মীরজাফরের পর বাংলার এত বড় ক্ষতি আর কেউ করতে পারেনি; খালেদার সাহসী উচ্চারণে আ.লীগ বেসামাল

লিখেছেন লিখেছেন হাসান ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:৫৭:৩৩ সকাল



'দুর্নীতির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের শর্ত পূরণ না হলে অর্থায়ন নয়,' পদ্মা সেতু প্রশ্নে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট; বিশ্বব্যাংকের অর্থ নেবে না বাংলাদেশ: সম্ভবত একেই বলে আঙ্গুর ফল টক!



বিশ্বব্যাংক ছাড়লেন, তুবও আবুলকে ধরলেন না হাসিনা সরকার। মীরজাফরের পর দেশের এত বড় ক্ষতি আর কেউ করতে পারেনি। পদ্মাসেতুর বিষয়টি কোন ছেলেখেলা নয়, এটি সম্পন্ন হলে দেশের অর্থনীতিতে অন্যরকম গতি আসত। মাননীয় প্রধানন্ত্রী, আবুলের প্রতি আপনার এত দূর্বলতার কারন কি?


আবুলের টু পাইসের কত পারসেন্ট কে কত % পেয়েছেন তা জাতির সামনে হয়তো একদিন উন্মোচিত হবে। আ.লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব যেভাবে আবুলের প্রটেকশন দিচ্ছে এবং শেখ হাসিনার কাছে আবুলের আবদারের ভাষা ও প্রাপ্ত দেশপ্রমিকের সার্টিফিকেট থেকে সবাই নিশ্চিত কে বা কারা আবুলের কাছে ধরা! সাধারন মানুষ কনফার্ম যে, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। থুক্কু ডাল তো পুরাই কালা হ্যায়।

আন্তর্জাতিক মানের এই দুর্নীতির জন্য আওয়ামী লীগের যেখানে উচিত ছিল পদত্যাগ কিংবা কালেক্টিভলি সুইসাইড করা, তা না করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে উদ্ভাবন করলেন অভিনব এক চাঁদাবাজির পন্থা। পদ্মা সেতুর নাম করে সারাদেশে নজিরবিহীন চাঁদাবাজি করবে আওয়ামী লীগ। চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের দ্বন্ধে রাবিতে ১ ছাত্র মারাও গিয়েছেন। এমনিতেই ক্ষমতাসীনদের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির কারনে তারল্য সংকট! দেখা যাক কতদূর গড়ায়!

আ.লীগ যত সুন্দর করে মিথ্যা বলতে পারে, অন্যেরা তত সুন্দর করে সত্যটাও বলতে পারে না।

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জন্য সর্বাবস্থায় দু:খ! তারা সরকারে থাকলে দেশ ও জাতির জন্য গযব আর বিরোধী দলে থাকলে তো রীতিমতো ধ্বংস!




দেশ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে এবং দুর্নীতি, এক ব্যক্তির শাসন থেকে বাংলাদেশ রক্ষা করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়ে খালেদার জিয়ার অনবদ্য লেখাটি নিয়ে আ.লীগের সমালোচনা নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়।

দেশ ও ইসলাম বিরোধী প্রচারনা আ.লীগই করে থাকে। সরকার ও বিরোধীদল উভয় অবস্থাতে আ.লীগের দেশ বিরোধী প্রচারনা জাতি ভুলেনি। বিশেষ করে হাসিনা তনয় জয়ের সেই থিসিস। জাতি আজও ভুলে যায়নি, সরকারে থাকা অবস্থায় বিল ক্লিনটনের বাংলাদেশে সফরের সময় বাংলাদেশ বিরোধী বই তার হাতে কারা তুলে দিয়েছিল। বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী সুশীলরাই সব সময়ে জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে প্রচার করে আসছে।

খালেদা জিয়া তার লেখাটিতে ক্ষমতাসীন আ.লীগ সরকারের -



নজিরবিহীন দুর্নীতি,

ড. ইউনূসের মত গুণী ব্যক্তিত্বের অবমাননা,

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা প্রবর্তন,

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে প্রহসনের মানবতাবিরোধী বিচারের স্বচ্ছতা,

বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন,

হত্যা, খুন ও গুম প্রভৃতি


ঘটনার ব্যাপারে হাসিনা সরকারের অগণতান্ত্রিক ও হটকারী অবস্থানের বিষয়ে বিরোধীদলগুলোর দেশের গণতন্ত্র ও অগ্রগতির স্বার্থে যৌক্তিক দাবীসমূহের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন। যা মোটেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়, বরং খালেদার জিয়ার বরাবরের মতই রাষ্ট্রবান্ধব তথা দেশপ্রেমের স্বাক্ষর বহন করছে। দুর্নীতি ও প্রহসনের বিচারের বিরুদ্ধে কিংবা তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে লেখা রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়।

খালেদা জিয়ার দেশবান্ধব লেখাটি নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার চালাচ্ছে দেশবিরোধী প্রচারনার বরপুত্ররা!

বিষয়: বিবিধ

১০৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File