আমরা আর কিছু না পারলেও ডেন মজেনাকে লুঙ্গি পরিয়ে ছেড়েছি।
লিখেছেন লিখেছেন আয়নাশাহ ১০ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:২৬:৫৩ সকাল
এইমাত্র ঢাকায় নিযুক্ত এমেরিকার রাষ্ট্রদুত ডেন ডাব্লিউ মজিনা'র সম্মানে মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশী আমেরিকানদের দেয়া সংম্বর্ধনা ও নৈশ ভোজ শেষে বাসায় এলাম। প্রায় ঘন্টা দুই লম্বা অনুষ্টানের প্রধান বক্তা ছিলেন তিনি।
বক্তৃতার শুরুতেই তিনি লুঙ্গি নিয়ে বেশ মজার কথা বললেন। তিনি যখন তার বক্তৃতা শুরু করেন তখন প্রজেক্টারের মাধ্যমে পর্দায় নীচের ছবিটা দেখাচ্ছিল।
ছবিটি দেখিয়ে তিনি বললেন যে তিনি লুঙ্গি পরেন এবং পরে আরাম বোধ করেন। এও জানাতে ভুলেন নি যে তার ছয়খানা লুঙ্গি আছে। দর্শক শ্রুতারা করতালির মাধ্যমে তাকে এজন্য স্বাগত জানান।
কিছু প্রশ্নের জবাবও তিনি দিয়েছেন। রাজনৈতিক প্রশ্নগুলো'র মাঝে বাংলাদেশের ব্যাপারে তিনি সবসময় যা বলেন তা ই বলেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের ব্যাপারে বললেন, জামায়াতের রাজনিতী নিষিদ্ধ হয়নি, রেজিষ্ট্রেশন বাতিল হয়েছে। তারা তাদের গঠন তন্ত্রে প্রয়জনীয় সংশোধন করে আবার রেজিষ্ট্রেশন করতে পারে। আর বর্তমান অচলাবস্থা নিয়ে তিনি শুধু সংলাপের মাধ্যমেই তা সমাধানের কথা বলেন। বার বার তিনি অবশ্য সহিংসতাকে পরিহারের কথা বলেন এবং এটা গণতন্ত্রের ভাষা নয় বলে উল্লেখ করেন।
এছাড়া বাংলাদেশের তৈরী পোষাক শিল্প, জিএসপি সুবিধা, পোষাক কারখানা গুলোর মান উন্নয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেন । তিনি জানান ওয়াল মার্ট, জেসিপেনি ইত্যাদি ক্রেতারা বিরাট অংকের সাহায্য দিয়ে কারখানা গুলোকে পুর্ণ মানে নিয়ে আসার জন্য কর্মসুচী নিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত ক্রেতারাও অনুরুপ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে এবং এক পর্যায়ে বলেন যে বংলাদেশ আগামীতে এক নাম্বার তৈরী পোষাক রপ্তানী কারক দেশে পরিনত হবে।
শেষে তিনি সবার সাথে কুশল বিনিময় করেন।
মজার বিষয় হলো, মি: মজেনা তার নিজ দেশে এসেছেন। তাকে নিয়ে বাংলাদেশীদের এই মহা উল্লাশ দেখবার মতো। তার এক মুহুর্ত সময় নেই। শুধু একটার পর একটা প্রোগ্রাম। আজ সকালে মেরিওট হোটেলে একটা প্রোগ্রাম ছিল। মিশগানের বাংলাদেশী ব্যাবসায়ীদের সাথে আরেকটা প্রোগ্রাম ছিল সকাল ১০ টায়। আসতে আসতে তিনি এলেন সাড়ে এগারোটায়। আমিও ছিলাম কিন্তু হাতে অন্য কাজ থাকায় তার আগমনের কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যেতে হয়েছিল বলে ঐ প্রোগ্রামের কথা জানা হয়নি। এর পরে দুপুরে আরেকটা। সন্ধ্যায় হলো ডিনার। আগামী কাল সকালে আবার ইউনিভারসিটি আব মিশিগানে আরেকটা প্রোগ্রাম আছে। আমারও যওয়ার প্লেন আছে। যদি যাওয়া হয় তবে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
আমরা বাংলাদেশীরা আমেরিকা বা অন্য যে কোনো রাষ্ট্র দুতকে এতোটা সমীহ করি যে তা সত্যিই অন্যদের জন্য হিংসা করার মতো।
বিষয়: বিবিধ
১৭৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন