আল্লামা সাঈদী সম্পর্কে মতিঊর রহমান মাদানির বক্তব্য কতোটুকু গ্রহণযোগ্য?
লিখেছেন লিখেছেন আয়নাশাহ ২২ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:৪৫:২২ দুপুর
সৌদি আরবে অবস্থান রত সৌদি সরকারের দাওয়া বিভাগের একজন কর্মচারী জনাম মতিউর রহমান মাদানি সাহেবকে নিয়ে লেখা অপু আহমেদApu Ahmed ভাইএর স্ট্যাটাস পড়ে কয়েকটি কথা না লিখে পারলাম না। Apu Ahmed ভাই তার লেখার শেষে লিখেছেন "যারা নিজেদের জীবনে দ্বীমুখিতা দেখাচ্ছেন, তাদের সমালোচনায় আল্লামা সাঈদীর কি আসে যায় ?" আল্লামা সাঈদী সাহেবের বেলায় কথাটি সত্য হলেও আমার জন্য বিষয়টি পীড়াদায়ক। সমালোচনার জবাব দেয়া জামায়াত নেতৃত্বের বৈশস্ট নয়। জামায়াতের নেতারা কখনোই মিথ্যা এবং অবান্তর সমালোচনার জবাব দেন নাই। তারা সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতা পোষণ করেন। এভাবেই জামায়াত তার নেতাদের তৈরি করে। কিন্তু একটা নির্ভেজাল খলিস দ্বীনি আন্দোলন এবং এর নেতাদের বিরুদ্ধে ঢাহা মিথা তহমত বা ইলজাম দিয়ে সহজ সরল মানুষকে এই আন্দোলন থেকে বিরত রাখা, বিভ্রান্ত করা আমার মতো একজন সমর্থকের পক্ষে বিনা বাক্যে মেনে নেয়া সম্ভব না।
হাদিসে বলা হয়েছে এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না। অর্থাৎ এক মুমিন আরেক মুমিনের কোনো ভুল বা স্খলন দেখলে তা সংশোধনের জন্য আয়নার মতো হয়ে ধরিয়ে দেবেন। আয়না যেমন মিথ্যা বা অতিরঞ্জন করেনা, একদম সঠিক জিনিসটি দেখায় তেমনি এক মুমিনও অন্য মুমিনের ভুল বা স্খলন বড়ো বা অতিরঞ্জন করবেন না। আর উদ্দেশ্য হবে সেই ভাইকে সংশোধন করা। তাকে জনসমক্ষে শরমিন্দা করা, বেইজ্জত করা, হেয় করা, নিজের জ্ঞান জাহির করা, এইসব প্রকাশ হলে তা সংশোধনের জন্য বলা যাবেনা বরং তাকে ভিন্ন কিছু (গীবত) বলতে হবে। একজন মুসলমানের সম্পদ, ইজ্জত, আব্রু রক্ষা করা অন্য মুসলমানের কর্তব্য। জনাব মতিউররহমান মাদানী কি করে আল্লামা সাঈদি সাহেবের মতো বিখ্যাত একজন আলিমের সমালোচনা প্রকাশ্যে করতে পারেন? আমি বলছি না যে সাঈদি সাহেব ভুলের উর্ধে। মানুষ হিসেবে, জ্ঞানের কমতি থাকতেই পারে। জেনে, না জেনে বা ভুল জেনে তিনি কিছু বলতেই পারেন। একজন আলিমে দ্বীন হিসেবে মতিউররহমান মাদানী সাঈদী সাহেবের ভুল গুলো শুধরে দিতেও পারেন বরং সাঈদী সাহেব কোনো ভুল করলে তাকে সংশোধনের দায়িত্ব মতিউররহমান মাদানী সাহেবের মতো জ্ঞনীদের উপর বর্তায়। আর এটা হল একজন আলিম হিসেবে মতিউররহমান মাদানী সাহেবের উপর সাঈদী সাহেবের হক্ক।
কিন্তু এই হক্ক কিভাবে আদায় করবেন? ইন্টারনেটে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তহমত দিয়ে? কিছু মোসাহেব সামনে নিয়ে একজন প্রখ্যাত আলিমের কথা খন্ডিত করে রেকর্ড বাজিয়ে? যদি ধরেও নেই যে, সাঈদী সাহেব কিছুই জানেন না, তার পরও একথা তো সত্য যে, তাকে কোটি কোটি লোক ভালবাসে, সেই ভালবাসা থেকে লোদেরকে বিরত করতে? তিনি সে সংগঠনের সাহায্যে ইসলামকে প্রতিস্টিত করার চেষ্টা করছেন তা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে? তাকে তার কিছু ভুল কথার জন্য এভাবে জনসমক্ষে হেয় প্রতিপন্ন করে? এটা কি ধরণের ভব্যতা? ইসলাম কি এমন করে মানুষকে বেইজ্জত বে হুরমত করতে শিখায়? রাসুল (স) অথবা সাহাবায়ে কিরামের কেউ কি এমন করেছেন? ইতো পূর্বেকার সালাফে সালেহীনরা কি এমন করে তাদের মতভিন্নতার কারণে অন্য কোন সালেহীনের বিরুদ্ধে এমন কটাক্ষ করে মজমা জমিয়ে রসিয়ে রসিয়ে বদনাম করে ইন্টার নেটে ছড়িয়ে দিয়েছেন? বর্তমান জামানার বিখ্যাত আলেমদের কেউ কি অন্য কারো বিরুদ্ধে এমন কাজ করছেন? যদি না করে থাকেন তবে তিনি কোন সাহসে এমন কাজ করছেন? বর্তমান বাংলাদেশেও অনেক আলিম আছেন যারা মতিউর রহমান মাদানী সাহেবের চেয়েও জ্ঞানী। তারাও সালফে সালেহীনদের পথে আছেন। তারা তো এমন করছেন না। উদাহরণ স্বরূপ মুফতি ইব্রাহিম, প্রিন্সিপাল কামাল উদ্দিন জাফরির নাম নেয়া যায়। আরো অনেকেই আছেন।
এমন এক সময় বেছে নিয়ে তিনি জনসমক্ষে সাঈদী সাহেবের সমালোচনা করছেন যখন সাইদি সাহেব জালিমের কারাগারে বন্দী। সাঈদী সাহেবের পক্ষে এই সমালোচনা শুনার, সংশোধন হবার বা তার আত্নপক্ষ সমর্থনেরও কোন সুযোগ নাই। অথচ সাঈদী সাহেব জেলে যাবার আগে প্রতি বছর কয়েকবার সৌদি আরবে যেতেন, থাকতেন, বিভিন্ন মাহফিলে বক্তব্য রাখতেন। প্রতি বছর রামাদানে ইতিকাফ করতেন। আর মাদানী সাহেবও সব সময় সৌদি আরবে আছেন। যদি তার অন্তরে সত্যিই সাঈদী সাহেবকে সংশোধনের ইচ্ছা থাকতো তবে তিনি সাঈদী সাহেবের সাথে দেখা করতে পারতেন, অথবা সাঈদী সাহেবকে ডেকে পাঠাতে পারতেন, অথবা তাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে একসাথে আলাপ আলোচনা করে ভুলগুলো শুধরে দিতে পারতেন। এর পরও সাঈদী সাহেবের সাথে যোগাযোগের উপায় ছিল যা ব্যবহার করে মাদানী সাহেব তাকে জনসমক্ষে হেয় না করেও সংশোধন করতে পারতেন। এরকম ভাবে চেষ্টা করার পরও যদি সাঈদী সাহেব মাদানী সাহেবকে সময় না দিতেন বা সঠিক দলিল দেয়ার পরও ভুলের উপর গোঁ ধরে থাকতেন তবে অবশ্যই মাদানী সাহেব তা জনসমক্ষে প্রকাশ করে মানুষকে বিভ্রান্তি থেকে রক্ষার দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিতে পারতেন যা আমরাও শুধু মেনেই নিতাম না বরং সাঈদী সাহেবেকেই এজন্য দায়ী বলে মনে করতাম। কিন্তু তিনি সাঈদী সাহেবের সাথে কোনো প্রকার যগাযোগের চেষ্টা করেছেন বলে জানান নি, তাকে একা একি ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন বলেও দাবী করেন নি। উল্টো নিজের জ্ঞান আর কথার বাহাদুরি দেখাতে প্রকাশ্যে একজন স্মমানীত মানুষের অসাক্ষাতে তার দোষ ত্রুটি আলোচনাএবং ছিদ্রান্বেষণ করে এই কাজকে জাহীর করেছেন যাকে তিনি গীবত না বলে মনে করেন নি বলেও জানিয়েছেন। অথচ গীবতের প্রথম শর্তই হল, যা কোনো ব্যাক্তিকে নিয়ে বলা হবে, তা তার অসাক্ষাতে বলা হবে এবং তা যদি ঐ ব্যক্তি শুনে তবে মনক্ষুন্ন হবে।
http://www.greatvideo.org/#/video/NpxEmkv2mpc/Moududi%20and%20Tahfeemul%20Quran:%20Review%20of%20Islamic%20Center,%20Saudi%20Arabia.html
উপরের লিঙ্কে মাত্র কয়েকটি মিথ্যাচারের নমুনা আছে। ভিডিওটি দেখুন। তাহফিমের বিরধিতা করতে গিয়ে কয়টি মিথ্যা তিনি বলেছেন দেখুন।তাহফিমের নাকি ইংরেজী অনুবাদ হয়নি? সত্য নাকি মিথ্যা? ১০০% মিথ্যা। গুগুলে দেখুন। এর পর বললেন, যদি তাহফিম এত বিখ্যাত হতো, তাহলে নিশ্চয় আরবীতে অনুবাদ হতো। তার এই কথাকে প্রতিস্টা করার জন্য আরো কয়েকটা মিথ্যা বললেন। বললেন, আল্লামা সাফিঊর রহমান মোবারকপুরী লিখিত রাহিকুল মাখতুম নাকি সাথে সাথে আরবীতে অনুবাদ হযে গেছে। ১০০% মিথ্যা। আরো বললেন, মোবারকপুরি সাহেব তার উস্তাদ। অথচ দেখুন, রাহিকুল মাখতুম সরাসরি আরবীতে লিখিত হয়েছিল যা সৌদী আরব থেকে প্রথম আরবীতেই প্রকাশিত হয়। এটা ছিল সৌদি বাদশা কর্তৃক সিরাত প্রতিযোগিতার প্রথম হওয়া গ্রন্থ। লেখক পরে উর্দুতে অনুবাদ করেন। গ্রন্থটি বাংলায়ও পাবেন। অন লাইনেও আছে। বাংলা ভার্সনের ভুমিকায় লেখক এই গ্রন্থ কিভাবে লিখিত, প্রকাশিত এবং অনবাদ হয়েছে তা সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন। অথচ এই মিথ্যাবাদি বললেন, আল্লামা মোবারকপুরি তার উস্তাদ। অথচ তার ওস্তাদের এই গ্রন্থটি কিভাবে কোথায় প্রকাশিত হল সেটাও জানেন না। ( কি করে বিশ্বাস করি একজন লোক তার ওস্তাদ সম্পর্কেও জানে না?) আরো বিস্ময়ের বিষয় হল, তিনি নিজে বহুদিন থেকে সৌদিতে আছেন এবং এই লাইনেই আছেন। তাহলে আমরা কি করে বিশ্বাস করতে পারি তিনি জেনে বুঝেই মিথ্যা বলেনি?
একজন লোক নিজের ওস্তাদকে তার মিথ্যাচারের খোরাক বানিয়ে দিলেন অথচ কিছু লোক তার কথা বিশ্বাস করে। এর পর দেখুন, মাওলানা মওদুদী সাহেব নাকি আলিগড়ের সিম্পুল বিএ পাশ।(১০০% মিথ্যা) আবার বলেন, আমি তাকে কাছে থেকে স্টাডী করেছি। কি জঘন্য মিথ্যাচার দেখুন। মাওলানা মওদুদী জীবনেও আলিগড়ে পড়েন নাই। তার পিতা পড়েছন। তিনি আলিগড়ে একটা বক্তৃতা দিয়েছিলেন, ইসলামি হুকুমাত কিস্তারা কায়েম হুতি হায়, যা বাংলায় ইস্লামী বিপ্লবের পথ নামে অনুবাদ হয়েছে। চিন্তা করুন, যে লোক মাওলানা মওদুদীকে কাছে থেকে স্টাডী (?) করেছেন বলে দাবী করেন, অথাচ তিনি এটাও জানেনা যে তিনি কোথায় এবং কি পড়া লেখা করেছেন। এটাকে মিথ্যাচারের চেয়েও বেশী মিথ্যাচার বলা ঊচিত কি না? এর পর বলে্ন মাওলানা মওদুদি আরবী জানতেন না। যে লোক মদিনা বিশব্বিদ্যাল্যের ফাউন্ডার এবং কারিকুলাম প্রণেতা, যে প্রতিস্টান থেকে এই মিথ্যাবাদি নিজেও পাশ করেছেন, যে স্কলার রাবেতা পুরস্কারে ভুসিত হয়েছিলেন, যার গবেষণা সারা দুনিয়ার আলিমরা সমিহ করেন তার নাকি আরবী জানা ছিলান। শেষ জমানায় তিনি নাকি সামান্য আরবী জানতেন। মজাটা কেমন দেখুন। এর পরও আরো প্রমান লাগে?
ইজতিহাদি বিষয়গুলো, হাদিসের বশুদ্ধতা, বিভিন্ন মাসআলা মাসায়েল নিয়ে আমি এখানে কোনো কথাই বলছি না কারণ আমি এর যোগ্য নই। কিন্তু একেবারে সাধারন চোখে যা মিথ্যা বলে ধরা পড়েছে আমি সেগুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তালাক নিয়ে তার কথাকে খন্ডিত করে সমালোচনা করে তাকে যিনার পারমিশন দাতা বলতেও তার বাঁধেনি। মাজার নিয়ে নাকি সাইদী সাহেব কথা বলেন না। অথচ বাংলাদেশে সাঈদী সাহেবের আগে মাজার বিরোধী এমন কড়া কথা আর কেউ বলেছেন বলে জানিনা। তিনি কেনো মাজারগুলো ভেঙে ফেলতে বললেন না সেটা নাকি সাঈদী সাহেবের অপরাধ। যদি জিজ্ঞাসা করি, আপনি তো সৌদী আরবে বসে বাদশাহর দেয়া মোটা সেলারি পেয়ে পরিবার প্রিজন নিয়ে বসবাস করছেন আর ঠান্ডা এসি রুমে বসে মজমা বানিয়ে বয়ান করছেন। আপনি কেনো সারা দুনিয়ার মাজারগুল ভেঙে ফেলার জন্য আপনার ভক্তদেরকে নির্দেশ দেন নাই? দিয়েছেন কি? কি জবাব দেবেন? সুতরাং কথা না বাড়িয়ে নিজেরা দেখুন এমন একজন পেইড মিথ্যুক দায়ীর কথা মেনে নেয়া ঊচিত কি না।
এরকম একজন মিথ্যাবাদি যখন ইসলাম নিয়ে কথা বলেন তখন তার কথা আমরা কি করে বিশ্বাস করবো? কথায় কথায় যে লোক মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজের কথাকে অনেক মিথ্যা দিয়ে জোড়া লাগাতে চেস্টা করেন তিনি কু্রআন হাদিসকেও তার মনগড়া মতো ব্যাখ্যা করছে না সেকথা কি করে বিশ্বাস করতে পারি? আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষিত লোকের পক্ষে তার রেফারেন্স দেয়া কিতাব গুলো পড়ে দেখা সম্ভব না, মিলিয়ে দেখাও সম্ভব না। আর তার সামনে বসা লোকগুলও আমাদের চেয়েই আরো অজ্ঞ। এরা কি করে তার মিথ্যাচার ধরবে? যদি আমার আপনার মতো কেঊ তার সামনে বসা থাকতো তবে সাথে সাথে বলে ফেলতো যে মওদুদী কখনো আলিগড়ে পড়েন নাই অথবা রাহিকুল মাখতুম সরাসরি আরবীতে লিখিত এবং প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তিনি তার সামনে প্রবাসী কিছু বাঙ্গালী রাখেন যারা শুধু তার কথায় মাথা ঝাকায়। যে লোক অব লিলায় মিথ্যা বলতে পারেন তার কথায় আমল করা কি করে সঠিক হবে? এর পর তিনি সৌদী বেতন ভোগী একজন কর্মচা্রী মাত্র।
কোনো আলিমকে বিচার করার কষ্টি পাথর হল তার প্রতি তাগুতের আচরণ কেমন তা জানা। তাগুত যার প্রতি নরম, তাগুত যাকে সহ্য করে, তাগুত যাকে টাকা দেয়, বাসা বাড়ী গাড়ী দিয়ে পোষে সে কিছুতেই হক্কের পক্ষে হতে পারেনা। এই চীরন্তন ফরমুলা দিয়েই আমাদেরকে হক্ক আর বাতিল চিনতে হবে।
সব শেষে আমরা সমালোচনা করার ইসলামী পদ্মতি কি তা নীচে বর্ণনা করছি।
"একজন মুসলমানের কর্তব্য হচ্ছে এই যে, সে তার ভাইয়ের কাজ কর্মের প্রতি দৃষ্টি রাখবে এবং তাকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হতে দেখলে পরামর্শ দিয়ে শোধরানোর চেষ্টা করবে। এ হচ্ছে একজন মুসলমানের প্রতি অপর মুসলমানের কর্তব্য বিশেষ। অবশ্য এ কর্তব্য পালনটা প্রায়ই অপ্রীতিকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এ সত্ত্বেও অনস্বীকার্য যে, এক ব্যক্তির মনে যদি আখিরাতে আসল কামিয়াবী এবং সে কামিয়াবী অর্জনে পারস্পারিক সহায়তা সম্পর্কে পূর্ণ চেতনা বর্তমান থাকে এবং সে এ সম্পর্কেও সজাগ থাকে যে, আখিরাতের জিজ্ঞাসাবাদের চাইতে দুনিয়ার সমালোচনাই শ্রেয়তর, তবে দুনিয়ার জীবনে এ সংশোধনের সুযোগ দানের জন্যে যে আপন ভাইয়ের প্রতি অবশ্যই কৃতজ্ঞ হবে। উপরন্তু সমালোচক ও জিজ্ঞাসাবাদকারী যদি এ সম্পর্কেত জরুরী শর্তাবলীর প্রতি লক্ষ্য রাখেন এবং ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে এ কাজটি সম্পাদন করেন, তবে এ কৃতজ্ঞতাই আরো সামনে এগিয়ে গিয়ে পারস্পারিক ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও হৃদ্যতাকে আরো সমৃদ্ধ ও দৃঢ়তর করে তুলবে। এ জন্যে যে, এর ফলে সমালোচক একজন সহৃদয় ব্যক্তি বলে প্রতিভাত হবেন। নবী কারীম (সঃ) যে হাদীসে সমালোচনার নছিহত করেছেন, তাতে একটি দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি গোটা জিনিসটাকে স্পষ্ট করেও দিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ
انَّ احدكم مراة اخيه فان راى به اذًى فليمت عنه –
‘তোমরা প্রত্যেকেই আপন ভাইয়ের দর্পণ স্বরূপ। সুতরাং কেউ যদি তার ভাইয়ের মধ্যে কোন খারাপ দেখে তো তা দূর করবে।’ (তিরমিযি- আবু হুরায়রা রাঃ)
এ সম্পর্কে আবু দাউদের বর্ণনাটি হচ্ছে এই:
المؤمن مرأة المؤمن والمؤمن اخوُّ المؤمن يكفُّ ضيعته او يحوطه من وَّرائه –
‘একজন মু’মিন অপর মু’মিনের পে আয়না স্বরূপ এবং এক মু’মিন হচ্ছে অপর মু’মিনের ভাই, সে তার অধিকারকে তার অনুপস্থিত কাল সংরক্ষিত রাখে।’
এ দৃষ্টান্তের আলোকে সমালোচনা ও নছিহতের জন্যে নিন্মোক্ত নীতি নির্ধারন যেতে পারে:
১. ছিদ্রান্বেষণ বা দোষত্রুটি খুঁজে বেড়ানো উচিত নয়। কেননা আয়না কখনো ছিদ্রান্বেষণ করে না। মানুষ যখন তার সামনে দাঁড়ায়, কেবল তখনই সে তার চেহারা প্রকাশ করে।
২. পেছনে বসে সমালোচনা করা যাবে না। কারণ, সামনা-সামনি না হওয়া আয়না কারো আকৃতি প্রকাশ করে না।
৩. সমালোচনায় কোন বাড়াবাড়ি হওয়া উচিত নয়। কেননা আয়না কোনরূপ কমবেশী না করেই আসল চেহারাটাকে ফুটিয়ে তোলে।
৪. সমালোচনার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ এবং কোনরূপে স্বার্থসিদ্ধি ও দূরভিসন্ধি থেকে মুক্ত হওয়া উচিত, কারণ আয়না যার চেহারা প্রতিবিম্বিত করে, তার প্রতি কোন বিদ্বেষ পোষণ করে না।
৫. বক্তব্যটুকু দেবার পর তাকে আর মনের মধ্যে লালন করা উচিত নয়, কেননা সামনে থেকে চলে যাবার পর আয়না কারো আকৃতি সংরতি রাখে না। অন্য কথায় অপরের দোষ গেয়ে বেড়ানো উচিত নয়।
৬. সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে এই যে, এর ভেতর পরম নিষ্ঠ, আন্তরিকতা, সহানুভূতি ও ভালোবাসা ক্রিয়াশীল থাকতে হবে, যাতে করে নিজের সমালোচনা শুনে প্রতিটি লোকের মনে স্বভাবতই যে অসন্তোষ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, সমালোচকের এ মনোভাব উপলব্ধি করা মাত্রই তা বিলীন হয়ে যায়। এ জন্যই হাদীসে مرأة المسلم এর সঙ্গে اخوُّ المسلم ও বলা হয়েছে। বস্তুত এক ব্যক্তি যখন তার দোষত্রুটিকে তার পক্ষে ধ্বংসাত্মক বলে অনুভব করতে পারবে এবং সে সঙ্গে নিজেকে তার চাইতে বড় মনে না করে বরং অধিকতর গুনাহ্গার ও অপরাধী বলে বিবেচনা করবে, কেবল তখনই এমনি সহানুভূতি ও সহৃদয়তা পয়দা হতে পারে।" খোররম জাহ মূরাদ।
আল্লাহই সবকিছু সম্মন্ধে পূর্ণ ওয়াকিবহাল।
বিষয়: বিবিধ
১৮৪৯৬ বার পঠিত, ৬৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কারো বক্তব্য হতে যদি বাতিল উপকৃত হয় আর হক্বপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সে ব্যক্তি আখিরাতে রেহাই পাবে না নিশ্চয়ই।
এভাবে ক্যাসেট বাজিয়ে একজন বিশ্বখ্যাত মুফাসসিরের গীবত করা, প্রকাশ্যে মিথ্যা প্রচার করে সে কতটা হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে সে বোধ কি তার আছে।
সুন্দর ও যুগোপযোগী পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ অাপনাকে।
আপনাদের বিশ্ব বিখ্যাত মুফাস্সির (?) "আলফুন" মানে জানে না অথচ মানুষকে ভুল অর্থ শিখাচ্ছে,জাল মিথ্যা কথাকে রসুল (সা)হাদীস বলে চালিয়ে দিচ্ছে।
মুহাদ্দিসীনে কেরাম কোন কোন রাবীকে কাজ্জাব মিথ্যুক,দাজ্জাল পর্যন্ত বলেছেন। তারা যদি এই প্রয়োজনীয় গীবত না করতেন তাহলে আমরা ধরতে পারতাম না এই হাদীসটা জাল/জয়ীফ হল কেমনে।
জনাব মাদানী অনেক ক্ষেত্রে বাতিলের বিরুদ্ধে সঠিক বলেন, ভ্রান্ত আকীদার ভুল সংশোধন করেন। তার এই পন্থা ভিন্ন পদ্ধতিতে হতে পারতো।
শুধু একটা কথা এই লেখার প্রেক্ষিতে-একটা ভিডিওতে দেখলাম জনাব মাদানী সাঈদী সাহেবের তালাকের ব্যাপারে কথা বলছেন উনার ওয়াজের খন্ডাংশ প্রচার করে, আর সেখানে তিনি জালিয়াতের আশ্রয় নিয়েছেন। সাঈদী সাহেবের সেই ওয়াজ আমি শুনেছি।
ভাষার দুর্বলতা থাকতেই পারে.তিনি (মাদানী) যে ভাষায় কথা বলেন তিনিও সে ভাষা বিশুদ্ধ উচ্চারণে বলতে পারেন না।
মতিউর রহমান মাদানী সৌদিতে বসেও বাংলাদেশের ইসলামী সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি করে চলেছে!
'মাদানী' শব্দের মত পবিত্র একটি শব্দ কে বিতর্কিত ঘৃণায় পরিণত করছে!
লা মাযহাহী আহলে হাদীস নামধারীরা তো ওকে ভূল-ত্রুটির উর্ধ্বে বানিয়ে নিয়েছে!
ঐ ব্যাটার ভ্রান্তিগুলো যুক্তিক সাবলীল ভাবে উপস্হাপনা করায় অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহু খাইরান জানাই আপনাকে!
আমিও পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
আলোচনাটা শুনুন এই লিন্ক থেকে।
http://www.youtube.com/watch?v=aAxMfaBdK_U
যাই হোক মতিউর রহমানের কথাতেও ভুল হতে পারে,সে জন্যে কোন একটা কথা আপত্তিকর মনে হওয়াতে পুরা বক্তব্য শুনা বন্ধ করেন না।
আপনার প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ ভাই, পুরাটা শুনেন তারপর মন চাইলে উনারে আর আমারে গালি দিয়েন।
এ মুহুর্তে আমার কাছে মনে পড়লো চট্টগ্রামে ব্যাপক হারে মুসলিম সমাজে শিরিক এবং বেদআতের প্রচলনকারী গলাবাজ ওয়ায়েজ মাওলানা আজিজুল হক (প্রকাশ শেরে-এ বাংলা, যার জন্ম হাটহাজারীতে)। কথিত আছে উক্ত মাওলানা হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছিল। পরবর্তী দারুল উলুম দেওবন্দ থেকেও উচ্চতর ডিগ্রী হাসিল করে নিজ মাতৃভূমিতে এসেই নিজের সাবেক কয়েকজন বেধামী সহপাঠী এবং কয়েকজন তার বাল্যকালের জুনিয়ির শিক্ষকের সাথে ইর্ষাণ্তি হয়ে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে তাদের বিরুদ্ধাচারণ করে মিথ্যাচার করে বেড়াতো। এসব মিথ্যাচারের সাথে যোগ করতো মানতেকি ফতওয়া খাটায়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা। কথিত মতিউর রহমান নামের কাজ্জাবটার ব্যাপারেও আমার কাছে সেই শের-এ বাংলা আজিজুল হক নামের শিরিক বেদআতের প্রচলনকারী মতই মনে হয়।
কিন্তু এদের নিজেদের দেশের ভিতরে এরা ১০০% ইসলামী শাষন কায়েম রাখছে,তৌহিদ সুন্নাত ক্বায়েম করছে।আজও এখানে মহিলারা ড্রাইভিং লাইসেন্স পায়না। যার যতটুকু কৃতিত্ব তাকে ততটুকু দিতে হবে। অন্য মুসলিম দেশে এদের অশান্তি সৃষ্টির কারনে এদের নিজেদের ভুমিতে তৌহিদ সুন্নাতের খেদমত মিথ্যা হয়ে যাবে না।
আর,
মতিউর রহমান তার ৩০০ মিনিটের আলোচনার এক জায়গায় এদের ইসলামি সরকার বলার কারনে তার ২৯৯ মিনিটের আলোচনা মিথ্যা হয় যায় না।
৫ বছর হয়েছে জামাতের কেউ/সাইদী নিজে এই আলোচনার জবাব দিতে পারে নাই,ক্বেয়ামত পর্যন্ত দিতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
শুধু সাইদী/জামাত কেন ? চরমোনাইর ভন্ডপীর,তাবলীগ,শর্ষীনা কেউই উনার কাউণ্টারে বক্তব্য দেই নাই দিতে পারবে না।
ইমাম আবু হানিফা(রঃ) কে তৎকালীন খলীফা তার রাজ্যের কাজী হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েহিলেন, উনি রাজি হননি , রাজি না হওয়াতে পরবর্তীতে খলীফা নিজে উনাকে প্রস্তাব দিলেন, এই কাজী পদটি খলিফার পরে সবচেয়ে পাওয়ারফুল পোষ্ট।
উত্তরে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছিলেন, তোমার প্রস্তাবে আমি রাজি না, কারণ আমি কাজী হলে, যে রায় আমি দিব তা তুমি মানতে পারবেনা। ফোরাত নদীর স্রোত ধারা পরিবর্তিত হতে পারে কিন্তূ আমার রায় পরিবর্তন হবে না। এবং আমার প্রথম রায় হবে তোমার বিরুদ্ধে , যে তুমি খেলাফতের নিয়ম অনুসারে তুমি খলীফা না, তুমি একটা জালিম শাসক।
তার পর জালিম খলীফা তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছিল, এবং কারাগারেই মুসলিম জাহানের এই শ্রেষ্ট ইমাম কে হত্যা হরা হয়।
অথচ এই মাদানি সাফ দেখি রাজভোগে মত্ত, রাজপরিবারের চামচা গিরি করে দিন যাপন করছেন, এই গণ্ডমূর্খ, ইয়াহুদির দালাল টা মুসলমানদের বিভাজিত করচ্ছে! এটা কি ইসলামের শিক্ষা। তার কথা শুনলেই মনে হয় তার মূর্খতার গভীরতা। আমি দুবাইয়ের মত একটি দেশের মসজিদ গুলোতে মওদুদীর অনেক অনেক বই দেখেছি, আর তাফহিমুল কুরআনের ইংলিশ ভার্সন তো ইন্টারনেট এ পাওয়া যায়।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । জাজাকাল্লাহু খাইরান।
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/10280/masumsarker/57071
মতিউর রহমান সাহেব সাইদী হুজুরের এমন কিছু ভুল ধরেছে যা তার ব্যাক্তিগত দোষ না,তার সম্পর্ক জাতির সাথে। শুধু সাইদী হুজুর যদি তওবাও করে নেয় তারপরও তার ভুল তাফসীর/জাল হাদীসের লক্ষ লক্ষ ক্যাসেট বাজারে চলছে এই লোকগুলোকে কে সতর্ক করবে ?
এই আলোচনা করা হয়েছে ২০০৯ সালে,আজও এর কোন জবাব সাইদী/তার ভক্ত/জামাতের আলেমদের থেকে পাওয়া যায় নাই।
কিন্তু মাদানী (আমার প্রিয়)সাহেব! সাঈদী সাহেবের ওয়াজের খন্ডাংশ নিজের খেয়াল মতো অস্পষ্ট স্বরে শুনিয়ে যা বললেন তা কি গ্রহণ যোগ্য? তিনি কি কখনো বলেছেন, হিল্লা দেয়া জায়েয? এটাতো তার প্রতি তোহমত দেয়া।
https://www.facebook.com/video.php?v=575694192519334
https://www.facebook.com/video.php?v=371833022984231
উনি এই আলোচনা করেছেন ২০০৯ সালে,সাইদী হুজুর তখন সৌদী আরবেই ছিলেন,উনাকে রিয়াদের দাওয়া সেন্টারে ৫/৬ দায়ী সামনা সামনি বসে উনার ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়েছিলেন। কিছু তিনি স্বীকার করেছেন আর কিছু অস্বীকার করেছিলেন।
এরও প্রায় ১ বছর পর সাইদী হুজুর জেলে গিয়েছিলেন।
আমি কনফার্ম আপনি সাইদী হুজুরের ব্যাপারে উনার আলোচনা শুনেনই নাই।
আলোচনাটা শুনুন এই লিন্ক থেকে
http://www.youtube.com/watch?v=aAxMfaBdK_U
আমি নিশ্চিত এই ব্লগ লেখক মতিউর রহমান সাহেবের আলোচনাটা শোনেই নাই। উক্ত আলোচনার শুরুতে প্রায় ৩০ মিনিটের যে ভুমিকা উনি করেছেন তা শুনলেও কারও কোন প্রশ্ন থাকে না।
উনি এই আলোচনা করেছেন ২০০৯ সালে,সাইদী হুজুর তখন সৌদী আরবেই ছিলেন,উনাকে রিয়াদের দাওয়া সেন্টারে ৫/৬ দায়ী সামনা সামনি বসে উনার ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়েছিলেন। কিছু তিনি স্বীকার করেছেন আর কিছু অস্বীকার করেছিলেন।
এরও প্রায় ১ বছর পর সাইদী হুজুর জেলে গিয়েছিলেন।
উনাকে সামনা সামনিও বলা হয়েছে, আর উনার ভুল তাফসীর/জাল হাদীস যাদের কাছে পৌছেছিল তাদের সতর্ক করার জন্যেই উনি এ আলোচনা করেছেন। কারন একজন সাইদী যদি তওবাও করে নেই তারপরেও সম্ভব না উনার ক্যাসেট গুলো বাজার থেকে উঠিয়ে নেওয়া।
ক্বদর রাত্রি হাজার হাজার মাস থেকে উত্তম (সাইদী সাহেবের তরজমা)
আপনাদের সাইদী হুজুর "আলফুন"মানে বলছেন "হাজার হাজার"। আর আপনারা তাকে বলছেন বিশ্বসেরা মুফাস্সির।
বুঝলাম মানুষ ভুল করে,সাইদী সাহেবও করেছেন।এখন সাইদী সাহেব যদি উনার ভুল বুঝতেও পারে তারপরও কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষ শুনেছে এবং জেনেছে আলফুন মানে হাজার হাজার। ঐ লক্ষ লক্ষ মানুষকে সতর্ক করার জন্যেই এই আলোচনা।
সাইদী সাহেব আলফুনের অর্থ জানেন না অথচ মতিউর রহমানের আলোচনার মজলিসের সবাই জানে আলফুন মান এক হাজার। যারা আপনার ভাষায় গন্ডমুর্খ।
পৃথিবীতে যত তরজমা/তাফসীর আছে তার মাঝে একটা দেখান যেখানে আলফুন মানে হাজার হাজার আছে।
কুরআনের ভুল তরজমাকে ইজতিহাদি ভুল বলছেন। আবার বলছেন উনি বিশ্বখ্যাত মুফাস্সির। কই, আমরাতো বলিনা মতিউর রহমান বিশ্বখ্যাত দা্য়ী।
ঐ লোক (মতিউর রহমান)কুরআনের খেদমত করেছেন। জনৈক বক্তার (আলেম না)করআনের ভুল তরজমা মানুষের সামনে ফাস করে দিয়েছেন পাশাপাশি সঠিক তরজমাও শুনিয়ে দিয়েছেন।
অযথা পক্ষ নিয়ে কি লাভ!
(আমি কিন্তু পক্ষ হীন, যারটা সঠিক তারটাই গ্রহন করি,বেঠিককে ছুড়ে মারি)
সাইদী সাহেব ১ বছর সময় পেয়েছিলেন,জামাতির ক্বেয়ামত পর্যন্ত সময় পাচ্ছে/পাবে উনার আলোচনার জবাব দেওয়ার। কিন্তু কেউই দেয় নাই/দিতে পারে নাই/পারবে না।
মতিউর রহমান যে ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন উনাদের উচিত ছিল তা ঠিক করা, তাতো দুরে থাক উল্টো এই ব্লগের মাধ্যমে উনার বিরুদ্ধে কুতসা ছড়ানো হয়েছে
ইচ্ছেমত গালিগালাজ করে ব্লগ লেখলেন। আর এখন কমেন্টের জবাব দেন না কেন ?
মতিউর রহমান সাহেব সাইদী হুজুরের মানহানী করে থাকলে আপনি এই বোলোগের মাধ্যমে কার মানহানী করছেন ?
'ইচ্ছেমত গালিগালাজ' করেছি কোথায়? পুরো লেখায় এমন একটা শব্দ দেখান তো যাকে গালিগালাজ বলা যায়? একটা শব্দও যদি দেখাতে পারেন তবে আপনি সত্যবাদী। যদি না পারেন তবে আপনি নিজেই একজন মিথ্যুক।
মতিউর রহমান মাদানি যে একজন ঢাহা মিথ্যাবাদি সেটা প্রমান করেছি। আপনার যদি ক্ষমতা থাকে তবে প্রমান করুন তিনি একজন মিথ্যাবাদি নন। তিনি যা বলেছেন তাতেই তিনি একজন মিথ্যাবাদি প্রমানিত হয়েছেন। শুধু একটা না, তার একটা মিথ্যাকে প্রতিস্টিত করতে আরও অনেক মিথ্যা বলেছেন তা ও প্রমানিত হয়েছে তারই দেয়া বক্তব্যে। এমন একজন মিথ্যাবাদীর পক্ষে সাফাই গাইতে আপনার সামান্য লজ্জা করেনা?
যে লোক জেনে বুঝে ইচ্ছা করে মিথ্যা বলে, অন্য আলেমের উপর মিথ্যা ইলজাম দেয়, সেই মিথ্যাকে জোড়া লাগাতে আবারও মিথ্যা বলে এবং নিজের ওস্তাদকেও সেই মিথ্যায় শামিল করে ফেলে তার কথা কি করে আমি বিশ্বাস করি? কেনো লোকজন তার কথা বিশ্বাস করবে?
উপরে আপনি নিজেই কোন কোন রাওয়ি (শব্দটা রাবী নয়)মিথ্যাবাদি বা কাজ্জাব হওয়ার কারণে তাদের হাদিস গ্রহণ যোগ্য নয় বলেছেন। তা এই মতিউর রহমান মাদানি যখন জেনে বুঝে ইচ্ছা করে মিথ্যা বলেছেন তখন তার কথা কি করে আমি গ্রহণ করি? একবার যে মিথ্যাবাদি হিসাবে প্রমানিত হয়ে গেলো, সে চিরতরে মুসলমানদের কাছে মিথ্যাবাদি হয়ে গেলো। তার কোন কথাই আর হেদায়েতের জন্য গ্রহণ যোগ্য হতে পারেনা কেননা, যে লোক মিথ্যা বলতে পারে সে কুরআন হাদিসের বেলায়ও মিথ্যা বলতে পারে। এই কারণেই মোহাদ্দিসিনে কিরাম কোনো কাজ্জাবের নিকট থেকে এমনকি কোন ধুকাবাজ,সন্দেহ প্রবন কারো কাছ থেকে হাদিস গ্রহণ করেন নাই। আজও আস্মাউর রিজাল দেখে রাওয়ী দের চরিত্র বিশ্লেষণ করে হাদিসের মান নির্ণয় করা হয়। আর এই লোক যেখানে স্পষ্ট ভাবে মিথ্যা বলেন তার কথা মুসলমারা হেদায়েতের জন্য গ্রহণ করে নেবে সেটা কি করে ভাবা যায়?
এবার আসা যাক সাঈদি সাহেবকে নাকি সরাসরি বলা হয়েছিল? কোথায়? কার সাথে? কে কি বলেছিলেন? এই কাজ্জাবও বলে নাই যে সাঈদী সাহেবকে এইসব বিষয়ে বলা হয়েছে? আপনি কি করে জানলেন যে তার সাথে বৈঠক হয়েছ্। ক্ষমতা থাকলে আপনার কথার সপক্ষে প্রমান উপস্থাপন করুন না হলে আবারও নিজেকে মিথ্যুক প্রমান করবেন। যেখানে মতিউর রহমান মাদানি নিজেও বলেন নাই যে আমরা সাইদী সাহেবকে একা একা বলেছি কিন্তু তিনি সংশোধন হন নাই, এর পর আমরা তার প্রকাশ্য সমালোচনা করতে বাধ্য হচ্ছি, তবে একটা কথা ছিল। কিন্তু তিনিও এমন দাবী করেন নাই। আপনি কোত্থেকে এমন আজগুবি কথা নিয়ে এলেন। আপনার প্রতি আপনার এই কথা প্রমানের চ্যালেঞ্জ থাকলো। প্রমান করতে পারলে করেন। সাথে সাথে এও প্রমান করুন যে,আমি যেসব কথা ১০০% মিথ্যা বলেছি তা ১০০% মিথ্যা না, ৯৯%।
আর সংশোধনের উদ্দেশ্য সমালোচনা করার পদ্মতি কি তাও আমি উদ্ধৃত করেছি। যার লেখা থেকে এখানে উদ্ধৃত করেছি তিনি এই মিথ্যাবাদির সাথে কোন ক্রমেই তুলনিয় না। আল্লাহর এই খাস বান্দাহর নামে হারাম শরিফের একটা গেঈটের নাম 'বাবে মূরাদ' রাখা হয়েছে। সম্ভব হলে জেনে নেবেন আর সংশোধনের উদ্দেশ্যে সমালোচনা কি করে করতে হয় তা ও জেনে নেবেন।
আমি শিউর না ঠিক কখন মতিউর রহমান মাদানি এই কাজটি করেছেন। আপনার কথায় তা ২০০৯ সালের। অথচ আপনার দেয়া লিঙ্কে দেখা যায় এটা ১১ই আগস্ট ২০১২ তারিখে আপলোড করা হয়েছে। তবে আমার যতদুর মনে পড়ে ২০১২ সালের আগেই আমি এই বক্তব্য দেখেছি এবং মতিউর রহমান মাদানির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তার এক ভক্ত তখন তার যাথে যোগাযোগ করে বিষয়টা ক্লিয়ার করবেন বলে আমাকে জানান। ওই সময়ে তিনি পিস টিভি'র প্রগ্রামে ভারতে ছিলেন বলে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে আমাকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরে আর কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেন নাই।
ওই সময়েও এই সব মিথ্যা তার সামনে উপস্থাপন করেছিলাম এবং তিনিও এসব স্বীকার করে সংশোধন করা হবে বলেছিলেন। কিন্তু সংশোধন তো করা হয় নাই বরং বছরের পর বছর ধরে তার এই মিথ্যাচার ইউটিউবে এবং নেটের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিয়ে সরলপ্রাণ মুসলমানদেরকে ক্রমাগত বিভ্রান্ত করেই চলেছেন।
আমি আমার লেখার শুরুতেই বলেছি, জামায়াতের নেতারা এইসব বাজে কাজে সময় নষ্ট করেন না। তারা সমালোচনা শুনেন এবং সঠিক সমালোচনাকে গ্রাহ্য করে নিজেদেরকে সংশোধন করার চেষ্টা করেন। এইসব কাজ্জাবদের কথার জবাব দিতে গেলে আল্লহার দ্বীনের কাজ করবেন কখন?
গালিগালাজ বলেছি রুপক অর্থে। আপনি উনাকে মিথ্যাবাদী বলেছেন,পুরা ব্লগে বিশোদগার করেছেন,এগুলো গালিগালাজের অর্থই বহন করে।
এখন আসেন, আপনার চ্যালেন্জ গ্রহন করলাম,
আপনি লিখেছেন,
এবার আসা যাক সাঈদি সাহেবকে নাকি সরাসরি বলা হয়েছিল? কোথায়? কার সাথে? কে কি বলেছিলেন? এই কাজ্জাবও বলে নাই যে সাঈদী সাহেবকে এইসব বিষয়ে বলা হয়েছে? আপনি কি করে জানলেন যে তার সাথে বৈঠক হয়েছ্। ক্ষমতা থাকলে আপনার কথার সপক্ষে প্রমান উপস্থাপন করুন না হলে আবারও নিজেকে মিথ্যুক প্রমান করবেন। যেখানে মতিউর রহমান মাদানি নিজেও বলেন নাই যে আমরা সাইদী সাহেবকে একা একা বলেছি কিন্তু তিনি সংশোধন হন নাই, এর পর আমরা তার প্রকাশ্য সমালোচনা করতে বাধ্য হচ্ছি, তবে একটা কথা ছিল। কিন্তু তিনিও এমন দাবী করেন নাই। আপনি কোত্থেকে এমন আজগুবি কথা নিয়ে এলেন। আপনার প্রতি আপনার এই কথা প্রমানের চ্যালেঞ্জ থাকলো। প্রমান করতে পারলে করেন।
নিচে একটা লিন্ক দিলাম,হিল্লা বিবাব সম্পর্কে।এই আলোচনাটা ১ ঘন্টা ২ মিনিটের,এর ঠিক ৬০ মিনিটে দেখুন মতিউর রহমান সাহেব নিজে বলছেন যে,সাইদী সাহেবকে সামনাসামনি বলা হয়েছে। কে বলেছে ? না,মতিউর রহমান সাহেব না।রিয়াদের দাওয়া সেন্টারের অন্য ৪/৫ জন দায়ী। শুনুন,
http://www.youtube.com/watch?v=l70xme0wYQs
আর আপনার মিথ্যাবাদীতার ছোট একটা উদাহারন দেই,
আপনি লিখেছেন,
আল্লাহর এই খাস বান্দাহর নামে হারাম শরিফের একটা গেঈটের নাম 'বাবে মূরাদ' রাখা হয়েছে।
কার নামে বাবে মুরাদ রাখা হয়েছে ? আপনাদের কথিত বিশ্ববিখ্যাত মুফাস্সির (জাল,ভুয়া হাদীস বর্ননাকারী/ভুল তাফসীরকারী)যে আলফুন মানে জানে না।
মোটা বু্দ্ধিতে বোঝেন,সাইদীর নামে যদি হারামের দরজার নাম হয় তাহলে হবে "বাব সাইদী"অথবা "বাব মওদুদী"। বাব মুরাদ নয়। আজ প্রায় ৫ বছর আমি একজন মিক্বাতের ভিতরে অবস্থানকারী,হারাম শরীফের অবস্থা সম্পর্কে আমার থেকে বেশী জানবেন না ইনশাআল্লাহ।
আর উনি যদি সাইদী হুজুরকে সামনাসামনি বলতেন তাহলে তো আর লক্ষ লক্ষ মানুষ জানতে পারত না যে সাইদী হুজুর ভুয়া হাদিস/ভুয়া তাফসীর বর্ননা করেন।
আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন,
মতিউর রহমান সাহেব সাইদী হুজুরের মানহানী করে থাকলে আয়নাশাহ এই বোলোগের মাধ্যমে কার মানহানী করেছেন ?
প্রকাশ্যে বলাকে এখন গীবত হিসেবে মানছেন! এবার বলেন গীবতকারী হিসেবে আগে কে?
এক শুধু আলফুন শব্দ নিয়ে পরে আছেন জনাব পরবাসী!
অথচ জনাব মাদানী সাহেব সাঈদী সাহেবের কথা বিকৃত করে তার ভুল ধরেন।
আর উনি যদি সাইদী হুজুরকে সামনাসামনি বলতেন তাহলে তো আর লক্ষ লক্ষ মানুষ জানতে পারত না যে সাইদী হুজুর ভুয়া হাদিস/ভুয়া তাফসীর বর্ননা করেন।
আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন,
মতিউর রহমান সাহেব সাইদী হুজুরের মানহানী করে থাকলে আয়নাশাহ এই বোলোগের মাধ্যমে কার মানহানী করেছেন ?
প্রকাশ্যে বলাকে এখন গীবত হিসেবে মানছেন! এবার বলেন গীবতকারী হিসেবে আগে কে?
একই সাইদী আবার মহিলাদের মসজিদে যাবার ব্যাপারে ফতোয়া দিচ্ছে "এখন ফেতনার যুগ তাই মহিলাদের মসজিদে যাওয়া ঠিক হবে না।
মসজিদে নামায পড়তে গেলে সেখানে সব লুচ্চা লম্পট থাকে আর রা্স্তায় নেমে বিক্ষোভ করলে আল্লাহওয়ালা সতলোক থাকে সেখানে।
রসুল (স)এর নামে ভুয়া জাল মিথ্যা কথা বলে সারাজীবন বড় বক্তা সেজেছিল, এখন একজন তার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পর তার জবাব দেওয়া দুরে থাকে উল্টা তার নামে বিশোদগার ছরাচ্ছেন।
মতিউর রহমানের বক্তব্যের জবাব দেন, মার বেটা হয়ে থাকলে।
রাসুলের (সাঃ) নামে কোন মুসলমান কোন ভুঁয়া কথা বলে পারেননা না না। হয়তো কারো ইলমের ঘাটতি থাকতে পারে। ছোটকালে শুনা অনেক হাদীস এখন জাল বলে জানতে পারছি। অনেক বিখ্যাত ইসলামী পন্ডিতের লেখায়ও ভুল উদ্ধৃতি আছে বলে এখন শুনছি। একজন মুসলমান আরেক মুসলমানের ইলমের ঘাটতি কিংবা একেবারে বদখাসলত হলেও তা কিভাবে সংশোধন করবেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃ), সাহাবায়ে আকরামগণ দেখি দিয়েছেন। তা না মেনে যদি কেউ প্রকাশ্য কারো সমালোচনা করে নিজের আমিত্য জাহির করে তাহলে নিশ্চয় তিনি বড় গোণাগার হবেন।
আমি এ পর্যন্ত বলেছি তা সামষ্ঠিকভাবে বলেছি। কারো বিরুদ্ধে বিষেদাগার করিনি। অযথা মিথ্যা অপবাদ দিবেননা!
রাসুলের (সাঃ) নামে কোন মুসলমান কোন ভুঁয়া কথা বলে পারেননা না না। হয়তো কারো ইলমের ঘাটতি থাকতে পারে। ছোটকালে শুনা অনেক হাদীস এখন জাল বলে জানতে পারছি। অনেক বিখ্যাত ইসলামী পন্ডিতের লেখায়ও ভুল উদ্ধৃতি আছে বলে এখন শুনছি। একজন মুসলমান আরেক মুসলমানের ইলমের ঘাটতি কিংবা একেবারে বদখাসলত হলেও তা কিভাবে সংশোধন করবেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃ), সাহাবায়ে আকরামগণ দেখি দিয়েছেন। তা না মেনে যদি কেউ প্রকাশ্য কারো সমালোচনা করে নিজের আমিত্য জাহির করে তাহলে নিশ্চয় তিনি বড় গোণাগার হবেন।
আমি এ পর্যন্ত বলেছি তা সামষ্ঠিকভাবে বলেছি। কারো বিরুদ্ধে বিষেদাগার করিনি। অযথা মিথ্যা অপবাদ দিবেননা!
আবারও বলি, আমি মতিউর রহমান মাদানি'র কোন কথার জবাব দেবার চেষ্টা করিনি, আমি তাকে একজন মিথ্যাবাদি প্রমান করেছি। তাকে একজন ঢাহা মিথ্যা বাদী প্রমানের পর তার কোন কথার জবাব দেয়ার প্রশ্নই আসেনা। তিনি কথায় কথায় মিথ্যা বলেন এটা জানার পর তার কোন কথা কোন মুসলমান আমলে নিতে,গ্রাহ্য করতে পারেনা। জবাব দেব কেনো? কি কারণে একজন প্রমানীত মিথ্যাবাদির কথার জাবাব দেয়া হবে। এতো সব মিত্যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরও তার কোন কথা বিশ্বাস করা যায়? একবার কেউ মিথ্যাবাদি প্রমানিত হয়ে গেলে তার সবকিছুই গারবেজ। তার কোন কথার দাম মুসলমানদের কাছে দেড় পয়সাও নাই। ওই ব্যক্তির সব কথাই বিনা বাক্যে ডাস্টবিনে নিক্ষেপের উপকরণ। তার কথাকে আর ব্যখ্যা বিশ্লেষণ বা এ নিয়ে নাড়া চাড়ার কোনই প্রয়োজন নাই, স্রেফ গারবেজ। সরাসরি গারবেজ।
আমি চেলেঞ্জ করেছিলাম,
১। মওদুদী সাহেব সিম্পুল বিএ পাশ, একথা ১০০% মিথ্যা। প্রমান করুন মাদানি সাহেব এমন কথা বলেন নাই বা তিনি যা বলেছেন সত্য বলেছেন,তথ্য উপাত্ত দিয়ে প্রমান করতে হবে। আর বলে থাকলে জানান এই মিথ্যা বলার কারণ কি? এর পরও তিনি কি মিথ্যাবাদী না?
২। মওদুদী সাহেব আলিগড়ে পড়েছেন, ১০০% মিথ্যা। মাদানি সাহেব এই মিথ্যা কি করে বললেন? আবার তিনি বললেন মওদুদী সাহেবকে তিনি কাছে থেকে স্টাডি করেছেন। কাছে থেকে কেনো, দূরে থেকে স্টাডি করলেও কেউ এমন মিথ্যা বলতে পারেনা। বলুন এর পরও মাদানি সাহেবকে আমরা মিথ্যাবাদী বলতে পারি কিনা?
৩। আর রাহিক্কুল মাখতুম উর্দু থেকে আরবীতে অনুবাদ হয়েছে, ১০০% মিথ্যা। মাদানি সাহেব কেনো এই মিথ্যাচার করলেন? আবার এই গ্রন্থের লেখক নাকি তার ওস্তাদ? নিজের ওস্তাদকে কেনো এই মিথ্যাচারে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলেন? এর পরও আমরা তার কথাকে আমলে নিতে পারি যখন দেখি একটা লোক চরম মিথ্যাচার করছে এমনকি নিজের ওস্তাদকেও এতে শামিল করছে?
৪। তাফহিমুল কুরআন ইংরেজীতেও অনুবাদ হয়নি। ১০০% মিথ্যা। জেনে বুঝে নাকি না জেনে এমন মিথ্যাচার? কি কারণে এমন মিথ্যাচার? মিথ্যাচার প্রমানের পরও দ্বীনের ব্যাপারে তার কথা মুসলমানদের মানতে হবে? একজন আলিম নামক লোককে মিথ্যাবাদী জেনেও আমাদেরকে তার তাকলিদ করতে হবে?
আমি বলেছিলাম মাদানি সাহেব কি সাইদী সাহেবের সাথে একা একি কথা বলেছিলেন? আপনি সেই চেলেঞ্জ নিয়ে যে লিঙ্ক দিলেন তাতে কি শুনা গেলো? তিনি কি ওখানে সাঈদী সাহেবের সাথে কোন আলাপের কথা বলেছেন? বরং কে বা কারা সাইদী সাহেবের সাথে কথা বলেছেন এমন একটা কথা জানালেন একজনের একটা প্রশ্নের জবাবে। এতে কি করে প্রমান হয় যে মাদানি সাহেব সাঈদি সাহেবের সাথে কথা বলেছেন? বরং তিনি তা প্রকারান্তরে অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন তিনি সাইদী সাহেবের সংশোধন চান না বরং তার সামনে উপস্থিত লোকদের সংশোধনের জন্যই এই কাজ করেছেন। যারা কথা বলেছেন তারা কেন সামনে এলেন না? মাদানী সাহেব কেনো অযাচিত ভাবে সাইদী সাহেবকে নিয়ে লেগে গেলেন?
আর বাবে মুরাদ কি আপনি জানেন না? হারাম শরিফের ৩৬ নাম্বার গেইটের নামটা একটু খেয়াল করে দেখে নেবেন। সংশোধনের উদ্দেশ্যে সমালোচনা কি করে করতে হয় আমি আমার লেখায় সেটা উদ্ধৃত করেছি যার লেখা থেকে তার নাম খোররম জাহা মুরাদ। এই লোকই বর্তমান হারাম শরিফের ইঞ্জিনিয়ারিং নকশা প্রণয়ন করেছিলেন কিন্তু এজন্য কোনও পারিশ্রমিক নেন নাই। এজন্য তার নামে একটা গেইটের নামকরণ করা হয়েছে।পাঁচ বছর কেনো পঞ্চাশ হাজার বছর ধরে ওখানে থাকলেও আপনাদের এইসব সালাফদের চিনা সম্ভব হবেনা কারন মুসলমানদের হক্ক তাবাই কারী বাদশাহ দের উচ্ছিষ্ট ভোগিরা আপনাদেরকে এসবের ধারে কাছে যেতে দেবেনা। খোররম জাহা মুরাদ কে, কি তার পরিচয় আপনাদের মাদানীকে একবার জিজ্ঞাসা করে নেবেন।
পরিশেষে আবারও বলি,আপনি বার বার প্রসঙ্গ ঘুরাতে চেয়েছেন, চেষ্টা করেছেন। এরকম কৌশল করে লোকদের দৃষ্টি অন্যদিকে নিক্ষেপ করতে চান কারণ মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করা আপনাদের কেনো, কারো পক্ষে সম্ভব না। প্রসঙ্গ ঘুরাবেন না, বলুন আমার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মতিউর রহমান মাদানি একজন মিথ্যাবাদি কি কা। সরাসরি জবাব দিন। সাথে তথ্য প্রমাণও দিতে হবে।এই মিথ্যাবাদি লোকটার যেসব কথা আমি মিথ্যা বলেছি তা যদি সত্য প্রমান করতে না পারেন তবে আমার লেখায় আর কোন মন্তব্য করবেন না। যদি আমার কথা মিথ্যা প্রমান করতে না পারেন এবং আবারও প্রসঙ্গ ঘুরাতে চেষ্টা করেন তবে আপনার সব মন্তব্য মুছে দিয়ে আপনাকে ব্লক করা হবে। কোন মিথ্যাবাদী বা তার সাগ্রিদের সাথে আমরা বিতর্ক করিনা।
৩০০ মিনিটের বক্তব্যে ২টা ভুল কথা বললেই তিনি আজীবনের জন্যে মিথ্যাবাদী হন কিনা অথবা তার ক্বুরআন হাদীস ভিত্তিক সব কথাই পরিত্যায্য হয় কিনা এই বিবেচনার ভার আমি এই ব্লগের পাঠকদের উপর ছেড়ে দিলাম।
উনি যখন বক্তব্য করেন (২০০৯) সালে তাফহীমুল ক্বুরআনের ইংরেজি অনুবাদ হয় নাই। আমি নিজেও উনার কথা যাচাই করার জন্যে ২০১২ সালের দিকে গুগলে খোজ করেছি ইংরেজি ভার্ষন পাই নাই। এখন পাওয়া যাচ্ছে। এই ইংরেজি অনুবাদ করেছেন জাফর ইসহাক আনসারী। নিচের লিন্কে যেয়ে উনার উইকিপিডিয়া প্রোফাইলে "একাডেমিক ক্যারিয়ার" এর লাস্ট লাইনে দেখুন
He is currently editing and translating Sayyid Abul ‘Ala Mawdudi’s Tafhim al-Qur’an under the title Towards Understanding of the Qur’an (Islamic Foundation, Leicester); so far nine volumes have been published
http://en.wikipedia.org/wiki/Zafar_Ishaq_Ansari
আর এই পেজ লাস্ট মডিফাইড ১১ জুলাই ২০১৪।
অনেক হয়েছে,এই ব্লগে আর নয়। আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে হক্ব জানার, বুঝার,মানার তৌফিক দিক। আমীন
এই পোষ্টে তথ্য-প্রমান সহকারে তাকে একজন ঢাহা মিথ্যাবাদি প্রমান করেছেন।
মতি. সাহেব আপনার এই চেলেঞ্জ গ্রহন করবে বলে মনে হয় না । কারন তাঁর কাজ হচ্ছে উম্মাহর মাজে বিবেদ-বিদ্ধেষ চড়ানো
পোস্টের জন্য জাজাকাল্লাহ খায়ের।
মন্তব্য করতে লগইন করুন