আবারো বাহাউদ্দিন (ইনকিলাব) ধরা খাইলো।
লিখেছেন লিখেছেন আয়নাশাহ ০১ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:২৯:৪৩ দুপুর
ইনকিলাবি মিথ্যাচার ধরার জন্য আইটি বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নাই। বাহাউদ্দিন লিখেছে -
"এরিমধ্যে লন্ডনে কথা হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে। লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্তের পরপরই হয় এই টেলিআলাপন। কুশল বিনিময়ের পর বলেন, ধর্মীয় ব্যাপারে আমি খুবই আন্তরিক। নিজে নামাজ-বন্দেগি করি, ফজরের নামাজ পড়ে শুরু হয় আমার প্রতিদিনকার কাজ। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করি। ধর্মীয় বিষয়ে একজন মন্ত্রীর এই বক্তব্য মেনে নেয়া যায় না। ইসলাম ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য যেই করুক, আমি তা বরদাশত করবো না। প্রধানমন্ত্রীর কথা নীরবে শুনে যাই, এরপর সময়োপযোগী এ সিদ্ধান্তের জন্য তাকে দেশের আলেম-ওলামা, ধর্মপ্রাণ নাগরিক তথা সর্বস্তরের তাওহিদী জনতার পক্ষ থেকে মোবারকবাদ জানাই। কথা ওঠে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা পাড়ে জমি দেখছি। শিগগিরই কাজ শুরু করব। আমি বললাম, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় নির্মিত হয়ে ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাত্ররা আপনার হাত থেকেই প্রথম সার্টিফিকেট নিতে পারলে আমরা বেশি খুশি হই। দেশ ও জাতির নানা প্রসঙ্গ আর সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আরো কিছু কথা বিনিময়ের পর টেলিফোন রেখে আমি আবার লেখায় মন দিই।"
শেখ হাসিনা কখন নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন পৌচালেন সেই খবরটা সবার আগেই একজন ফেরার সম্পাদকের কাছে পৌঁছে দিল কে বা কারা? ঢাকায় সন্ধ্যা হলে লন্ডনে সময়টা কি? যদি ধরে নেই সন্ধ্যা মানে ৭টা, তবে লন্ডনে ১ টা। শেখ হাসিনাূ তখন কি ইনকিলাব সম্পাদকের মতো একজন পুঁচকে সাংবাদিকের টেলিফোনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন? এটাও আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে?
হাসিনার সাথে টে্লিফোনের হট লাইনটা সাজেদা, মতিয়া কিংবা আশারাফুলেরও ভাগ্যে জুটলো না, জুটলো একটা মান্নান মোল্লার ছেলের ভাগ্যে, যার বাসা এবং অফিসে গোপালি পুলিশ নিয়মিত হানা দিচ্ছে তাকে ধরে থেরাপি দিতে। তার সাথে কথা বলবেন সফরে ক্লান্ত, অবসাধ গ্রস্ত এবং লন্ডনে যাত্রাবিরতিতে বিশ্রাম রত হাসিনা?
সরকারের সব মন্ত্রী এবং সরকার দলের কেউই যখন স্পষ্ট জানেন না লতিফ সিদ্দিকিকে কি করা হবে বা কি সিদ্ধান্ত হয়েছে, মন্ত্রী কিংবা সচীব কেউ হাসিনার সাথে কথা বলেছেন এমন ইঙ্গিতও কেউ দিলেন না। তারা সবাই বলছেন হাসিনা দেশে ফিরলেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অথচ বাহাউদ্দিন বলে সে দশ মিনিটের মধ্যেই হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলেছে। তাহলে কি হাসিনা তার হট লাইনের নাম্বার আর কাউকে না দিয়ে বাহাউদ্দিনের কাছেই দিয়ে রেখেছিলেন? তবে ফোনটা হাসিনা করেছিলেন নাকি বাহাউদ্দিন করেছিলেন সেটা কিন্তু সে লিখেনাই।
আর যদি ধরে নেই যে হাসিনা নিজেই বাহাউদ্দিনের কাছে ফোন করে কথা বলেছেন তবে এটা প্রমানিত হয়ে যায় যে, বাহাউদ্দিনের সাথে হাসিনার বিশেষ কানেকশন আছে যা দলের, সরকারের বা দেশের আর কারো নাইে। এমন কথা বিশ্বাস করা যায়? একটু চিন্তা করে দেখুন, আওয়ামীলীগের এতো এতো নেতা মন্ত্রী আছেন, আছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাজেদা চৌধুরি, সাধারণ সম্পাদক, আছে দল এবং সরকার পক্ষের এতো এতো মিডিয়া। কিন্তু এতসব থাকতে নিজেদের একটা মিডিয়া বা পত্রিকার সম্পাদকের সাথে কথা না বলে মুমূর্ষু একটা পত্রিকার ফেরারি সম্পাদকের সাথে আলাপে মজে যাবেন হাসিনা? তার সাথে এইসব কথা বলতে হাসিনার কতোটা সময় গেছে অংক করে বের করুন। এর পরও নাকি "দেশ ও জাতির নানা প্রসঙ্গ আর সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আরো কিছু কথা বিনিময়ের পর টেলিফোন রেখে আমি আবার লেখায় মন দিই।"
হে বাঙালি, আর কতদিন বাঙালি থাকবে?
বিস্তারিত পড়ুন: http://www.bdmonitor.net/newsdetail/detail/200/92944
বিষয়: বিবিধ
১৭২০ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তারা দুই প্রতারক বুঝে গেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ইসলামী দল নিয়ে একটু ঝামেলায় পড়বে। তাই ঝামেলা চুকাতে তাদের বোগলের কোন মৌলানাকে সরকারের পক্ষে দর কষাকষির জন্য দরকার হবে। সেই সুযোগ ভাগিয়ে নিতে এই দুই ফটকাবাজ লম্পঝম্প শূরু করছেন।
তাই সরকারের এই কেকায়দার সুযোগ নিতে এই দুই মতলব বাজ চিল্লাচ্ছে! এখন দেখার বিষয় প্রধানমন্ত্রী কাকে সুযোগ দেয় সেটা দেখার, কেননা প্রধানমন্ত্রীকে এখন পুনরায় ইসলামী দলগুলোকে ঘরে ঢুকানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা রইলো।
সুন্দর বিশ্লেষণ... ধন্যবাদ
ওকে আমাদের পক্ষ থেকে কে মোবারকবাদ দিতে বলেছে ?
গাঁয়ে মানেনা আপনি মড়ল টাইপের লোক এই বাহাউদ্দিন।
আওয়ামী তামাশা লীগের উপযুক্ত চামচা পেয়েছে। বাহাউদ্দীন কত বড় গর্দভ তার প্রমাণ দিলো সম্পাদীয় লিখে।
ঐ ভন্ডের কান্ডজ্ঞান লোপ পেয়ে গেছে-
আর না হলে এতটাই মাতাল হয়েছে যে অন্যদের বোকা ভাবে
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন