একটি সত্য ঘটনা যা আপনার চিন্তাকে নাড়া দিবেই Sad Sad

লিখেছেন লিখেছেন তোমার হৃদয় জুড়ে আমি ১৬ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:৩৫:৪৬ সন্ধ্যা



এক গরীব স্বামী-স্ত্রী একটি ছোট গ্রামে বাস করতেন। তাদের একমাত্র ছেলে ছাড়া অন্য কোন সন্তান ছিল না। তারা তাকে সবচেয়ে সেরা শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলেন। ছেলে গ্রামের কাছের একটি শহর হতে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে। ভাগ্যবশত, সে এক ধনী মেয়েকে বিয়ে করে। প্রথমদিকে, ছেলে আর তার বউ তার বাবা মায়ের সাথেই গ্রামে থাকতো। শীঘ্রই ছেলের বউ গ্রাম্য পরিবেশে হাপিয়ে ওঠে আর তার স্বামীকে তার মা-বাবাকে ছেড়ে শহরে থাকতে বলে। কিছুদিন পরেই ছেলে পত্রিকায় বিদেশে একটি চাকুরির বিজ্ঞাপন দেখতে পায়। সে সেই চাকুরিটা পেয়ে যায়, আর তার বউকে নিয়ে বিদেশে চলে যায়। নিয়মিত সে মা-বাবাকে টাকা পাঠাতে থাকে। কিন্তু একসময়, সে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয় আর তার মা-বাবা যে জীবিত সে কথা ভুলেই যায়। প্রতি বছর সে হাজ্জ করতে থাকে। একবার হাজ্জ করে ফিরে এসে সে স্বপ্নে দেখল, কে যেন তাকে বলছে , ‘তোমার হাজ্জ কবুল হয় নি।’ একদিন সে তার এই সব ঘটনা এক মুত্তক্বী ‘আলেমের নিকট খুলে বলল। ‘

আলেম তাকে তার দেশে ফিরে গিয়ে মা-বাবার সাথে দেখা করতে পরামর্শ দেয়। সে তার দেশে ফিরে গেল, সে তার গ্রামের সীমানায় প্রবেশ করল। কিন্তু সে দেখল, সব কিছুই কেমন যেন বদলে গেছে। সে তার বাড়ি খুজে পেল না। সে এক ছোট ছেলেকে তার বাড়ির অবস্থানের কিছু বর্ণনা দিল। ছোট ছেলেটি তাকে একটি বাড়ির দিকে ইশারা করে বললঃ “এই বাড়িতে এক অন্ধ বৃদ্ধা মহিলা থাকেন যার স্বামী কয়েক মাস আগেই মারা যান। তার একমাত্র ছেলে ছিল যে কিনা বহু বছর আগে বিদেশে চলে যায়, আর ফেরেনি। কত বড় দূর্ভাগ্যবান লোক!” ছেলে তার বাড়িতে প্রবেশ করে দেখল যে তার মা বিছানায় শুয়ে আছেন। সে নিঃশব্দে প্রবেশ করল যাতে তার মা জেগে না ওঠে। সে শুনলো তার মা কি যেন একা একা চুপি চুপি বলছেন। সে তার আরো কাছে আসলো যাতে তার কথা শুনতে পারে। সে শুনলো তার মা বলছেন, “হে আল্লাহ! আমি এখন অনেক বৃদ্ধ আর অন্ধ। আমার স্বামী ও মারা গেছেন। এখন আমাকে কবরে নামানোর মত কোন মাহরাম পুরুষ নেই। তাই দয়া করে আমার ছেলেকে আমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণের জন্য আমার কাছে পাঠিয়ে দাও।” এখানেই গল্পের শেষ আর এখানেই সেই মা এর দু’আ আল্লাহ কবুল করলেন।

আপনি কি জানেন? একজন মানুষের শরীর মাত্র ৪৫ ডেল (ব্যাথার তীব্রতার একক) সহ্য করতে পারে। কিন্তু একজন মা সন্তান প্রশবের সময় ৫৭ ডেল পর্যন্ত ব্যাথা সহ্য করে, যা কিনা শরীরের ২০ টা হাড় একসাথে ভাঙ্গার সমান ব্যাথা!!

এ তথ্যটা আপনাদের এটা বোঝানোর জন্য বলমাম যে, একজন মা তার সন্তানকে কত ভালবাসেন!! আপনার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত আপনার মা কে ভালবাসুন। যে মহিলাটি আপনার জন্য প্রতিদিন লড়াই করেন, আপনার জন্য হাজারো ব্যাথা সহ্য করেন শুধু আপনাকে একটা সুন্দর জীবনের পথ করে দিতে! আপনার মা এর সাথে হাসি মুখে কথা বলুন, তাকে ভালবাসুন!!!

বিষয়: বিবিধ

৫৪৯৪ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

336221
১৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪১
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

চমৎকার। অন্তরে শিহরণ জাগানিয়া গল্প! সত্যি মায়ের কোনো তুলনাই হয় না! আমর আকেউ যেনো আমাদের মা দের কষ্ট না দেই, অসন্মান না করি!

জাযাকাল্লাহু খাইর!
১৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
278097
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : থ্যাংকু আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য । Good Luck Good Luck
336225
১৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০০
নাবিক লিখেছেন : ঘটনাটা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে গেলো, অনেক ধন্যবাদ।
১৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১১
278111
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : আপনার মন্তব্য পড়েও হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। বুকের ভিত্রে আসেন। Big Hug Big Hug Big Hug
১৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৫
278116
নাবিক লিখেছেন :
দৌড়ায়া আইতাসি ওয়েট Big Grin
১৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৭
278117
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : দৌড়ায়া আইলে হইবো ক্যামতে আস্তে আস্তে হান্দাইতে হইবো। Big Grin Big Grin
336231
১৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৩
নারী লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো পড়ে।।।
ইশ!আমার মা যদি বেঁচে থাকতেন।
ধন্যবাদ
১৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২২
278115
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : আপনার মা বেঁচে নেই শুনে কষ্ট পেলাম। Sad Sad পড়ার জন্য ধন্যবাদ
336238
১৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:২৫
278137
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ
336240
১৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫২
শান্তিপ্রিয় লিখেছেন : হৃদয় ছুঁয়ে গেল। সত্যিই মায়ের ভালোবাসা হওয়ার নয়। আল্লাহ আমার মা বাবাকে সুস্থ রাখুন।
১৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:২৫
278138
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
336241
১৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:০৭
হতভাগা লিখেছেন :
''শীঘ্রই ছেলের বউ গ্রাম্য পরিবেশে হাপিয়ে ওঠে আর তার স্বামীকে তার মা-বাবাকে ছেড়ে শহরে থাকতে বলে। ''


০ ছেলেকে মা বাবা থেকে পৃথক করালো আরেকটি মেয়ে । হয়ত ঐ মেয়ের বাবা মাকে তাদের ভাই থেকে তার ভাবী পৃথক করে ফেলেছে ।

এই সিলসিলা দুনিয়ার শুরু থেকেই .....

এখানে বাবা ও মায়ের কষ্টের জন্য ছবক দেওয়া হয় ছেলেকেই । কখনও মেয়েদের এ ব্যাপারে দোষী করা হয় না ।

স্বামীকে যখন তার বাবা মা থেকে পৃথক করে বা করার জন্য চুকলিবাজি করে তখন কি তার মনে এটা আসে যে তার বাবা মাকেও তার ভাই থেকে তার ভাবী পৃথক করে ফেলছে ?

সমস্যা মূলে আঘাত না করে সবকিছুতেই ছেলেদের দোষ ধরা আমাদের একটা ফ্যাশনে দাঁড়িয়েছে । এটার বাইরে আমরা কখনই বের হতে পারি না ।

তাই এসব ব্যাপার নিয়ে যতই আমরা হাউ কাউ করি না কেন সমস্যা কখনই সমাধান হয় না , কারণ মূল কারণ আমরা জেনেও খতিয়ে দেখতে চাই না শুধু মাত্র সেক্স করতে পারবো না বা মিষ্টি হাসি থেকে বন্চিত হব ও সংসারে অশান্তি বাঁধিয়ে দেবে - এই ভয়ে ।

মায়েদের এই সাফারিংস-এ তাদের মেয়েদের কেন সেফ সাইডে রাখা হয় ? ছেলেকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন , মেয়ে কি সরাসরি আসমান থেকে এসেছে ?
১৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:২৬
278139
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : হু সব দোষ ঐ নারীদের থেকে আসে আবার সব কল্যাণ হয় ঐ নারীদেরই কারণে।
১৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:২৪
278143
হতভাগা লিখেছেন : এসবের মধ্যে পড়ে পুরুষদের পেরেশানীই হয় শুধু
336248
১৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:২৮
ফরিদুল ইসলাম তুষার লিখেছেন : কত দিন মাকে দেখি না। সত্যি মায়ের তুলনা হয় না।
১৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:২৬
278140
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : কষ্ট পেলাম আপনি মাকে দেখতে পারছেন না বলে। Sad
336290
১৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:১৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
গল্প হলেও বাস্তবতার ছোয়া আছে, সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
১৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:১৪
278299
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে।
336296
১৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৩৯
আফরা লিখেছেন : এটা একটা শিক্ষনীয় গল্প মোটে ও এটা সত্য না তবে বাস্তবে ও বেশীর ভাগ ছেলেরা এরকমই হয় বউ এর জন্য বাবা মাকে ছেড়ে যায় ।

ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য ।
১৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:১৪
278300
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : হ কইছে তোমারে Frustrated Frustrated Frustrated Frustrated
১০
336304
১৭ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:১৫
ধ্রুব নীল লিখেছেন : চমৎকার। অনুপ্রেরনাময় গল্প। আপনার লেখা? আর
আপনি কি জানেন? একজন মানুষের শরীর মাত্র ৪৫ ডেল (ব্যাথার তীব্রতার একক) সহ্য করতে পারে। কিন্তু একজন মা সন্তান প্রশবের সময় ৫৭ ডেল পর্যন্ত ব্যাথা সহ্য করে, যা কিনা শরীরের ২০ টা হাড় একসাথে ভাঙ্গার সমান ব্যাথা!!
এই তথ্যের রেফারেন্স দিলে কৃতজ্ঞ থাকতাম।
১৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:১৫
278301
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে। রেফারেন্স দিমুনে পাইলে
১১
336331
১৭ আগস্ট ২০১৫ রাত ০২:৪৬
নৈশ শিকারী লিখেছেন : ভালো লাগলো, অনেক
ধন্যবাদ
১৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:১৫
278302
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
১২
336348
১৭ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৮:১৮
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : গল্পটা যতবার পড়ি ততবারই মন খারাপ হয় Sad Sad Sad
১৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:১৫
278303
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : আহারে Sad Sad Sad আমারো আপু Sad
১৩
336386
১৭ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
পুস্পগন্ধা লিখেছেন :
সত্যি ই মনটা খারাপ হয়ে গেল। আল্লাহ তায়ালা আমাদের (সকল ছেলে- মেয়েদের) সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন.............
১৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:১৬
278304
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : ধন্যবাদ ,,, দান করুক আমিন
১৪
336398
১৭ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০১:৪৪
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : সত্যিই শিক্ষণীয় এবং প্রশংসনীয় পোস্ট... ধন্যবাদ
১৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:১৭
278305
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
১৫
336547
১৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৩:৪০
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : ভালো লাগলো
ধন্যবাদনিন শেয়ার করার জন্য।
১৯ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৭
278630
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
১৬
342938
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০০
আফরা লিখেছেন : ভাইয়া আমাদের ঈদ আনন্দ অনুষ্টানে একটা পাট দেয়া হয়েছে কিন্তু আপনার কোন সারা শব্ধ পাচ্ছি না । প্লীজ ভাইয়া থাকবেন কিন্তু ও আপনার পরিচিত ব্লগারদের দাওয়াত ও করবেন ভাইয়া ।
১৭
343875
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০১
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : অসাধারণ! আল্লাহ আমাদেরকে মা-বাবার সেবা করার তাওফিক দান করুন।
১৮
350036
১৭ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আপনার লিখাটা পড়ে কিছু লিখার ভাষাও হারিয়ে পেললাম। দোয়া করবেন, যেন আমি আমার মায়ের সেবা যত্ন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করতে পারি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯
351524
২৫ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:০৪
মাহমুদ নাইস লিখেছেন : আমিন
২০
373200
২৬ জুন ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৪
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ! ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File