সীমান্ত হত্যা-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফাই। সোচ্চার হোন, আওয়াজ তুলুন ৭ জানুয়ারী ফেলানী দিবসে অন্যায়ের বিরুদ্ধে
লিখেছেন লিখেছেন নয়ন খান ০২ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৭:৩৭:২৪ সন্ধ্যা
এ কেমন কথা! কোন দেশের এ মন্ত্রী,মখা আলমগীর?
নীচের নিউজটি পড়ুন।
ফেলানীর লাশ কাঁটাতারে ঝুলিয়ে দেয়ার দুই বছর পার হয়ে গেল। কত কথা হল। কিন্তু সরকারের টনক নড়ছে না। দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেয়া যাদের দায়িত্ব, তারা কিনা তাদের জীবন তুলে দিচ্ছে শত্রুর হাতে!
আসুন আমরা আওয়াজ তুলে, চীতকার করে বিশ্ববাসীকে জানাই এই অন্যায় বন্ধ হচ্ছে না। সরকারের বিবেকহীন, মনুষত্যহীন মন্ত্রীদের বিবেককে জাগ্রত করি।
ব্লগাররা লিখুন, প্রতিবাদ করুন।
আত্মরক্ষার্থে সীমান্তে গুলির অনুমতি আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সীমান্তে গুলির পক্ষে সাফাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
ঢাকা, জানুয়ারি ০২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ‘আত্মরক্ষার প্রয়োজনে’ দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের গুলি ছোড়ার অনুমতি দেয়ার বিষয়ে নয়া দিল্লির সঙ্গে একমত হয়ে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
নতুন বছরের প্রথম দুই দিনে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে চার বাংলাদেশির প্রাণ হারানোর পর বুধবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, কেবল ‘আত্মরক্ষার প্রয়োজনে’ দুই সীমান্ত বাহিনীকে গুলি করার বিষয়ে নীতিগতভাবে মতৈক্য হয়েছে।
“গত মাসে ভারতে গিয়ে সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে একমত হয়েছি।”
তিনি একইসঙ্গে বলেন, “কোনো পক্ষ থেকেই গুলি চালাবে না, যদি না আত্মরক্ষার প্রয়োজন হয়।”
বিএসএফের গুলিতে মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে দুজন এবং বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর সীমান্তে দুজন নিহত হন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে ২০১২ সালে ৪৮ জন বাংলাদেশি নিহত হন বলে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব।
সীমান্তে নতুন বছরের শুরুতে চার বাংলাদেশির নিহত হওয়ার বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “তদন্ত করে যদি দেখা যায়, সীমান্তরক্ষীরা আত্মরক্ষার জন্য গুলি করতে বাধ্য হয়েছে, তা হলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
“আর যদি দেখা যায় আত্মরক্ষা নয়, ভিন্নতর কোনো কারণে কিংবা অসাবধানবশত বা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তাহলে আমরা যে পদ্ধতিতে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছি, সেই পদ্ধতিতেই এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য তাদের নজরে আনব এবং আমাদের তরফ থেকেও ব্যবস্থা নেব।”
বুধবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে অধিদপ্তরের ২৩তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন মন্ত্রী।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে শুধু দেশেরই নয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখেও রয়েছে বিএসএফ।
ঢাকার পক্ষ থেকে বারবার প্রতিবাদ জানানোর পর সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয় নয়া দিল্লি। তবে হত্যাকাণ্ড থামেনি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র গত ৩১ ডিসেম্বর এক পরিসংখ্যানে জানায়, ২০১২ সালে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক ৩১৯টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ১৫৫টি।
২০১২ সালে ৪৮ জন নিহত হওয়া ছাড়াও ১০৬ জন আহত এবং ১৪০ জন অপহৃত হন বলে মানবাধিকার সংগঠনটি জানায়।
বিদায়ী বছরে গুলি ছোড়ার পাশাপাশি হাতবোমা নিক্ষেপ, ঘরে ঢুকে নির্যাতন, গাছে ঝুলিয়ে পেটানো, বেয়নেটে খুঁচিয়ে জখম, হাত-পা ভেঙে দেয়া, উলঙ্গ করে পেটানো, কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়ে বিএসএফ নির্যাতনের নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মূল্যায়ন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইকবালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে অধিদপ্তর কার্যালয়ে আলোচনা সভা, জনসচেতনামূলক মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং মাদক সনাক্তকরণ পদ্ধতি প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়া পোস্টার-লিফলেট বিতরন, ভ্রাম্যমাণ মাদকবিরোধী সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও করা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এলএইচ/এমআই/১৮৫৫ ঘ.
বিষয়: বিবিধ
১৫৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন