ঐসব দুপেয়ে পশুদের চিকিৎসা করা জরুরী নয় কি?
লিখেছেন লিখেছেন আয়নাশাহ ২২ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:৪৪:৫৫ দুপুর
গতকাল ফেসবুকে আমার একটা স্ট্যাটাস ছিল এরকমঃ
"আল্লামা সাঈদী সাহেবের এক সেকেন্ডের সাজা যদি হয় তবে যারাই ঐ রায়কে মানবে বা ঐ রায়ের পক্ষে থাকবে তাঁদেরকে খুঁজে খুঁজে চিকিৎসা করতে হবে।
ভাইরা, জানেন তো কি চিকিৎসা দিতে হবে?"
আমার এই স্ট্যাটাসকে অনেকেই এড়িয়ে গছেন এবং কেউ কেউ ভিন্ন অর্থ করেছেন। কি চিকিৎসা দিতে হবে তা কেউই বলেন নি।
এবার আসুন বিস্তারিত বলি।
আল্লামা সাঈদী শুধু একজন প্রখ্যাত মুফাসসির না, তিনি একাধারে একজন জননেতা, একজন বিশ্ববরেণ্য আলিম, একজন সুবক্তা, একজন সুলেখক, একজন জনদরদী দাতা, একজন শিক্ষানুরাগী এবং আরো অনেক কিছু। শেখ মুজিবের পরে জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে আল্লামা সাঈদীর স্থান বলে প্রমানিত হয়েছে। শেখ মুজিব তাঁর জনপ্রিয়তা হারিয়ে একটা খোজা পাঠা হয়ে মৃত্যু বরন করেছেন যখন কেউ একফোটা চোখের পানি ফেলেনি বরং সারা দুনিয়া হাফ ছড়ে বেঁচেছিল। কেউ ইন্না লিল্লাহ পড়েনাই। কিন্তু সাইদী সাহেবের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে এবং আজো দ্রুত বাড়ছে। একজন মানুষের মুক্তির জন্য এতো মানুষ জীবন দিয়েছে এরকম ঘঠনা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। শুধু এই একজন মানুষই দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দী ধরে দেশের এবং দেশের বাইরের মানুষকে ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত করে গেছেন তাঁর সুললিত কন্ঠের কুরআন শুনিয়ে। হাজারো বিধর্মী ইসলামকে চিনেছে তাঁর যৌক্তিক কথা আর আল্লাহর কুরআনের কথা শুনে। আল্লামা সাঈদী বাংলার প্রতিটি মানুষের মনের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। অনিয়ম, দুর্নীতি, সজনপ্রিতী, ক্ষমতার অপব্যবহার, হিংসা বিদ্বেষ, ঘৃণা বুহতান, যার থেকে শতহাত দূরে থেকেছে এমন একজন নির্দোষ আলিমকে হত্যা করা আর সারা দুনিয়ার মানবতাকে হত্যা করার মাঝে কোনো পার্থক্য থাকতে পারেনা। যারা কুরআনকে বিশ্বাস করেন তারা একথার সাথে একমত হতেই হবে।
একেবারে নিঃসন্দেহে প্রমানীত হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ ১০০% মিথ্যা। হাসিনা থেকে নিয়ে সব বিচারপতি, মুরগী কবির , জাফর ইকবাল থেকে নিয়ে ইমরান সরকার সহ সাবাই জানে সাঈদী সাহেব নির্দোষ। এরকম.১০০% নির্দোষ জেনে শুনেই তারা আব্দুল কাদের মল্লাকেও ফাসীতে ঝুলিয়েছে।
দেশের কোনো মানুষই সাঈদী সাহেবকে দোষী মনে করেনা শুধু নাস্তিক এবং জেনে বুঝে যারা ধর্মনিরপেক্ষ এবং ভারতের উচ্ছিষ্ট ভোগী পাচাঠা দালাল ছাড়া। কোটি কোটি মানুষ যাকে হৃদয়ের স্পন্দন মনে করে, তাঁর জন্য আঝোরে কাঁদে, অকাতরে বুকে গুলি খায়, রাত জেগে আল্লহার কাছে কান্নাকাটি করে, দোয়া করে, দেশের আনাচে কানাচে মিছিলে মিছিলে সয়লাব করে দেয়, স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে দেয় আকাশ বাতাশ, অফিসে, চায়ের দোকানে, ঘরে বাইরে মানুষ আহাজারি করে, সারা দুনিয়ায় যেখানে বাংলাদেশের মানুষ আছেন সবখানেই প্রতিবাদ হয়, মা বোনেরা নফল নামাজ এবং রোজা রাখেন তাঁর মুক্তির জন্য, জাতিসঙ্ঘ সহ বিশ্বের আইনি সংস্থাগুলো, বিশ্বের বড়ো বড়ো আইন বিশেসজ্ঞ,সবগুলো মানবাধীকার সংগঠন, এবং একমাত্র ইন্ডিয়া বাদে সবগুলো দেশই এই বিচারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অথচ এই নাস্তিক এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী ইন্ডিয়ার খবিস দালালগুলো এইসব কিছুই দেখেনা, শুনেনা এবং বুঝেওনা। এদের চোখ অন্ধ, কান বন্ধ এবং হৃদয় স্তব্ধ। এঁরা সাদা কালোর পার্থক্য দেখেনা, হাসি আর কান্নার পার্থক্য বুঝেনা, আবেগ অনুভূতির দাম এদের কাছে শূন্য, ধর্মের কথা এঁরা শুনতেই পারেনা। এই অন্ধ, বধীর আর স্তব্ধ হ্রদয়ের মনুষ্যাকৃতির দু পেয়ে প্রাণিগুলোকে কি সুস্থ বলে মেনে নেয়া যেতে পারে? তো এঁরা কি সুস্থ? অবশ্যই যারা চোখে দেখেনা, কানে শুনেনা এমনকি হৃদয় দিয়েও অনুভব করেনা তারা সুস্থ হতে পারেনা। এঁরা মানুষ পদবাচ্যে ভূষিত হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। এদেরকে মানুষ মনে করলে মনুষ্যকুলের অপমান হয়, সৃষ্টির শ্রেস্ট মখলুকাত তাঁর মর্যাদা হারায়, তাবৎ চতুষ্পদ প্রাণিকুল অট্টহাসি হাসে, চন্দ্র সূর্য গ্রহ নক্ষত্র লজ্জায় পাংশু হয়ে যায়। এদের এই অসুস্থতার কি চিকিৎসা জরুরি না? জরুরী তো বটেই বরং আরোগ্য নিকেতনগুলোতে যদি ইমারজেন্সির চেয়েও বড়ো কোনো বিভাগ থাকে সেখানেই ওদের চিকিৎসা হওয়া একান্ত জরুরী। প্রয়োজনে ইমারজেন্সির ইমারজেন্সি বিভাগ নতুন করে খুলে হলেও এদের চিকিৎসা করা মানুষের দায়িত্ব।
যারাই সাঈদী সাহেবকে হত্যার পক্ষ নিয়েছে তারা গোটা মানবাতাকে হত্যার পক্ষ নিয়েছে । এদের জন্য কি চিকিৎসা হবে তা রোগ দেখে উপযুক্ত ডাক্তার প্রেসক্রাইব করবে। যার যে চিকিৎসা দিলে রোগ নিরাম্য হয় তাকে সেই চিকিৎসা দিতে হবে। কাউকে কুরআনী চিকিৎসা, কাউকে রাজনৈতিক চিকিৎসা আবার কাউকে মলম দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। আর যাদের রোগ নিরাম্যযগ্য না বলে ডাক্তারের কাছে প্রতিয়মান হবে তাকে এমন চিকিৎসা দিতে হবে যাতে এঁরা এরকম রোগ আর সংক্রমণ করতে না পারে। এদেরকে স্রবোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে্ দুনিয়াকে রোগমুক্ত, জীবানুমুক্ত করতে হবে।
বিষয়: রাজনীতি
১৪৬২ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
াজাইরা কথা
০ সাঈদীবিরোধীরা শাহবাগের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাসের পর মাস সমাবেশ করে তাদের দাবি আদায় করে গিয়েছে । তারই ফলশ্রুতিতে সাঈদীদের আজ ফাঁসিই হয়ে যাচ্ছে একমাত্র রায় ।
সাঈদী সাহেবের যদি এতই ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা হয় তাহলে শাহবাগীদের মত কিছু কি তারা করে দেখাতে পারবে ?
একটা লাশ পড়েছে শুধু শাহবাগীদের, তাতেই তাদের দাবী দাওয়া থেমে যায় নি ,ঠিকই পূরণ হয়েছে এবং হচ্ছে ।
শয়ে শয়ে লাশ সাঈদীর জন্য আপনারা দিলেও কারও কোন বিকার নেই । লাশ দিয়ে কি আপনারা পেরেছেন/পারবেন কাদের মোল্লার যাবতজীবনকে ফাঁসিতে পরিনত করাতে শাহবাগীদের মত - এরকম কিছু ?
শাহবাগ না হোক অন্য কোথাও তো শাহবাগের চেয়েও বড় সমাবেশ করতে পারেন আপনারা যেখানে সাঈদী সাহেবের নাকি সমর্থক দিনকে দিন বেড়েই চলেছে ?
খালি কলসি বাজে বেশী
গলাবাজি তো অনেক করলেন , শুধু শুধু জানও দিলেন - কাজের কাজ তো কিছুই করতে পারেন নাই ।
কিভাবে দাবী আদায় করতে হয় তা শাহবাগীদের থেকে শিখে নিন । চিকিতসা আপনাদের দরকার ।
এরা অসুস্থ। এদেরকেই চিকিৎসা করার জন্যই আমার এই লেখা।
কাতুকুতু বাবুদের জন্মস্থানও হয়তো দুয়েক দশকের মধ্যেই সাঈদীর আদর্শিক মুরদানদের কব্জায় চলে আসাটা বিচিত্র কিছু নয়।
ধন্যবাদ।
বর্তমানে যারা ক্ষমতাসীন বলে দাবী করে দেশ পরিচালনার চেয়ারে বসেছে তাদের কোন নৈতিক অধিকার নেই দেশ শাসনের। নেই কোন মনোবলও। এখন দরকার চুড়ান্তভাবে একটি ধাক্কা দেয়ার। সমস্ত আওয়ামী-ইন্ডিয়ান-বাম নাফরমানী বঙ্গোপসাগের শুধু বেসে যাবে না বরং গভীর সমুদ্রের অতল গভীরে তলিয়ে যাবে। শুধু দরকার ঈমানী জজবা নিয়ে একবার সম্মিলিতভাবে রাজপথে নামে আল্লাহর নাম নিয়ে এগিয়ে যাবার। ইনশায়াল্লাহ গায়েবী মদদ আল্লাহর তরফ থেকেই আসবে। যারা মৃত্যুকে ভয় পায় না, যাদের শাহাতাদের তামান্না অন্তরে লালিত স্বপ্ন এখনই তাদের সেই সুযোগ এসেছে। মনে রাখতে হবে যে মৃত্যুকে পরওয়া না করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় বিজয়ের মালা তাদের ললাটেই শোভা পায়।
আল্লামা সাঈদির একটা্ই অপরাধ মানুষকে কল্যানের পথে আহবান করা।
দুনিয়াতে সমস্যা হল আরো বড়। বিপদ তো আছেই।
আওয়ামী পরিবার সেই বিপদের মধ্যে আছে। এবং ভবিষতে তারা আরো বড় বিপদে পড়বে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন