সেই নেতারা
লিখেছেন লিখেছেন নয়ন খান ০৩ জুন, ২০১৩, ০৯:২৬:৩৩ রাত
সবাই হাসছিল একদিন।
আর এখন?
সামনের সারির বামদিক থেকে
বেন আলী:
নিষিদ্ধ করেছিল কোর'আন। মুসলিম নাম নিয়ে ইসলামের এমন শত্রু তুরস্কের কামাল পাশার পরে বুঝি
আর কেউ জন্মায় নাই।
ইসলাম নামের সমস্ত কিছু বন্ধ করেছিল এই শয়তান। আরবী হরফ, স্কার্ফ নিষিদ্ধ করেছিল। মসজিদে নামাজ নিয়ন্ত্রিত করেছিল লেডি হিটলার হাসিনার পোষ্য শামীম আফজাল নামের একজন কূলাংগারের মত মানুষকে দিয়ে। তিউনিসে পানির চেয়ে মদ বেশী পাওয়া যেত। বেশ্যাদের প্রকাশ্য নেত্রী ছিল বেন আলীর বউ। মুসলিম ব্রাদারহুডের টপ নেতাদেরকে ফাঁসি দিয়েছিল বিনা অপরাধে। আলেমদের উপর নির্যাতনের এমন কোন পদ্ধতি নাই তা সে প্রয়োগ করেনি।
ইতিহাসে কি নির্মম পরিণতি এখন বেন সউদী হাসপাতালে। ওর বউ লায়লা মাথায় স্কার্ফ দিয়ে এখন সউদীর রাস্তায় চলাফেরা করে।
আলী সালেহ আব্দুল্লাহ
নিজেকে আমেরিকার সবচেয়ে বড় পাপেটে পরিনত করেছিল। মস্ত বড় প্রাসাদ বানিয়েছিল গরীব জনগনের
টাকা দিয়ে। সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেছিল সবচেয়ে বড় নির্যাতনকারী হিসাবে।নিশ্চিহ্ন করেছিল সবচেয়ে বড় বিরোধী দলকে। আলেমদের দিয়ে ভর্তি করেছিল জেলখানা। স্বদেশ থেকে বিতাড়িত করেছিল ইসলামী চিন্তাবিদদেরকে।
আর এখন?
আমেরিকায় আশ্রিত, গোলামীর জিন্দেগী পালন করছে।
গাদ্দাফী
একদিনে ১৭ হাজার মুসলিম ব্রাদারহুড কর্মীকে একত্র করে ইটের টুকরা দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল এই ইবলীশ। শিবির সভাপতি দেলোয়ারকে যেভাবে হাসিনা গুয়ান্তেমো বে'র কয়েদীর মত নির্যাতন করছে সেইভাবে বিচার বিভাগকে হাতের পুতুল বানিয়ে ইচ্ছেমত নির্যাতন করত। এই শয়তানের আরেক বৈশিষ্ট ছিল সে সাদ্দামের মত হেসে খেলে মানুষ মারত। মখা আলমগীরের মত মানুষের উপর অত্যাচার নিয়ে মশকরা করত।
অংগুলি হেলনে সব চলত। এমনকি একদিন ঘোষণা করল, ঈদ কালকে হবে না, হবে পরশু। তার মানে ৩১টি রোজার পরে। তাও হয়ে গেল। আলেমদের হয় নিশ্চিহ্ন নয়তো বন্দী করে রেখেছিল শয়তানের এই সর্দার।
নিজেকে রক্ষা করার জন্য বানিয়েছিল মাটির নীচে আরেক ওয়ার্ল্ড। বছরের পর বছর লুকিয়ে থাকবে এমন ব্যবস্থাও ছিল।
কিন্তু মরে পড়ে রইল এক পাইপের ভিতর! বাঁচার জন্য করুণ আকুতির ভিডিও জগত প্রত্যক্ষও করল।
হোসনী মোবারক
আরবরা বলে ফেরআউনের পরে এমন ক্ষমতাধর মিশরে আর কেউ জন্মায়নি। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা। ফিলিস্তিনীদের এমন সর্বনাশ আর কেউ করেনি।
ইখওয়ান নিষিদ্ধ করেছিল।ট্রাকে ভর্তি করে ইখওয়ান কর্মীদের গ্রেফতার করত, বর্বর নির্যাতনের রেকর্ড করেছিল এই জানোয়ার। ইখওয়ানের হেড কোয়ার্টারের গলি ছিল ভুতুড়ে। সর্বক্ষণ চিতকারের আওয়াজ মানুষেরা শুনত সেই গলি থেকে।
আর এখন?
যন্ত্রণায় কাতর। ডাক্তারকে বলছে মেরে ফেলে দিতে। সইতে পারছে না শরীরের যন্ত্রণায়।
বেন আলীর মত সেও মাঝে মাঝেই চেতন আবার অচেতন। অচেতন আর চেতনের দোলায় দুলছে।
উপসংহার আর লিখলাম না। পাঠকদের উপরেই ছেড়ে দিলাম।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন