২৫ ফেব্রুয়ারী : জাতির সূর্য সন্তানদের হত্যাকাণ্ডের শোকাবহ দিন
লিখেছেন লিখেছেন হাসান ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৫:০৭:১৩ বিকাল
ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের ইতিহাসে শোকাবহ একটি মাস। বিডিআর বিদ্রোহের নামে ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় ঘটে সেনাকর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের এক নৃশংস ঘটনা। ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে ‘শোক দিবস’ পালন করা হোক।
বিডিআর ট্রাজেডির বিগত ৪টি বর্ষপূর্তিতেই বিভিন্ন ইস্যুতে জনগনের বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার বিষয়টি কাকতালীয় নাকি ষড়যন্ত্র তা ইতিহাসই এক সময় নির্ধারণ করবে। দু:খ ও লজ্জাকর হলেও সত্য বিডিআর ট্রাজেডির ৫ম বর্ষপূর্তিতের দিনেও রাখা হয়েছে জমকালো আয়োজন!
হলুদ গাঁদা ফুলে ভরে আছে কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমদের কবর। পাশে দাঁড়িয়ে নীরবে চোখের পানি ফেলছেন স্ত্রী ফাতেমা সুলতানা। আর মাকে ধরে ভেজা চোখে দাঁড়িয়ে আছে ছোট মেয়ে লামিয়া। ফাতেমার হাতে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা। গুচ্ছবদ্ধ রজনীগন্ধাকে ঘিরে আছে অকালপ্রয়াত স্বামীর প্রতি গভীর ভালোবাসা। গতবার এভাবেই শোকে, শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে গেল বনানীর সামরিক কবরস্থান।
স্বজনদের চোখে পানি, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ
বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা ট্র্যাজেডির শিকার মেজর মিজানুর রহমানের কবরে অশ্রুসিক্ত মায়ের স্পর্শ
নিহত মেজর ইদ্রিস ইকবালের দুই অবুঝ শিশু
পিতার অভাব বুঝতে শিখেছে জাহারা
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শহীদ সেনাকর্মকর্তাদের স্মরণ
পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নিহত শহীদ সেনাসদস্যদের কবরের পাশে স্বজনরা (বামে), শিশু নাতিকে সাথে নিয়ে মেজর মিজানের মা (দ্বিতীয়), ফুলহাতে মেজর মমিনুল ইসলামের পরিবার (তৃতীয়), মেজর মোস্তফা শামসুজ্জামানের শোকাহত পরিবার (ডানে)
বাবা দেখে যাও কত কষ্টে আছি
বিডিআর বিদ্রোহে প্রাণ হারানো সেনা কর্মকর্তারা চিরনিদ্রায় শায়িত বনানী কবরস্থানে। পেরিয়ে যাচ্ছে সেই ঘটনার ৪ বছর। হারানো স্বজনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিকটজনেরা
কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত
কত প্রদীপ শিখা জ্বালালেই জীবন আলোয় উদ্দীপ্ত
কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য
নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার
আজও কানে ভাসে সেই কথাগুলো
কে জানে যে হবে শেষ কথা
নিয়তির ডাকে দিলি যে সাড়া
ফেলে গেলি শুধু নীরবতা
যার চলে যায় সেই বোঝে যে হায়
বিচ্ছেদে কি যন্ত্রণা
যার চলে যায় সেই বোঝে যে হায়
বিচ্ছেদে কি যন্ত্রণা
অবুঝ শিশুর অবুঝ প্রশ্ন
কি দিয়ে দেব সান্ত্বনা
বিধাতা তোমারে ডাকি বারেবারে
কর তুমি মোরে মার্জনা
দুঃখ সইতে দাও গো শক্তি
তোমারি সকাশে প্রার্থনা
চাহিনা সহিতে আমার মাটিতে
মজলুমেরই আর্তনাদ
চাহিনা সহিতে আমার মাটিতে
মজলুমেরই আর্তনাদ
বিষাদ অনলে পুড়ে বারেবারে
লুণ্ঠিত হবে স্বপ্নসাধ
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার
বুট, হেলমেট ছাড়া অপারেশনে এরা কারা?
ছবিঃ ঘাতকদের সাথে নানক, আজম, সাহারা আর তাপস
সিসিটিভিতে ধারন করা বিডি আর হত্যাকান্ডের কিছু ছবি
নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বিডিআরের তৎকালীন ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাকে। সামরিক-বেসামরিক আরো ১৭ জনকে হত্যা করা হয়। নিহতদের মধ্যে তৎকালীন ডিজির স্ত্রীও রয়েছেন। কর্মকর্তাদের স্ত্রী-সন্তান ও বাবা-মাকে আটকে রেখে তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। তাদের বাড়িঘর, গাড়ি ও সম্পদে আগুন লাগিয়ে পুড়ে ফেলা হয়। সেনাকর্মকর্তাদের শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি ঘাতকেরা। আলামত নষ্ট করতে প্রথমে তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে তারা। ব্যর্থ হয়ে মাটিচাপা দেয়া হয়। কিছু লাশ ফেলে দেয়া হয় ম্যানহোলের মধ্যে। অস্ত্রাগারের সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নেয় বিদ্রোহের নামে। উচ্ছৃঙ্খল বিডিআর জওয়ানদের তাণ্ডব আজো মনে পড়লে কেঁপে ওঠে মানুষের আত্মা।
যা ঘটেছিল সেই দিন
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। বিডিআর সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকর্তা ও জওয়ানেরা এসেছিলেন ঢাকার পিলখানায়। আগের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিলখানায় বিডিআর সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত সদস্যদের মধ্যে ভালো কাজের জন্য পদক প্রদানের কথা ছিল। দরবার হলের সেই অনুষ্ঠানে প্রায় আড়াই হাজার বিডিআর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত শেষে বাংলা অনুবাদ যখন শেষ হয়, ঠিক তখনই সিপাহি মইন দরবার হলের রান্নাঘরের পাশ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে মেজর জেনারেল শাকিলের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে। অতিরিক্ত ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারিসহ অন্য কর্মকর্তারা মইনকে আটক করেন। মইনকে আটকের সাথে সাথে ‘জাগো’ বলে বিডিআর জওয়ানেরা দরবার হল ত্যাগ করতে শুরু করে। ডিজি তখন তাদের উদ্দেশে বলেন, তাদের দাবিদাওয়া শুনবেন তিনি। কিন্তু মুহূর্তেই দরবার হল ফাঁকা হয়ে যায়। একপর্যায়ে জওয়ানদের সবাই যখন দরবার হল ত্যাগ করে, তখন বাইরে থেকে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু হয়। কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে জওয়ানেরা হত্যা করে। বিডিআর ঢাকা সেক্টরের তৎকালীন কমান্ডার কর্নেল মজিবুল হককে ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের চারতলার এক কক্ষে হত্যা করে তার লাশ ফেলে দেয় নিচে। এভাবে একে একে হত্যা করা হয় সেনাকর্মকর্তাদের। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ নানা অপকর্মে মেতে ওঠে বিডিআর জওয়ানেরা। এসবই করেছে অস্ত্রাগার থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করে। শুরুতেই তারা কোত ভেঙে অস্ত্র ও ম্যাগাজিন ভেঙে গুলি তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আতঙ্কে আশপাশের কয়েক কিলোমিটারের বাসিন্দারা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন।
মৃত্যুপুরী
প্রায় ৩৬ ঘণ্টা বিদ্রোহের পর পিলখানা পরিণত হয় একটি মৃত্যুপুরীতে। পিলখানায় শুধু লাশ আর লাশ। রক্ত আর রক্ত। পোড়া গাড়ি, পোড়া বাড়ি, ভাঙা গ্লাস, ঘাসের ওপর তাজা গ্রেনেড, চারদিকে শুধু ধ্বংসচিহ্ন। সেনা কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারগুলোর তছনছ অবস্থা। বিভিন্ন স্থাপনায় জ্বালাও-পোড়াওয়ের দৃশ্য। ড্রেনের ম্যানহোল থেকে আসে রক্তের উৎকট গন্ধ।
২৫ ফেব্রুয়ারি সারাদিন ও রাতে পিলখানায় যে হত্যাযজ্ঞ আর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। নির্বিচারে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার পর লাশ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে খোদ ঘাতকরা। তাই আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করে চলতে থাকে লাশ গুমের কাজ। পিলখানার ভেতর বিশেষ মেশিন দিয়ে লাশগুলো ধ্বংস করার ব্যর্থ চেষ্টা হয় বলে পরে জানা গেছে। কয়েক সেনা কর্মকর্তার লাশ ফেলে দেয়া হয় ম্যানহোলে। পরের দিন সেগুলো বুড়িগঙ্গার কামরাঙ্গীরচর পয়েন্টে ভেসে উঠলে আর কিছুই বুঝতে বাকি থাকে না কারও। বাকি লাশ গুম করতে একের পর এক গণকবর খোঁড়া হয়। পিলখানা পরিণত হয় বধ্যভূমিতে। প্রথম দফায় কামরাঙ্গীরচরে একটি স্যুয়ারেজ লাইন থেকে কয়েক দফায় ৯ সেনা কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিডিআর হাসপাতালের পেছনে একটি গণকবর থেকে তোলা হয় একসঙ্গে ৩৯টি লাশ। একটি গ্যারেজ মাঠের পাশের গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয় আরো নয়টি লাশ। এ বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, একজন সৈনিক ও দু’জন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রীসহ ৬১ জন নিহত হন। সেনা কর্মকর্তাদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারান সাত বিডিআর জওয়ান। বিভিন্ন গেট থেকে ফাঁকা গুলি ছোড়ায় আশপাশের আরও ৭জন পথচারী নিহত হন। এ ঘটনায় সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৫ জনে।
গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠলেও ভেতরে কী ঘটতে যাচ্ছে তা জানা সম্ভব হয়নি ওই দিন। ক্রমেই ভয়াবহ দৃশ্য ফুটে উঠতে শুরু করে। পিলখানার সাথে কেউ যোগাযোগ করতে সক্ষম হননি। কিছু সেনাকর্মকর্তা আটকা পড়া অবস্থায় তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলেন। পরে তাদের যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়। সবাই ধারণা করছিলেন ভেতরে আসলেই বড় ঘটনা ঘটছে। যার প্রমাণ মিলল এক দিন পর। ঘটনার শুরু থেকেই থেমে থেমে গুলি করছিল উচ্ছৃঙ্খল বিডিআর জওয়ানেরা। তাদের তাণ্ডবে প্রাণের ভয়ে পিলখানার আশপাশেও কেউ যেতে পারেননি। বিকেলে দূর থেকে হ্যান্ড মাইকে বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। মাইকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করবেন। তিনি সবাইকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলেন। সন্ধ্যার দিকে ডিএডি তৌহিদের নেতৃত্বে বিডিআরের ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। দুই ঘণ্টারও বেশি ধরে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা ও তাদের দাবিদাওয়া পূরণের আশ্বাস নিয়ে তারা পিলখানায় ফিরে যান। এরপরও তারা অস্ত্র সমর্পণ ও বন্দীদের মুক্তি দেননি। মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সাথে বৈঠক করে বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণ শুরু করে। কিন্তু পরদিনও থেমে থেমে গুলির শব্দ আসতে থাকে। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেন, পরিস্থিতি শান্ত, সবাই অস্ত্র সমর্পণ করেছে।
এ দিকে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে একের পর এক লাশ উদ্ধার হতে শুরু করে। ওগুলো ছিল সেনাকর্মকর্তাদের লাশ। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার হয় ১৫টি লাশ। এভাবে উদ্ধার হয় ৫৭ সেনাকর্মকর্তা ও সামরিক-বেসামরিকসহ মোট ৭৪ জনের লাশ। যাদের মধ্যে তৎকালীন ডিজি বিডিআর মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ ও তার স্ত্রীর লাশও ছিল।
এই ঘটনার জন্য দায়ী বিডিআরদের বিচার করবার সময় আমরা চরম ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটতে দেখেছি। হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনে অভিযুক্ত অনেকের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্রোহের কারণ সম্পর্কে সচেতন থেকে সাধারণ সৈনিকদের সুবিচারের দাবি উপেক্ষিত হয়েছে। এতে সেনা অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে দূরত্ব কমে নি, বরং বেড়েছে। অন্য দিকে বিডিআরের নাম ও পোশাক পরিবর্তন করে পুরা বাহিনীকে হীনমর্যাদায় নামিয়ে আনা হয়েছে। নামের মধ্য দিয়ে যাদের আমরা সীমান্তে সশস্ত্র প্রতিরক্ষা বাহিনী বলে গণ্য করতাম তারা এখন হয়েছে সীমান্তের দারোয়ান মাত্র- বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড। তারা ‘ডিফেন্স রাইফেলস’ নয়, ‘বর্ডার গার্ড’। বাংলাদেশকে পরিকল্পিত ভাবে অরক্ষিত রাখবার পরিকল্পনাই সচেতন ভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরপর সীমান্তের কাঁটাতারে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলি খেয়ে ফালানীর লাশ আমরা ঝুলতে দেখেছি। দেখেছি কিভাবে ল্যাংটা করে বাংলাদেশীদের পেটানো হয়। শুনেছি, কিভাবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর তরফে বলা হচ্ছে সীমান্তে গুলি চালানো বন্ধ হবে না। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত পৃথিবীর যেকোন সীমান্তের চেয়েও এখন রক্তাক্ত, লাশে ছিন্নভিন্ন।
এ হত্যাকাণ্ডকে জাতীয়ভাবে উপযুক্ত মূল্যায়ন করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব, একটি আহ্বান, একটি দাবি। তা হলো- দিবসটিকে জাতীয়ভাবে শোক দিবস পালনের ঘোষণা করা হোক। কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, ৫৭ জন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, তা জাতীয়ভাবে শোক দিবস হবে কেন? আমাদের পক্ষ থেকে বিনীত ব্যাখ্যায় বলব, সেনাবাহিনী কোনো দলের সম্পত্তি নয়, কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পদ নয়। তারা সমগ্র জাতির সম্পদ এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী ও স্বাধীনতাকামী মানুষের গর্ব। সেনাবাহিনীর ওপর যে আঘাত এসেছে, তাতে সমগ্র জাতি সেদিন মর্মাহত হয়েছে। আজো হৃদয় থেকে তার রেশ কাটেনি। সে শোকের কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার প্রত্যয় ও প্রতিজ্ঞা যেন প্রতিনিয়ত দৃঢ় থেকে সুদৃঢ় হয়, তাই দিবসটিকে জাতীয়ভাবে শোক দিবস পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি, প্রস্তাব করছি, দাবি জানাচ্ছি। আশা করি, কর্তৃপক্ষ এর উপযুক্ত মূল্যায়ন করবেন। যে ক্ষতি ২০০৯ সালের ২৫ তারিখ হয়েছে সে ক্ষতি তাৎক্ষণিক পূরণ হওয়ার নয়। গত তিন বছরেও তা পূরণ হয়নি। কারণটি একটু ব্যাখ্যা করলে বোঝা যাবে। যদি একজন কর্নেল শহীদ হন, যার চাকরির মেয়াদ ২৪ বছর, তার স্থলে পদোন্নতি দিয়ে একজন লে. কর্নেলকে কর্নেল বানাতে পারবেন, লে. কর্নেলের স্থলে একজন মেজরকে পদোন্নতি দিয়ে লে. কর্নেল বানাতে পারবেন, মেজরের স্থলে একজন ক্যাপ্টেনকে পদোন্নতি দেবেন, ক্যাপ্টেনের জায়গায় একজন লেফটেন্যান্টকে পদোন্নতি দেবেন এবং একজন লে.-এর জায়গায় একজন সেকেন্ড লেফটেন্যান্টকে পদোন্নতি দেবেন। কিন্তু সেকেন্ড লে. হতে গেলে আরো দু’বছর প্রশিক্ষণ লাগবে; তার আগে ছয় মাসের নির্বাচনপ্রক্রিয়া লাগবে। যদি হঠাৎ করে সব পাওয়া যেত, তাহলে চাকরির অভিজ্ঞতার আর কোনো মূল্য থাকত না। তাই সে অপূরণীয় ক্ষতিতে আমরা আজো শোকাহত। সে শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে আমরা সহানুভূতি জানাই। কামনা করি, তারা যেন সে শোক কাটিয়ে ওঠেন। আনন্দের একটু পরশে তাদের মনটাও ভরে উঠুক। তাদের সন্তানেরা যেন বড় হয়ে সমাজে যথাযোগ্য জায়গা করে নিতে পারে।
স্ত্রী ও দুই সন্তানের সাথে লে. কর্নেল এনশাদ ইবনে আমিনের ছবিটি এখন কেবলই স্মৃতি এনশাদের মায়ের আক্ষেপ
অপরাধীরা উপযুক্ত সাজা পাচ্ছে না
হত্যাকান্ডের ঠিক আগের মুহুর্তের কিছু বিরল ছবি
হাতের মেহেদীর দাগ তখনো শুকায়নি, প্রিয়জন হারানোর বেদনা
সেই নারকীয় ঘটনার পেছনে যে ষড়যন্ত্র আছে বলে দেশবাসী বিশ্বাস করে, তা আজো জনগণের কাছে উন্মোচিত হয়নি। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছাড়া এটা সম্ভব হয়নি এটা যেমন তাঁরা বিশ্বাস করে; আবার এটাও বিশ্বাস করে যে, এর সাথে কোনো না কোনো দেশীয় ষড়যন্ত্রকারী যুক্ত আছে। তাই জাতীয় সংহতির স্বার্থে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে, সেনাবাহিনীর সদস্যদের মনোবল বাড়ার স্বার্থে এসব ষড়যন্ত্রকারীর মুখ অবিলম্বে উন্মোচিত হোক, এটাই আমাদের কামনা। আমরা ওই দিনের অপেক্ষায় থাকলাম যে দিন সত্য সবার সামনে প্রকাশিত হবে।
সেদিনকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্ষমতাসীন সরকার রহস্যজনক কারনে নজীরবিহীন অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। যদিও তখনকার ভারতপন্থী মিডিয়াগুলো ৫৭ জন মেধাবী অফিসারসহ ৭৫টি প্রাণের সর্বোচ্চ ক্ষতির বিনিময়ে সে সময়কার পরিস্থিতি মোকাবেলাকে সফল সমাধান হিসেবে প্রপাগান্ডা চালিয়েছিলেন। আপসোস্! এর চেয়ে ক্ষতি আর কি হতে পারত?
বিডিআর ট্রাজেডির ৪টি বর্ষপূর্তিতেই বিভিন্ন ইস্যুতে জনগনের বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার বিষয়টি কাকতালীয় নাকি ষড়যন্ত্র তা ইতিহাসই এক সময় নির্ধারণ করবে। দু:খ ও লজ্জাকর হলেও সত্য বিডিআর ট্রাজেডির ৫ম বর্ষপূর্তিতের দিনেও রাখা হয়েছে জমকালো আয়োজন! ভারতীয়দের পৃষ্ঠপোষকতা ও অংশগ্রহণের রাজধানী ঢাকাতে নাচ-গানের আয়োজন আমাদের জাতীয় শোকের মাঝে কাঁটা ঘায়ে লবণের ছিটার মত। এটি চরম লজ্জাকর ও জাতির কৃতি সন্তানদের প্রতি নির্মম কৌতুক।
জানি দেশের এ অপূরণীয় ক্ষতি সহজেই পূরণ হওয়ার নয়। নিহতদের পরিবারগুলো এ শোক কোনোভাবেই ভুলতে পারবেনা। দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন আমাদেরকে ধৈর্য্য ধরবার তৌফিক দেন এবং তাদের শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন।
তথ্যসূত্র-
- ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে ‘শোক দিবস’ পালন করা হোক- মে. জে. (অব: ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক
- ফেব্রুয়ারির পিলখানা- ভাষার মাস আর আগের মতো নাই- ফরহাদ মজহার
- ছবি- ব্লগার এক্টিভিষ্ট
- জাতীয় দৈনিক সমূহ
বিষয়: রাজনীতি
৫২৬৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই সরকার তাদেরকে হথ্যা করেছে তারই প্রমাণ। এই অবহেলা যেন এই সরকারের সকল কর্মের বুমরাাং হয় এই কামনা করি। যুগোপযোগী পোষ্ট দেবার জন্য আপনাকে
অক্টোবর 24, 2013 এতে 5:56pm\l "
প্রথম পর্ব:
ডিসক্লেইমারঃ
১। ২০০৯ এর ২৫ই ফেব্রুয়ারীতে বিডিআর এর ঘটনায় আমি হারিয়েছি আমার আপন চাচাত ভাই (লেঃ কর্নেল), ২জন ক্লোজ ফ্রেন্ড (মেজর), ২ জন প্রিয় প্রতিবেশীকে (১জন লেঃ কর্নেল, ১ জন মেজর,)। এদের কারোই আমি বিস্তারিত পরিচয় দিতে ইচ্ছুক নই।
২। কর্নেল গুলজারের ছবি এবং আমর চাচাত ভাই ও ফ্রেন্ড ছাড়া বেশ কিছু অপ্রাকাশিত ছবি প্রকাশ করা হবে। যাদের ছবি প্রকাশ করছি সেইসব হতভাগাদের লাশ তাদের সন্তান, স্ত্রী ও আত্মীয়দের দেখতে দেওয়া হয়নি তখন। যারা শেষ বারের মত তাদের প্রিয়জনকে দেখতে পায়নি ৫ বছর পর তারা এখন সেই প্রিয়জনের ছবিগুলো দেখবে।
===========================================
২৫ তারিখ সকাল ৮:৪৫ মিনিটে সেনাবাহিনীর এক ফ্রেন্ড আমাকে প্রথম ফোন করে ঘটনা জানায়। সংক্ষেপে ঘটনা বলে জিজ্ঞাসা করে ***** স্যার (আমার চাচাতো ভাই) কোথায়? জানালাম, উনিতো ভোরেই পিলখানার উদ্দশ্যে বেরিয়ে গেছে। সে আর কিছু না বলে শুধু বলল তুই এখুনি পিলখানায় চলে আয়।
আমার চাচাত ভাই ঢাকার বাইরে থেকে এসেছিলেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং আমাদের বাসায় উঠেছিলেন। ওইদিন সকালে শুধু এক কাপ চা খেয়েই বেরিয়ে যান উনার ব্যাক্তিগত গাড়ি নিয়ে। দরবার হলের অনুষ্ঠানের বিশেষ এক দায়িত্ব ছিলো তার উপর। তাড়াহুড়া করে সকালের নাস্তাটাও করেনি।
ভাইকে আমি ফোন করছি তো করছি, রিং বেজেই চলেছে............... বাসার কাউকে তখনও কিছু বলিনি। আমি তাড়াহুড়ো করে বাসা থেকে বেরুচ্ছি, এমন সময় আরেক ফ্রেন্ড ফোন করে জানায় পিলখানার দরবার হলে ৫০ জনের মত সিনিয়র অফিসার শুট ডাউন। শুনে আমার সারা শরীর হিম শীতল হয়ে গেল। তাকে জানালাম, আমি পিলখানার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছি। নিউ মার্কেটের সামনে পৌছেই এক র্যাবের গাড়ির দিকে তাকাতেই দেখি আমার মহল্লার এক র্যাব অফিসার, সিনিয়র মেজর, (ওরও এক আত্মীয় মারা গেছে ঐ ঘটনায়)। ওকে দেখেই ট্যাক্সি থেকে নেমে ওকে ইশারা দিতেই দৌড়ে আসে। তাকে জানালাম ভাইয়ের মোবাইলের এতক্ষণ রিং বাজছিলো কিন্তু এখন ফোন অফ। সে নির্বিকার আমাকে জানালো ****** স্যার (আমার চাচাতো ভাই) এর আশা ছেড়ে দেন। প্রথম তার কাছে জানতে পারি আমাদের পরিচিত কারা কারা ভিতরে আছে। এর মধ্যে আমার আরও কয়েকজন আর্মি ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা হয়। ঘটনা কি ঘটেছে বুঝতে আর বাকি রইলো না।
এর ভিতর কিভাবে যেন আমার পরিচিত কয়েকজন জেনে যায় আমি পিলখানায় আছি। একটার পর একটা ফোন আসা শুরু হয়। যাদেরকে বলা প্রয়োজন মনে করেছি তাদেরকে সত্য কথা বলছি। কিন্তু কাঊকে কাঊকে এড়িয়ে গেছি। ঐ সময় আমিও কেমন যেন অনুভতিহীন হয়ে গিয়েছিলাম। আমি জানি, তাদের কাছের লোকটি নেই কিন্তু নির্বিকারে তাদের স্ত্রী, সন্তান, ভাই বোনদের বলে যাচ্ছি উনি ভালো আছেন/আছে, একটু আগে আমার সাথে কথা হয়েছে............ এমন মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছিলাম নির্বিকারে।
টিভিতে লাইভে আপনারা যেভাবে সাংবাদিকদের মিথ্যাচার দেখছিলেন, আমিও ঠিক একিভাবে মিথ্যা বলে যাচ্ছিলাম আমার পরিচিত জনদের। কিছুক্ষণের ভিতর আমার মোবাইলে অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আশা শুরু করলো। কল করে বলে “অমুক আপনার ফ্রেন্ড হয় না? আমি তার , চাচা, মামা, খালাতো বোন, মামাতো বোন............... আমার হাসবেন্ডের নাম লেঃ কর্নেল ****** আমার ছেলে/ভাই/ভাতিজা মেজর *****, ক্যাপ্টেন ***** আমিতো ওকে ফোনে পাচ্ছি না......... আপনিতো পিলখানায় আছেন............ একটু দেখবেন ও কোথায় আছে, কেমন আছে? একটু খোজ নিয়ে জানাবেন, প্লিস।“
আর আমি শূয়রের বাচ্চা, ইতর, হিজড়া নামক মানুষটি সবাইকে মিথ্যা বলে যাচ্ছিলাম। আমি এমন ভিরু, কাপুরুষ হয়ে গিয়েছিলাম যে কাউকে বলতে পারিনি যে আপনার স্বামী, ভাই, ছেলে আর জীবিত নাই। যে কোন ভাবেই হোক আমি প্রতি মিনিটে নিহতদের আপডেট নামের তালিকা দেখছিলাম। পিলখানার ভিতর থেকে কেউ একজন প্রতিনিয়ত নিহতদের নাম প্রকাশ করে যাচ্ছিল সরকারের একটি বিশেষ সংস্থার কাছে। আমার সামনেই নামগুলো নোট করে নিচ্ছিলো সেই সংস্থার একজন। পিলখানার এই গেইট থেকে ঐ গেটে দৌড়াদৌড়ির মধ্যে দুই টিভি সাংবাদিকের খপ্পরে পড়ি। আমি তাদের একটিও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মাইক্রফোন সরিয়ে দিয়ে আমি আমার পথে যেতে থাকি। টিভিতে লাইভে ঐ দৃশ্য আমার পরিচিতজন কয়েকজন আমার চেহারার অভিব্যাক্তি দেখে বুঝে ফেলে, বিশেষ করে আমার স্ত্রী নিশ্চিত বুঝে ফেলে। সে ঘরে কান্নাকাটি শুরু করে, এতে ঘরের সবাই বুঝে ফেলে আমার ভাই আর নেই। ওদিকে চাচা, চাচী আমার বাসায় ফোনের পর ফোন করতেছে। আমার ঘর থেকে কেউ সদুত্তর দিতে পারছে না, সুধু উত্তর দিচ্ছে ‘জাতির নানা’ পিলখানায় আছে। ওর সাথে কথা হয়েছে, সব ঠিক আছে।
পিলখানায় উদ্ধার কাজ শুরু হওয়ার মুহূর্তে যে কয়জন পিলখানার ভিতরে যাওয়ার সুজুগ পেয়েছিলো আমি তাদের একজন। যে কোন উপায়ই হোক আমি ভিতরে ঢুকেছিলাম। তার অনেক আগেই জেনে গিয়েছিলাম/বুঝেছিলাম আমি কাদেরকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি ঢুকেছিলাম শুধু আমার হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনদের লাশ খুজতে। লাশ খুজতে খুজতে পাগলপ্রায় অবস্তা আমার। এর মধ্যে খবর পাই কিছু লাশ মিটফোর্ডে মর্গে নিয়ে গেছে। ছুটে যাই সেখানে। মর্গে গিয়ে দেখি সরকারী বাহিনীর বিশেষ কিছু লোকজন ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষেদ। এক পরিচিত অফিসারের সহায়তায় আমি মর্গে ঢুকি। জীবনের প্রথম মর্গে ঢুকি। লাশগুলো কিছু উপড় হয়ে আছে কিছু কাত হয়ে আছে। ৬-৭টা লাশ উলটিয়ে দেখতে গিয়ে প্রথম পাই আমার প্রতিবেশী সিনিয়র ভাইয়ের (লেঃ কর্নেল)। তার চেহারা দেখে মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠে। সাথে সাথে মর্গে থেকে বেরিয়ে পড়ি।
পিলখানায় ও হাস্পাতালে দৌডাদৌডিতে অনেক হতভাগা নিহতের আত্মীয় সজনের কাছে চেনা মুখ হয়ে যাই। তখন এক হতভাগা নিহতের আত্মীয় এসে একটা ছবি দিয়ে বলে লাশটা আইডিন্টিফাই করার অনুরোধ করে। এর মধ্যে আরো কয়েকজন ছবি, নাম ও রেঙ্ক লিখে চিরকুট দেয়। আবার ঢুকে ভাইয়ের লাশ খোজা শুরু করি, একপর্যায়ে পেয়েও যাই। ভাইয়ের লাশ পেয়েও আমি কিভাবে যেন নির্বিকার ছিলাম। অনুভুতিহীন হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর পকেট থেকে কয়েকটা ছবি ও নাম দেখে কিছু লাশ আইডিন্টিফাই করার চেষ্টা করলাম। বেশিরভাগ লাশের নেমপ্লেট ছিল না। হঠাৎ মাথায় এলো মোবাইল দিয়ে কিছু ছবি তুলে বাইরে আত্মীয় স্বজনদের দেখালে হয়তো চিনতে পারবে, আমিতো ছবির সাথে লাশের কোন মিল খুজে পাচ্ছিলাম না। বেশ কিছু ছবি তুললাম সরকারী বিশেষ সংস্থার লোকদের চোখ ফাকি দিয়ে। আবার বাহির হয়ে দুজনকে ছবিগুলো দেখাচ্ছিলাম, পাশ থেকে এক মহিলাও ছবিগুলো দেখছিলো যা আমি খেয়াল করিনি। হঠাৎ ধুপ করে আওয়াজ শুনে পাশে ফিরে দেখি এক মহিলা মাটিতে পড়ে আছে। তার সাথের লোকটি জানালো আমার ঐ ছবিগুলোর মধ্যে ঐ মহিলার স্বামীর ছবি ছিলো।
২৬শে ফেব্রুয়ারি মাঝ রাতে বাসায় ফিরি। এই দুই দিন খেয়েছিলাম ২টা কলা আর ২ পিস ব্রেড। তার পর মাসখানেক কিছু খেতে পারিনি। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া সেই বিভীষিকাময় ‘ঘটনা’ এবং ‘ঘটনার পিছনের ঘটনা’ হয়তো একদিন কেউ না কেউ প্রকাশ করবে।আগামী ফেব্রুয়ারির ২৫ ও ২৬ তারিখে অনেকের বাসায় আমাকে দাওয়াত দিবে মৃত্যু বার্ষিকীর মিলাদ মাহফিলে। গত ৪ বছরও যাইনি, আগামীতেও যাব না। যে সব অফিসারদের স্ত্রী কন্যা, পুত্রদের ২৫ তারিখ সন্ধ্যায়ও বলেছিলাম উনি জীবিত আছে তারা জানে যাদের প্রিয় মানুষটির মৃত্যু হয়েছে ২৬ তারিখে। আমার মিথ্যা কথার উপর ভিত্তি করে তারা ২৬তারিখ মৃত্যু বার্ষিকী পালন করে। সেইসব পরিবারের মুখোমুখি হওয়ার সাহস আমার আজ হয়নি। আমার নিজের
সেদিন একটা কথা অনুধাবন করতে পেরেছিলাম যে ঘরের মালিক যদি নিজের ঘর জ্বালিয়ে দিতে চায় তাইলে প্রতিবেশী সেই আগুন নেভাতে পারে না। সেদিন র্যাব-১ এর দুই পিকআপে ১৬ জন ছিলো। তাদের কমান্ডিং অফিসার বার বার তার মহাপচালিকের কাছে অনুমতি চাইছিলো একশানে যাওয়ার। কিন্তু হায় অনুমতি মিলেনি। ঐ অফিসারকে দেখেছি দাঁত কিড়মিড় করে বার বার তার মহাপরিচালকের কাছে বলছে, "স্যার, পারমিট মি পারমিট মি।" যদি অনুমতি মিলতো তাইলে এত অফিসারের প্রাণহানি হত না। অধিকাংশ গুলিবিদ্ধ অফিসারকে উদ্ধার করে বাঁচানো সম্ভব ছিলো। অনেক অফিসার গুলিবিদ্ধ হয়েও রাত পর্যন্ত জীবিত ছিলো। জীবিত অবস্থায়ই তাদের মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিলো। র্যাব নিজস্ব সোরচে আগেই খবর পেয়েছিলো এবং প্রস্তুতি নিয়েই পিলখানা গেইটে অবস্থান নিয়েছিলো সকাল সাড়ে আটটায়। গেইটের বাইরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসএমজি’র গুলির আওয়াজ শুনেছে। র্যাবের ঐ দুটা টিমই যথেস্ট ছিলো ভিনদেশী ১২ জন হায়েনাকে প্রতিহত করার। এত ট্যাঙ্ক, কামান আর হেলিকাপ্টারের দরকার ছিলো না। সেদিন র্যাব-১ যদি একশানে যেতে পারতো সারা দুনিয়ার সামনে ভিন্ন কিছু উম্মচিত হত।
আপনারা বিভিন্ন মিডিয়ায় যে সব ঘটনা, পৈচাশিক ঘটনার কথা শুনেছেন তা আমার দেখার সাথে মিলে না। ছবিগুলো দেখে কি আপনারা বলতে পারেন, যাদেরকে মারা হয়েছে তারা পাগল পশু ছিলো নাকি যারা এভাবে মেরেছে তারা পাগল পশু ছিলো???
আপনারা বিভিন্ন মিডিয়ায় যে সব ঘটনা, পৈচাশিক ঘটনার কথা শুনেছেন তা আমার দেখার সাথে মিলে না। ছবিগুলো দেখে কি আপনারা বলতে পারেন, যাদেরকে মারা হয়েছে তারা পাগল পশু ছিলো নাকি যারা এভাবে মেরেছে তারা পাগল পশু ছিলো???
উপরের ছবিটি ডিজি শাকিলের। যাকে জীবিত অবস্তায় মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিলো, যার কারনে উনার চোখ দুটি বের হয়ে আসছিলো (সি এম এইছ এর এক ডাক্তারের অভিমত) গুলি খাওয়ার পর অনেকে জীবিত ছিলো যারা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে মাটি চাপা দেওয়ার পর। শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেলে মানুসের চোখ বেরিয়ে আসে।
নিচের ছবিটা দেখুন; পৈচাশিকতা এবং নৃশংসতার সঙ্গা নতুন করে শিখুন।
চলবে.................
সূত্র জাতির নানা'র ফেসবুক ।
একটু পরে পুরা লেখাটার লিংক দিচ্ছি
আন্তরিক ধন্যবাদ হাসান ভাই, জাতিয় খুব গুরুত্তপূর্ন বিষয় নিয়ে অনেক দিন পর হজির হওয়ার জন্য ।
আমার দেখা বিডিআর হত্যাকান্ড ও কিছু অপ্রকাশিত ছবি। (২য় পর্ব)
যাদের হার্টের সমস্যা আছে বা দুর্বল হার্ট তাদেরকে ছবিগুলো না দেখার অনুরোধ করছি।
-----[প্রথম নোট দেওয়ার পর ইনবক্সে তিনশর বেশী ম্যাসেজ পাই। অধিকাংশই হতাশা, সহানুভুতির, রাগের ক্ষোবের। অনেকেই অনেক প্রশ্ন করেছেন যেগুলোর উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। শ খানেক ম্যাসেজ পড়েছি, সংক্ষেপে উত্তর দিইয়েছি। আপনাদের ম্যাসেজ পড়ে মনে হয়েছে আপনারা হতভাগা সেনা অফিসারদের আত্মীয় বা কাছের কেউ। প্লিস আমাকে আর ইনবক্সে কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না, আপনাদের সব জিজ্ঞাসার উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়]
===================================================================
২৬ ফেব্রুয়ারী ২০০৯। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ইতিহাসে নজিরবিহীন। বাংলাদেশ রাইফেলস এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ সহ ৫৭ জন বিভিন্ন পদবির চৌকশ সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরা মহাপরিচালক শাকিলের বাসস্থানে তাঁর স্ত্রীর উপর নারকীয় পৈশাচিক নির্যাতনের পর তাঁকে হত্যা করে। কতিপয় দেশদ্রোহীর সহায়তায় পিলখানার দরবার হল থেকে সেনা অফিসারদের বাসস্থান পর্যন্ত অকাতরে গুলি চালিয়ে হত্যা, স্ত্রী সন্তান্দের উপর পৈশাচিক নির্যাতন, হত্যার পর লাশ ড্রেনে ফেলে দেয়া, মাটি চাপা দেয়া এবং পুড়ে ফেলার মত ধ্বংস যজ্ঞ চালায়। জাতির প্রতিটি মানুষ সে দিন এই আকস্মিক অভাবনীয় হত্যাযজ্ঞের শোকে কষ্টে স্তম্ভিত হয়ে যায়।
নিয়তির কি নির্মম পরিহাস। সে ঘটনায় মারা যায় তৎকালীন পুলিশের আইজি নুর মোহাম্মদের সদ্য বিবাহিত একমাত্র মেয়ের জামাতা (ক্যাপ্টেন)। বিপদের সময় মানুষ কতটা অসহায় হয়ে যায়, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে যে, তিন বাহিনীর প্রধানের সামনে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ধরে আকুতি জানিয়েছিলো তার একমাত্র মেয়ের জামাই ও মেয়েকে উদ্ধারের। প্রধানমন্ত্রী তাকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, “তোমার পদবীর সাথে এমন ইমোশান মানায় না। তোমার মেয়ে ও জামাইর কিছু হবে না।“ তার মেয়ে নির্যাতিত হয়ে জীবিত বের হতে পেরেছিলো কিন্তু মেয়ের জামাই নৃশংসভাবে মৃত্যু বরন করেছিলো।
শোকাহত পরিবাররের মানুষ গুলোর হৃদয়ে এখনও রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। এ ঘটনার পর আজও বিবেকবান সকলের মনে প্রশ্ন বিশেষ করে দেশ প্রেমিক চিন্তাবিদ ও সমরিক বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন –এই হত্যা যজ্ঞ কি মিউটিনি নাকি আভ্যন্তরীণ এবং বহিঃ ষড়যন্ত্রের অংশ? ঘটনার প্রেক্ষাপট, স্থান, ঘটনার গভীরতা, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন, ঘটনা পরবর্তী সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম এবং মিডিয়ার প্রভাব অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এই লেখায় আমি সুধু সেই সময়ের নিজের দেখা ঘটনার একটা খুদ্র অংশ প্রকাশ করলাম। ঘটনা সামনে থেকে দেখে নিজের কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজছি।
আচ্ছা, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী দ্বারা কারা কারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো?
১। শেখ হাসিনা ?
২। শেখ সেলিম ?
৩। তাপস ?
৪। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ?
উপরের চারটা প্রশ্নের উত্তর ‘হাঁ’
এই ঘটনায় প্রথম তিন বাংলাদেশীর কথা পরে আলোচনা করি। ৪র্থ ক্ষতিগ্রস্থ ভারত। আপনাদের নিশ্চয় রৌমারীর ঘটনা মনে আছে?? ২০০১ সালের ১৮ই এপ্রিল রাতে বিএসএফ বাংলাদেশের বেশ কিছু ভুখন্ড দখলের উদ্দেশ্যে রাতের আধারে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রৌমারীর বড়াইবাডি গ্রামে প্রবেশ করেছিলো দশ প্লাটুন বিএসএফ। তৎকালীন বিডিআর এর বিডিআর মহাপরিচালক আ ল ম ফজলুর তাৎখনাত আদেশ দিয়েছিলেন কাউন্টার অ্যাটাকে যেতে। সেই রাতে মাত্র বিডিআর দুই প্লাটুন সৈন্য গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে বিএসএফ উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দুদিন যুদ্ধ চলে। ফলাফল???
আপনারা পত্রিকায় দেখেছে বিএসএফ এর ২২জন, কোন পত্রিকায় ৪০ কোন পত্রিকায় ৭০জন, ৮০ জন এমন বিভিন্ন রকমের তথ্য পেয়েছেন। বিএসএফ নিহতের সঠিক সংখ্যা ভারত সরকারও গোপন করেছে তেমনি বাংলাদেশ সরকারও গোপন করেছে। ঐ ঘটনার পরের দিন অফিসিয়াল কাজে বুড়িমারী গিয়েছিলাম। কাজ সেরে দুপুরের পরে স্থানীয় এক ছেলেকে সাথে নিয়ে রৌমারী বিডিয়ার ব্যারাকে যাই। সেনাবাহিনীর যে দুজন অফসারের নেত্রিত্তে কাউন্টার অ্যাটাক হয়েছিলো তাদের মুখে ঐ রাতের কথা শুনি। তাদের কথার সারসংক্ষেপ হল এই বিজয়ের ফুল ক্রেডিট বড়াইবাডি গ্রামবাসীর। গ্রামবাসীরা বিডিয়ার এর সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে বিএসএফ কচুকাটা করে। বড়াইবাড়ির বিডিআর এর সাথে সেই রাতে যুক্ত হয়েছিলো জামালপুর থেকে কর্নেল শায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ফোর্স। ঐ দুই অফিসারের ভাষ্য অনুযায়ী দুই ট্রাক বিএসএফ এর মৃতদেহ বাংলাদেশ ভূখণ্ড থেকে খুজে খুজে সরিয়ে নেয়। ঐ গ্রামের কয়েকজনের ভাষ্য অনুযায়ী তিন ট্রাক বিএসএফ এর মৃতদেহ সরানো হয়েছিলো। আসা করি বিএসএফ এর লাশের সংখ্যা অনুমান করতে পারছেন। রাতের আধারে অপরিচিত টেরিটোরিতে ঢুকে বিএসএফ বিডিয়ার এর অতর্কিত অ্যামবুশে পড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিলো। সেইসাথে গ্রামবাসীর দা কুড়ালের আক্রমনের শিকার হয়েছিলো। দুদিনের যুদ্ধে বেশকিছু গ্রামবাসী ও কয়েকজন বিডিআর আহত হয়েছিলো। বেশ কিছু ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিলো বিএসএফ। চারজন দেশপ্রেমিক বিডিআর শহীদ হয়েছিলো সেদিন। সেই ঘটনার জের ধরে তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক আ ল ম ফজলুর চাকরী হারিয়েছিলেন। সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। শেখ হাসিনা বিডিআর সদস্যদের ধন্যবাদের বদলে শাসিয়েছিলেন বলে গ্রামবাসিরা অভিযোগ করে।
এই ঘটনা বলার পিছনে কারন আছে। পরের পর্বগুলোতে এর ব্যাখ্যা দিব। যদিও আপনারা এর নেপথ্য জানেন।
এর বাইরেও মনের ভিত কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যার উত্তরগুলো এখনো আমার অজানা। এই ঘটনার পুনঃতদন্ত হলে এইসব প্রশ্নগুলো সামনে আসবেঃ
১। আমার মত একজন সাধারন নাগরিক যখন সকাল ৯টার এর মধ্যে জেনে যায় ৩৭ জন অফিসার মারা গেছে সেখানে সকাল ১১টায় প্রধান মন্ত্রী কি করে সাংবাদিকদের বলেন, পিলখানার অভ্যন্তরে হতাহতের কোন খবর জানেন না!!!!!!
২। পিলখানায় মুল হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় মাত্র ১২ জন। যারা ৯:১৫ মিনিটের মধ্যে পোশাক পরিবর্তন করে বের দেয়াল টপকিয়ে হাজারীবাগ এলাকা দিয়ে বের হয়ে যায়। তাদেরকে ২টি এম্বুল্যান্সে এয়ারপোর্টে পৌছে দেওয়া হয়। দুইটা পুলিশের গাড়ি এস্করট করে তাদের বিমান বন্দরের ভিয়াইপি গেইট দিয়ে ধুকানো হয়। কার নির্দেশে সেই দিন বিমানে ফ্লাইট ৩০ মিনিট দেরি করে? কারা ঐ দিন বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় ছিলো?
৩। সকাল ৭টায় রংপুর থেকে এক ডিজিএফাই এর এক মেজর পিলখানায় তার বন্ধুকে ফোন করে বলে, “বাচতে চাইলে পিলখানা থেকে এখনই বের হয়ে যা।" পিলখানার অফিসারটি তাৎক্ষনাত বের হতে না পারলেও ঘটনার পরে জীবিত অবস্থায় বের হয়!!!- এই কথা বলছি এই কারনে যে ডিজিএফাই এর একটা অংশ এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলো???
৪। ঘটনার পরের দুমাসের ভিতর কতজন অফিসার ক্যান্টমেন্টের অভ্যন্তরে অপঘাতে বা দুর্ঘটনায় মারা যায়??? একজন মারা যায় হেলিকাপ্টার এক্সিডেন্টে। এদের অধিকাংশই সারভাইবাল বা পিলখানা থেকে জীবিত ফেরত এসেছিলো। CMH এ চিকিৎসারত অবস্থায় কয়জন অফিসারের স্মৃতিভ্রম হয়েছে??? সেনাকুঞ্জে সেসব অফিসার শেখ হাসিনার সাথে উদ্যত আচরন করেছিলো তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছিলো???
৫। সারা দেশ থেকে আগত কয়েক হাজার বিডিআর জওয়ানকে আটক করার পর ৬০ জনের মত জওয়ান হার্ট অ্যাটাকে বা গলায় গামছা পেচিয়ে মারা যায়!!! এরা কি ঘটনার পিছনের আসল ঘটনা জানতো???
৬। কর্মরত ডিবি, র্যাব, পুলিশ বা ডিজিএফআই কে ইনভল্ব না করে কি কারনে আবসরে যাওয়া ডিবির আবুল কাহার আকন্দকে ডেকে এনে এর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো??? এই ফরমায়েশি তদন্তকারী কি হত্যার আলামতগুলো হেফাজত করেছেন নাকি চিরতরে শেষ করে দিয়েছেন?? সিসি টিভির ফুটেজগুলো কি সংরক্ষণে রেখেছেন নাকি আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছেন???
৭। সারভাইবালদের থেকে কাকে কাকে পুরুস্কিত করা হয়েছিলো??? এমনও দেখা গেছে মেজর পদমরর্যদার কাউকে ইউএন মিশনে দৈনিক ১৮০ ডলার বেতনের লোভনীয় পদে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিলো!!!!! সচারাচর এধরনের বেতনে পাঠানো হয় কর্নেল/ব্রিগেডিয়ার পদমরর্যদার কাউকে!!! এমনভাবে পুরস্কৃত করার পিছনে বিশেষ কোন কারন নাই তো???
লিংক-https://www.facebook.com/notes/জাতির-নানা/আমার-দেখা-বিডিআর-হত্যাকান্ড-ও-কিছু-অপ্রকাশিত-ছবি-২য়-পর্ব/532858240136296
খুবি গুরত্বপূর্ণ জাতীয় বিষয় নিয়ে পোস্টের জন্য আপনাকে আন্তরিভাবে ধন্যবাদ জানাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন