ঘসেটি বেগমের ডিনার এবং
লিখেছেন লিখেছেন আয়নাশাহ ০৪ মার্চ, ২০১৪, ১২:৫১:৪০ দুপুর
ঘসেটি বেগম রাত সাড়ে ন'টায় ডিনার সারেন। ডিনার টেবিলও এ সময়ে সাজানো হয়ে যায়। তিনি টেবিলে এসে বসলেন। একবার সবগুলো খাবারের দিকে নজর বুলিয়ে নিলেন। পেছনেই পরিচারিকা দাঁড়িয়ে ছিল। ইতস্তত করতে করতে বলল, কিছু বলবেন?
না। তা ক্ষয় কোথায়? তাকে ডাকো নাই?
জী, ডেকেছি। এর মধ্যেই ক্ষয় এসে পড়লেন এবং ঠিক মায়ের সামনের চেয়ারটায় বসলেন। তিনি কাঁটা চামচ দিয়ে খেতে অভ্যস্ত। সে অনুযায়ী সেগুলো রেডি করাই আছে। কিছু খাবার নিজের প্লেটে নিয়ে ঘসেটি বেগমের দিকে তাকিয়ে বললেন, হোয়াট হেপেন্ড টু ইউ মাম? খাচ্ছনা কেনো?
ঘসেটি বেগম চিন্তিত। কিন্তু মুখে সেকথা না বলে প্লেটে হাতটা রেখে খুশবুদার পোলাও এর গামলাটার দিকে নজর দিতেই পরিচারিকা চামচ দিয়ে কিছু পোলাও তার পাতে দিলো। এর পর একটা বাটি থেকে কিছু সালাদ নিয়ে তার পাতে দিতে উদ্যত হলে তিনি ইশারায় থামতে বললেন। পরিচারিকা কিছুটা বিব্রত। ঘসেটি বেগম ইশারা করে তাকে যেতে বললেন। সে চলে গেলো।
মিঃ ক্ষয় কিছুটা অবাক হয়ে লক্ষ্য করছিলেন। বললেন, আই থিংক সামথিং রং উইথ ইউ। বিষয়টা কি?
ঘসেটি বেগমের চোয়ালটা শক্ত হয়ে গেছে সেটা মিঃ ক্ষয় টের পেয়েছেন। বললেন, কোথায় ভুল হল?
ঘসেটি এবার প্লেটে নিজেই একটা আস্ত মুরগির রান নিলেন। ছেলে ক্ষয় এর দিকে তাকিয়ে বললেন, এটা নে, খেয়ে দেখ, ভাল লাগবে।
মুরগির বাটিটা নিজের পাতে ঢেলে দিতে দিতে ক্ষয় বললেন, ডোন্ট ওয়ারি, দুই একদিনের মধ্যে আরেকটা খবর পাবে, আই হ্যাভ ডান অল।
-কি খবর?
-আমেরিকা থেকেই এবার ওদেরকে টেররিস্ট বলা হবে। আর একবার আমেরিকানরা যদি ওদেরকে টেররিস্ট টেগ লাগিয়ে দেয় তবে ওদের আর রক্ষা নেই।
-সে কি? কি করে তা করছিস?
-ইউ ডোন্ট নিড টু থিঙ্ক এবাউট ইট। আই মিন, আমি তোমার কথা মতোই কাজটা করছি। হয়তো কাল সকালেই খবরটা পেয়ে যাবে।
-ঠিক বলছিস? তাহলে তো ওদের একটাকেও কেউ বাঁচাতে পারবে না। সবাইকে ক্রস ফায়ারে দিলেও কেউ কিছু বলবে না। আর ......
বাট, ক্রস ফায়ার আর ফাঁসী দিয়ে কি লাভ হচ্ছে?
-কি বলছিস এসব?
-না, মানে, আই মিন- কাদের মোল্লাকে ফাঁসী দিলাম আমরা, এর পর আরও হাজার খানেক মারা হল। কিন্তু কি যে বলে, ঐ উপজেলাতে তো মানুষ ওদেরকে ভোট দেয়? কাদের মোল্লাকে ফাঁসী দেয়াটা কি ঠিক হয়েছে? সে নাকি ঐ সময়ে ঢাকায়ই ছিলনা?
-সে ছিলনা সেটা তো আমিও জানি। কিন্তু ওদের হাত থেকে দেশটাকে বাঁচাতে হলে ওদেরকে শেস করতেই হবে। এ ছাড়া আর কোনো পথই নাই। সবগুলোকে ফাঁসী দিতেই হবে। আর ওই ......... বাচ্চি ! ওকে কিছুতেই আর কথা বলতে দেয়া যাবেনা।
-কিন্তু সত্যি যদি দেশের মানুষ উল্টে যায়?
-কি উল্টাবে? কারা উল্টাবে? ঐ ............... কথায় উল্টাবে? ওকে আমি একেবারে শেষ করে দেবো। এমন আছাড় দেবো আর জীবনে ক্ষমতায় যাবার নামও নেবেনা। আমার নাম ঘসেটি। আমাকে চিনে নাই...............বাচ্চি।
-তা সাইদিকেও কি ফাসি দেয়ে দেবে?
-না দিলে ও বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। ওকে এমাসের ভিতরেই, ২৬ মার্চের মধ্যেই শেষ করতে হবে।
-রিথিঙ্ক এবাউট ইট। ইট কুড বি ডেঞ্জারাস। আর এই ইনোসেন্ট লোকটাকে মেরে ফেলাটা কি ঠিক হবে?
-এখানে আমার কিছুই করার নেই। দেশকে বাঁচাতে হলে মনোমোহন আর 'র' এর কথা ছাড়া চলা সম্ভব না। ওরা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এদেরকে রাখা যাবেনা।
-কিন্তু.........
-তুই এসব নিয়ে মাথা ঘামাস না তো। আমি যা করি বুঝে শুনেই করি।
পরিচারিকার পায়ের আওয়াজ পেয়ে দুজনের কথা বন্ধ, খাওয়া শুরু হয়ে গেলো।
বিষয়: রাজনীতি
১৩৮৮ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পড়ার জন্য ধন্যাবদ।
কিন্তু শেখ হাসিনা দেশে এসে সন্ত্রাসী, চোরাকারবারী, কালোবাজারী, ঘুষখোরদের রাজনীতিতে টেনে এনে কালোটাকাকেই রাজনীতির চালিকা শক্তিতে পরিনত করেছে এবং রাজনীতি থেকে সকল প্রকার নীতি আদর্শ ঝেটিয়ে বিদায় করে প্রতিষ্ঠিত করেছে নীতিহীন এক রাজনীতি। এই অপরাধে শেখ হাসিনার বিচার চাই, শাস্তি চাই।
লেখক : মতিউর রহমান রেন্টু-আমার ফাঁসি চাই
তিনি তাহার বহুল আলোচিত এই বইয়ের উপসংহারে লিখেছেন,
"সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মাদ এরশাদের মত ক্ষমতাসীন থাকাকালে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাবেন। এবং পালিয়ে যাবার আগে শেখ হাসিনা কাশ্মিরের হিন্দু রাজার মতো ভারতীয় সেনাবাহিনী ডেকে দেশটাকে ভারতের দখলে দিয়ে যাবেন।
“সমগ্র জাতি বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং মুক্তিযোদ্ধারা হুশিয়ার।”
ঘসেটি বেগম তেকে আল্লাহ এই হতভাগা জাতিকে রক্ষা করুন, আমীন ।যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনে যদি হুনতে চান তারাতারি চিইলা আসুন।
এখানে ভিজিট করে দেইখবার পারেন।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন