নপুংসক ও চরিত্রহীন পিতার সহায়তায় সন্তানদের সামনে লম্পটদের গণধর্ষণের শিকার এক অসহায় রূপসী মা! রূপসীর সন্তানরা ঘুমে

লিখেছেন লিখেছেন হাসান ১০ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:৪৩:২৮ সকাল



বলা হয় গরীবের বউ সবার ভাবী। এক্ষেত্রে গরীবের বউটি যদি দেখতে সুন্দরী হয় এবং প্রতিবেশি মাতব্বরা যদি লম্পট শ্রেণীর হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। আর আমাদের প্রিয় দেশটিতে অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও গরীব। বলতে গেলে রূপসী দেশটির সর্বাঙ্গে সৌন্দর্য লুকায়িত। তাই বিশ্ব লম্পট যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও প্রতিবেশির ব্যাপারে ঐতিহাসিক চরিত্রহীন ভারত, ইইউ, ডব্লিউবি, আইএমএফ এর গণধর্ষনের শিকার রূপসী বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে রূপসীর অক্ষম স্বামী (সরকার বাহাদুর!) নামমাত্র স্বামীত্বকে দীর্ঘস্থায়ী করতে বিশ্ব লম্পটদের নিতান্তই সহায়কের ভূমিকা পালন করছে। বার বার স্বামী (সরকার) পরিবর্তন করেও (রূপসী) নিজের স্বতীত্ব যেমন ধরে রাখতে পারছে না, তেমনি পারছে সন্তানদের (জনগণের) মুখে হাসি ফুটাতে।

রূপসীর বর্তমান স্বামীর (যে স্বামীর কিনা স্বামীত্ব টিকিয়ে রাখার ভিশন ২১) মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ও যুদ্ধাপরাধের মত বড় বড় খাবার দিয়ে রূপসীর অবুঝ সন্তানদের ব্যস্ত রেখে বাড়ির বেডরুমে প্রবেশ করে নপুংশক স্বামীর সহযোগিতায় রূপসীর গ্যাস, বন্দর, ট্রানজিটের মত অত্যন্ত স্পর্শকাতর গোপন অঙ্গের কর্তৃত্বও দখল করেছে লম্পটরা। অথচ মায়ের সতীত্ব নষ্ট হওয়ার বিষয়টি অবুঝ সন্তানরা টের না পেয়ে বিশ্বাসঘাতক পিতার (সরকার) দেয়া দৃশ্যমান খাবার খেতেই ব্যস্ত।

একটি দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের কর্তৃত্ব অন্যদের দেয়া মানে লম্পটদের বেডরুম ছেড়ে দেয়া, আর দেশের সামরিক বাহিনীর অফিসারদেরকে দিয়ে স্যালুট দেয়া অর্থ চূড়ান্তভাবে মনিবের কাছে গোলামদের আত্মসমর্পনের নামান্তর।

যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, ভারত, চীন, জাপান, ডব্লিউবি, আইএমএফ প্রভৃতি দেশ ও সংস্থার দরিদ্র এই দেশটির দিকে নজর দেয়ার কারণ হিসেবে অনেকে শুধু দেশটির তেল-গ্যাস-বন্দর প্রভৃতি সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সম্পদ ও তথাকথিত সন্ত্রাস দমনের কথা বলে থাকলেও এর সাথে জড়িত রয়েছে অনেক বড় অর্থনৈতিক স্বার্থ। কারণ দেশটি আয়তনে বিশ্বের ৩ হাজার ভাগের মাত্র ১ ভাগ হলেও এর লোকসংখ্যা ৪০ ভাগের ১ ভাগ। যা কি না বাংলাদেশের চেয়ে আয়তনে ২০-৪০ গুণ বড় এরকম অনেক দেশেই অনুপস্থিত। আর এই বিশাল ভোক্তার জনসংখ্যার কারণে আয়তনে দরিদ্র হলেও এই দেশটি একটি বিশাল বাজার। এই ১৮ কোটি লোকের বাজার দখল বিশ্বমোড়লদের অতিরিক্ত নজরের একটি অন্যতম কারণ। কেননা অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমাদের নিজেদের অর্থনীতিকে উৎপাদনমুখীর পরিবর্তে ভোগমুখী করে তোলা হয়েছে দৃশ্যমান এসব দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর পরামর্শে। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, তৃতীয় বিশ্বের এই জনবহুল উন্নয়নশীল দেশটির রাজধানী শহরকে এখন বিশ্বের 'সিটি অব শপিংমল' বললে অত্যুক্তি হবে না। অথচ বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর টোকিও "সিটি অব প্রোডাকশন" তথা উৎপাদনের শহর হিসেবে বিবেচিত।

দেশের অর্থনীতির দিকে তাকান, দেখতে পাবেন আমাদের ভোগকৃত অধিকাংশ পণ্যসামগ্রীই শুধু নয়, চিন্তা-চেতনা তথা সংস্কৃতিও হয় প্রতিবেশী দেশ নতুবা ওই সব মোড়ল দেশের বহুজাতিক কোম্পানি বা চ্যানেল থেকে আমদানি করা। যেখানে আমাদের নিজস্ব যোগান নামমাত্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে আরো ৮০ শতাংশ খাঁটি দুধ উৎপাদন সম্ভব অথচ শিশুখাদ্যের জন্য বিদেশীদের ভেজাল দুধেই আমরা অধিক সন্তুষ্ট। এখন প্রশ্ন আসতে পারে- দেশের বাজেটে ও বাঘা বাঘা অর্থনীতবিদ ও সংস্থাগুলোর গবেষণায় আমাদের প্রবৃদ্ধি তো বাড়ছেই। এ ক্ষেত্রে অর্থনীতির একজন ছাত্র হিসেবে আমার কাছে যেটা মনে হয়, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেখানে বাস্তবতার আলোকে অনেক বেশি উৎপাদনমুখী হওয়ার কথা ছিল সেখানে তা কেবলই ফটকা কারবারি ও প্রতারণার ফাঁদে বন্দী। এখানে যেটা হচ্ছে তা হলো ১০ টাকাকে ২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে দেশের প্রকৃত প্রবৃদ্ধি সত্যিকার অর্থে খুবই নগণ্য।

একদিকে পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির আগ্রাসন অন্যদিকে বর্তমানে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও তরুণ- তারুণীদের অবাধ মেলামেশার পেছনে অধিক সময় দেয়া, বিভিন্ন মরণ নেশায় আসক্ত হওয়া (ট্যাবলেটিং, ফেনসিডাইলিং, মোবাইলিং, কম্পিউটারিং), বড় আপু-ভাইয়াদের নোট মুখস্ত করে পরীক্ষা দেয়া এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক দলের লেজুড়বিত্তি তথা টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি অনেকটাই সাধারন রূপ লাভ করেছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্রদের ভূমিকা দেখে জনৈক ব্যক্তি সেদিন আক্ষেপ করে বলছিলেন- দেশটা বিক্রি হয়ে গেলেও সম্ভবত আমাদের ছাত্রদের ঘুম ভাঙ্গবে না এবং তিনিই বলছিলেন, ঘুম ভাঙ্গবে কি করে, তাদেরকেতো ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে।

স্বাধীনতার পর ভারত বাংলাদেশ থেকে ভয়াবহ রকম অর্থনৈতিক সুবিধা নেওয়ার পর একে একে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, পার্বত্য চট্রগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টি, সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মত গুলি করা, বন্দর, ট্রানজিট, .........প্রভূতি সহ প্রায় সব কিছুই উপর তাদের নিয়ন্ত্রন ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।

এসব সুবিধা যাদের মাধ্যমে তারা পাচ্ছে বিনিময়ে তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি উপাধিসহ আরো কিছু পাচ্ছেন। আর যারা দেশের স্বার্থে এসবের প্রতিবাদ করছেন তারা জেল, জুলুম, বাড়ি হারানো ছাড়াও রাজাকার, স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি প্রভূতি উপাধি পাচ্ছেন।

ভারতের মন্ত্রী ও আমলারা তাদের জাতীয় স্বার্থ সর্বোচ্চ করতে চাইবে সেটাই স্বাভাবিক- তা তাদের দেশপ্রেম। আমি সেটাকে স্যালুট করি। তবে প্রতিবেশিদের উপর জুলুম করে নয়। কিন্তু আমরা নিজেরাই যদি............!! সর্বোপরি প্রণব মুখার্জি ও কৃষ্ণাদের কাছে আমাদের আপামনিরা একেবারেই খুকুমনি! আমলাদের পেশাদারিত্বের অবস্থা যাচ্ছেতাই।

ভারতের ইতিহাস নেওয়ার দেওয়ার নয়।

প্রায় ৪০ বছরেও এত বিশাল ভারত আমাদের প্রয়োজনে মাত্র ৩ বিঘা করিডোর দেয়নি আর আমরা বিনা স্বার্থে একতরফাভাবে ৫৫৫৯৮ বর্গ- মাইল ছেড়ে দিচ্ছি।

সামান্য রাজ্য সরকারের দাবির অজুহাতে আমাদের ন্যায্য পাওনা তিস্তা চুক্তি স্থগিত করা হলে চট্টগ্রামের মেয়রের তথা দেশের ১৬ কোটি মানুষের দাবিতে চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রানজিট স্থগিত করে শ্রী মনমোহনকে সমুচিত জবাব দেওয়া হোক।

জাতীয় স্বার্থে সময় থাকতেই সবাই সোচ্চার হোন।

জাতীয় অনৈক্যের সুযোগে আ.লীগকে পাপেট বানিয়ে খেলছে দিল্লী! ... একথা আজকে দিবালোকের মত পষ্ট লড়াইটা সরকারের সাথে বিরোধীদলের নয়, দিল্লীর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র, পৈশাচিকতা ও সর্বগ্রাসী আগ্রাসনের সাথে বাংলাদেশের।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্রদের ভূমিকা দেখে জনৈক ব্যক্তি সেদিন আক্ষেপ করে বলছিলেন- দেশটা বিক্রি হয়ে গেলেও সম্ভবত আমাদের ছাত্রদের ঘুম ভাঙ্গবে না এবং তিনিই বলছিলেন, ঘুম ভাঙ্গবে কি করে, তাদেরকেতো ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। এবার ঘুমের বড়ি হলো যুদ্ধাপরাধের কথিত বিচার।

বিষয়: রাজনীতি

২১১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File