অপকর্মের বরপুত্ররা শীর্ষস্থানীয় আলেমদের মানবতাবিরোধী সাজিয়ে ফাঁসিতে ঝুলালে দেশ কি সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে?
লিখেছেন লিখেছেন হাসান ২২ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৯:১৪:৪৬ রাত
৭১ সালের কলেজ ছাত্র ও বর্তমান সময়ের শীর্ষস্থানীয় জনপ্রিয় একজন আলেম তথা সমাজসেবককে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির মানবতাবিরোধী রায়ে ২/১% বিশিষ্ট নাস্তিক-মুরতাদ কিংবা বিভ্রান্ত ডাইল খোর ছাড়া গোটা জাতির হৃদয়ে গভীর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
মাওলানা আবুল কালাম আযাদ কাজ করে গেছেন হত দরিদ্র মানুষের জন্য।
৯০% মুসলমানের দেশে খুন-ধর্ষণ-লুটপাটের বরপুত্ররা সুস্থ সমাজ বিনির্মাণের কাজে নিয়োজিত মহৎ ও শীর্ষস্থানীয় আলেমদের প্রশ্নবিদ্ধ বিচার নামক নাটকের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী সাজিয়ে ফাঁসিতে ঝুলালে লুটপাট, ধর্ষণ, খুন বন্ধ হয়ে দেশ কি সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। ফাঁসির খবরে দেশের শেয়ার বাজার কি চাঙ্গা হয়েছে?
স্কাইপের মাধ্যমে প্রহসনের বিচারের বিষয়টি ফাঁস হওয়ায় মিথ্যা গল্প শুনিয়ে তরুণ প্রজন্মকে ধোকা দেওয়ার দীর্ঘ অধ্যায়ের অবসান হয়েছে। ইতিহাস বিকৃতির কারনে আ.লীগের রাজনীতির জানাজা হয়েছে।
খুন-ধর্ষণ-লুটপাটের বরপুত্ররা ৭১ সালে পূত পবিত্র ছিল আর সুস্থ সমাজ বিনির্মাণের কাজে নিয়োজিত মহৎ ও শীর্ষস্থানীয় আলেমরা তখন মানবতাবিরোধী কাজ করেছে এটি শয়তানেও বিশ্বাস করেনা।
আ.লীগের টপ টু বোটম একেবারে ঠান্ডা মাথায় যুদ্ধাপরাধের রোগে আক্রান্তের অভিনয় করে তাদের যাবতীয় ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও দেশবিরোধী অপকর্ম আড়াল করে চলেছে। প্রহসনের যুদ্ধাপরাধ বিচার হলে বাংলাদেশের জিডিপি কতটুকু বাড়বে? নাকি কমবে? দেশের ৪ কোটি শ্রমশক্তির ১ কোটির কর্মসংস্থান প্রবাসে। প্রবাসে থাকা জনশক্তি ৭৫% আবার মুসলিম দেশগুলোতে। আলেমদের ওপর অত্যাচারের কারনে ইতিমধ্যেই সেখানে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রহসনের কোন রায় হলে তা হতে পারে আমাদের জন্য আরও ভয়াবহ।
কথিত যেনতেন একটি বিচারের পর দেশের হত্যা-খুন কি বন্ধ হবে? দেশ কি সিংগাপুর হবে? মূল যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক মীমাংসিত বিষয়টি নিয়ে জাতির সাথে যে প্রহসন করা হচ্ছে তাতে কিছু নিরাপরাধ মজলুমের শাস্তি দেওয়া হলে দেশ কি অপরাধ, অভাব ও সমস্যামুক্ত হয়ে যাবে?
নজিরবহীন ট্রাইব্যুনালগেট কেলেঙ্কারি, পদ্মাসেতু-হলমার্ক-রেলের দুর্নীতি কিংবা দিনের আলোতে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হাতে বিশ্বজিতের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আ.লীগের সরকারের যেখানে কালেক্টিভলি সুইসাইড কিংবা লজ্জায় পদত্যাগ করার কথা, সেখানে তাদের টপ টু বোটম ভয়াবহ মিথ্যাচার ও বিরোধীদলকে উল্টো চাপে রাখার ঘটনার কাছে সম্ভবত হিটলার এমনকি শয়তানও নস্যি। আ.লীগ যত সুন্দর করে মিথ্যা বলতে পারে, অন্যেরা তত সুন্দর করে সত্যটাও বলতে পারে না।
আগ্রাসীদের ক্রীম খাওয়া সুশীল মিডিয়া ও কতিপয় প্রবীন ভারের জাতি বিনাশী ইস্যুকে তরুণ প্রজন্মের ইচ্ছার নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের প্রকৃত ইচ্ছাকে ধারন না করে, গোয়েবলসীয় কায়দায় তাদের প্রতিক্রিয়াশীলতার দায় তরুণদের ওপর চাপানো হচ্ছে।
তরুণ প্রজন্মের সত্যিকার প্রয়োজন ও চাওয়ার দিকে কোন নজর না দিয়ে, কিছু ভারতপ্রেমিক সুশীল মিডিয়া ও তাদের ক্রীম খাওয়া কতিপয় প্রবীন ভারের জাতি বিনাশী ইস্যুকে তরুণ প্রজন্মের ইচ্ছার নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের প্রচারনা অনুযায়ী দেশের মানুষের বিশেষ করে তরুণদের চাওয়ার পাওয়ার মত কোন স্বপ্নই হয়তো নেই। মনে হয় খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বিনোদন নয়, তরুণ প্রজন্ম কেবল তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চায়!!!?
মালয়েশিয়া যখন বলে 'এক মালয়েশিয়া', তখন স্বাধীনতার ৪১ বছর পরেও আমরা জাতিকে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ দু'ভাগে বিভক্ত করা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি! আজকে বিচারপতি, আইনজীবি, শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবি, শ্রমিক, কৃষক সব জায়গাতেই ২ দলে বিভক্ত। বিদেশী শকুনদের হাত থেকে দেশের সম্পদকে রক্ষা করে সামনে এগুতে একটি শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য সময়ের দাবী। তবে তার দর্শন হতে হবে ন্যায় ও দেশ।
একবিংশ শতাব্দীর অগ্রসরমান বিশ্বে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে মিথ্যাচার ও অযৌক্তিক আবেগ পরিহার করে বাস্তবমুখী হওয়া দরকার।
বিষয়: বিবিধ
১৭৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন