দিয়েই জলপথ বা সমুদ্রপথে একই দূরত্ব অতিক্রম করা যায়। আর রেলপথের অর্ধেক জ্বালানি খরচ হয় জলপথে। আবার সড়কপথের মাত্র ২১ শতাংশ ও রেলপথের মাত্র ৪২ শতাংশ খরচ হয় জলপথে বা সমুদ্রপথে। সার্ক দেশগুলির মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে এক অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের রাবিশ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত৷ অন্ততপক্ষে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই মুদ্রা চালুর প্রস্তাব করেন তিনি৷ কিন্তু বিনিময়ে কি অর্থ শুল্ক হিসেবে বাংলাদেশ পাবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি।।
[url href="http://amaderbudhbar.com/?p=2335" target="_blank"অভিন্ন মূদ্রা[/url]
বিষয়: বিবিধ
১৩৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন