এই মুহূর্তে সব নির্বাচন থেকে বিরোধী দলকে সরে দাঁড়ানো একদম ফরজ।
লিখেছেন লিখেছেন আয়নাশাহ ১৬ মার্চ, ২০১৪, ১১:০৯:০৭ সকাল
বিভিন্ন স্থানে জামায়াত বিএনপি টানাপোড়েনের কারণে আওয়ামী লীগ জিতেছে। আর বাকীগুলো তারা জোরকরে নিয়েছে। ৯টি উপজেলায় ১৯ দলীয় প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেছেন এবং আজ হরতাল পালন করছেন। তৃতীয় দফায় আওয়ামীলীগ ১৯দলের চেয়ে বেশী আসনে জিতেছে বলে ফলাফলে দেখা যাচ্ছে। অথচ দেশের অধীকাংশ মানুষ জানে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগ ১০% আসনেও বিজয়ী হতে পারতোনা।
বিগত দুই দফা এবং এবারের তৃতীয় দফা নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা এবং ফলাফল এখন মুল্যায়ন করতে হবে। আজ জামায়াত বিএনপি টানাপোড়েনের কথা অনেকেই বলছেন এবং অনেকে এমনকি জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাবার কথাও বলছেন। বিএনপি'র অনেকে জামায়াতের লোকদেরকে গালাগালি করছেন আর জামায়াতের অনেকেও এরকম করছেন। এমনকি আগামী নির্বাচনগুলোতে জটের সিদ্ধান্ত না মানার কথাও প্রচার করছেন।
তবে আমি ভাবছি ভিন্ন কথা।
সংসদ নির্বাচন আওয়ামীলীগের অধীনে হলে তা কোনোক্রমেই সুস্টূ হবেনা বলে দেশের সবগুলো বিরোধী দলই তা বর্জন করলেও উপজেলা নির্বাচনে তারা অংশ নেয়। প্রথম দুই দফায় আওয়ামী লীগের চেহারা কিছুটা উন্মোচিত হলেও এবার তা সারা দুনিয়ার কাছে একেবারে ফকফকা হয়ে গেছে। দেশবাসী সহ সবাই এখন আওয়ামী লীগের নির্বাচন দেখেছে। এবার ভাল করেই প্রমানিত হয়ে গেছে যে, আওয়ামী লীগের অধীনে সুস্টূ নির্বাচন কক্ষনই সম্ভব নয়।
এখন তারা জোর করে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করবে আর আপনারা একটা স্থানীয় হরতাল ডাকবেন। তাতে কার কি? আওয়ামী লীগের একগাছা চুলও ছিঁড়তে পারবেন না। আর বাকী উপজেলা গুলোতে আপনারা যদি জিতেই যান তাতেইবা আওয়ামীলীগের কি ক্ষতি হবে? কিছুই হবেনা। বরং তারা আতদের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, বিরোধী দলও জিতে সেটা প্রমান হয়েছে বলে প্রচার করতে পারবে। লাভটা তাদেরই হবে।
বরং গত তিন দফা নির্বাচনে এটা প্রমানিত হয়ে গেছে যে, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা শুন্যের কোঠায় আবং তারা ভোট ডাকাতি করেই চলেছে এবং আগামীতেও সেরকম চালাবে। এজন্য এই সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য বাকী দুই দফা উপজেলা নির্বাচন সব বিরধী দলের বর্জন করা উচিত। প্রকাশ্যে সকল বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলে দেয়া উচিত যে, এই সরকার এবং এই ইলেকশন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নেবেনা। নিরদলীয় নিরপেক্ষ তত্তাবধায়ক সরকার ছাড়া আর কোনো নির্বাচন হবে না এবং হতে দেয়া হবেনা। অর্ধ সম্পন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ইলেকশন কমিশনও বিব্রত হয়ে পড়বে, দেশের মানুষের কাছেও এটা গ্রহণযোগ্য হবে এবং দেশের বাইরেও সেই দাবী গ্রহণযোগ্যতা পাবে কারণ আওয়ামী মিডিয়া গুলোই তাদের অপকর্ম তুলে ধরেছে।
এই সময়ে যদি এই কাজটি না করে বাকী নির্বাচনগুলোতে তারা অংশ নেয় তবে আওয়ামী লীগকে আরো বৈধতা দেয়া হবে। এজন্য সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করা দরকার। মনে রাখতে হবে সময়ের এক কোপ অসময়ের দশ কো্রজ। এখন এই কাজটি করা একদম ফরজ।
আশা করি বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দ অধমের কথাটি ভেবে দেখবেন।
বিষয়: বিবিধ
১২১৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
৮৭% ভোট পেয়ে ক্ষমতায় গিয়ে এখন ৫% ভোটেও ক্ষমতায় আছে।
বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে এদেশের মানুষের আত্ম-প্রতারনা মূলক / আত্মঘাতী মূলক মানসিকতা ।
আমি একমত - সব বর্জন করা। কিন্তু আমার মনে হয় কেন্দ্র এই সিদ্দান্ত নিলেও স্থানীয় সংগঠনগুলো তা মানবে না। বিএনপির অবস্থা সারা দেশে এরকমই। আল্লাহ মালিক।
যদিও বুঝতে পারছি এটার সম্ভাবনা নাই, তবুও এই সরকারকে কাবু করার জন্য এটা করাই উচিত ছিল।
আর জামায়াত? আদর্শিক ভার্সেস রাজনৈতিক ব্যালেন্স আরো নিপুণতার সাথে ফাইন-টিউনিং করে এগিয়ে গেলে একে কেউ এতটুকু থামিয়ে রাখতে পারবে না! এই নির্বাচনই তার আরেকটি অতিরিক্ত প্রমাণ! তবে জামায়াতের উচিত কিছু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে একাট্টা স্টাবর্ননেস ঝেড়ে ফেলা - তাতেই চলবে ইনশাআল্লাহ! কারণ এর স্পেশাল চীফ পেট্রন হলেন সয়ং আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন! আর আসল পুঁজি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ জান্নাত-পাগল নিঃস্বার্থ কর্মীদের আন্তরিক-অকৃত্রিম শ্রম-সাধনা, কোটি কোটি মুক্তিকামী-শান্তিকামী-ইসলামপ্রেমিক-আল্লাহভক্ত মানুষের দোয়া এবং সরব-নীরব সমর্থন ও ভালোবাসা!
আমি মনে করি-নির্বাচনে অংশ নেয়াই উচিত। তাদের ভোট ডাকাতির চিত্রও জনগণ স্বচক্ষে দেখবে, বুঝবে। মিডিয়া যত প্রোপাগান্ডাই চালাক, যতই সত্য লুকাক- জনগণ সত্যি বিষয়টা বুঝতে শিখেছে।
নির্বাচনে জামায়াতের ফলাফল সেদিকটাই ইংগিত করছে।
তবে আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত হওয়া যেত, যদি দেশে গৃহপালিত পশুরা(!) না থাকতো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন