সাঈদীকে নিয়ে চরম কুরুচিপূর্ণ লেখা ছাপল বাংলানিউজ : ৯০% মানুষ বসুন্ধরাকে না বলার সময় হয়েছে!
লিখেছেন লিখেছেন হাসান ০৫ মার্চ, ২০১৩, ০৭:১২:৩৭ সন্ধ্যা
দিল্লীর ফাঁদে পা দিয়ে বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করে নিহত কুখ্যাত রাজাকার দেলু শিকদারের অপকর্মের দায় বিশ্বন্দিত আলেমে দ্বীন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ওপর চাপিয়ে হাসিনা সরকার যখন নজিরবিহীন গণহত্যার দায়ে নরঘাতক হিসেবে গ্রিনিজ বুকে ঠাঁই পেয়ে মহাসঙ্কটে, তখন কিছু বেকুপ মিডিয়ার হুশ ফিরছে না। অনবরত তারা নানা মিথ্যাচার ও কুৎসার রটনার মাধ্যমে উস্কানি অব্যাহত রেখেছে। জনতার মিছিলে নির্বিচার গুলিবর্ষণে মাত্র ৪ দিনে ঝরে গেল ১২৩টি প্রাণ। অথচ সুশীল সমাজ ও মিডিয়া গণহত্যা বন্ধের কথা বলছে না, গণহত্যাকে কেন গণহত্যা বলা হলো তা নিয়ে করছে সমালোচনা!এক্ষেত্র বসুন্ধরা গ্রুপের বাংলানিউজের জুড়ি মেলা ভার। তারা আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে আজও চরম কুরুচিপূর্ণ লেখা ছেপেছে। বিএনপি-জামায়াত- আ.লীগ নির্বিশেষে এদেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে আল্লামা সাইদী কিংবা ইসলামের প্রতি ভালোবাসার গভীরতা কল্পনাতীত।
মাওলানা সাঈদীকে চাঁদে দেখতে পাচ্ছে কি পাচ্ছে না এটি গুরুত্বপূর্ণ না, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষ মনে করছে যে তারা সাঈদীকে চাঁদে দেখতে পাচ্ছে।
মানুষের এই মনে করা ভয়ঙ্কর সুন্দর ব্যাপার। মানুষ রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি তাদের অনাস্থা, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মধ্যে উপস্থিত জুলুমবাজির বিরুদ্ধে নিজেকে দাঁড় করানোর স্বপ্ন দেখছে সাঈদীকে চাঁদে দেখতে পারছে মনে করার মাধ্যমে।
রাষ্ট্র ও বিচার ব্যবস্থা যখন সাঈদীকে ফাঁসির আসামিদের সেলে রাখছে, তখন মানুষ তাদের সাঈদীকে চাঁদে রাখছে। রাষ্ট্র যখন সাঈদীকে মেরেকুটে শেষ করে দিতে চাচ্ছে তখন সাঈদীকে তারা চাঁদে রাখছে, যেন তাদের সাঈদী নিরাপদ থাকেন।
যারা সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজবে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা আসলে কোন মানুষ?
যারা সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে গুলি খেয়ে মরছেন তারা কিন্তু এই গুজব প্রচার করছেন না। তাদের হাতে এখন অনেক কাজ। এশার নামাজ পড়ে তারা ঘুমাতে যান। শেষ রাতে ঘুম থেকে ওঠে তাহাজ্জুদ পড়েন, তারপর ফজর, নামাজের মোসল্লায় দাড়িয়ে চোখের পানিতে বুক ভিজিয়ে তারা ঘর থেকে বের হন যেন ভোরবিহানের বিক্ষোভে গিয়ে শহীদ হতে পারেন।
যারা সাঈদীকে চাঁদে দেখতে পাচ্ছেন তারা আসলে সেই সব মানুষ যারা বাংলাদেশের সমাজ জীবনের গভীর গোপণে মজুদ ইসলামী চেতনার ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা দ্বারা নিয়ত তাড়িত থাকেন। যারা জানেন কেন নবাব সিরাজুদ্দৌলার পতন হয়েছিল, কেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছিল মুসলমানের জমি-জিরত, কেন তাদের ৪৭ করার জন্য লড়তে হয়েছিল, কেন ৭১ এ তাদের পাকিস্তান ও ভারতের বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে হয়েছিল।
তারা জানে কেন ভারত সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারে, কেন বিডিআর হত্যাকাণ্ড হয়, কেন আলেম-ওলেমাদের ঠ্যাঙানো হয়, কেন মসজিদে গুলি হয়, কেন নামাজের কাতার থেকে মানুষকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ, কেন মাওলানা সাঈদীকে দেলু শিকদারে অপরাধের দায়ে ফাঁসির আদেশ শুনতে হয়।
তো এই সব মানুষ দেখতে পাচ্ছে সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র একটা অন্যায় করতে যাচ্ছে, যার প্রতিকার করার সামর্থ নাই তাদের, এ অবস্থায় তার ভরসা করছে তাদের কল্পনা শক্তির ওপর, তারা মনে করছে সাঈদীকে যেহেতু চাঁদে দেখা যাচ্ছে, সেহেতু সাঈদী হয়তো বিচারিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হবেন না।
আমি মনে করি মানুষের এই মনে করাকরি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতি তাদে অনাস্থার কারণে ঘটছে। দিন যত যাবে এই অনাস্থার মানুষের মধ্যে বাড়তেই থাকবে। আর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অনাস্থার ওপর কোন রাষ্ট্র কোন দিনই টিকতে পারেনি। যার বড় প্রমাণ হল পাকিস্তান ও সিকিম। (খোমেনি ইহসান)
বিডিনিউজ২৪কেও লজ্জ্বা দিল ইত্তেফাক : ৯টি গণমাধ্যমের অনলাইন জরিপ : ৭৯ শতাংশ জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে
বিষয়: বিবিধ
১৫৭২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন