মুখোশ-৩ (শেষ পর্ব): বাংলা ভাষায় নাস্তিকতার উত্থান: নাস্তিকদের চ্যালেন্জ, "অলৌকিকতা বা বিষদাঁতকে ধ্বংস করাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য"
লিখেছেন লিখেছেন নয়ন খান ০৫ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:১৬:২০ রাত
মুখোশ-১
মুখোশ-২
নাস্তিক রাজ্যের নাটের গুরুরা:
মুক্তমনা ও ভিন্নমত এ দুটি ওয়েবসাইট ও ইয়াহু গ্রুপের কাজই হলো অশালীন ও নীতিবিবর্জিত পন্থা অবলম্বন করে ইসলাম ও বাংলাদেশের নেতিবাচক দিক তুলে ধরে লিখে দ্রুত ইন্টারনেটে পোস্ট করা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ পথ হিসেবে নিজেদের আসল নাম আড়াল করাকে তারা পছন্দ করেন।
যেমন এক ‘আলমগীর’ লিখেছিলেন “নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিন মুখোশ ছুঁড়ে ফেলি” ।
নবী মুহম্মদ (সাঃ) এর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কুৎসিত চিত্র অংকনে ব্যস্ত সেতারা হাশেমের পরিচয় খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল বস্ততই তিনি একজন পৌঢ় পুরুষ, আসল নাম মহিউদ্দীন। নিউইয়র্কে থাকেন, বামপন্থী ঘেঁষা সংসদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে থাকেন কখনো কখনো সেতারা হাশেম
এদের মধ্যে সম্ভবত সবচে’ এগিয়ে রয়েছেন কানাডার টরোন্টোতে বসবাসরত ‘ফতেমোল্লা’। আসল নাম হাসান মাহমুদ। বাংলারইসলাম ডট কম নামে একটি ওয়েবসাইট চালান তিনি। ইচ্ছেমত ইসলামের বিরুদ্ধে মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে লিখে চলেছেন অবিরত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রিতে লেখাপড়া করলেও এখন তিনি কট্টর সেক্যুলারিস্ট ও মুসলিম নামধারীদের নিয়ে ইসলাম বিরোধী সংগঠন মুসলিম কানাডিয়ান কংগ্রেস’র এক সময়ের শারীয়া অ্যান্ড ইসলামিক ল’ বিভাগের ডিরেক্টর। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা পাকিস্থানের তারেক ফাতাহ্। মুসলিম নাম ব্যবহার করে পশুত্বেরও বিরোধী সমকামী আন্দোলনকেও ইসলামের সহমত মানবাধিকার আখ্যা দিয়ে তারেক ফাতাহ্ ও ফতেমোল্লার দল কিভাবে মুসলমানদের সর্বনাশ করে চলেছে তা কৌতুহলী পাঠকেরা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট মুসলিমকানাডিয়ানকংগ্রেস ডট অর্গ ব্রাউজ করলেই বুঝতে পারবেন। ২০০৫ সালে কানাডার অন্টারিও প্রদেশে পারিবারিক সমস্যা সমাধানের জন্য আর্বিট্রেশন এ্যাক্টকে বিভিন্ন ধর্মীয় কোর্টে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলন চালাতে গিয়ে শারীয়া আইন নিয়ে ঘৃণ্য ও কুৎসিত অপপ্রচারে মেতে ওঠে এই সংগঠন। ড: তাজ হাশমীকে সাথে করে ফতেমোল্লা তার নিজের ভাষায় '৭১-র মত গর্জে উঠে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। নিয়তের পরিহাসে এবার তিনি সহযোদ্ধা হিসেবে বাংগালীর বদলে পেয়েছেন পাকিস্তানী তারেক ফাতাহসহ ইয়াজিদী, পারসিক, বাহাঈ, কালদিয়ান, ইসমাইলী, কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের মুসলিম নামধারী অন্য ধর্মের কিছু অনুসারী, যাদের সম্মন্ধে আমেরিকা ও কানাডার মুসলিম স্কলাররা নাম বিভ্রাটে পড়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সর্বদা সতর্ক করেন।
পাঠকরা হয়তো জেনে থাকবেন, মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশে ইসলাম ছাড়া অন্য সব ধর্মের অনুসারীরাও আরবি ভাষাভাষী হওয়ায় মুসলিম ধরণের নাম (যেমন, রইস, মাহমুদ, আব্বাস, নাফিস, আব্দুল্লাহ ইত্যাদি) ও ইসলামী পরিভাষা (যেমন আল্লাহ, সালাম, জাযাকাল্লাহ ইত্যাদি) ব্যবহারসহ সুন্দর করে কুর’আন তেলয়াত ও লম্বা সাদা মাথা ঢাকা কোর্তা পরিধান করেন। অথচ বিশ্বাসে ইসলামের সাথে আকাশ পাতাল ফারাক। যেমন, ইরাকে ঈসা (আঃ) এর জন্মেরো আগে থেকে আজ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ইয়াজিদী সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রয়েছে যারা ঘোষণা দিয়ে শয়তানের ঊপাসনা করে, পারসিকরা এখনো আগুন জালিয়ে চারদিকে জড়ো হয়ে আগুনের নিকট ভাল-মন্দ প্রার্থণা করে, কাদিয়ানীদের কথা নাইবা বললাম ইত্যাদি । উক্ত ফতে মোল্লার ক্ষুদ্র এ দল কানাডা সরকারের উদার ও মুক্তনীতির আনুকূল্যে বিভিন্ন টক শো’তে অংশ নিয়ে ‘পলিটিকেল ইসলাম’ থেকে সরে রসুল (সাঃ) এর জন্মেরো ছয়শো বছর পরে বিস্তৃত ‘সুফী ইসলাম’এর দিকে আসতে মুসলমানদেরকে নসিহত করেন যদিও নিজেরা কোনটিতেই আস্থা রাখেন বলে প্রতীয়মান হয় না। এরা শারীয়া আইনকে ইসলাম বিরোধী আখ্যায়িত করে একে শুদ্ধ পথে নিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করার দূঃসাহস দেখান (দৈনিক নিউএজ, ১৮ই এপ্রিল, ২০০৫)।
অনলাইন সাপ্তাহিকী ‘সাপ্তাহিক ২০০০’ এর জন্য অটোয়ায় থাকা ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের সাথে সাক্ষাৎকারে ফতেমোল্লা বলেছেন, ‘পয়গম্বর’ মানে হলো পয়গাম অর্থাৎ বার্তাবাহক, রাজনীতিক নয়। কোরআন শেষ নবীকে শুধু পয়গাম পৌছে দিতে বলেছে এবং বলেছে -‘ তুমি তাদের শাসক নও।‘ সংগীত সম্মন্ধে বলেছেন, সমস্ত সৃষ্টিটাই তো একটা সংগীত, কোরআন নিজেই এক মহাসংগীত। হজরত দাউদ (আঃ) নিজেই সংগীতজ্ঞ ছিলেন (১ এপ্রিল, ২০০৫)।
ফতেমোল্লাকে সম্বোধণ করে ডঃ তাজ হাশমী লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করি শুধুমাত্র কুর’আনের শিক্ষাদানের মাধ্যমে ইসলামকে পরিশুদ্ধ করার এখনোই উপযুক্ত সময়, ইমাম বুখারী-গাজ্জালী-আবু হানিফা (যাদের সাথে এ যুগের বান্না-কুতুব-মওদূদীও রয়েছেন) যা করতে বলেছেন তার মাধ্যমে নয় (দৈনিক নিউএজ, ১৮ই এপ্রিল, ২০০৫)।
উল্লেখ্য, ডঃ তাজ হাশমী কানাডার ভ্যানকোভারে সিমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস পড়ান, ‘নো টু পলিটিকেল ইসলাম’ এর কনভেনর এবং ‘উইমেন এন্ড ইসলাম ইন বাংলাদেশ’ গ্রন্থের লেখক।
নিউইয়র্ক ও নিউ অরলিয়েন্স থেকে ডঃ জাফর উল্লাহ নামে আরেকজন অধ্যাপক নেটে ইসলামের বিরুদ্ধে ক্লান্তিহীনভাবে যাচ্ছে তাই লিখে মুসলিমদেরকে উস্কে দেয়ার কাজে লিপ্ত রয়েছেন। তরুন ইসলামী চিন্তাবিদ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাবিদ ড: সাইদুল ইসলামের এক ক্ষুরধার লেখার জবাব এনএফবি (News From Bangladesh)-তে এভাবে দিয়েছেন, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ইন্টারনেট ফ্রি থিংকাররা মুহম্মদের বাণী (মুসলিমরা যাকে কুরআন বলে)-কে সম্পুর্ণ প্রত্যাখান করেছেন৬ । এসব জ্ঞান পাপীরা মুসলিম ও বাংলাদেশ বিদ্বেষী পশ্চিম বাংলার এক শ্রেণীর লেখকদের সাথে করে জায়নবাদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ওয়েব সাইটসমূহে ইসলামকে বিশ্বের সমস্ত অশান্তির মুল কারণ এবং বাংলাদেশের সমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পেছনে ইসলামের গন্ধ খুঁজে বের করার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এখানে আরেক নরাধম নাইন ইলেভেনের পরে নিজ ধর্ম ইসলাম ত্যাগ করেছেন বলে আত্মপ্রচার করে এর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর কাজে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছেন প্রিয় রসুল ও স্বামীকে সম্বোধণ করে খাদিজা (রাঃ) এর প্রিয় ডাক ‘আবুল কাসেম’ নাম ধারণ করে । ইসলাম বিরোধী আবুল কাসেম থেকে সাবধান ভয়াবহ ইসলাম বিদ্বেষী এই কূলাংগার এমন অশ্লীল ভাষা নাই যা সে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেনি। ৭৫ পৃষ্ঠার জঘন্য মানের বই “ইসলামে কাম ও কামকেলি” (মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সু্যালি ইন ইসলামঃ অনুবাদ: খেলারাম পাঠক)
কেনই বা মুসলিম হয়েছিলেন আবার কেনই বা তা ছেড়েছেন সেদিকে না যেয়ে পবিত্র কুর’আনের বিভিন্ন শব্দের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টির কাজ নির্লজ্জের মত চালিয়ে যাচ্ছেন। যেমন, ‘মুশরিক’ শব্দের অনুবাদ ‘মুর্তিপূজারী’ না করে এই নরাধম জেনে বা না জেনে সব আহ্লে কিতাবধারী ও অবিশ্বাসীদেরকে এক কাতারে নিয়ে এসে নিজের মত করে ব্যাখ্যা দাঁড় করায়ে ইসলামের শ্ত্রুদের পোষা ক্রীড়নক হিসেবে ব্যবহ্নত হচ্ছেন। পবিত্র কুর’আন যে ঐশী গ্রন্থ না তা প্রমাণ করার অপচেষ্টায় এই তথাকথিত আবুল কাসেম কবি ইমরুল কায়েস, যায়েদ বিন আ’মর বিন নওফেল, কবি লাবিদ, ওরাকা, হাসান বিন সাবিতসহ ১৫ জনের তালিকা তৈরি করে এই বলে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে যে তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাবেই মুহম্মদ এই গ্রন্থটি রচনা করেছেন (নাযুবিল্লাহ)।
আব্দুল আজিজ নাম নিয়ে এক শয়তান বানিয়েছে ২৬ পৃষ্ঠার "হজরত মহাউন্মাদ ও কোরান-হাদিস রঙ্গ’ নামে গদ্য-কার্টুন। ইসলাম কমিক বুকস ডট কম ডোমেইন ব্যবহার করেছে।
ইন্টারনেটের আরেকজন মুখোশধারী লেখক ওয়াশিংটন থেকে নিয়মিত লেখেন তিনি হলেন সাইদ কামরান মির্জা। আসল নাম ডঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে রাশিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রী নিয়ে আমেরিকার ফেডারেল কৃষি বিভাগে চাকরি করেন। পবিত্র কোর’আন পড়াশোনা করে তিনি যা পেয়েছেন তা হলো “..............চাকরানীর সাথে (লেখার অযোগ্য শব্দ) সম্পর্ক দিব্বি করা যাবে, অন্য ধর্মের মানুষ হত্যা করলে ছওয়াব হবে, অমুসলিম মরলে তার জন্য বদদোয়া করতে হবে, ইসলাম ছাড়া অন্যসব ধর্মকে মেরে তাবা করতে হবে, স্ত্রীদেরকে দিব্বি পেটানো যাবে, মেয়ে মানুষকে (চেহারা ঢেকে) বোরখা পড়াতে হবে এবং গৃহে বন্দী রাখতে হবে (আরও কত উদ্ভট অবান্তর কথা....... (মায়াযাল্লাহ) পৃঃ২ । পৃষ্ঠা সাত এ লিখেছেন, ‘ইসলাম বর্তমান বিশ্বের সভ্যতার প্রতি একটা বিরাট হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। তাই ইসলামের বিষদাঁত ভেংগে শান্তির ধর্ম বানানো সবার আজ দায়িত্ব।.........এটা হবে তখন শান্তির ইসলাম, যেমনটি আমরা দেখতে পাচ্ছি শান্তির খ্রীস্টান, শান্তির জুইশ, শান্তির হিন্দু এবং শান্তির বৌদ্ধ বহাল তবিয়তে আছে.............’। কামরান মির্জা সহযোগী হিসেবে সাথে রেখেছেন একই পথের পথিক বন্ধু জামাল হাসানকে। এদের যোগসুত্র বের করতে গিয়ে জামাল হাসানের ই-মেইলের বরাত দিয়ে অনলাইন জার্নাল সদালাপের তৎকালীন সম্পাদক জিয়াউদ্দীন লিখেছেন, ‘After we moved to this region and as I started to work with Dept. of Justice,……..I contacted my friend Dr. Khurshed Chowdhury……..(Date: Fri13,2001,5:30PM)।‘
দিগন্ত, নন্দিনী হোসেন, ঢাকাইয়া, নিত্যানন্দ, পরশপাথর, আবীসিনা, আমিল ইমানী, আয়েশা আহমেদ, দারিউস সিরাজী, ইমরান হোসেন, মোহাঃ সগীর, শেরখান, সাব্বির আহমেদ, সাইয়্যেদ এম. ইসলাম, সাইয়্যেদ ইব্রাহীসহ অন্য যে কোন নামেই ছাপা হোক না কেন, এটা যে রসুনের এক একটি কোয়া আর রসুনটি যে টলারেন্সের ঠিকাদার সেটি যে ফেইথফ্রিডম ডট অর্গ, তা আর কাউকে বলে কয়ে বুঝাতে হবে না। সেই সাথে ঢাকার দেখভাল করার জন্য শাহরিয়ার কবীরের উপর যে কি দায়িত্ব দেয়া রয়েছে তা উক্ত ওয়েব সাইট ব্রাউজ করলেই বোধ করি পরিষ্কার হবে।
ফেইথফ্রিডমের মিশন সম্মন্ধে তারা নিজেরাই লিখেছে, প্রাক্তণ মুসলিম হিসেবে একনিষ্ঠতার সাথে পুর্ব ধর্ম ইসলামের কদর্যরুপ মানুষের নিকট উন্মোচন করা ইত্যাদি। এর সাথে ইন্ধন যোগাচ্ছে প্রতিবেশী দেশ থেকে পরিচালিত বাংলাদেশকে উগ্র ধর্মীয় ও অকার্যকর রাষ্ট্র প্রমাণ করার নিরন্তর প্রয়াসে লিপ্ত সাউথ এশিয়ান এনালাইসিস গ্রুপ বা সায়াগ (saag) ডট অর্গ।
ছদ্মনাম ছাড়াও ইসলামের বিরুদ্ধে লেখার আরেকটি নতুন সংযোজন হলো ই-মেইল জালিয়াতি বা ভূয়া ই-মেইল সৃষ্টি করে অত্যন্ত সুচতুরতার সাথে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার বা কমপক্ষে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা। অন্যদিকে ইসলামপন্থীদের বোকা ভেবে একাজটি করলেও খোদার অমোঘ বিধানে দুনিয়াতেও পাপীর পাপ ধরার পড়ার কোন না কোন নিয়মও সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। নিজের কম্পিউটারের অরিজিনাল আইপি এড্রেস ঠেকাতে রাউটার ব্যবহারের মাধ্যমে অসংখ্য ভূয়া আইপি এড্রেসের জন্ম দিয়ে অসৎ ঊদ্দেশ্য চরিতার্থ করার প্রয়াস ব্যর্থ করে দিচ্ছে এটিকেও ‘ডিটেক্ট’ করার নতুন কৌশল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে।
আন্তর্জাতিক হিউম্যান রাইট্স এ্যাক্টে কোন ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের বিরুদ্ধে হিংসা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানো অত্যন্ত গর্হিত ও দন্ডনীয় অপরাধ। আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোডের দিকে নজর দিলে সেকশন ৩১৯ (১) এ দেখতে পাব (আমেরিকার আইনও মোটামুটি এরুপই );
319(1) Public incitement of hatred
Everyone who, by communicating statements in any public place, incites hatred against any identifiable group where such incitement is likely to lead to breach of the peace is guilty of
(a) an indictable offence and is liable to imprisonment for a term not exceeding two years; or
(b) an offence punishable on summary conviction.
শাস্তির এরকম সুস্পষ্ট বিধান থাকা সত্বেও দিনের পর দিন নিজেদের আড়ালে রেখে সরকারী অফিস-আদালত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব, পাবলিক লাইব্রেরী ইত্যাদি ব্যবহার করে শুধু এক দল মানুষের মর্মমূলে খুঁজে খুঁজে স্পর্শকাতর বিষয়সমূহ বের করে আঘাত চালানোর যে উদ্দেশ্য কি তা আমরা উপরোক্ত সাঈদ কামরান মির্জারুপী ডঃ খোরশেদ আলম চৌধুরীর মুখ থেকে শুনলেই পরিষ্কার বুঝতে পারি,’...........অলৌকিকতা বা বিষদাঁতকে ধ্বংস করাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য। ইসলামকে চিরতরে দুনিয়া থেকে নিচ্ছিন্ন করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এটা সম্ভবও নয়। ‘মীত’ বিহীন (বিষদাঁত বিহীন) ইসলাম আমাদের কোন ক্ষতি করবে না http://www.shodalap.com/SKM_IslamicRitual.pdf ।
সাওয়া-উস-সাবিল বা সহজ, সরল ও ভারসাম্যপুর্ণ মধ্যমপথকে কলুষিত করতে যুগে যুগে শয়তানেরা কম কসুর করেনি। বনি আদমকে জাহান্নামের পথে নেয়ার জন্য শয়তান আল্লাহ্র নিকট যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল সেটি সে করবেই, তবে সত্যিকারের মুসলিম হিসেবে নব্য ও পুরোনো সব ষড়যন্ত্রের নাড়ি নক্ষত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিফহাল থেকে এক খাদে দু’বার পা না দেয়া অথবা নিজেকে নিরাপদ দুরুত্বে রেখে তা মোকাবেলার প্রস্ততি গ্রহণই হল প্রিয় নবীজির বিশুদ্ধ সুন্নত।
(কৃতজ্ঞতায় আবুসামারাহ, সদালাপ, সামু, বিভিন্ন ইয়াহুগ্রুপ)
শেষ।
বিষয়: বিবিধ
৩৬৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন