এক্সক্লুসিভ! পুলিশের হাতে পেট্রলের বোতল ও ম্যাচ! ছদ্মবেশে শিবিরের মিছিলে যোগ দিয়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ
লিখেছেন লিখেছেন হাসান ২৮ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৯:৫৭:৫২ রাত
মতিঝিলে পুলিশের হাতে পেট্রল ও ম্যাচের কাঠি; এক ব্যক্তিকে পেট্রল ও ম্যাচের কাঠি সরবরাহ করছে পুলিশ (ডানে) : নয়া দিগন্ত
শিবির দেখা মাত্র গুলি : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশ-শিবির সংঘর্ষে মতিঝিল থেকে সচিবালয় পর্যন্ত রণক্ষেত্র আহত আড়াই শতাধিক : ৭৭ জন গুলিবিদ্ধ : গ্রেফতার ৫৫
রাজধানীতে গতকাল শিবিরকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের হাতে পেট্রলের বোতল ও ম্যাচ দেখা গেছে। শিবিরকর্মীদের আটকের পর পুলিশকে পেট্রলের বোতল ও ম্যাচ শিবিরকর্মীদের হাতে ধরিয়ে দিতে দেখা গেছে। এমনকি ছদ্মবেশধারী পুলিশ শিবিরের মিছিলে যোগ দিয়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। গতকাল মতিঝিল এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ছিল এমন রহস্যজনক ভূমিকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসলামী ছাত্রশিবির যখন মতিঝিল এলাকায় মিছিল বের করে, তখন সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যকে মিছিলে দেখা গেছে। মিছিলের একপর্যায়ে হঠাৎ করে হামলা চালায় সাদা পোশাকের ওই লোকগুলো। এ সময় যানবাহনে ভাঙচুর শুরু হয় এবং স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সামনে পার্কিং করা একটি মাইক্রোবাস ও উত্তরা ব্যাংকের সামনে একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের সময় সাদা পোশাকের লোকগুলো আশপাশেই ছিল। এমনকি তাদের হাতে পেট্রলের বোতলও দেখা গেছে। কেউ কেউ বোতল থেকে পেট্রল গাড়িতে ছিটিয়ে দিচ্ছিল।
অপর দিকে সংঘর্ষ চলাকালে শিবিরকর্মীদের আটক করার পর তাদের হাতে পেট্রলের বোতল ও ম্যাচ ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে দেখা গেছে, সাদা পোশাকের পুলিশ তাদের প্যান্টের পকেট থেকে পেট্রলের বোতল ও ম্যাচ বের করে তা আটক শিবিরকর্মীদের হাতে জোর করে তুলে দিচ্ছে।
গতকালের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকের সদস্যদের এ ধরনের আচরণ নিয়ে আলোচনা চলছিল মতিঝিল এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, যানবাহনে অগ্নিসংযোগের নেপথ্যে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই।
ডিএমপির ২৫ থানার ওসি গোপালগঞ্জের :
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৪৯ থানার মধ্যে বর্তমানে ২০টি থানার ওসি ও ইনস্পেক্টরের বাড়ি গোপালগঞ্জে। বৃহত্তর ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর এলাকার রয়েছেন ১০ জন। অন্যদিকে মেহেরপুর, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, ময়মনসিংহ, হবিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর এলাকার রয়েছেন ৯ জন। খুলনা, বাগেরহাট, মাগুরা এলাকার ৫ জন। বাকি অন্য ওসি এবং ইনস্পেক্টররা বিশেষ অঞ্চলের বাইরের হলেও তাদেরও রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়। এদের অনেকেই ছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা। ছাত্রজীবনে কেউ কেউ সরাসরি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন