এমন অপদার্থ মন্ত্রীসভা বাংলাদেশ গত দুইশো বছরে দেখেনি!

লিখেছেন লিখেছেন নয়ন খান ১৩ নভেম্বর, ২০১৩, ১২:০৮:৩২ রাত



এমন গর্দভ মন্ত্রী পরিষদ দিয়েই হাসিনা পার করলো পাঁচ বছর! কেউ কল্পনায়ই আনেনি এমন কিসিমের লোকও বাংলাদেশে থাকতে পারে। তাও আবার সরকারের এত্ত বড় সব পজিশনে।



এদের কথা অনুযায়ীই দেশ চলল! এখানেই হাসিনার বড্ড সাফল্য। কেউই একবিন্দু নড়চড় করলো না। এক মন্ত্রী এদিক সেদিক করলে খালেদা জিয়ার পূরো মন্ত্রীসভা যেখানে নড়বড় করত, আর হাসিনার অনুসারীদের গায়ে একটুও লাজ-লজ্জা লাগল না।

পা ছুঁয়ে আবারো পা চাটার বদদোয়া চাইলেন ৫ প্রতিমন্ত্রী

চাটুকার সবখানেই মিলে গেল। পেয়ে গেল আব্দুল হান্নান, কাহহার আকন্দ, গোলাম আরিফ টিপু। আব্বে সব বিচারপতি! কলংকও যেন হার মানায়। আ্যটর্নি জেনারেল! সোনা মানিক, সিনহা!

প্রধান বিচারপতি পর্যন্তও? তাও কি সম্ভব? এত অপদার্থ একসাথে কিভাবে সম্ভব হল?

পুলিশ প্রধান পেতেও অসুবিধা হল না। পেয়ে গেল মেহেদী হাসান, বেনজীর আহমেদ, প্রদীপ সাহা আরো কত! ক্ষমতার শেষ পর্যায়ে এসেও এদের বর্বরতায় কমতি নাই।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আ স ম কি যেন আরেফিন, নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেনদের মত কুশিক্ষখদেরও পেতেও সমস্যা হল না!

ব্যাংকে বারাকাত, বিজিবি, সেনাবাহিনী, পিজি হাসপাতাল সবখানঐ একই ধরনের সেট-আপ!

এদের পরিবার-পরিজনও কি নাই? কেউই তাদের বলেনা যে এভাবে বিবেক বিসর্জন কেন তারা দিতে পারেন?

পাবনার কাচারীপাড়ার এক সময়ের উকিল টুকুর ছেলের কথা জানি। সে লন্ডনে ল' পড়ছে। ওর বন্ধুরা বলে এমন অসভ্য ছেলে আর দুনিয়ায় দেখে নাই। চরিত্র দূরে থাক, ন্যূনতম আদব-কায়দার বালাইও নাই!

কথা ওইটাই: যখন মানুষ একটা পাপ করে তখন তার অন্তরে একটা কালো দাগ পড়ে। দুইটা করলে দুইটা দাগ, এভাবে তিনটা, চারটা, পাচটা......। এমনি করতে করতে একসময় পুরো অন্তরটা সাদা থেকে কালো দাগে রুপান্তরিত হয়। তখন তার সাদা আর কালোর মধ্যকার পার্থক্য বোঝার ক্ষমতা থাকেনা।

আওয়ামী লীগ নামক এই রোগ যাকে ধরেছে সে আর মানুষ থাকে না। হয়ে যায় অন্য এক প্রাণী, যার নাম আওয়ামী লীগই। অভিধানে এর সম্পূরক নাম আর নাই। বাংলাদেশ মাইনাস আওয়ামী লীগ মানেই হল শান্তিময় বাংলাদেশ।

বিষয়: বিবিধ

১৮০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File