তরুণ প্রজন্মের দেশপ্রেম ও আবেগকে পূজি করে বিদ্বেষ ও অশ্লীলতার বীজ বপন জাতির জন্য মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার চেয়েও ভয়াবহ!
লিখেছেন লিখেছেন হাসান ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:৫৮:২০ রাত
দু:খজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার ৪২ বছরেও অফুরন্ত সম্ভাবনাময় আমাদের এই দেশটিতে তরুণ প্রজন্মের প্রতিভাকে গড়ার কাজে যথার্থভাবে ব্যবহার করতে পারিনি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের স্বচ্ছ বিচারের ক্ষেত্রে কারো দ্বিমত তথা বিরোধীতা নেই। খোদ যাদের নামে অভিযোগ তারাও বরাবরই স্বচ্ছ বিচারের দাবি জানিয়ে বিচার কাজে অংশ নিচ্ছেন। এরকম একটি প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিনের এই বিতর্কিত বিষয়টির যখন অবসান হয়ে দেশ জাতীয় ঐকমত্যের দ্বারপ্রান্তে উপনিত হচ্ছিল, ঠিক তখনি তরুণ প্রজন্মের আবেগকে ভুল পথে চালিত করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল জাতির মধ্যে নতুন করে বিভেদের বীজ বপন করছে।
দেশের নামকরা অসংখ্য প্রবীণ নাগরিকের নেতৃত্বে লিখিত বক্তব্যে এমন সব দেশবিরোধী আত্মঘাতী বিষয়ের অবতারনা করা হলো যার ভয়াবহতা কল্পনাকেও হার মানায়। দেশের যে দলটির প্রায় ২ কোটি সমর্থক তাদের সবাইকে নির্মূল ও নাগরিকত্ব বাতিলের মত মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত উস্কানি দেওয়া হলো। বাজেয়াপ্ত, বয়কট ও বন্ধ করার হুমকি দেয়া হলো দেশের প্রায় অর্ধেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে।
গোটা জাতি অত্যন্ত কষ্টের সাথে লক্ষ্য করছে, জাফর ইকবালের মত মানুষেরা তরুণ প্রজন্মকে যে রকম অশ্লীল, আক্রমনাত্মক ও বর্বরোচিত স্লোগান শিখাচ্ছেন তা জঙ্গিদেরও হার মানায়। যেখানে ধর্ষণবান্ধব আ.লীগ সরকারের ৪ বছরে ১৩ হাজার ধর্ষণের ঘটনা ঘটল, সেখানে জাফর ইকবাল তার বক্তব্যে কোমল-মতি তরুণদের সবাইকে মানুষ হতে না বলে তথাকথিত প্রেম করার আহবান জানাল। আধীপত্যবাদীদের নানামুখী আগ্রাসনের মোকাবেলায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের মাঝে যেখানে জাতীয় ঐক্যের চেতনা জাগ্রত করা অতীব প্রয়োজন ছিল, ঠিক সেই সময়ে হিংসা ও অশ্লীলতার বীজ বপন করে জাতির অপূরনীয় ক্ষতি করা হলো।
তরুণ প্রজন্মকে ভুল বার্তা দেয়ার মাধ্যমে আধিপত্যবাদীদের বন্ধুরা আজ দেশের যে ক্ষতি করছে তার নেতিবাচক প্রভাব মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার চেয়েও ভয়াবহ।
আমাদের পরিচয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা জামায়াত নয়, সবাই মহান আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ। আর কতকাল এই বিভেদ ও হানাহানির রাজনীতি চলবে? এ জাতির কি হুশ ফিরবে না? আ.লিগ, বিএনপি, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করব জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমাদের সম্ভাবনাময় প্রিয় দেশটিকে এগিয়ে নিন।
দোয়া করি, সবাই যেন অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসার তৌফিক পায়। হে আল্লাহ, এ জাতির মধ্যে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও মহব্বত পয়দা করে দিন।
একবিংশ শতাব্দীর অগ্রসরমান বিশ্বে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে অযৌক্তিক আবেগ পরিহার করে বাস্তবমুখী হওয়া দরকার।
বিষয়: বিবিধ
১২০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন