অপার সম্ভাবনার নাম বাংলাদেশ : দেশ গড়ার যুদ্ধে তরুণ প্রজন্মকে জাগতেই হবে
লিখেছেন লিখেছেন হাসান ২৫ জুন, ২০১৩, ১০:৩৯:৪৭ রাত
যেসব ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন দেশী পণ্য রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে বিদেশী পণ্য ব্যবহারের পরিবর্তে নিজেদের পণ্য ব্যবহার করে সত্যিকার দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রাখি এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখি। সম্মানিত বন্ধুদের বিশেষ করে তরুণ ব্লগারদের অনুরোধ করব লিঙ্কের গ্রুপটিতে সদস্য হয়ে দেশী পণ্যের তালিকা করতে সহযোগিতা করুন।
নপুংশুক ও চরিত্রহীন পিতার সহায়তায় অবুঝ সন্তানদের সামনে লম্পটদের গণধর্ষণের শিকার এক অসহায় রূপসী মা
বলা হয় গরীবের বউ সবার ভাবী। এক্ষেত্রে গরীবের বউটি যদি দেখতে সুন্দরী হয় এবং প্রতিবেশি মাতব্বরা যদি লম্পট শ্রেণীর হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। আর আমাদের প্রিয় দেশটিতে অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও গরীব। বলতে গেলে রূপসী দেশটির সর্বাঙ্গে সৌন্দর্য লুকায়িত। তাই বিশ্ব লম্পট যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও প্রতিবেশির ব্যাপারে ঐতিহাসিক চরিত্রহীন ভারত, ইইউ, ডব্লিউবি, আইএমএফ এর গণধর্ষনের শিকার রূপসী বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে রূপসীর অক্ষম স্বামী (সরকার বাহাদুর!) নামমাত্র স্বামীত্বকে দীর্ঘস্থায়ী করতে বিশ্ব লম্পটদের নিতান্তই সহায়কের ভূমিকা পালন করছে। বার বার স্বামী (সরকার) পরিবর্তন করেও (রূপসী) নিজের স্বতীত্ব যেমন ধরে রাখতে পারছে না, তেমনি পারছে সন্তানদের (জনগণের) মুখে হাসি ফুটাতে।
রূপসীর বর্তমান স্বামীর (যে স্বামীর কিনা স্বামীত্ব টিকিয়ে রাখার ভিশন ২১) মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ও যুদ্ধাপরাধের মত বড় বড় খাবার দিয়ে রূপসীর অবুঝ সন্তানদের ব্যস্ত রেখে বাড়ির বেডরুমে প্রবেশ করে নপুংশক স্বামীর সহযোগিতায় রূপসীর গ্যাস, বন্দর, ট্রানজিটের মত অত্যন্ত স্পর্শকাতর গোপন অঙ্গের কর্তৃত্বও দখল করেছে লম্পটরা। অথচ মায়ের সতীত্ব নষ্ট হওয়ার বিষয়টি অবুঝ সন্তানরা টের না পেয়ে বিশ্বাসঘাতক পিতার (সরকার) দেয়া দৃর্শ্যমান খাবার খেতেই ব্যস্ত।
গ্যাসের কর্তৃত্ব দেয়া মানে লম্পটদের বেডরুম ছেড়ে দেয়া, আর দেশের সামরিক বাহিনীর অফিসারদেরকে দিয়ে স্যালুট দেয়া অর্থ চূড়ান্তভাবে মনিবের কাছে গোলামদের আত্মসমর্পনের নামান্তর।
অপার সম্ভাবনার নাম বাংলাদেশ : দেশ গড়ার যুদ্ধে তরুণ প্রজন্মকে জাগতেই হবে
একজন জাপানি বিশেষজ্ঞের মন্তব্য ছিল বাংলাদেশটাকে আমাদের হাতে দেয়া হলে আমরা বিশ্বকে কৃষিভিত্তিক শিল্পোন্নত দ্বিতীয় জাপান উপহার দিতাম। আমাদের সমসাময়িক স্বাধীন হওয়া মালয়েশিয়া আজ কোথায়? দেরিতে হলেও সম্ভাবনাময় প্রিয় দেশটিকে তার জায়গায় নিয়ে যেতে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা সময়ের অপরিহার্য দাবী।
সদ্যমাস্টার্স সমাপ্ত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মেধাবী ছোট ভাইয়ের ফোন পেলাম। পিতৃহীন এই ছোট ভাইটি মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও সম্ভাবনাময় এই দেশটিতে চাকরি পাচ্ছে না। ইতিহাস থেকে পাশ করায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগও খুব কম। সরকারি চাকুরিতে পরীক্ষার সুযোগ থাকলেও নানা বৈষম্য ও অনিয়মের কারনে তা কপালে জুটার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ঈদের পরেই হল ছাড়তে হবে। তাকে নিয়ে বাড়ীতে মা-বোনের অনেক স্বপ্ন ও প্রত্যাশা। তার কষ্ট ও অসহায়ত্বের কথায় মনের অজান্তেই চোখে জল এসে যাওয়ায় কথা আর চালিয়ে যেতে পারিনি। হাজারো সম্ভাবনাময় এই দেশটিতে আমাদের অযোগ্যতা তথা জাতির কর্ণধারদের দেশ গড়ার গঠনমূলক কাজের পরিবর্তে ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যস্ত থাকার কারনে এরকম লক্ষ লক্ষ তরুণ আজ হতাশার সাগরে ভাসছে কিংবা কেউ কেউ চলে যাচ্ছে অন্ধকার জগতে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আমাদের Potential জিডিপির পরিমাণ হওয়ার কথা কমপক্ষে ৯০ লক্ষ কোটি টাকা, সেখানে আমরা স্বাধীনতার ৪২ বছরেও তা ১০ লাখের ঘরে!! অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্যানুসারে ২০১১-১২ অর্থবছরে চলতি বাজারমূল্যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে নয় লাখ ১৪ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় বাজারমূল্যে ৮৪৮ মার্কিন ডলার তথা টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৬৬ হাজার ২৮৩। অথচ আমাদের চেয়ে মাত্র ৬ বছর আগে স্বাধীন মালয়েশিয়ার মাথাপিছু আয় ২০০৮ সালের হিসেবেই ছিল ২৭,৬৭৪ মার্কিন ডলার। প্রয়োজন একটি অর্থনৈতিক বিপ্লব।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল বিষয়ও খাদ্য নিরাপত্তা। একদিকে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যার বৃদ্ধি, অন্যদিকে উন্নত বিশ্বে জৈব জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে খাদ্য সঙ্কট দিন দিন আরো প্রকট হচ্ছে। ফলে গত কয়েক বছরে খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় দারিদ্র্য ও অপুষ্টির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে অনুন্নত ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোতে দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। আর এর ভয়াবহতা আমাদের মতো জনবহুল দরিদ্র দেশটির জন্য এক বিভীষিকাময় অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তবে যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের সম্পদের সঠিক ব্যবহার বিশেষ করে কৃষির আধুনিকায়ন এবং সময় ও সম্ভাবনাকে ধারণ করে শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশকে কৃষিভিত্তিক শিল্পোন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব।
আমাদের অর্থনীতির (বর্তমান) চিত্র
মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দরিদ্র দেশটিতে প্রায় ১৬ কোটি লোকের বসবাস। যা কি না সমগ্র বিশ্বে বিরল। অধিকন্তু একদিকে যেমন আমরা আমাদের ক্ষুদ্র হলেও অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও উর্বর ভূমিটুকুর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারিনি, অন্য দিকে এই বিশাল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে না পারায় তা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলতে গেলে আমাদের কৃষিতে এখনো সেকেলে চাষ পদ্ধতিই রয়ে গেছে। কৃষিতে আধুনিকায়ন করা গেলে কয়েক গুণ উৎপাদন বাড়ানো যেত। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের কৃষিব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে পারলে দেশের এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেও রফতানি করা সম্ভব।
দেশের মোট জনশক্তির ৬২ শতাংশ কৃষি খাতে নিয়োজিত।
২০০৬-০৭ অর্থবছরে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ছিল ২১.৩৭ শতাংশ। ২০০৬-০৭ অর্থবছরে দেশে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন হয় ২৮৯.৪২ লাখ মেট্রিক টন। আর সরকারি ও বেসরকারিভাবে খাদ্যশস্য আমদানি করা হয় ২৪.২০ লাখ মেট্রিক টন।
২০০৭-০৮ অর্থবছরের খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩৬.৩২ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৩২.২৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে।
জনসংখ্যা নামক সমস্যাকে সম্ভাবনায় পরিনত করা যায়
দেশে ১৯৭১ সালে মাত্র ৭ কোটি লোক ছিল। তারপরও মানুষ না খেয়ে থাকত। আর এখন ১৬ কোটি লোকের দেশে জনগণের অবস্থা খুব ভালো না হলেও কাজের লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন।
৭১ সালে দেশে খাদ্য উৎপাদন ছিল মাত্র ১০০ লক্ষ মেট্রিক টন। আর বর্তমানে খাদ্য উৎপাদন বেড়ে দাড়িয়েছে ৩০০ লক্ষ মেট্রিক টনেরও বেশি। অর্থাৎ এ সময়ে দেশে মানুষ বেড়েছে দ্বিগুনের একটু বেশি কিন্তু একই সময়ে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে তিন গুনেরও বেশি। বর্তমান বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় ১২০০ কোটি মানুষের। কিন্তু ৭০০ কোটি লোকের এক তৃতীয়াংশ মানুষ অভুক্ত থাকে তথা তাদের প্রয়োজনীয় ক্যালরি থেকে বন্চিত হয়। মূল সমস্যা ধনী দেশগুলোর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অধিক মুনাফা লাভের মানসিকতা ও বন্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্য। বর্তমান বিশ্বে খাদ্যদ্রব্যের স্বল্পতার অজুহাত ও দাম বৃদ্ধির কাল্পনিক প্রপাগান্ডার মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্যের বাজারে সবচেয়ে বেশি জুয়াখেলা হচ্ছে।
[সূত্র : অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০০৮]
এ ছাড়া সঠিকভাবে বাজারজাতকরণের অভাবে কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গড়ে উঠেছে মধ্যস্বত্বভোগীদের বিশাল সিন্ডিকেট। সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক ফসল। অথচ দেশে উৎপাদিত আলু, কলা, আনারস, পেঁপে, তরমুজ, বেল, আম, কাঁঠাল প্রভৃতি পণ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে নতুন নতুন উপাদেয় তৈরি করে নিজেদের পুষ্টির সরবরাহের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা যেত। যেমন- ১ কেজি আম বিক্রি করে কৃষক বড়জোড় ২৫-৩০ টাকা পান। অথচ উন্নত উপায়ে আম থেকে জুস তৈরি করে পেপসি কিংবা কোকাকোলার মত আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রান্ডিং করা গেলে অনেক বেশি মূল্য সংযোজন করা যেত। নরসিংদীর একজন কৃষক জানালেন তার বাগানে ৫-৭ কেজি ওজনের পেঁপে উৎপাদিত যা ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ ৫-৭ কেজি ওজনের একটি পাঁকা পেঁপে থেকে উন্নত উপায়ে জুস তৈরি করে পেপসি কিংবা কোকাকোলার মত আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রান্ডিং করা গেলে প্রায় ২০০০ – ৩০০০ টাকা মূল্য সংযোজন করা যেত। অনুরূপভাবে বলা যেতে পারে আলু, কলা, আনারস, তরমুজ, বেল, কাঁঠাল প্রভৃতি পণ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে অনেক বেশি মূল্য সংযোজন করা যায়। কারণ মালয়েশিয়া মূলত তাদের পামওয়েল ও পর্যটনের ওপর নির্ভর করে কিংবা নিউজিল্যান্ড তাদের গাভির ওপর নির্ভর করে যদি তাদের অর্থনীতির চাকা ঘুরাতে পারে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে এত কিছু থাকার পরেও অগ্রগতি না হওয়াটা লজ্জাকর ও আমাদের সীমাহীন অদক্ষতার প্রমাণ বহন করে।
সম্প্রতি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে শুধু পশুসম্পদ খাতে যে পরিমাণ উৎপাদন সম্ভব বর্তমানে তার মাত্র ২০ শতাংশ উৎপাদন করা হচ্ছে এবং অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ অনুৎপাদিত থেকে যাচ্ছে।
জার্মানির একজন কৃষি বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ সফর শেষে দেশে গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, দেশটি এত বেশি উর্বর যে, সেখানে অনেক ক্ষেত্রে লাঙ্গল লাগে না, আঙ্গুল দিয়ে খুঁচিয়ে কদুর (লাউয়ের) বীজ বপন করলে দুই দিন পর লতা, কয়েক দিন পরে পাতা এর পর কদু (লাউ) জন্মায়। অথচ দেশটির লোকেরা অশিক্ষিত ও অলস। তারা চিংড়ি মাছ দিয়ে মজা করে লাউ খায় আর গান ধরে- ‘স্বাদের লাউ বানাইল মোরে বৈরাগী।
জীবনে বহু রকমের হালুয়া ও মালাই খেয়েছি, কিন্তু কলার প্যাকেট করা চমৎকার হালুয়া ও ডাবের মত মালাই আর নেই। আল্লাহর অশেষ নেয়ামত। তিনি নিজ এগুলো তার সর্ষ্টির জন্য পরিবেশন করে থাকেন। যাতে ধুলো-বালি কিংবা অন্য কোন দুষিত জীবানু মিশে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
কচুর লতি রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে
কচুর লতির পুষ্টিগুন ও ভেজষ তথা ওষধিগুন অপরিসীম। এর বানিজ্যিক সম্ভাবনাও ব্যাপক। প্রতি একরে কয়েক মণ নয়, কয়েক টন কচুর লতি উৎপাদিত হয়।
জয়পুরহাটের কচুর লতি দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় জেলার কৃষকরা দিন দিন লতি চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে লতি চাষ থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা সম্ভব বলে লতি ব্যবসায়ীরা মনে করেন। জয়পুরহাটে উৎপাদিত কচুর লতি ঢাকা, জয়দেবপুর, টাঙ্গাইল, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ বিদেশে ও রপ্তানি হচ্ছে। গত ক’বছর ধরে গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের বাজারে এ লতি বাজারজাত করা হচ্ছে। ঢাকাভিত্তিক ৪টি কোম্পানি হরটেজ ফাউন্ডেশন, ইউরেশিয়া, গোল্ডেন হারভেস্ট ও মেরিনো লিঃ বাংলাদেশ থেকে এই লতি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুস সোবহান ফেরদৌসী জানান, কচুর লতি চাষ একটি লাভজনক ফসল। দিনদিন এর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্দিষ্ট বাজার ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে সরকার ও কৃষক উভয়ই লাভবান হবে।
সম্ভাবনার অপার দিগন্ত এ দেশ-
আমাদের সমমানের কয়েকটি দেশের অগ্রগতির তুলনামূলক চিত্র:
মাথাপিছু আয়
১৯৮০ সালে -
১. বাংলাদেশ – ৫৫০ ডলার,
২. ভারত – ৬৬৮ ডলার,
৩. চীন – ৪৬৪ ডলার
মাথাপিছু আয়
২০১০ সালে -
১. বাংলাদেশ – ১৫৮৭ ডলার,
২. ভারত – ৩৩৩৭ ডলার,
৩. চীন – ৭২৫৮ ডলার
এমনকি আমাদের চেয়ে কম সম্ভাবনাময় অনেকগুলো দেশের মাথাপিছু আয় ২০০০০ মার্কিন ডলারের বেশি।
বিশ্বমোড়লদের নজরে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, ভারত, চীন, জাপান, ডব্লিউবি, আইএমএফ প্রভৃতি দেশ ও সংস্থার দরিদ্র এই দেশটির দিকে নজর দেয়ার কারণ হিসেবে অনেকে শুধু দেশটির তেল-গ্যাস-বন্দর প্রভৃতি সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সম্পদ ও তথাকথিত সন্ত্রাস দমনের কথা বলে থাকলেও এর সাথে জড়িত রয়েছে অনেক বড় অর্থনৈতিক স্বার্থ। কারণ দেশটি আয়তনে বিশ্বের ৩ হাজার ভাগের মাত্র ১ ভাগ হলেও এর লোকসংখ্যা ৪০ ভাগের ১ ভাগ। যা কি না বাংলাদেশের চেয়ে আয়তনে ২০-৪০ গুণ বড় এরকম অনেক দেশেই অনুপস্থিত। আর এই বিশাল ভোক্তার জনসংখ্যার কারণে আয়তনে দরিদ্র হলেও এই দেশটি একটি বিশাল বাজার। এই ১৬ কোটি লোকের বাজার দখল বিশ্বমোড়লদের অতিরিক্ত নজরের একটি অন্যতম কারণ। কেননা অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমাদের নিজেদের অর্থনীতিকে উৎপাদনমুখীর পরিবর্তে ভোগমুখী করে তোলা হয়েছে দৃশ্যমান এসব দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর পরামর্শে। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, তৃতীয় বিশ্বের এই জনবহুল উন্নয়নশীল দেশটির রাজধানী শহরকে এখন বিশ্বের ‘সিটি অব শপিংমল’ বললে অত্যুক্তি হবে না। অথচ বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর টোকিও “সিটি অব প্রোডাকশন” তথা উৎপাদনের শহর হিসেবে বিবেচিত।
দেশের অর্থনীতির দিকে তাকান, দেখতে পাবেন আমাদের ভোগকৃত অধিকাংশ পণ্যসামগ্রীই শুধু নয়, চিন্তা-চেতনা তথা সংস্কৃতিও হয় প্রতিবেশী দেশ নতুবা ওই সব মোড়ল দেশের বহুজাতিক কোম্পানি বা চ্যানেল থেকে আমদানি করা। যেখানে আমাদের নিজস্ব যোগান নামমাত্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে খাঁটি দুধের উৎপাদন আরও ৫ গুণ বাড়ানো সম্ভব অথচ শিশুখাদ্যের জন্য বিদেশীদের ভেজাল দুধেই আমরা অধিক সন্তুষ্ট। এখন প্রশ্ন আসতে পারে- দেশের বাজেটে ও বাঘা বাঘা অর্থনীতবিদ ও সংস্থাগুলোর গবেষণায় আমাদের প্রবৃদ্ধি তো বাড়ছেই। এ ক্ষেত্রে অর্থনীতির একজন ছাত্র হিসেবে আমার কাছে যেটা মনে হয়, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেখানে বাস্তবতার আলোকে অনেক বেশি উৎপাদনমুখী হওয়ার কথা ছিল সেখানে তা কেবলই ফটকা কারবারি ও প্রতারণার ফাঁদে বন্দী। এখানে যেটা হচ্ছে তা হলো ১০ টাকাকে ২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে দেশের প্রকৃত প্রবৃদ্ধি সত্যিকার অর্থে খুবই নগণ্য।
প্রয়োজন সময় ও সম্ভাবনাকে ধারণ করা
বিশ্ববাজারে কৃষিপণ্যের অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধিকে আপাত আমাদের মতো কৃষিনির্ভর জনবহুল দেশের জন্য অধিক বিপদসংকুল মনে হলেও এটাকে আমরা বাস্তবমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসতে পারি। কারণ বাংলাদেশের কৃষিতে যে অযুত সম্ভাবনা রয়েছে সেটাকে কাজে লাগাতে পারলে নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেও বিশ্ববাজারে রফতানি করা সম্ভব। বিভিন্ন গবেষণা থেকে এ কথা প্রমাণিত যে, আমরা কৃষি ক্ষেত্রে আমাদের সম্ভাবনার খুব কমই বর্তমানে উৎপাদন করছি। এর মূল কারণ কৃষিকে আমরা এখনো আধুনিক করতে পারিনি। আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা ও হীনমন্যতার কারণে কৃষিতে এখন প্রায় শতভাগ কৃষক ও খামারীই অশিক্ষিত।
শিক্ষা ব্যতিরেকে কৃষির আধুনিকায়ন বলতে গেলে অসম্ভব। কারণ হিসেবে একটি উদাহরণ পেশ করছি। আমি একজন কৃষককে বললাম, আপনি আপনার জমিতে ধানের অবশিষ্ট যে গোছা বা (নাড়া) জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য পোড়াচ্ছেন সেটা আপনি অন্যত্র পুড়িয়ে এনে জমিতে দিলে সারের কাজও করবে এবং অন্যত্র পোড়ানোর কারণে জমির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও নষ্টের হাত থেকে রক্ষা পাবে। তখন প্রবীণ ওই কৃষকটি আমার ওপর অনেকটা রাগই করে বসেন। তিনি বললেন, বাপ-দাদা চৌদ্দপুরুষ থেকে জমিতে পুড়িয়ে আসছেন কোনো সমস্যা শুনলাম না আর তুমি এসেছ নতুন কথা নিয়ে। এখন দেখুন যে দেশে বলতে গেলে একজন কৃষকও উচ্চশিক্ষিত দূরের কথা সামান্য শিক্ষিতও নয়, তাদের কাছ থেকে কৃষির আধুনিকায়ন দুরাশা মাত্র। এ ক্ষেত্রে আমাদের বিপুল জনশক্তির একটি বিশাল অংশকে যেমন যোগ্য ও দক্ষ করে বিদেশে পাঠানোর পাশাপাশি দেশের হাজারো শিক্ষিত যুবকদের যদি কৃষি ক্ষেত্রে নিয়োজিত করা যায় তাহলে একদিকে যেমন অপরাধ কর্মকাণ্ড হ্রাস পাবে অন্য দিকে দেশের কৃষিতে একটি বিপ্লব সাধিত হবে।
যদিও সরকারের যুব উন্নয়ন, কৃষি, মৎস্য বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলা সদরে সহযোগিতার ব্যবস্থা রেখেছেন এবং সম্প্রতি দেশী-বিদেশী সব ব্যাংকের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কৃষি ঋণ দেয়া বাধ্যতামূলক করেছেন কিন্তু এ ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে এসব প্রতিষ্ঠান তাদের কাক্ষিত ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।
আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৭৫% অর্জিত হয় গার্মেন্টস খাত থেকে্। তদুপরি সম্ভাবনাময় এ সেক্টরে প্রায় ৩০ লক্ষ নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। যেখানে প্রায় ৮০% নারী শ্রমিক। গার্মেন্টস সেক্টরে এই বিশাল পরিমাণ দরিদ্র নারী সমাজের কর্মসংস্থান করা না গেলে দূর্মূল্যের এই বাজারে দেশের অধিকাংশ স্থানে গার্মেন্টস শিল্পের স্থলে ফিলিপাইন কিংবা সিংগাপুরের মত তথাকথিত যৌন শিল্প গড়ে ওঠলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। উল্লেখ্য বিভিন্ন দেশের মাথাপিছু আয় যত বেশিই হোক না কেন? সেটা অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নবিদ্ধ? কারন বর্তমান বিশ্বের largest business হল sex industry, Arms industry কিংবা illegal drugs. কিন্তু বিপুল সম্ভাবনাময় গার্মেন্টস খাতেও গ্যাস-বিদ্যুতে অভাব ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারনে বর্তমানে বিশ্ববাজারে চাহিদার মাত্র অর্ধেক যোগান দিতে পারছি। দেশে যেখানে প্রতিদিন মাত্র ১/২ গিগা বিদ্যুৎ দরকার সেটাও আমাদের সরকারসমূহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ!!!!???? কাজে/অকাজে ব্যস্ত থাকায় উৎপাদন করতে পারেনি। লোডশেডিং এখন অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। অথচ জাপান, জার্মানি সহ অনেক দেশে ১০-২০ গিগার উপরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা অর্জন করেছে কেবল বিনামূল্যের সৌর শক্তি কে কাজে লাগিয়ে। বিগত ২০ বছরে জার্মানিতে কখনো লোডশেডিং হয়েছে কিনা সেটা গবেষনা করে দেখতে হবে। আর গার্মেন্টস সহ যেকোন শিল্পের বিকাশে আমাদের অন্যতম সুবিধা বিপুল জনশক্তি। যেখানে ভারতে একজন শ্রমিকের মজুরি কমপক্ষে ১০০০০ রুপি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ লক্ষ টাকা সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ২-৩ হাজার টাকায় শ্রমিক পাওয়া যায়। তবে গার্মেন্টস শিল্পের অর্জিত আয়ের প্রায় সিংহ চলে যায় বিদেশিদের পকেটে। কারন শ্রম ছাড়া কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি (বিনিয়োগ ), মূল উদ্যেক্তা, লবিষ্ট, বিশেষজ্ঞ সবই বাইরের। এ শিল্পের উচ্চ বেতনের ২০০০০ নির্বাহী ভারতীয়। বাস্তবতা হচ্ছে গার্মেন্টস শিল্পে শ্রম সস্তা হওয়ার কারনে আমরা কেবল দর্জিগিরি করার সুযোগ পাচ্ছি। আর এ শিল্পের এ দেশীয় মালিকদের মালিক না বলে মালী বললেই যথার্থ হবে। এরপরেও দেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস শিল্পের ভূমিকা অসামান্য। তবে গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শ্রমিকদের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করা গেলে এ খাত থেকে আমাদের আয় অনেক বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি দেশীয় কাঁচামালের সম্ভাব্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে ওষুধ শিল্পসহ কৃষিনির্ভর শিল্পায়ন অগ্রাধিকার দেয়া দরকার।
একটি কেস স্টাডি
অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর অনেক নেতিবাচক বিষয়গুলোর প্রচার-প্রসার আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার কাজটুকু যতটা ব্যাপকভাবে লক্ষ করা যায় তাদের ভালো দিকগুলোর ছিটেফোঁটাও চোখে পড়ে না। যুক্তরাষ্ট্রে বা জাপানে একজন কৃষক বা খামারীও অশিক্ষিত চোখে পড়বে না অথচ আমাদের দেশের একজন উচ্চশিক্ষিত তো দূরের কথা সামান্য শিক্ষিত লোকের কাছেও কৃষক পরিচয় দেয়াটা জাতকুল চলে যাওয়ার মতো বিষয়। উচ্চশিক্ষিতদের (তাদের) চোখে কোনো মোবাইল কোম্পানির অফিসে করণিক বা রিসিপশনিস্টের কাজটাকে অধিক আকর্ষণীয় হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ঠিক এ রকম প্রেক্ষাপটে ভিন্নরকম সম্ভাবনাময় কিছু উদ্যোগ মাঝে-মধ্যে চোখে পড়ছে।
দেশের অর্থনীতি যখন ফটকা কারবারি ও ভোগমুখী তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন মেধাবী তরুণ পড়াশোনা শেষ করেই কৃষিভিত্তিক ও দেশের জন্য উৎপাদনমুখী একটি ফার্মের স্বপ্ন নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন একটি গরু মোটাতাজাকরণ খামার। পঞ্চাশটি গরু নিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে তারা ২ বিঘা জমি বন্যা প্রতিরোধের উপযোগী করে ২০০টি গরুর সেট এবং প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে ঘাসের চাষাবাদের ব্যবস্থা করেছে। মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে তারা তাদের খামারে ব্যাপক উন্নতি করতে পেরেছে। কারণ উচ্চশিক্ষিত হওয়ার কারণে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই খামারটি অত্যন্ত লাভজনক হতে পেরেছে। উল্লেখিত তরুণরা সম্মিলিত মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে খামারটি গড়ে তুললেও বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত থেকে সম্ভাবনাময় এই কৃষিভিত্তিক ফার্মটিতে সময় দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চেয়েও একজন সফল কৃষক বা খামারী পরিচয়টাই তাদের কাছে অধিক পরিতৃপ্তির। তাদের ধারণা, দেশের উচ্চশিক্ষিত কিছু যুবক যদি আমাদের সম্ভাবনাময় কৃষিক্ষেত্রে নিয়োজিত করে সঠিকভাবে কৃষিঋণসহ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে বাংলাদেশকে কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে দাঁড় করানো সময়ের ব্যাপার মাত্র।সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। একদিকে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যার বৃদ্ধি, অন্যদিকে উন্নত বিশ্বে জৈব জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে খাদ্য সঙ্কট দিন দিন আরো প্রকট হচ্ছে। ফলে গত কয়েক বছরে খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় দারিদ্র্য ও অপুষ্টির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে অনুন্নত ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোতে দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। আর এর ভয়াবহতা আমাদের মতো জনবহুল দরিদ্র দেশটির জন্য এক বিভীষিকাময় অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তবে যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের সম্পদের সঠিক ব্যবহার বিশেষ করে কৃষির আধুনিকায়ন এবং সময় ও সম্ভাবনাকে ধারণ করে শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশকে কৃষিভিত্তিক শিল্পোন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব।
মালয়েশিয়া যখন বলে ‘এক মালয়েশিয়া’, তখন স্বাধীনতার ৪১ বছর পরেও আমরা জাতিকে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ দু’ভাগে বিভক্ত করা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি! আজকে বিচারপতি, আইনজীবি, শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবি, শ্রমিক, কৃষক সব জায়গাতেই ২ দলে বিভক্ত। বিদেশী শকুনদের হাত থেকে দেশের সম্পদকে রক্ষা করে সামনে এগুতে একটি শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য সময়ের দাবী। তবে তার দর্শন হতে হবে ন্যায় ও দেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিংবা মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া অথবা যেই হোক না কেন আমরা চাই পরা শক্তির অস্বাভাবিক প্রভাব ও চাটুকার-দুর্ণীতিবাজদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে আমাদের বিপুল সম্ভাবনাময় প্রিয় দেশটি সফলভাবে এগিয়ে যাক।
একবিংশ শতাব্দীর অগ্রসরমান বিশ্বে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে অযৌক্তিক আবেগ পরিহার করে বাস্তবমুখী হওয়া দরকার।
বিষয়: বিবিধ
২০৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন