আমাদের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ রাজিবের নক্সায় নির্মিত হবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ।

লিখেছেন লিখেছেন আয়নাশাহ ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:১৯:০০ দুপুর

পাঠকদের জ্ঞাতার্থে বিডিনিউজ২৪.কমে প্রকাশিত খবরটি শেয়ার করতে চাই। দয়া করে খবরটি পড়ুন আর আপনার ভেতরের রাসায়নিক বিকৃয়া কীবোর্ডের মাধ্যমে প্রকাশ করুন।



মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে ওঠা শাহবাগের গণজাগরণ কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের নকশায় নির্মিত হবে কাপাসিয়ার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ।

প্রায় আড়াই বছর আগে করা রাজীবের নকশাটি ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে। চলতি অর্থ বছরের বাজেটে অর্থও বরাদ্দ হয়েছে। শিগগিরই এর কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তারা।



এ নকশায় স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলে রাজীবও বেঁচে থাকবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মাঝেই, যাকে ইতোমধ্যে এ প্রজন্মের ‘শহীদ’ হিসাবে অভিহিত করছেন তার সংগ্রামের সাথীরা।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীন সাজার রায় প্রত্যাখ্যান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় শাহবাগের জাগরণ। এর একাদশ দিনে, গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর পল্লবীতে খুন হন স্থপতি রাজীব। নিজের বাসার সামনে তাকে জবাই করা হয়।

রাজীব নিয়মিতভাবে ব্লগে লিখতেন ‘থাবা বাবা’ নামে। লেখনীর মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি তুলে ধরার পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের স্বরূপ উন্মোচনে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

বন্ধু ও স্বজনদের দাবি, জামায়াত-শিবিরই রাজীবকে হত্যা করেছে। এই দাবির ক্ষেত্রে জামায়াত সমর্থক হিসাবে পরিচিত ‘সোনার বাংলা’ ব্লগে রাজীবকে ‘হুমকি’ দিয়ে একটি পোস্টও তুলে ধরেছেন তারা।

শনিবার গ্রামের বাড়ি কাপাসিয়ার সরসপুরে চিরনিন্দ্রায় শায়িত হন এই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ২০১০ সালে কাপাসিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়ার পর এর নকশা করার দায়িত্ব দেয়া হয় স্থপতি রাজীবকে। ওই বছরই ১৯ অগাস্ট রাজীব নকশাটি তুলে দেন উদ্যোক্তাদের হাতে।

এ প্রকল্পের নির্মাণ ও বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো. শহীদুল্লাহ জানান, ২০১১ সালে নকশাসহ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনাটি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর প্রধান প্রকৌশলী হিসাবে দায়িত্ব পান মো. মিজানুর রহমান।

“২০১২-১৩ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি অনুমোদন করে। এর জন্য অর্থও বরাদ্দ হয়ে গেছে। যতো দ্রুত সম্ভব রাজীবের করা নকশায় স্মৃতিসৌধ নির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর”, বলেন সাবেক সাংসদ ও কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল্লাহ।

তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের পাশে জেলা পরিষদের কিছু জমি রয়েছে। জমির বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলে একটি চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

চুক্তি হলেই কাপাসিয়া স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। স্মৃতিসৌধ ছাড়াও এখানে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়, জেলা পরিষদের মার্কেট ও তাজউদ্দিন অডিটোরিয়াম স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মূল স্মৃতিসৌধটি হবে প্রায় ৮তলা ভবনের সমান উঁচু। মাটি থেকে ৮ ফুট উঁচু হবে এর মূল বেদি। রাস্তা থেকে ২১টি সিঁড়ি পেরিয়ে যেতে হবে মূল বেদীতে। এই ২১টি সিঁড়ি মূলত অমর একুশের চেতনার স্মারক।

নকশা অনুযায়ী এ স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধকে তুলে আনা হবে তিনটি ভাগে। সৌধে ২৬টি ছোট ছোট স্তম্ভ একাত্তরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কথা বলবে। স্মৃতিসৌধের শেষ অংশে থাকবে সাতটি উঁচু দেয়াল, যা সাত বীরশ্রেষ্ঠর কৃতিত্ব ও ত্যাগকে চিহ্নিত করবে।

আর একেবারে ডান দিকে থাকবে আরো ১৬টি সিঁড়ি, এ সিঁড়ি দিয়ে সৌধ থেকে উত্তর দিকে নেমে যাওয়া যাবে। ১৬টি সিঁড়িতে এ সৌধ স্মরণ করবে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের বিজয়ের দিন ১৬ ডিসেম্বরকে

সুত্রঃ http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article592683.bdnews

বিষয়: বিবিধ

২১২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File