অবশেষে হাসিনা নাস্তিকদের দাবী মেনে নিলেন।

লিখেছেন লিখেছেন আয়নাশাহ ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:৩৭:৪৮ সকাল

সেদিন ইমরান সরকারের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে যে দাবী ছিল তার বাস্তবায়ন হয়ে গেলো। তাদের একটাই দাবী ছিল, মাহমুদুর রহমানকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। হাসিনা সেই দাবীটা হয়তো বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে পারেন নি কারণ দাবার ঘুঁটিগুলো ঠিকমতো সাজাতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন ছিল। এর মধ্যে হেফাজতকে একটা কর্মসুচী করতে দিয়ে তাদের ক্ষমতা 'দেখে নিয়ে' পরে বিএনপি'র নেতাদের আন্ডা বাচ্চা সহ লালঘরে ঢুকানো দরকার ছিল। আর জামায়াতের সবাইকেও আগেই ডান্ডা বেড়ি লাগানো হয়ে গেছে।

সবকিছু আজ্ঞাম দিতে হলে গুছানো দরকার ছিল। এর মধ্যে হেফাজতের জনসমাবেশকে পুঁজি করে আজ পররাস্ট্র মন্ত্রী সবগুলো দেশের রাষ্ট্রদূতকে বার্তা দিলেন যে, দেখুন, বাংলাদেশে তালেবানরা বিরাট শক্তি সঞ্চয় করে ফেলেছে আর এদের পেছনে আছে বিএনপি জামায়াত। আর এদেরই মুখপাত্র হিসেবে জনগণকে উষ্কানী দিচ্ছে মাহমুদুর রহমান এবং তার পত্রিকা।

এমনিতেই পশ্চিমারা ইসলামো ফোবিয়ায় আক্রান্ত। দেশের একটা বিরাট অংশের মানুষের চাওয়া যে ইসলাম তা তো প্রকাশ্য তারা বলছেন। পশ্চিমাদের কাছে সেটা কখনোই গ্রহণযোগ্য না।

এখন সরকারের হাতে একটা বড়ো অস্ত্র হলো, তালেবান ঠেকাও। আর তালেবান ঠেকাতে হলে অবশ্যই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে এবং এর কোনো বিকল্প পশ্চিমাদের কাছে নাই।

উপরের কথাগুলো মনে রাখুন এবং গত একমাসের রাজনীতি বিশ্লেষন করুন। দেখবেন, এই অঙ্কগুলো মিলানোর জন্য কতো আগে থেকে কাজ করা হয়েছে। সরকার ইচ্ছা করেই হেফাজতকে মাঠে নামতে বাধ্য করেছে, তাদেরকে সমাবেশ করতে দিয়েছে যাতে তাদের শক্তি প্রদর্শন হয় কিন্তু সেটা যেনো সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্যও তারা তাদের এজেন্টদের মধ্যমে সমাবেশকে নিয়ন্ত্রণও করেছে। সেই সাথে হেফাজত যাতে আর কোনো কর্মসুচী না দেয় তারও ব্যাবস্থা করা হয়। এর আগে চরমোনাই পীরকেও বিরাট সমাবেশের সুযোগ দিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে তা দেখিয়ে নিজেদের আসল মতলব হাসিলের জন্য পুঁজি করেছ যাতে এই অজুহাতে তালেবান জুজুকে প্রকাশ্যে আনা যায়।

কি বুঝলেন?

বিষয়: বিবিধ

১২৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File