এমন স্ত্রী যদি ঘরে থাকে তাহলে জগতে আর কি লাগে!
লিখেছেন লিখেছেন তোমার হৃদয় জুড়ে আমি ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:০৪:৪৩ রাত
প্রতিদিন স্বামীর পাশ কাটিয়ে ঘুম থেকে উঠে প্রতি রাতেই মানিকের স্ত্রী আধা ঘন্টা এক ঘন্টার জন্য হারিয়ে যায়!- একা সে কোথায় যায় এবং কেন যায়…?
মানিক সে চিন্তায় অস্থির। তাহলে বউ কি আমার পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে গেল…?
আবার ভাবছে বউ তো নামাজও পড়ে! তাহলে কি লোক দেখানো নামাজ পড়ে,,,,,,? নাকি ভাল সাজার ফান করে অন্য কিছু করছে,,,,,?
নাহ্ অবশেষ মানিক সিদ্ধান্ত নিলো' আজ সে বউয়ের সব রূপ না দেখে ছাড়বে না। দিনের বেলায় বউয়ের আল্লাহ রাসুলের কথা। আর মাঝ রাতে পর পুরুষের সাথে মেলামেশা করা.!!
আজ তারে আমি দেখে নেব। ভালোর নিচে আসলে সে কি করছে…!'
আজ মানিকের আর ঘুম আসছেনা কখন বউ বের হবে সেই চিন্তায়। রাত যখন গভীর হল আস্তে আস্তে বউ উঠে নলকূপে গেল। আর মানিক দূর থেকে লক্ষ করছে। তার বউ একটু পরে এসে পাশের রুমে গেল….!!! অন্ধকার বলে কিছুই বুঝা যায় না, সে যে কি
করছে। আর কারো শব্দ নেই ওখানে, তাহলে একা একা
কি করছে সে?
সন্দেহটা আরো বেড়ে গেল। প্রায় আধ ঘন্টা পর কান্নার শব্দ পেয়ে মানিক আস্তে আস্তে দরজার কাছে কান দিল। কান্না আরো স্পষ্ট হল কি যেন বলছে সে, তা বেশি বুঝতে পারছেনা! এখন কান্না কিছুটা কমেছে কথা অল্প অল্প বুঝা যায়। তার কথা গুলো ছিল এমন, হে আল্লাহ তুমি 'সবকিছুর মালিক' ও 'সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা” 'আমাদের পালনকর্তা”” তাই তোমার কাছে একটাই চাওয়া আমার। তুমি আমার স্বামীকে মুত্তাক্বী পরহেজগার ও নামাজী বানিয়ে দাও মালিক”। “আর তুমি আমাকে সৎ সন্তান দান কর আল্লাহ”।
“যারা আমার স্বামীর দুশমন ও শত্রু তাদের তুমি হেদায়েত দান কর”‘!
:
একথা শুনে মানিক তার চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলোনা। সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে, তখনি সে প্রতিজ্ঞা করল। জীবন থাকতে কখনো সে আর তৈল ও মধুতে ভেজাল মেশাবে না এবং পরিপূর্ণ ভালো হয়ে যাবে। এবং সে তার স্ত্রীকে কখনোই আর অবিশ্বাস করবেনা"
এবং সব সময় তাকে ভালোবাসবে সে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে এমন একজন করে নেককার স্ত্রী মিলিয়ে দাও। যে নিজে নামাজ পড়বে ও নিজের স্বামীকে নামাজের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে।
<<< আমীন>>>
সংগৃহীত
বিষয়: বিবিধ
৮৪৯০ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ শিক্ষনিয় গল্পটা শেয়ারের জন্য ।
আমি নারী হলেও নারীবাদী নই । আমি বিস্বাস করি একজন পুরুষ একজন নারীর চেয়ে গ্যানে গুনে , ধৈর্যে , সততায় এগিয়ে আছে , এবং আমি তাদের সন্মান করব । হোক সে আমার বাবা , ভাই বা অন্য কেউ ।
কাজেই কোন মুমিন যদি বিয়ের পর বুঝতে পারে সে তার সঙ্গী/সঙ্গিনী দ্বারা প্রতারিত, তবে সেটা ভাগ্যের পরিহাস বলে মেনে নেয়ার কোন সুযোগ নেই । প্রয়োজনিয় সব কিছু করার পরেও যদি তারা তওবা না করার উপর অটল থাকে, তবে মুমিন নারী/পুরুষ বিবাহ বিচ্ছেদ করবে এবং অন্যত্র মুমিন কাউকে বিয়ে করবে কারণ এই ধরনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখলে গুনাহের ভাগিদার হতে হবে। মুমিন কখনো নিজের ঈমান বা আল্লাহর উপর কাউকে প্রাধান্য দিবেনা।
আমরা কয়জনের খবর রাখি??
এখনো তাঁরা আছেন-
আমিই যদি কয়েকজনকে দেখে থাকি তবে বিশ্ব জুড়ে তাদের সংখ্যা একেবারে কম নয়!!
এমন মহিলার সংখ্যা এখনো একেবারে হারিয়ে যায় নি। মা-শা আল্লাহ আমার নিকটাত্মীয়দের মধ্যেও আছে।
জাযাকাল্লাহ খাইর
কাজেই কোন মুমিন যদি বিয়ের পর বুঝতে পারে সে তার সঙ্গী/সঙ্গিনী দ্বারা প্রতারিত, তবে সেটা ভাগ্যের পরিহাস বলে মেনে নেয়ার কোন সুযোগ নেই । প্রয়োজনিয় সব কিছু করার পরেও যদি তারা তওবা না করার উপর অটল থাকে, তবে মুমিন নারী/পুরুষ বিবাহ বিচ্ছেদ করবে এবং অন্যত্র মুমিন কাউকে বিয়ে করবে কারণ এই ধরনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখলে গুনাহের ভাগিদার হতে হবে। মুমিন কখনো নিজের ঈমান বা আল্লাহর উপর কাউকে প্রাধান্য দিবেনা।
হেদায়েতের জন্য বেশ উপযোগী পোস্ট।
মন্তব্য করতে লগইন করুন