সেই তো মল খসালি, তবে কেন লোক হাসালি? ) ) )
লিখেছেন লিখেছেন আঁতেল ০৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৬:৫৮:১১ সন্ধ্যা
আধুনিকতার নামে আমরা যা দেখছি এবং যা করছি তা আসলে কতটা আধুনিক সে প্রসঙ্গে যাবো না তবে সেটা যে বর্তমানকে আধুনিকতার নামে অনেক নিচু পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে তা আমাদের চারপাশে একটু দৃষ্টি রাখলেই বুঝা যায়। ইসলাম মেয়েদের যে কতটা মর্যাদা দিয়েছে তা কেবল যারা ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান রাখে তারাই অনুধাবন করে। তবে যারা রাখে না তারা যে কিছুই জানে না ব্যাপারটা সেরকম নয়। তারাও জানে কিন্তু না জানার ভান করে নিজেকে একটু আধুনিকতার ছোঁয়ায় রাঙাতে চেষ্টা করে।
আজকাল সামাজিক অবক্ষয়ের মূল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে মেয়েদের এইসব উচ্ছৃঙ্খল আচরণ এবং যৌন উদ্দীপক পোশাককে। রাস্তাঘাটে বেরুলেই চোখে পড়বে জিন্সের প্যান্ট আর টিশার্ট অথবা শুধু স্কার্ট পরিহিতা মেয়েদের। অতিরিক্ত আধুনিকতা বা নিজেদের সৌন্দর্য অপরকে দেখানোর জন্যই এসব করা হয়ে থাকে। এসব দেখে ছেলেরা সহসাই মেয়েদের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকাবে বা ইশারা ইঙ্গিতে বাজে মন্তব্য করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সেখানে যে শুধু মেয়েদের এইসব আচরণই দায়ি তা নয়। ছেলেরাও অনেকাংশে দায়ি। তবে স্বাভাবিকভাবে একই জায়গায় একজন পর্দা ছাড়া এবং আরেকজন পর্দানশীল মেয়ে থাকলে পর্দা ছাড়া মেয়ের দিকে দৃষ্টি যাবে সেটাই স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়। এসব নিয়ে আলেম ওলামারা সারাদিন চিল্লাফাল্লা করলেও তাদের কথা কেউ শুনছে না। যার ফলে রাস্তাঘাটে আমরা অহরহ ইভটিজিং, শ্লীলতাহানী বা ধর্ষণের মত মারাত্মক রকমের ঘটনা দেখতে পাই। এসব বন্ধে ইসলামে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও তার দিকে কোনো তোয়াক্কা না করে আমরা নিজেদের মত করে নিজেদের চালনা করি। যার ফলেই এসব ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আজকে পত্রিকায় দেখলাম ধর্ষণ রোধ করতে এক ধরনের ওভারকোট আবিস্কার করছে যা পরলে নাকি ধর্ষণ অনেকাংশে রোধ করা যাবে। তবে ব্যাপারটা কতটুকু বাস্তবসম্মত সেটা ভবিতব্য ব্যাপার কিন্তু সেটা যে প্রকারান্তরে পর্দা প্রথাকেই নির্দেশ করছে সেটা হয়তো কারো কাছে অবোধ্য নয়। তাই মনে মনে বলি, "সেই তো মল খসালি, তবে কেন লোক হাসালি"? ; ; ; ;
বিষয়: বিবিধ
১৮২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন