আমার দেখা জামায়াতে ইসলামী। শাহ আবদুল হান্নান।
লিখেছেন লিখেছেন আয়নাশাহ ৩১ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৩৫:৪৮ সকাল
আমার দেখা জামায়াতে ইসলামী।
শাহ আবদুল হান্নান।
১৯৪১ সালে মাওলানা সাই্য়েদ আবুল আ'লা মওদুদী জামায়াত প্রতিষ্টা করেন। এই সংগঠনের কর্মী সমর্থক আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছেন। বর্তমানে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কা নিয়ে চারটি দেশে এই সংগঠন ইসলামী আন্দোলন করছে। আমি ১৯৫৭ সাল থেকেই জামায়াতের সাথে আছি এবং এদের কর্মকান্ড দেখছি।
তারা একটি বিশাল ইসলামমী সাহিত্য উপহার দিয়েছে। লেখকদের মধ্যে প্রধান হলেন মাওলানা মওদুদী, খুরশীদ আহমদ, খুররম মুরাদ এবং নঈম সিদ্দিকী। সাথে সাথে তারা বাংলাদেশ এবং ভারতেও কতিপয় লেখক সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে। তাদের লেখা ইসলামী সাহিত্যে ইসলামকে একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা হিসেবে (দ্বীন) প্রতিষ্টা করতে যেমন সক্ষম হয়েছে তেমনি জীবন সমস্যার সমাধানে ইসলামকে তুলে ধরে ইসলামের বিরুদ্ধে সকল প্রশ্ন এবং অভিযোগের জবাবও অতি প্রাঞ্জল ও যৌক্তিক ভাবে দিয়েছে।
ব্যাক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠনের জন্য এই দলের রয়েছে চার দফা কর্মসুচী যা খুবই ভারসাম্য পুর্ণ। জামায়াত একটি আইন মান্যকারী সুশৃঙ্খল, সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন। তারা সকল ধরনের সহিংসতা এবং সন্ত্রাসের বিপক্ষে। অগণতান্ত্রিক একনায়ক তন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রিক শাষনের জন্য তারা অতিতে বিভিন্ন সময় লড়াই করেছে। বিভিন্ন সময় তারা নির্যাতন নিপীড়নেরও শিকার হয়েছে। এক সময় ভারতে তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয় কিন্তু ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট তাকে বেআইনি ঘোষনা করেন। একই ভাবে পাকিস্তানেও এই দলটিকে নিষিদ্ধ করলে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট তাকে বেআইনি ঘোষনা করেন। বাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত জামায়াত নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু পরবর্তিতে দলটিকে কাজ করতে দেয়া হয়।
নিষিদ্ধ করে কিংবা নিপীড়নে নির্যাতন করে জামায়াতকে প্রতিহত করা যাবেনা।
শাহ আবদুল হান্নান, অবসর প্রাপ্ত সচীব, বাংলাদেশ সরকার।
বিষয়: রাজনীতি
১৭১২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হলো -
১. চিন্তা ও গবেষনার এক ব্যাপক বিপ্লব
২.ইসলামী জ্ঞান চর্চার এক নিখুঁত পরিকল্পনা
০৩.উন্নত চরিত্র গঠনের এক মজবুত সংগঠন
০৪.জনসেবা ও সমাজ সংস্কারের এক বাস্তব কর্মসূচি
০৫.জনকল্যাণমুখী আদর্শ রাষ্ট্র ও সরকার গঠনের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন
জামায়াতের বুনিয়াদী আকিদা-বিশ্বাস হলো -
০১.আল্লাহ্ তা'আলাই মানব জাতির একমাত্র রব, বিধানদাতা ও হুকুমকর্তা।
০২. কুরআন ও সুন্নাহ্ই মানুষের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
০৩.মহানবীই (সা.) মানব জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুসরণযোগ্য আদর্শ নেতা।
০৪. ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই মুমিন জীবনের লক্ষ্য।
০৫. আল্লাহ্র সন্ত্মুষ্টি ও আখিরাতের মুক্তিই মুমিন জীবনের কাম্য।
জামায়াতে ইসলামীর অবদান
১. বাংলা ভাষায় ইসলামী সাহিত্যের ব্যাপক প্রসার।
২. রাজনৈতিক অঙ্গনে শক্তিশালী ইসলামী ধারা সৃষ্টি ও জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালনে গুরম্নত্বপূর্ণ অবদান।
৩. মাদরাসা ও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদের যোগ্যতা বৃদ্ধি করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জনগণের খেদমত করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
৪. একদল নিষ্ঠাবান, সত ও যোগ্য লোক তৈরী করেছে এবং সততা ও স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত্ম স্থাপন করে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ
সুন্দর বিশ্লেষন
ভালো লাগলো আপনাকে
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন